সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

দ্বন্দ্ব মিটমাট করা

দ্বন্দ্ব মিটমাট করা

পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি

দ্বন্দ্ব মিটমাট করা

স্বামী বলেন: “আমাদের বিয়ের পর সারা * এবং আমি আমার পরিবারের সঙ্গেই আমার বাবামার বাড়িতে থাকতাম। একদিন আমার ছোটো ভাইয়ের বান্ধবী আমাকে আমাদের গাড়িতে করে তার বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে। আমি তাকে বলি যে, পৌঁছে দেব আর আমার ছোট্ট ছেলেটিকেও সঙ্গে নিয়ে যাই। কিন্তু, বাড়ি ফিরে এসে আমি দেখি যে, সারা রেগে আগুন হয়ে রয়েছে। আমাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায় আর আমার পরিবারের সামনেই সে আমাকে অন্য নারীদের প্রতি আমি আগ্রহী বলে অভিযুক্ত করে। আমার মেজাজ গরম হয়ে যায় এবং আমি তাকে এমন সব কথা বলতে শুরু করি, যা তাকে আরও বেশি রাগিয়ে তোলে।”

স্ত্রী বলেন: “আমাদের ছেলের এক গুরুতর অসুস্থতা রয়েছে আর সেইসময়ে আমাদের আর্থিক টানাটানিও ছিল। তাই, ফার্নানদো যখন তার ভাইয়ের বান্ধবী এবং আমাদের ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে চলে যায়, তখন আমি বেশ কিছু কারণের জন্য কষ্ট পাই। যখন সে বাড়ি ফিরে আসে, আমি তাকে আমার মনের কথা জানাই। আমাদের মধ্যে প্রচণ্ডভাবে কথা কাটাকাটি হয় এবং আমরা একে অপরকে গালিগালাজ করতে শুরু করি। কিন্তু, পরে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল।”

 যদি এক দম্পতি ঝগড়াঝাঁটি করে, তাহলে তার মানে কি এই যে, তারা আর পরস্পরকে ভালবাসে না? না! ওপরে উল্লেখিত ফার্নানদো এবং সারা পরস্পরকে খুবই ভালবাসে। তা সত্ত্বেও, এমনকি সর্বোত্তম বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যেও মাঝে মাঝে কিছু দ্বন্দ্ব থাকবে।

কেন দ্বন্দ্ব ঘটে আর আপনি কীভাবে সেগুলোকে রোধ করতে পারেন, যাতে তা আপনার বিয়েকে ভেঙে না দিতে পারে? যেহেতু ঈশ্বর হলেন বিয়ের উদ্যোক্তা, তাই তাঁর বাক্য বাইবেল এই বিষয়ে কী বলে, তা পরীক্ষা করা যুক্তিযুক্ত।—আদিপুস্তক ২:২১, ২২; ২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭.

সমস্যাগুলোকে বোঝা

অধিকাংশ বিবাহিত দম্পতি চায় যেন তারা একে অন্যের সঙ্গে প্রেমপূর্ণ ও সদয়ভাবে আচরণ করে। কিন্তু, বাস্তবসম্মতভাবে বাইবেল উল্লেখ করে যে, “সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে।” (রোমীয় ৩:২৩) তাই, যখন মতভেদ দেখা দেয়, তখন আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে। আর যদি ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়, তাহলে কারো কারো পক্ষে হয়তো বদভ্যাসগুলো, যেমন চিৎকার-চ্যাঁচামেচি ও গালিগালাজ করা রোধ করা খুবই কঠিন হয়ে উঠতে পারে। (রোমীয় ৭:২১; ইফিষীয় ৪:৩১) অন্য আর কোন বিষয়গুলো চাপের কারণ হতে পারে?

একজন স্বামী ও স্ত্রীর কথাবার্তা বলার ধরন প্রায়ই ভিন্ন হয়ে থাকে। “বিয়ের পর প্রথম প্রথম,” মিচিকো বলেন, “আমি লক্ষ করি যে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার ব্যাপারে আমাদের মনোভাব একবারে আলাদা ছিল। আমি কেবলমাত্র কী ঘটেছে, শুধু তা-ই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে কেন এবং কীভাবে ঘটেছে, তা-ও বলতে পছন্দ করি। কিন্তু, আমার স্বামী শুধু বিষয়ের শেষটা শুনতেই আগ্রহী ছিল।”

এই সমস্যা কেবল মিচিকোর একার নয়। অনেক বিয়েতে, একজন সাথি হয়তো কোনো একটা মতপার্থক্যের বিষয় বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চান কিন্তু অন্য সাথি বাদানুবাদ করতে অপছন্দ করেন এবং সেই বিষয়ে কোনো কথাই বলতে চান না। কখনো কখনো বিবাহ সাথিদের একজন যতই বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চান, অন্যজন ততই সেটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। আপনি কি লক্ষ করেছেন যে, আপনার বিয়েতেও একইরকম কিছু ঘটছে? আপনাদের মধ্যে একজন কি ঠিক সেই ধরনের, যিনি সবসময় বিষয়টা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চান এবং অন্যজন সবসময় আলোচনা করা এড়িয়ে যান?

