সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

একজন সৃষ্টিকর্তা যিনি আমাদের প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য

একজন সৃষ্টিকর্তা যিনি আমাদের প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য

ঈশ্বরের নিকটবর্তী হোন

একজন সৃষ্টিকর্তা যিনি আমাদের প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য

প্রকাশিত বাক্য ৪:১১

 আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন যে, ‘জীবনের অর্থ কী?’ যারা বিশ্বাস করে যে, জীবন হল চিন্তাশক্তিহীন বিবর্তনের ফল, তারা এর উত্তর খোঁজায় সফল হয় না। কিন্তু, যারা এই সুপ্রতিষ্ঠিত সত্যটা গ্রহণ করে যে, জীবনের উৎস হলেন যিহোবা ঈশ্বর, তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা এইরকম নয়। (গীতসংহিতা ৩৬:৯) তারা জানে যে, আমাদেরকে সৃষ্টি করার পিছনে তাঁর একটা উদ্দেশ্য ছিল। সেই উদ্দেশ্য প্রকাশিত বাক্য ৪:১১ পদে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা কেন এখানে রয়েছি, সেই বিষয়ে প্রেরিত যোহনের দ্বারা লিখিত এই কথাগুলো কীভাবে ব্যাখ্যা করে, আসুন আমরা তা দেখি।

যোহন এক স্বর্গীয় গায়ক দল সম্বন্ধে লেখেন, যারা এভাবে ঈশ্বরের উচ্চপ্রশংসা করে: “হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলের সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।” একমাত্র যিহোবাই এই ধরনের শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। কেন? কারণ তিনি ‘সকলের সৃষ্টি করিয়াছেন।’ তাহলে, তাঁর সৃষ্ট বুদ্ধিবিশিষ্ট প্রাণীদের কী করতে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত?

যিহোবা সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, তিনি প্রতাপ, সমাদর এবং পরাক্রম বা শক্তি “গ্রহণের” যোগ্য। নিঃসন্দেহে, তিনি হলেন নিখিলবিশ্বের সবচেয়ে গৌরবান্বিত, সম্মানীয় এবং শক্তিশালী ব্যক্তি। কিন্তু, মানবজাতির বেশিরভাগ লোকই প্রকৃতপক্ষে স্বীকার করে না যে, তিনিই সমস্তকিছুর সৃষ্টিকর্তা। তা সত্ত্বেও, এমন ব্যক্তিরা রয়েছে, যারা ঈশ্বর যা-কিছু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলোর মধ্যে তাঁর “অদৃশ্য গুণ” স্পষ্টরূপে দেখতে পায়। (রোমীয় ১:২০) উপলব্ধিপূর্ণ হৃদয়ে তারা যিহোবাকে গৌরব ও সম্মান প্রদান করতে অনুপ্রাণিত হয়। যারা শুনবে, তাদের সকলের কাছে তারা এই প্রভাব বিস্তারকারী প্রমাণ সম্বন্ধে ঘোষণা করে যে, যিহোবাই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি সমস্তকিছু আশ্চর্যরূপে নির্মাণ করেছেন আর তাই তিনিই আমাদের সশ্রদ্ধ সম্মান পাওয়ার যোগ্য।—গীতসংহিতা ১৯:১, ২; ১৩৯:১৪.

তাহলে, যিহোবা কীভাবে তাঁর উপাসকদের কাছ থেকে শক্তি গ্রহণ করে থাকেন? অবশ্য, কোন প্রাণীই সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তাকে পরাক্রম বা শক্তি প্রদান করতে পারে না। (যিশাইয় ৪০:২৫, ২৬) তা সত্ত্বেও, ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট হওয়ায়, আমাদেরকে কিছুটা পরিমাণ ঈশ্বরীয় গুণাবলি প্রদান করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে একটা হল শক্তি। (আদিপুস্তক ১:২৭) আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য যা করেছেন, আমরা যদি সত্যিই তা উপলব্ধি করি, তাহলে আমরা তাঁকে সম্মান ও গৌরব প্রদান করার জন্য আমাদের শক্তি ও উদ্যমকে ব্যবহার করতে অনুপ্রাণিত হব। আমাদের উদ্যমকে পুরোপুরিভাবে আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর জন্য ব্যয় করার পরিবর্তে, আমরা মনে করি যে, তাঁকে সেবা করার সময় যিহোবা ঈশ্বরই আমাদের সমস্ত শক্তি গ্রহণের যোগ্য।—মার্ক ১২:৩০.

তাহলে, কেন আমরা এখানে রয়েছি? প্রকাশিত বাক্য ৪:১১ পদের শেষাংশ উত্তরটা জানায়: “তোমার ইচ্ছাহেতু [সৃষ্ট বিষয়] সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।” আমরা নিজের ইচ্ছায় অস্তিত্বে আসিনি। আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছাতেই অস্তিত্বে এসেছি। এই কারণে, পুরোপুরিভাবে নিজের স্বার্থে বেঁচে থাকা এক জীবন অসার ও অর্থহীন। মনের শান্তি, আনন্দ, পরিতৃপ্তি এবং পরিপূর্ণতা খুঁজে পাওয়ার জন্য আমাদেরকে ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্বন্ধে জানতে ও তারপর সেই অনুসারে জীবনযাপন করতে হবে। একমাত্র তাহলেই আমরা আমাদেরকে সৃষ্টি করার ও অস্তিত্বে আনার উদ্দেশ্য খুঁজে পাব।—গীতসংহিতা ৪০:৮. (w০৮ ১২/১)

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

NASA, ESA, and A. Nota (STScI)