সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

হতাশা সত্ত্বেও আপনি সুখী হতে পারেন

হতাশা সত্ত্বেও আপনি সুখী হতে পারেন

হতাশা সত্ত্বেও আপনি সুখী হতে পারেন

 এমন কেই বা আছে, যে কখনো হতাশ হয়নি? এমনকি আমাদের স্বর্গস্থ পিতা যিহোবা ঈশ্বরও হতাশার কারণে আসা অসন্তোষ বা দুঃখ ভোগ করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি ইস্রায়েলকে মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং তাদের প্রচুররূপে আশীর্বাদ করেছিলেন। কিন্তু, বাইবেল বলে: “তাহারা ফিরিয়া ঈশ্বরের পরীক্ষা করিল, ইস্রায়েলের পবিত্রতমকে অসন্তুষ্ট করিল।” (গীতসংহিতা ৭৮:৪১) তা সত্ত্বেও, যিহোবা সবসময়ই ‘পরম ধন্য [“সুখী,” NW] ঈশ্বর।’—১ তীমথিয় ১:১১.

বস্তুতপক্ষে, হতাশার অনেক কারণ থাকতে পারে। কীভাবে আমরা আমাদের সুখ হরণ করা থেকে সেগুলোকে রোধ করতে পারি? হতাশাজনক পরিস্থিতিগুলোকে যিহোবা ঈশ্বর যেভাবে পরিচালনা করেছিলেন, তা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

যে-বিষয়গুলো হতাশ করে

ঈশ্বরের বাক্য বলে, আমাদের সকলের প্রতিই “কাল ও দৈব” ঘটে। (উপদেশক ৯:১১) হঠাৎ করেই কোনো অপরাধ, দুর্ঘটনা কিংবা অসুস্থতা হয়তো চরম দুর্দশা এবং হতাশা নিয়ে আসতে পারে। বাইবেল আরও বলে: “আশাসিদ্ধির বিলম্ব হৃদয়ের পীড়াজনক।” (হিতোপদেশ ১৩:১২) ভাল কিছুর প্রত্যাশা করা আমাদেরকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে কিন্তু তা যদি শীঘ্রই বাস্তবায়িত না হয়, তাহলে আমরা হয়তো হতাশ বোধ করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, ডাংকান * যিনি একজন মিশনারি হিসেবে সেবা করে চলার দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন, তিনি বহু বছর ধরে মিশনারি হিসেবে সেবা করার পর জানতে পেরেছিলেন যে, তাকে এবং তার স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। “জীবনে প্রথমবার, আমি একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম” তিনি বলেছিলেন। “আমার কোনো লক্ষ্যই ছিল না। আর কোনোকিছুকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছিল না।” হতাশার কারণে আসা দুঃখ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যেমনটা ক্ল্যারের ক্ষেত্রে হয়েছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেন: “আমি যখন সাত মাসের গর্ভবতী, তখন আমার গর্ভপাত ঘটে। সেটা যদিও অনেকদিন আগেকার ঘটনা কিন্তু এখনও আমি যখন কোনো অল্পবয়সি ছেলেকে স্টেজে বক্তৃতা দিতে দেখি, তখন আমি মনে মনে ভাবি, ‘আমার ছেলেও ঠিক এত বড়ই হতো।’”

যখন কেউ আপনাকে হতাশ করে, যেমন যখন কোনো বিয়ের উদ্দেশ্যে মেলামেশা করার সম্পর্ক ভেঙে যায়, একটা বিয়ে ব্যর্থ হয়, কোনো সন্তান বিদ্রোহ করে, একজন সঙ্গী বিশ্বাসঘাতকতা করে অথবা কোনো বন্ধু অকৃতজ্ঞ মনোভাব দেখায়, তখন সেটাও দুঃখজনক হতে পারে। যেহেতু আমরা অসিদ্ধ লোকেদের মাঝে ও এক কঠিন সময়ে বাস করছি, তাই হতাশ হওয়ার অন্তহীন সম্ভাবনা রয়েছে।

