সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যিশুর মৃত্যু যেভাবে আপনাকে রক্ষা করতে পারে

যিশুর মৃত্যু যেভাবে আপনাকে রক্ষা করতে পারে

যিশুর মৃত্যু যেভাবে আপনাকে রক্ষা করতে পারে

 প্রায় দুহাজার বছর আগে, সা.কা. ৩৩ সালে যিহুদি নিস্তারপর্বের সময় একজন নির্দোষ ব্যক্তি মারা যান, যাতে অন্যেরা জীবন পায়। সেই ব্যক্তিটি কে ছিলেন? তিনি ছিলেন নাসরতের যিশু। আর এই মহৎ কাজ থেকে কারা উপকৃত হতে পারে? সমগ্র মানবজাতি। বাইবেলের একটি সুপরিচিত পদ এই জীবনরক্ষাকারী বলিদানকে এভাবে সারাংশ করে: “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।”—যোহন ৩:১৬.

যদিও অনেকেই এই শাস্ত্রপদের সঙ্গে পরিচিত কিন্তু খুব অল্প লোকই প্রকৃতপক্ষে এই কথাগুলোর অর্থ বোঝে। তারা ভেবে থাকে: ‘কেন আমাদের খ্রিস্টের বলিদানের প্রয়োজন রয়েছে? কীভাবে একজন ব্যক্তির মৃত্যু মানবজাতিকে অনন্তকালীন মৃত্যুর পরিণতি থেকে উদ্ধার করতে পারে?’ বাইবেল এই প্রশ্নগুলোর স্পষ্ট ও সন্তোষজনক উত্তর প্রদান করে।

মৃত্যু মানবজাতিকে যেভাবে কবলিত করেছিল

কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, মানুষকে পৃথিবীতে এক সংক্ষিপ্ত সময় বেঁচে থাকার, বিভিন্ন পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়ার, কিছুটা সুখশান্তি উপভোগ করার আর এরপর মারা গিয়ে আরও ভাল এক স্থানে চলে যাওয়ার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। এই চিন্তা অনুসারে, মৃত্যু হচ্ছে মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যেরই অংশ। কিন্তু বাইবেল দেখায় যে, এক ভিন্ন কারণে মৃত্যু মানবজাতিকে কবলিত করেছে। এটি বলে: “এক মনুষ্য দ্বারা পাপ, পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল।” (রোমীয় ৫:১২) এই পদ দেখায় যে, লোকেরা পাপের ফলস্বরূপ মারা যায়। কিন্তু, সেই “এক মনুষ্য” কে, যার মাধ্যমে পাপের মারাত্মক প্রভাবগুলো মানবজাতিকে সংক্রামিত করেছে?

দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে, অধিকাংশ বিজ্ঞানী বিশ্বাস করে যে, সমস্ত মানুষ একই উৎস থেকে এসেছে আর বাইবেল স্পষ্টভাবে সেই উৎসকে—‘এক মনুষ্যকে’—শনাক্ত করে। আদিপুস্তক ১:২৭ পদে আমরা পড়ি: “ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্ত্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন।” এভাবে বাইবেল বলে যে, প্রথম মানব দম্পতি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ গৌরব ছিল।

আদিপুস্তকের বিবরণ, যিহোবা ঈশ্বর দ্বারা প্রথম মানুষ সৃষ্টি হওয়ার পরে মানব জীবন সম্বন্ধীয় যে-বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে, তা প্রদান করে। এটা লক্ষণীয় যে, সেই সমগ্র বিবরণে ঈশ্বর মৃত্যুকে অবাধ্যতার এক পরিণতি ছাড়া আর কোনোভাবেই উল্লেখ করেননি। (আদিপুস্তক ২:১৬, ১৭) তিনি চেয়েছিলেন মানুষ এক চমৎকার পরমদেশ পৃথিবীতে সুখী অবস্থায় ও সুস্বাস্থ্য নিয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে। তিনি চাননি যে, তারা বার্ধক্যের প্রভাব ও শেষপর্যন্ত মৃত্যু ভোগ করুক। তাহলে, কীভাবে মৃত্যু সমস্ত মানবজাতির ওপর কর্তৃত্ব করতে শুরু করেছিল?

