সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সমস্যার সমাধান করা

সমস্যার সমাধান করা

পারিবারিক সুখের চাবিকাঠি

সমস্যার সমাধান করা

স্বামী বলেন: “মেয়েরা কোথায়?”

স্ত্রী বলেন: “তারা কয়েকটা নতুন পোশাক কেনার জন্য শপিংমলে গিয়েছে।”

স্বামী বলেন: [বিরক্ত হয়ে উচ্চস্বরে] “‘নতুন পোশাক কেনার’ মানে কী? গতমাসেই তো তারা নতুন পোশাক কিনেছে!”

স্ত্রী বলেন: [আত্মপক্ষ সমর্থন করে, দুঃখ পেয়ে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে এমনভাবে] “কিন্তু, দোকানে মূল্যহ্রাস দিয়েছে। তা ছাড়া, তারা আমাকে প্রথমে জিজ্ঞেস করেছিল আর আমিই তাদের বলেছি যে, তারা যেতে পারে।”

স্বামী বলেন: [প্রচণ্ড রেগে গিয়ে এবং চিৎকার করে] “তুমি তো জানো, আমাকে জিজ্ঞেস না করে মেয়েদের টাকাপয়সা খরচ করার বিষয়টা আমি মোটেও পছন্দ করি না! আমার সঙ্গে কথা না বলেই তুমি কীভাবে হুট করে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারলে?”

 ওপরে উদ্ধৃত দম্পতির কোন সমস্যাগুলো সমাধান করার প্রয়োজন রয়েছে বলে আপনি মনে করেন? স্বামীর স্পষ্টতই তার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া, তাদের সন্তানদের কতটুকু স্বাধীনতা পাওয়া উচিত, সেই ব্যাপারে ওই দম্পতির মতভেদ রয়েছে বলে মনে হয়। আর তাদের ভাববিনিময়ের সমস্যাও রয়েছে বলে মনে হয়।

কোনো বিয়েই নিখুঁত নয়। সব দম্পতিই কোনো না কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হবে। সমস্যা ছোটো বা বড় যা-ই হোক না কেন, এটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ যে, স্বামী ও স্ত্রী যেন সেগুলো সমাধান করতে শেখে। কেন?

অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেওয়ালের মতো হয়ে উঠতে পারে, যা ভাববিনিময়ে বাধা দেয়। “বিবাদ দুর্গের অর্গলস্বরূপ,” বিজ্ঞ রাজা শলোমন মন্তব্য করেছিলেন। (হিতোপদেশ ১৮:১৯) সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করার সময় আরও কার্যকারী ভাববিনিময় করার জন্য আপনি কীভাবে সুযোগ করে দিতে পারেন?

যদি ভাববিনিময় একটা বিয়ের প্রাণশক্তি হয়ে থাকে, তাহলে প্রেম ও “সম্মান” হল সেই সম্পর্কের হৎপিণ্ড ও ফুসফুস। (ইফিষীয় ৫:৩৩, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) যখন সমস্যাগুলো সমাধানের বিষয়টা আসে, তখন প্রেম এক দম্পতিকে অতীতের ভুলত্রুটি—এবং এর ফলে পাওয়া মানসিক আঘাতগুলো—উপেক্ষা করতে এবং বর্তমান সমস্যাটার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে প্রেরণা দেবে। (১ করিন্থীয় ১৩:৪, ৫; ১ পিতর ৪:৮) যে-দম্পতিরা সম্মান দেখায়, তারা একে অন্যকে খোলাখুলিভাবে কথাবার্তা বলার সুযোগ দেয় এবং কী বলা হচ্ছে কেবল তা না শুনে, কী বোঝানো হচ্ছে তা-ও শোনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকে।

সমস্যা সমাধানের চারটে ধাপ

নীচে তালিকাবদ্ধ চারটে ধাপ বিবেচনা করুন এবং লক্ষ করুন যে, কীভাবে বাইবেলের নীতিগুলো আপনাকে প্রেমময় ও সম্মানজনক উপায়ে সমস্যার সমাধান করার জন্য সাহায্য করতে পারে।

১. বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় নির্ধারণ করুন। “সকল বিষয়েরই সময় আছে, . . . নীরব থাকিবার কাল ও কথা কহিবার কাল।” (উপদেশক ৩:১, ৭) শুরুতে উদ্ধৃত তর্কবিতর্কে যেমন দেখানো হয়েছে, কিছু সমস্যা জোরালো আবেগঅনুভূতি জাগিয়ে তুলতে পারে। যদি তা হয়ে থাকে, তাহলে রাগ ফেটে পড়ার আগে, কিছুক্ষণের জন্য আলোচনা বন্ধ রাখতে—“নীরব থাকিবার” জন্য—আত্মসংযম দেখান। আপনি আপনার সম্পর্ককে ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন, যদি আপনি বাইবেলের এই উপদেশে মনোযোগ দেন: “ঝগড়া শুরু করা বাঁধ-ভাংগা জলের মত, তাই তর্কাতর্কির শুরুতেই তা বাদ দিয়ো।”—হিতোপদেশ ১৭:১৪, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন।