অন্য আরেকটা বিবেচ্য বিষয় হল, বিবাহিত দম্পতিদের কীভাবে ভাববিনিময় করা উচিত, সেই বিষয়ে স্বামী বা স্ত্রীর বোধগম্যতাকে হয়তো সেই ব্যক্তির পারিবারিক পটভূমি প্রভাবিত করতে পারে। জাস্টিন, যার পাঁচ বছর হল বিয়ে হয়েছে, তিনি বলেন: “আমি এমন এক পরিবার থেকে এসেছি, যেখানে প্রায় সবাই চাপা স্বভাবের আর তাই আমার অনুভূতিগুলোর বিষয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলা আমার কাছে কঠিন মনে হয়। এটা আমার স্ত্রীকে নিরাশ করে। তার পরিবার খুবই মনখোলা স্বভাবের আর আমার কাছে তার অনুভূতি প্রকাশ করতে তার কোনো সমস্যাই হয় না।”

সমস্যা মিটমাটের জন্য কেন প্রচেষ্টা করবেন?

গবেষকরা লক্ষ করেছে যে, একটা বিয়ে কীভাবে সুখী হবে, সেটার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংকেত হল, দম্পতিরা পরস্পরকে ভালবাসে এই কথাটা কত ঘন ঘন বলে, তা নয়। যৌনসম্পর্কের দিক দিয়ে পরিতৃপ্ত থাকা এবং আর্থিক নিরাপত্তাও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। এর পরিবর্তে, বৈবাহিক সাফল্যের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য নির্দেশক হচ্ছে, স্বামী ও স্ত্রী কতটা ভালভাবে উত্থাপিত যেকোনো দ্বন্দ্বকে মিটমাট করতে পারে।

এ ছাড়া, যিশু বলেছিলেন যে, একজন পুরুষ ও নারী যখন বিয়ে করে, তখন কোনো মানুষ নয় বরং ঈশ্বর তাদেরকে যোগ করেন। (মথি ১৯:৪-৬) তাই, এক উত্তম বিয়ে ঈশ্বরকে সম্মানিত করে। অন্যদিকে, একজন স্বামী যদি তার স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা ও বিবেচনা দেখাতে ব্যর্থ হন, তাহলে যিহোবা ঈশ্বর সেই স্বামীর প্রার্থনা না-ও শুনতে পারেন। (১ পিতর ৩:৭) যদি একজন স্ত্রী তার স্বামীকে সম্মান না করেন, তাহলে তিনি আসলে যিহোবাকেই অসম্মান করছেন, যিনি স্বামীকে পরিবারের মস্তক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।—১ করিন্থীয় ১১:৩.

সাফল্যের চাবিকাঠি—আঘাতদায়ক কথা বলার বদভ্যাস পরিহার করুন

আপনার কথাবার্তা বলার ধরন বা পারিবারিক পটভূমি যা-ই হোক না কেন, আঘাতদায়ক কথা বলার বদভ্যাস পরিহার করতেই হবে, যদি আপনি কার্যকারীভাবে বাইবেলের নীতিগুলোকে প্রয়োগ করতে এবং দ্বন্দ্ব মিটমাট করতে চান। নীচের প্রশ্নগুলো নিজেকে জিজ্ঞেস করুন:

‘আমি কি পালটা জবাব দেওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে দমন করি?’ “নাসিকা মন্থনে রক্ত বাহির হয়, ও ক্রোধ মন্থনে বিরোধ বাহির হয়,” একটা বিজ্ঞ প্রবাদ বলে। (হিতোপদেশ ৩০:৩৩) এই কথাগুলোর অর্থ কী? এই উদাহরণটা বিবেচনা করুন। কীভাবে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে পারিবারিক খরচ করা যায়, সেই বিষয়ে তর্কাতর্কি (“আমাদের ক্রেডিট কার্ড দিয়ে জিনিস কেনা কমাতে হবে”) শীঘ্রই একে অপরের চরিত্রের ওপর দোষারোপ করার দিকে মোড় নিতে পারে (“তোমার কোনো দায়িত্বজ্ঞান নেই”)। সত্যিই, আপনার সাথি যদি আপনার চরিত্রের ওপর আক্রমণ করার দ্বারা ‘আপনার নাসিকা মন্থন করেন,’ তাহলে আপনারও হয়তো পালটা জবাব দিয়ে ‘মন্থন’ করার বিষয়ে তীব্র আকাঙ্ক্ষা হতে পারে। কিন্তু, আঘাতদায়ক পালটা জবাব কেবলমাত্র ক্রোধ এবং মতভেদ বাড়িয়ে তোলে।