একইভাবে, আমাদের নিজেদের ব্যর্থতাগুলোও আমাদেরকে হতাশ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা কোনো পরীক্ষায় পাশ করতে, একটা চাকরি পেতে অথবা কারো মন জয় করতে না পারি, তাহলে আমরা হয়তো নিজেদের অযোগ্য বলে ভাবতে পারি। এমনকি আমাদের কোনো প্রিয়জন যখন খ্রিস্টান হিসেবে আর উন্নতি করে না, তখনও আমরা হতাশ হতে পারি। মেরি বলেন: “আমার মেয়ে সত্যে উন্নতি করছিল বলেই মনে হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম যে, আমি আমার মেয়ের জন্য এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেছি। কিন্তু যখন সে যিহোবা ঈশ্বর এবং আমাদের পরিবারের মানগুলোকে পরিত্যাগ করেছিল, তখন আমার মনে হয়েছিল আমি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে আমি যে-সফলতা লাভ করেছিলাম, সেগুলোর কোনোটাই সেটার ক্ষতিপূরণ করতে পারেনি। আমি খুবই নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছিলাম।”

কীভাবে আমরা এই ধরনের হতাশার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারি? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য, হতাশাকে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে যিহোবা যে-উদাহরণ স্থাপন করেছেন, তা বিবেচনা করুন।

সমাধানের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন

যিহোবা ঈশ্বর প্রথম মানব দম্পতিকে প্রেমের সঙ্গে সমস্তকিছুই জুগিয়েছিলেন, তা সত্ত্বেও তারা অকৃতজ্ঞ বলে প্রমাণিত হয়েছিল এবং বিদ্রোহ করেছিল। (আদিপুস্তক ২ ও অধ্যায়) পরে তাদের ছেলে কয়িন এক মন্দ মনোভাব গড়ে তুলতে শুরু করেছিল। যিহোবার সতর্কবাণী উপেক্ষা করে কয়িন তার নিজের ভাইকে হত্যা করেছিল। (আদিপুস্তক ৪:১-৮) যিহোবা কতখানি হতাশ হয়েছিলেন তা কি আপনি কল্পনা করতে পারেন?

কেন সেই হতাশা ঈশ্বরের সুখকে হরণ করতে পারেনি? কারণ তিনি পৃথিবীকে সিদ্ধ মানুষ দিয়ে পরিপূর্ণ করার উদ্দেশ্য করেছিলেন আর সেই উদ্দেশ্য সম্পাদন করার জন্য তিনি ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছেন। (যোহন ৫:১৭) সেই উদ্দেশ্যেই তিনি মুক্তির মূল্য ও তাঁর রাজ্যের ব্যবস্থা করেছেন। (মথি ৬:৯, ১০; রোমীয় ৫:১৮, ১৯) যিহোবা ঈশ্বর সমস্যার ওপর নয় বরং এর সমাধানের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছেন।

কী হতে পারত বা আমাদের কী করা উচিত ছিল এগুলো নিয়ে চিন্তা করার পরিবর্তে ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে ইতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে উৎসাহিত করে। এটি বলে: “যাহা যাহা সত্য, যাহা যাহা আদরণীয়, যাহা যাহা ন্যায্য, যাহা যাহা বিশুদ্ধ, যাহা যাহা প্রীতিজনক, যাহা যাহা সুখ্যাতিযুক্ত, যে কোন সদ্‌গুণ ও যে কোন কীর্ত্তি হউক, সেই সকল আলোচনা কর।”—ফিলিপীয় ৪:৮.

হতাশার প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি

এমন বিষয়গুলো ঘটতে পারে, যেগুলো হয়তো নাটকীয়ভাবে আমাদের জীবনকে পালটে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আমরা হঠাৎ করেই আমাদের চাকরি, বিবাহ সাথি অথবা একসময়ে আমরা যে-বিশেষ সুযোগগুলো উপভোগ করতাম, সেগুলো হারাতে পারি। আমরা হয়তো আমাদের স্বাস্থ্য, ঘরবাড়ি বা বন্ধুবান্ধবকে হারাতে পারি। এইরকম পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে কীভাবে আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারি?