তবে, “কথা কহিবার কাল” রয়েছে। সমস্যাগুলো উপেক্ষা করা হলে, সেগুলো আগাছার মতো বেড়ে ওঠে। তাই এই প্রত্যাশা নিয়ে বিষয়টা এড়িয়ে যাবেন না যে, সেটা এমনি এমনিই ঠিক হয়ে যাবে। আপনি যদি কোনো আলোচনা থামিয়ে দেন, তাহলে সেই সমস্যাটা নিয়ে কথা বলার জন্য পরে সময় করে নিয়ে আপনার সাথির প্রতি সম্মান দেখান। এই ধরনের এক প্রতিজ্ঞা আপনাদের দুজনকেই বাইবেলের এই পরামর্শের প্রকৃত অর্থ প্রয়োগ করতে সাহায্য করতে পারে: “সূর্য্য অস্ত না যাইতে যাইতে তোমাদের কোপাবেশ শান্ত হউক।” (ইফিষীয় ৪:২৬) অবশ্য, এরপর আপনাকে নিজের প্রতিজ্ঞা অনুসারে কাজ করতে হবে।

এটা করে দেখুন: প্রত্যেক সপ্তাহে সময় নির্ধারণ করে রাখুন, যখন আপনি আপনার পারিবারিক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। আপনি যদি লক্ষ করেন যে, দিনের কোনো নির্দিষ্ট সময়ে—উদাহরণস্বরূপ, আপনি কাজ থেকে ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা খাওয়ার আগে—আপনার ঝগড়া করার প্রবণতা রয়েছে, তাহলে সেই সময়ে সমস্যা নিয়ে আলোচনা না করার জন্য একমত হোন। এর পরিবর্তে, এমন কোনো সময় বেছে নিন, যখন আপনারা দুজনেই সম্ভবত কম চাপের মধ্যে থাকেন।

২. অকপটভাবে এবং সম্মানের সঙ্গে আপনার মতামত প্রকাশ করুন। “প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীর সহিত সত্য আলাপ করিও।” (ইফিষীয় ৪:২৫) আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার সবচেয়ে নিকটতম প্রতিবেশী হলেন আপনার স্বামী বা স্ত্রী। তাই আপনার সাথির সঙ্গে কথা বলার সময় আপনার অনুভূতিকে অকপটভাবে ও সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করুন। ২৬ বছর ধরে বিবাহিত মার্গারেটা * বলেন: “আমার যখন নতুন বিয়ে হয়, তখন আমি আশা করেছিলাম যে, সমস্যা দেখা দিলে আমার কেমন লাগে, তা আমার স্বামী এমনি এমনিই বুঝতে পারবে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, এই ধরনের প্রত্যাশা করা অবাস্তব। এখন আমি আমার চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করে থাকি।”

মনে রাখবেন, একটা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সময় আপনার লক্ষ্য কোনো যুদ্ধে জয়ী হওয়া কিংবা কোনো শত্রুকে পরাস্ত করা নয়, বরং আপনার সাথিকে কেবলমাত্র আপনার চিন্তাভাবনা জানানো। কার্যকারীভাবে তা করার জন্য, সমস্যাটা কী সেই বিষয়ে আপনি যা চিন্তা করেন তা বলুন, এরপর কখন সেটা উত্থাপিত হয়েছে তা প্রকাশ করুন আর তারপর এটার কারণে আপনার কেমন লাগছে তা ব্যাখ্যা করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনার সাথির অগোছালো স্বভাবের কারণে যদি আপনি বিরক্ত হন, তাহলে আপনি সম্মানের সঙ্গে বলতে পারেন, ‘তুমি যখন কাজ থেকে ঘরে ফিরে জামাকাপড় ছেড়ে মেঝেতে ফেলে রাখো [সমস্যাটা কী এবং কখন দেখা গিয়েছে], তখন আমার মনে হয় যে, ঘর গুছিয়ে রাখার জন্য আমার প্রচেষ্টাকে তুমি উপলব্ধি করো না [আপনার কেমন লাগে তা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করুন]।’ এরপর, সমস্যাটার সমাধান সম্বন্ধে আপনি কী মনে করেন, সেই বিষয়ে কৌশলে প্রস্তাব দিন।