আদিপুস্তক ৩ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, কীভাবে প্রথম মানব দম্পতি স্বেচ্ছায় তাদের জীবনদাতা যিহোবা ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর পরিণতিস্বরূপ, ঈশ্বর সেই দণ্ডাদেশ কার্যকর করেছিলেন, যা তিনি আগেই তাদেরকে জানিয়েছিলেন। তিনি মানুষকে বলেছিলেন: “তুমি ধূলি, এবং ধূলিতে প্রতিগমন করিবে।” (আদিপুস্তক ৩:১৯) ঈশ্বরের বাক্যের সত্যতাস্বরূপ, সেই দুজন অবাধ্য মানুষ শেষপর্যন্ত মারা গিয়েছিল।

কিন্তু, এর ফলস্বরূপ যে-ক্ষতি হয়েছিল, তা কেবলমাত্র সেই প্রথম মানব দম্পতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তাদের অবাধ্যতা সিদ্ধ জীবনের সেই প্রত্যাশাকে শেষ করে দিয়েছিল, যা তাদের বংশধররা উপভোগ করতে পারত। যিহোবা এমনকি অজাত মানুষদেরও তাঁর উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যখন তিনি আদম ও হবাকে বলেছিলেন: “তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্ত্তৃত্ব কর।” (আদিপুস্তক ১:২৮) পরবর্তী সময়ে, মানব পরিবার পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করতে এবং মৃত্যু ছাড়াই এক অপরিমেয় সুখী জীবন উপভোগ করতে পারত। কিন্তু তাদের পূর্বপুরুষ আদম—সেই “এক মনুষ্য”—তাদেরকে অবশ্যম্ভাবী পরিণতি মৃত্যুসহ পাপের দাসত্বে বিক্রি করে দিয়েছিল। প্রেরিত পৌল, যিনি সেই প্রথম মানুষেরই একজন বংশধর ছিলেন, তিনি লিখেছিলেন: “আমি মাংসময়, পাপের অধীনে বিক্রীত।”—রোমীয় ৭:১৪.

সাম্প্রতিক সময়ে বর্বর লোকেরা যেমন অমূল্য শিল্পকর্মগুলোর ক্ষতিসাধন করেছে, ঠিক তেমনই আদমও পাপ করে ঈশ্বরের অপূর্ব সৃষ্টির—মানবজাতির—গুরুতরভাবে ক্ষতিসাধন করেছে। আদমের সন্তানদেরও সন্তান হয়েছিল, এরপর তাদের নাতি-নাতনি হয়েছে এবং এভাবে ক্রমাগত বংশবৃদ্ধি হয়েছে। একের পর এক প্রজন্ম এসেছে, তারা বেড়ে উঠেছে, বংশ উৎপন্ন করেছে এবং এরপর একসময়ে তারা মারা গিয়েছে। কেন তারা সকলেই মারা গিয়েছে? কারণ তারা সকলেই আদমের বংশ থেকে এসেছে। বাইবেল বলে: ‘সেই একের অপরাধে অনেকে মরিল।’ (রোমীয় ৫:১৫) অসুস্থতা, বার্ধক্য, ভুল কাজগুলো করার এক প্রবণতা এবং স্বয়ং মৃত্যু হচ্ছে আদমের নিজ পরিবারের সঙ্গে তার বিশ্বাসঘাতকতা করার বেদনাদায়ক ফলাফল। সেই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত আমরা সবাই।

রোমের খ্রিস্টানদের উদ্দেশে তার চিঠিতে প্রেরিত পৌল নিজেকেসহ অসিদ্ধ মানুষের শোচনীয় পরিস্থিতি এবং পাপের প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে হতাশাজনক লড়াই সম্বন্ধে লিখেছিলেন। তিনি আর্তনাদ করে বলেছিলেন: “দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি! এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে নিস্তার করিবে?” এক যথার্থ প্রশ্ন, তাই নয় কি? কে পৌলকে—এবং অন্য আর যারা এরজন্য আকাঙ্ক্ষা করে তাদেরকে—পাপ ও মৃত্যুর দাসত্ব থেকে নিস্তার বা উদ্ধার করবে? পৌল নিজেই এর উত্তর দিয়েছিলেন: “আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্ট দ্বারা আমি ঈশ্বরের ধন্যবাদ করি।” (রোমীয় ৭:১৪-২৫) হ্যাঁ, আমাদের সৃষ্টিকর্তা তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের মাধ্যমে আমাদের জন্য উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছেন।