কারো কারো ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো স্থাপন করা সাহায্যকারী হয়েছে। আগে উল্লেখিত ডাংকান বলেন: “যখন আমি ও আমার স্ত্রী বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমরা আর কখনো আমাদের আগের জীবনধারায় ফিরে যেতে পারব না, তখন আমরা একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত, আমরা দুটো অগ্রাধিকার স্থাপন করেছিলাম: মায়ের দেখাশোনা করা আর যদি সম্ভব হয়, তাহলে পূর্ণসময়ের পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়া। সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হলে আমরা চিন্তা করতাম যে, সেগুলো কীভাবে এই অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করবে। এটাই সবকিছুকে সহজ করে দেয়।”

আমরা যখন হতাশাজনক পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা লাভ করি, তখন আমাদের মধ্যে অনেকেই এটার নেতিবাচক দিকগুলোকে অতিরঞ্জিত করার প্রবণতা দেখিয়ে থাকি। উদাহরণস্বরূপ, একটা সন্তানকে বড় করে তোলার, একটা চাকরির জন্য যোগ্য হওয়ার অথবা বিদেশে সুসমাচার প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রচেষ্টা হয়তো কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না-ও নিয়ে আসতে পারে। আমরা হয়তো ভাবতে পারি, ‘আমি একেবারেই ব্যর্থ।’ কিন্তু, ঠিক যেমন মানবজাতির এক হতাশাজনক সূচনা ঈশ্বরকে ব্যর্থ বলে প্রমাণিত করতে পারেনি, তেমনি আমাদের প্রচেষ্টাগুলো প্রথমে আমাদেরকে হতাশ করলেও আমরা ব্যর্থ নই।—দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪, ৫.

লোকেরা যখন আমাদেরকে হতাশ করে, তখন তাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করা আমাদের পক্ষে স্বাভাবিক ব্যাপার। যিহোবা এইরকম প্রতিক্রিয়া দেখান না। রাজা দায়ূদ যখন ব্যভিচার করেছিলেন আর তারপর সেই স্ত্রীলোকের স্বামীকে হত্যা করিয়েছিলেন, তখন যিহোবা হতাশ হয়েছিলেন। তবুও, যিহোবা দায়ূদের অনুতাপের অকৃত্রিমতা লক্ষ করেছিলেন এবং তাঁর দাস হিসেবে দায়ূদকে ব্যবহার করে চলেছিলেন। একইভাবে, বিশ্বস্ত রাজা যিহোশাফট ঈশ্বরের শত্রুদের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করার দ্বারা ভুল করেছিলেন। যিহোবার ভাববাদী বলেছিলেন: “এ জন্য সদাপ্রভু হইতে আপনার উপরে ক্রোধ বর্ত্তিল। যাহা হউক, আপনার মধ্যে কোন কোন সাধু ভাব পাওয়া গিয়াছে।” (২ বংশাবলি ১৯:২, ৩) যিহোবা উপলব্ধি করেছিলেন যে, সেই একটা ভুল যিহোশাফটকে একজন বিশ্বাসঘাতকে পরিণত করেনি। একইভাবে, আমাদের বন্ধুবান্ধব যখন ভুল করে, তখন অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখালে আমরাও তাদেরকে হারানো এড়াতে পারি। যে-বন্ধুরা আমাদের হতাশ করে, তাদের মধ্যে হয়তো এখনও উত্তম গুণাবলি রয়েছে।—কলসীয় ৩:১৩.

হতাশাকে চূড়ান্ত সাফল্য লাভের পথে এক অনিবার্য অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। আমরা যখন কোনো পাপ করি, তখন আমরা নিজেরা হয়তো হতাশ হতে পারি। কিন্তু, আমরা যদি সঠিক ও উদ্দেশ্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করি এবং এগিয়ে চলি, তাহলে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারি। রাজা দায়ূদ নিজে চরম হতাশায় ভোগার সময় লিখেছিলেন: “আমার অস্থি সকল ক্ষয় পাইতেছিল, কারণ আমি সমস্ত দিন আর্ত্তনাদ করিতেছিলাম। আমি তোমার কাছে আমার পাপ স্বীকার করিলাম . . . তাহাতে তুমি [সদাপ্রভু] আমার পাপের অপরাধ মোচন করিলে।” (গীতসংহিতা ৩২:৩-৫) আমরা যদি বুঝতে পারি যে, আমরা এমন কিছু করে ফেলেছি যা ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে চান না, তাহলে আমাদের উচিত ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং আমাদের পথ পরিবর্তন করা আর ভবিষ্যতে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঈশ্বরের পরামর্শ অনুসরণ করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হওয়া।—১ যোহন ২:১, ২.