এটা করে দেখুন: আপনার সাথির সঙ্গে কথা বলার আগে আপনার চিন্তাভাবনা স্পষ্টভাবে মনে রাখার জন্য সাহায্য পেতে, সমস্যাটা কী সেই বিষয়ে আপনি কী চিন্তা করেন এবং কীভাবে আপনি সেটা সমাধান করতে চান, তা লিখে রাখুন।

৩. আপনার সাথির অনুভূতি শুনুন এবং তা বোঝার চেষ্টা করুন। শিষ্য যাকোব লিখেছিলেন যে, খ্রিস্টানদের “শ্রবণে সত্বর, কথনে ধীর, ক্রোধে ধীর” হওয়া উচিত। (যাকোব ১:১৯) কোনো সমস্যার বিষয়ে আপনার কেমন লাগে, তা আপনার সাথি বুঝতে পারেন না, এই ধারণা দেওয়ার চেয়ে অন্য আর খুব কম বিষয়ই একটা বিয়েতে দুঃখ নিয়ে আসে। তাই আপনার সাথিকে এই ধরনের ধারণা না দেওয়ার ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ হোন!—মথি ৭:১২.

৩৫ বছর ধরে বিবাহিত ভল্ফগাং বলেন, “আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় আমি ভিতরে ভিতরে কিছুটা উদ্বিগ্ন থাকি, বিশেষ করে যখন আমার মনে হয় যে আমার স্ত্রী আমার চিন্তাভাবনা বুঝতে পারছে না।” ২০ বছর ধরে বিবাহিত ডায়েনা স্বীকার করেন, “আমি প্রায়ই আমার স্বামীকে এই বিষয়ে অভিযোগ করে থাকি যে, আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলার সময় সে আসলে আমার কথা শোনে না।” কীভাবে আপনি এই বাধা কাটিয়ে উঠতে পারেন?

এইরকম মনে করবেন না যে, আপনার সাথি কী চিন্তা করছে বা তার কেমন লাগছে, তা আপনি জানেন। “অহঙ্কারে কেবল বিবাদ উৎপন্ন হয়; কিন্তু যাহারা পরামর্শ মানে [“একসঙ্গে পরামর্শ করে,” NW], প্রজ্ঞা তাহাদের সহবর্ত্তী।” (হিতোপদেশ ১৩:১০) আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে কোনো বাধা দেওয়া ছাড়াই তার মতামত প্রকাশ করার সুযোগ দিয়ে তাকে মর্যাদা দিন। এরপর, যা বলা হয়েছে তা যে আপনি বুঝতে পেরেছেন এই বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনি যা শুনেছেন, সেটা আবার আপনার সাথির কাছে বলুন আর তা উপহাসের কিংবা আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে নয়। যা বলা হয়েছে সেই বিষয়ে আপনি যদি ভুল বুঝে থাকেন, তাহলে আপনার সাথিকে তা সংশোধন করার সুযোগ দিন। কেবল একাই সব কথা বলবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনারা দুজন এই বিষয়ে একমত না হন যে, আপনারা বিষয়টা সম্বন্ধে একে অন্যের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি বুঝতে পেরেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত পালা করে কথা শুনুন এবং আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করুন।

এটা ঠিক যে, আপনার স্বামী বা স্ত্রীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনার এবং তার মতামত মেনে নেওয়ার জন্য নম্রতা ও ধৈর্য প্রয়োজন। কিন্তু, যদি আপনিই প্রথমে আপনার সাথিকে সমাদর করেন বা সম্মান দেখান, তাহলে আপনার সাথিও আপনাকে সম্মান দেখাতে আরও বেশি ইচ্ছুক হবেন।—মথি ৭:২; রোমীয় ১২:১০.

এটা করে দেখুন: আপনার সাথির মন্তব্যগুলো পুনরাবৃত্তি করার সময় কেবল তোতা পাখির মতো হুবহু বুলি আওড়াবেন না। আপনার সাথির কথাবার্তা ও অনুভূতি সম্বন্ধে আপনি কী বুঝেছেন, তা সদয়ভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করুন।—১ পিতর ৩:৮.