ঈশ্বরের দ্বারা মানুষের উদ্ধারে যিশুর ভূমিকা

যিশু মানবজাতিকে পাপের মারাত্মক দাসত্ব থেকে উদ্ধার করায় তাঁর ভূমিকা সম্বন্ধে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “মনুষ্যপুত্ত্র . . . অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মথি ২০:২৮) যিশুর প্রাণ বা জীবন কীভাবে মুক্তির মূল্য হিসেবে কাজ করে? তাঁর মৃত্যু কীভাবে আমাদেরকে উপকৃত করে?

বাইবেল যিশুকে ‘পাপ বিনা’ এবং “পাপিগণ হইতে পৃথক্‌কৃত” হিসেবে বর্ণনা করে। যিশু জীবনভর ঈশ্বরের ব্যবস্থা নিখুঁতভাবে মেনে চলেছিলেন। (ইব্রীয় ৪:১৫; ৭:২৬) তাই, যিশুর মৃত্যুর কারণ পাপের পরিণতিস্বরূপ এবং আদমের মতো অবাধ্যতার জন্য ছিল না। (যিহিষ্কেল ১৮:৪) এর পরিবর্তে, যিশু এমন এক মৃত্যুকে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন, যেটার যোগ্য তিনি ছিলেন না কিন্তু মানবজাতিকে পাপ ও মৃত্যু থেকে উদ্ধার করায় তাঁর পিতার ইচ্ছা পালনের জন্য তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন। আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, যিশু স্বেচ্ছায় “আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে” এসেছিলেন। ইতিহাস জুড়ে তাঁর অতুলনীয় প্রেমের কারণে যিশু স্বেচ্ছায় ‘সকলের নিমিত্ত মৃত্যুর আস্বাদ গ্রহণ করিয়াছিলেন।’—ইব্রীয় ২:৯.

যিশু যে-জীবন বলি হিসেবে উৎসর্গ করেছিলেন, তা আদম পাপ করার সময় যে-জীবন হারিয়েছিল, সেটার যথাযথ সমতুল্য ছিল। যিশুর মৃত্যুর ফল কী হয়েছিল? যিহোবা সেই বলিদানকে “সকলের নিমিত্ত মুক্তির মূল্যরূপে [‘সমরূপ মুক্তির মূল্য হিসেবে,’ NW]” গ্রহণ করেছিলেন। (১ তীমথিয় ২:৬) এর ফলে, ঈশ্বর মানবজাতিকে পাপের ও মৃত্যুর দাসত্ব থেকে পুনরায় ক্রয় করার বা দায়মুক্ত করার জন্য যিশুর জীবনের মূল্যকে ব্যবহার করেছিলেন।

বাইবেল মানুষের সৃষ্টিকর্তার দ্বারা এই মহৎ প্রেমের কাজ সম্বন্ধে বহুবার উল্লেখ করে। পৌল খ্রিস্টানদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে, তারা ‘মূল্য দ্বারা ক্রীত হইয়াছে।’ (১ করিন্থীয় ৬:২০; ৭:২৩) পিতর লিখেছিলেন যে, ঈশ্বর সোনা বা রুপো নয় বরং তাঁর পুত্রের রক্ত ব্যবহার করে খ্রিস্টানদেরকে তাদের মৃত্যুর বন্দিত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন। (১ পিতর ১:১৮, ১৯) খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের মাধ্যমে যিহোবা মানবজাতিকে অনন্তকালীন মৃত্যুর পরিণতি থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছেন।

খ্রিস্টের মুক্তির মূল্য থেকে কি আপনি উপকৃত হবেন?

খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যের সুদূরপ্রসারী উপকার সম্বন্ধে প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “[যিশু খ্রিস্টই] আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত, কেবল আমাদের নয়, কিন্তু সমস্ত জগতেরও পাপার্থক।” (১ যোহন ২:২) হ্যাঁ, খ্রিস্টের মুক্তির মূল্য সমস্ত মানবজাতির জন্য প্রাপ্তিসাধ্য। এর মানে কি এই যে, প্রত্যেকে এমনি এমনিই এই অমূল্য ব্যবস্থা থেকে উপকৃত হবে? না। যারা খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান থেকে উপকৃত হতে চায়, তাদেরকে ঈশ্বরের আশীর্বাদের অপেক্ষায় থাকলেই শুধু হবে না। তাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।

কোন পদক্ষেপ নিতে হবে বলে ঈশ্বর চান? যোহন ৩:৩৬ পদ আমাদের বলে: “যে কেহ পুত্ত্রে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে; কিন্তু যে কেহ পুত্ত্রকে অমান্য করে, সে জীবন দেখিতে পাইবে না, কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তাহার উপরে অবস্থিতি করে।” ঈশ্বর চান আমরা যেন খ্রিস্টের বলিদানে বিশ্বাস করি। আরও কিছু রয়েছে। “আমরা ইহাতেই জানিতে পারি যে, [যিশুকে] জানি, যদি তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি।” (১ যোহন ২:৩) তাহলে এটা স্পষ্ট যে, পাপ ও মৃত্যু থেকে উদ্ধারের চাবিকাঠি হচ্ছে, আমরা যেন খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যে বিশ্বাস করি এবং খ্রিস্টের আজ্ঞাগুলো পালন করি।

যিশুর মুক্তির মূল্যে বিশ্বাস প্রকাশের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে, তাঁর মৃত্যুকে স্মরণ করে এর প্রতি উপলব্ধি দেখানো, যেমনটা তিনি আদেশ দিয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে যিশু তাঁর বিশ্বস্ত প্রেরিতদের সঙ্গে এক প্রতীকী ভোজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তাদেরকে বলেছিলেন: “ইহা আমার স্মরণার্থে করিও।” (লূক ২২:১৯) যিহোবার সাক্ষিরা ঈশ্বরের পুত্রের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বকে খুবই মূল্যবান বলে মনে করে এবং তারা সেই আদেশ পালন করে। এই বছর যিশু খ্রিস্টের মৃত্যুর স্মরণার্থের তারিখ হচ্ছে ২২ মার্চ, শনিবার সূর্যাস্তের পর। আমরা আপনাকে যিশুর আদেশের প্রতি বাধ্যতা দেখাতে এই বিশেষ সভায় উপস্থিত থাকার জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে এই অনুষ্ঠানের সময় এবং স্থান সম্বন্ধে জানাতে পারে। আদমের পাপের মারাত্মক প্রভাবগুলো থেকে খ্রিস্টের মুক্তির মূল্য আপনাকে যাতে মুক্ত করে, সেটার জন্য আপনাকে যা করতে হবে, সেই বিষয়ে স্মরণার্থ সভায় আপনি আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন।

সৃষ্টিকর্তা এবং তাঁর পুত্র লোকেদেরকে ধ্বংস থেকে উদ্ধারের জন্য যে-মহৎ বলিদান করেছে, সেটার প্রতি আজকে খুব অল্প লোকেরই পূর্ণ উপলব্ধি রয়েছে। যারা এর প্রতি বিশ্বাস করে চলে, তারা এক বিশেষ সুখ উপভোগ করে। প্রেরিত পিতর তার সহখ্রিস্টানদের বিষয়ে লিখেছিলেন: “তোমরা . . . [যিশুতে] বিশ্বাস করিয়া অনির্ব্বচনীয় ও গৌরবযুক্ত আনন্দে উল্লাস করিতেছ, এবং তোমাদের বিশ্বাসের পরিণাম অর্থাৎ আত্মার পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইতেছ।” (১ পিতর ১:৮, ৯) যিশু খ্রিস্টের প্রতি প্রেম গড়ে তুলে এবং তাঁর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানে বিশ্বাস করে আপনি আপনার জীবনকে এখনই আনন্দে পরিপূর্ণ করতে এবং পাপ ও মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সানন্দে অপেক্ষা করতে পারেন। (w০৮ ৩/১)