হতাশার মুখোমুখি হওয়ার জন্য এখনই প্রস্তুত হোন

নিঃসন্দেহে, আমরা সকলেই ভবিষ্যতে কোনো না কোনো ধরনের হতাশার মুখোমুখি হব। প্রস্তুত হওয়ার জন্য আমরা কী করতে পারি? এক্ষেত্রে ব্রুনো নামে একজন বয়স্ক খ্রিস্টানের মন্তব্য বেশ আগ্রহজনক, যিনি এমন এক হতাশার অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন, যেটা তার জীবনধারা বদলে দিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন: “আমার ক্ষেত্রে, হতাশার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হচ্ছে যে, আমি আমার আধ্যাত্মিকতাকে শক্তিশালী করার জন্য আগে যা করতাম, তা করে চলেছি। আমি জেনেছি যে, ঈশ্বর কেন এই নিষ্ঠুর বিধিব্যবস্থাকে থাকতে দিয়েছেন। যিহোবার সঙ্গে এক নিকট সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আমি অনেক বছর ব্যয় করেছি। আর তা করেছি বলে আমি খুবই কৃতজ্ঞ। তিনি যে আমার সঙ্গে আছেন তা জানার সান্ত্বনা আমাকে, আমি যে-হতাশা ভোগ করেছিলাম তা সহ্য করতে সাহায্য করেছিল।”

ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তা করার সময়, আমরা একটা বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারি: যদিও আমরা নিজেরা হতাশ হতে পারি কিংবা অন্যেরা আমাদেরকে হতাশ করতে পারে কিন্তু ঈশ্বর আমাদেরকে কখনোই হতাশ করবেন না। বস্তুতপক্ষে, ঈশ্বর বলেছিলেন যে, তাঁর যিহোবা নামের অর্থ হল “আমি যে আছি সেই আছি [“আমি যা হতে চাই, তা-ই হই,” NW]।” (যাত্রাপুস্তক ৩:১৪) এটা আমাদেরকে এই নিশ্চয়তা দেয় যে, তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞাগুলো পরিপূর্ণ করার জন্য যা হওয়ার প্রয়োজন হোক না কেন, তা-ই হবেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে তাঁর ইচ্ছা “যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও” সিদ্ধ হবে। তাই, প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আমি নিশ্চয় জানি, কি মৃত্যু, কি জীবন, কি দূতগণ, কি আধিপত্য সকল . . . কি অন্য কোন সৃষ্ট বস্তু কিছুই আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে অবস্থিত ঈশ্বরের প্রেম হইতে আমাদিগকে পৃথক্‌ করিতে পারিবে না।”—মথি ৬:১০; রোমীয় ৮:৩৮, ৩৯.

আমরা ভাববাদী যিশাইয়ের মাধ্যমে করা ঈশ্বরের এই প্রতিজ্ঞার পরিপূর্ণতার জন্য আস্থা সহকারে অপেক্ষা করতে পারি: “দেখ, আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি; এবং পূর্ব্বে যাহা ছিল, তাহা স্মরণে থাকিবে না, আর মনে পড়িবে না।” (যিশাইয় ৬৫:১৭) এটা কতই না চমৎকার এক আশা যে, এমন সময় আসতে চলেছে যখন হতাশার সমস্ত স্মৃতি অতীতের বিষয় হয়ে যাবে! (w০৮ ৩/১)

[পাদটীকা]

^ কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

[২৯ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

আমাদের প্রচেষ্টাগুলো প্রথমে আমাদেরকে হতাশ করলেও আমরা ব্যর্থ নই

[৩০ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

কী হতে পারত তা নিয়ে চিন্তা করার পরিবর্তে ঈশ্বরের বাক্য আমাদেরকে ইতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে উৎসাহিত করে

[৩১ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

মানুষের ব্যর্থতাগুলো সত্ত্বেও ঈশ্বর সুখী, কারণ তাঁর উদ্দেশ্য নিশ্চিতভাবেই পরিপূর্ণ হবে

[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র]

আধ্যাত্মিক অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো স্থাপন করা হতাশাগুলোর সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য সাহায্যকারী