৪. সমাধানের বিষয়ে একমত হোন। “এক জন অপেক্ষা দুই জন ভাল, কেননা তাহাদের পরিশ্রমে সুফল হয়। কারণ তাহারা পড়িলে এক জন আপন সঙ্গীকে উঠাইতে পারে।” (উপদেশক ৪:৯, ১০) দুজন সাথি একসঙ্গে কাজ না করলে এবং একে অন্যকে সমর্থন না করলে, একটা বিয়ের ক্ষেত্রে অল্পই সমস্যার সমাধান করা যাবে।

এটা ঠিক যে, যিহোবা স্বামীকে পরিবারের মস্তক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। (১ করিন্থীয় ১১:৩; ইফিষীয় ৫:২৩) কিন্তু মস্তকপদের অর্থ স্বৈরাচার নয়। একজন বিজ্ঞ স্বামী একা একাই বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেবেন না। ২০ বছর ধরে বিবাহিত ডেভিড বলেন, “আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে একমত হওয়ার মতো কোনো একটা বিষয় খোঁজার চেষ্টা করি এবং এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করি, যেটাকে আমরা দুজনেই সমর্থন করতে পারি।” সাত বছর ধরে বিবাহিত তানিয়া বলেন: “এটা এমন বিষয় নয় যে, কে সঠিক বা কে ভুল। মাঝে মাঝে কেবল কোনো একটা সমস্যার সমাধান সম্বন্ধে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দেখা যায়। আমি লক্ষ করেছি, নমনীয় এবং যৌক্তিক হওয়াই সফলতার চাবিকাঠি।”

এটা করে দেখুন: সমস্যাটার সম্ভাব্য যতগুলো ভিন্ন ভিন্ন সমাধান আপনাদের পক্ষে চিন্তা করা সম্ভব, সেগুলো উভয়েই লিখে রাখার মাধ্যমে দলগতভাবে কাজ করার মনোভাব সৃষ্টি করুন। যখন আপনার কাছে আর কোনো সমাধান থাকে না, তখন আপনাদের তালিকা পুনরালোচনা করুন এবং সেই সমাধানটা বাস্তবায়ন করুন, যেটার বিষয়ে আপনারা দুজনেই একমত। এরপর, পরে সময় করে নিন, যখন আপনারা পরীক্ষা করতে পারবেন যে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে কি না আর তা কতটা সফল হয়েছে।

আলাদা আলাদাভাবে নয় একসঙ্গে কাজ করুন

বিয়ের সম্বন্ধে কথা বলতে গিয়ে যিশু বলেছিলেন: “ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।” (মথি ১৯:৬) “যোগ করিয়া দিয়াছেন” অভিব্যক্তিটি যে-গ্রিক শব্দ থেকে অনুবাদ করা হয়েছে, সেটার অর্থ হল “জোয়ালে আবদ্ধ হওয়া।” যিশুর দিনে, জোয়াল ছিল একটা কড়িকাঠ যা দুটো পশুকে একসঙ্গে যুক্ত করত, যাতে সেগুলো কাজ করতে পারে। পশু দুটো যদি সহযোগিতা না করে, তাহলে সেগুলো কার্যকারীভাবে কাজ করতে পারবে না এবং তাদের ঘাড়ে জোয়ালের ঘষায় আঘাত লাগবে। সেগুলো যদি একসঙ্গে কাজ করে, তাহলে সেগুলো ভারী বোঝা টানতে বা জমিতে লাঙল টানতে পারবে।

একইভাবে, যে-স্বামী ও স্ত্রী দলগতভাবে কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তারা বিয়ের জোয়াল ঘাড়ে নিয়ে আঘাত পেতে পারে। অন্যদিকে, তারা যদি একসঙ্গে কাজ করতে শেখে, তাহলে তারা বলতে গেলে যেকোনো সমস্যাই সমাধান করতে এবং অনেক ভালকিছু সম্পাদন করতে পারবে। কালালা নামে একজন সুখী বিবাহিত ব্যক্তি বিষয়টা সম্বন্ধে সংক্ষেপে এভাবে বলেছিলেন, “খোলাখুলিভাবে কথা বলার, নিজেদেরকে অন্যজনের স্থানে রেখে চিন্তা করার, যিহোবার সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করার এবং বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগানোর মাধ্যমে আমি ও আমার স্ত্রী ২৫ বছর ধরে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান করে এসেছি।” আপনিও কি তা করতে পারেন? (w০৮ ৫/১)

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন . . .

▪ আমার স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে আমি কোন সমস্যাটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা বলতে চাই?

▪ কীভাবে আমি নিশ্চিত হতে পারি যে, এই বিষয়ে আমি আমার সাথির প্রকৃত অনুভূতি বুঝতে পারছি?

▪ আমি যদি সবসময় বিভিন্ন বিষয় আমার ইচ্ছা অনুযায়ী করার জন্য জোরাজুরি করি, তাহলে আমি কোন সমস্যা তৈরি করতে পারি?

[পাদটীকা]

^ কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।