বাইবেল লেখক যাকোব সাবধান করেন: “দেখ, কেমন অল্প অগ্নি কেমন বৃহৎ বন প্রজ্বলিত করে! জিহ্বাও অগ্নি।” (যাকোব ৩:৫, ৬) বিবাহ সাথিরা যখন তাদের জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়, তখন সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটিই খুব দ্রুত দ্বন্দ্বের আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে। আর যে-বিয়েগুলো এই ধরনের আগেবজনিত বিস্ফোরণের দ্বারা বার বার বিধ্বস্ত হয়, সেগুলোতে এমন কোনো পরিবেশ গড়ে উঠে না, যেখানে ভালবাসা বৃদ্ধি পেতে পারে।

পালটা জবাব দেওয়ার পরিবর্তে, আপনি কি যিশুকে অনুকরণ করতে পারেন যিনি নিন্দিত হয়েও “প্রতিনিন্দা করিতেন না”? (১ পিতর ২:২৩) কোনো ঝগড়ার উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে কমানোর সবচেয়ে দ্রুত উপায় হচ্ছে আপনার সঙ্গীর দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বীকার করা এবং দ্বন্দ্ব শুরু করার ক্ষেত্রে আপনার যে-অংশ ছিল, সেটার জন্য ক্ষমা চাওয়া।

এটা করে দেখুন: পরবর্তী সময়ে তর্কবিতর্ক হলে, নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ‘আমার সাথির কিছু বিষয় সম্বন্ধে চিন্তিত হওয়ার উপযুক্ত কারণগুলো রয়েছে, এই বিষয়টা স্বীকার করতে আমাকে কী এমন মূল্য দিতে হবে? এই সমস্যা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে আমার কী ভূমিকা রয়েছে? কী আমাকে আমার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধা দিচ্ছে?’

‘আমি কি আমার সাথির অনুভূতিগুলো অবজ্ঞা করি বা তুচ্ছ করি?’ ‘তোমরা সকলে সমমনা, পরদুঃখে দুঃখিত হও,’ ঈশ্বরের বাক্য আদেশ দেয়। (১ পিতর ৩:৮) দুটো কারণ বিবেচনা করুন, যেজন্য আপনি হয়তো এই পরামর্শকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হতে পারেন। একটা হচ্ছে, আপনার হয়তো আপনার সাথির মন বা অনুভূতিগুলোর বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টির অভাব রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি আপনার সাথি কোনো বিষয়ে আপনার চাইতে বেশি উদ্বিগ্ন হন, তাহলে আপনি হয়তো এইরকম বলার প্রবণতা দেখাতে পারেন, “তুমি বিষয়টা নিয়ে একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছ।” আপনার উদ্দেশ্য হয়তো আপনার সাথিকে সাহায্য করা, যাতে তিনি সমস্যাটার বিষয়ে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখেন। কিন্তু, এই ধরনের মন্তব্যের দ্বারা খুব অল্প লোকই সান্ত্বনা পেয়ে থাকে। স্ত্রী এবং স্বামী উভয়কেই জানতে হবে যে, তারা যাদেরকে ভালবাসে, তারা তাদেরকে বোঝে ও তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রদর্শন করে।

অতিরিক্ত অহংকার থাকাও একজন ব্যক্তিকে তার সাথির অনুভূতিগুলোকে তুচ্ছ করার দিকে পরিচালিত করতে পারে। একজন অহংকারী ব্যক্তি ক্রমাগত অন্যদেরকে ছোটো করার দ্বারা নিজেকে উঁচুতে রাখার চেষ্টা করেন। তিনি তা করতে পারেন সাথিকে অপমানজনক নামে ডেকে বা নেতিবাচকভাবে তুলনা করে। যিশুর দিনের ফরীশী ও অধ্যাপকদের উদাহরণটা বিবেচনা করুন। যখন কোনো ব্যক্তি—এমনকি একজন সহফরীশী—এই অহংকারী ব্যক্তিদের থেকে ভিন্ন মতামত প্রকাশ করতেন, তখন তারা তাকে বিভিন্ন নাম দিত এবং মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করত। (যোহন ৭:৪৫-৫২) যিশু এই ব্যাপারে ভিন্ন ছিলেন। অন্যেরা যখন তাঁর কাছে নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করত, তখন তিনি তাদের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছিলেন।—মথি ২০:২৯-৩৪; মার্ক ৫:২৫-৩৪.

আপনার সাথি যখন আপনার কাছে তার মতামত বা অনুভূতি প্রকাশ করেন, তখন আপনি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান, সেই বিষয়ে চিন্তা করুন। আপনার কথা, গলার স্বর এবং মৌখিক অভিব্যক্তি কি দেখায় যে, আপনি সহমর্মী? নাকি আপনার সাথির অনুভূতিগুলোকে আপনি সঙ্গে সঙ্গে উড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখান?

এটা করে দেখুন: আসন্ন সপ্তাহগুলোতে, লক্ষ করুন যে, আপনি আপনার সাথির সঙ্গে কীভাবে কথা বলেন। আপনি যদি কোনো বিষয়ে উপেক্ষার মনোভাব দেখান বা মর্যাদাহানিকর কিছু বলেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চান।

‘আমি কি প্রায়ই এইরকম মনে করি যে, আমার সাথির উদ্দেশ্যের পিছনে স্বার্থ রয়েছে?’ “ইয়োব কি বিনা লাভে ঈশ্বরকে ভয় করে? তুমি তাহার চারিদিকে, তাহার বাটীর চারিদিকে ও তাহার সর্ব্বস্বের চারিদিকে কি বেড়া দেও নাই?” (ইয়োব ১:৯, ১০) এই কথাগুলো বলে শয়তান বিশ্বস্ত ব্যক্তি ইয়োবের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।

যদি বিবাহ সাথিরা সতর্ক না হয়, তাহলে তারাও হয়তো একই অবস্থায় পড়ে যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনার সাথি যদি আপনার জন্য চমৎকার কিছু করেন, তাহলে আপনি কি এইরকম চিন্তা করেন যে, আপনার সাথি আপনার কাছে কিছু চায় কি না অথবা কিছু লুকাচ্ছে কি না? আপনার সাথি যদি কোনো ভুল করেন, তাহলে আপনি কি তার ব্যর্থতাকে এমনভাবে ধরে নেন যে, তিনি স্বার্থপর এবং কোনোরকম চিন্তাভাবনা করেন না? আপনি কি সঙ্গে সঙ্গে অতীতের একই ভুলগুলো স্মরণ করেন এবং সেই ভুলের তালিকায় এটাকেও যোগ করেন?

এটা করে দেখুন: আপনার সাথি আপনার জন্য ইতিবাচক যে-বিষয়গুলো করেছেন, সেগুলোর এবং এই কাজগুলো করার পিছনে যে-উত্তম উদ্দেশ্য তাকে প্রেরণা দিয়েছে, সেটার একটা তালিকা তৈরি করুন।

প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “প্রেম . . . অপকার গণনা করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৪, ৫) সত্যিকারের প্রেম অন্ধ নয়। তবে, এটা ভুলগুলোর হিসাবও রাখে না। পৌল এও বলেছিলেন যে, প্রেম “সকলই বিশ্বাস করে।” (১ করিন্থীয় ১৩:৭) তার মানে এই নয় যে, এই ধরনের প্রেম থাকলে সবকিছুই বিশ্বাস করব বরং এটা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। এটা অবিশ্বাসপ্রবণ, সন্দেহজনকও নয়। বাইবেল যেধরনের প্রেমকে উৎসাহিত করে, সেটা ক্ষমা করার জন্য তৈরি আর তা অন্যদের এইরকম চিন্তা করতে উৎসাহিত করে যে, অন্য ব্যক্তির উদ্দেশ্য খারাপ নয় বরং ভাল। (গীতসংহিতা ৮৬:৫; ইফিষীয় ৪:৩২) যখন সাথিরা পরস্পরের প্রতি এই ধরনের প্রেম প্রদর্শন করে, তখন তারা এক সুখী বিবাহিত জীবন উপভোগ করবে। (w০৮ ২/১)

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .

▪ প্রবন্ধের শুরুতে উল্লেখিত দম্পতি কোন ভুলগুলো করেছিল?

▪ কীভাবে আমি আমার বিবাহিত জীবনে একই ভুলগুলো করা পরিহার করতে পারি?

▪ প্রবন্ধে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে কোন বিষয়টার ওপর আমার সবচেয়ে বেশি কাজ করতে হবে?

[পাদটীকা]

^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।