বাইবেলে বর্ণিত শব্দচিত্রগুলো আপনি কি সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারেন?
বাইবেলে বর্ণিত শব্দচিত্রগুলো আপনি কি সেগুলোর অর্থ বুঝতে পারেন?
একটা চিত্র অনেক তথ্য প্রদান করতে পারে কিন্তু মাঝে মাঝে শুধু একটি বা দুটি শব্দ একটা ছবি আঁকতে পারে। পাঠকের মনে একটা ছবি আঁকতে পারে এমন শব্দচিত্র বা অভিব্যক্তিগুলো বাইবেলের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। * উদাহরণস্বরূপ, একটা হিসাব অনুযায়ী, যিশু শুধুমাত্র একটা উপদেশে—পর্বতেদত্ত উপদেশে—৫০টারও বেশি শব্দচিত্র ব্যবহার করেছেন।
কেন আপনার শব্দচিত্রগুলোর প্রতি আগ্রহী হওয়া উচিত? একটা কারণ হল, সেগুলো বোঝা আপনার বাইবেল পাঠে বৈচিত্র্য এনে দেবে ও বাইবেল পাঠকে উপভোগ্য করে তুলবে এবং ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি আপনার উপলব্ধি বৃদ্ধি করবে। এ ছাড়া, যদি আপনি শব্দচিত্রগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারেন, তাহলে আপনি বাইবেলের বার্তাকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। বস্তুতপক্ষে, বাইবেলে বর্ণিত একটা শব্দচিত্রকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হওয়া শুধু বিভ্রান্তিরই সৃষ্টি করবে না কিন্তু সেইসঙ্গে ভুল উপসংহারের দিকেও পরিচালিত করবে।
শব্দচিত্রগুলো বুঝতে পারা
কোনো শব্দচিত্র একটা ধারণার সঙ্গে অন্য ধারণার তুলনা করে। যে-ধারণাকে তুলনা করা হয়, সেটাকে বলা হয় বিষয় আর যে-ধারণার সঙ্গে এটাকে তুলনা করা হয়, সেটাকে বলা হয় চিত্র। দুটো ধারণার মধ্যে তুলনা হচ্ছে সাদৃশ্য। তাই, কোনো শব্দচিত্রের প্রকৃত অর্থ যথাযথভাবে বুঝতে পারার মূল চাবকাঠি হচ্ছে এই তিনটে বিষয়কে শনাক্ত করা ও সেগুলো বুঝতে পারা।
মাঝে মাঝে, বিষয় ও চিত্রকে শনাক্ত করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে। কিন্তু, সাদৃশ্যের বিষয়ে বেশ কয়েকটা সম্ভাবনা থাকতে পারে। কী আপনাকে সাদৃশ্যকে সঠিকভাবে শনাক্ত করতে সাহায্য করবে? প্রায়ই সেই উত্তর প্রসঙ্গের মধ্যে বা সম্পর্কযুক্ত বিষয়বস্তুর মধ্যে পাওয়া যায়। *
উদাহরণস্বরূপ, যিশু সার্দ্দিস্থ মণ্ডলীকে বলেছিলেন: “যদি জাগ্রৎ না হও, তবে আমি চোরের ন্যায় আসিব।” যিশু এখানে তাঁর আসা বা আগমনকে (বিষয়) চোরের আসার (চিত্র) সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু, এখানে সাদৃশ্য কী ছিল? প্রসঙ্গ আমাদের বুঝতে সাহায্য করে। যিশু আরও বলেছিলেন: “কোন্ দণ্ডে তোমার নিকটে আসিব, তাহা তুমি জানিতে পারিবে না।” (প্রকাশিত বাক্য ৩:৩) তাই, এই তুলনা তাঁর আসার উদ্দেশ্যকে নির্দেশ করে না। তিনি এইরকম ইঙ্গিত করছিলেন না যে, তিনি কোনো কিছু চুরি করার জন্য আসবেন। পরিবর্তে, তুলনার বিষয়টা ছিল যে, তাঁর আগমন অপ্রত্যাশিতভাবে হবে এবং এই বিষয়ে আগে থেকে ঘোষণা করা হবে না।
১ থিষলনীকীয় ৫:২) পৌলের কথাগুলোর প্রসঙ্গ সাদৃশ্যকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে না। কিন্তু, এই শব্দচিত্রকে প্রকাশিত বাক্য ৩:৩ পদে যিশুর দ্বারা ব্যবহৃত শব্দচিত্রের সঙ্গে তুলনা করা আপনাকে সাদৃশ্যটা বুঝতে সাহায্য করতে পারে। সমস্ত সত্য খ্রিস্টানকে আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকতে সাহায্য করার জন্য এই শব্দচিত্রটি কতই না জোরালো এক অনুস্মারক!
কিন্তু মাঝে মাঝে, বাইবেলের কোনো অংশের একটি শব্দচিত্র হয়তো আপনাকে আরেকটি অংশের অনুরূপ শব্দচিত্রটি বুঝতে সাহায্য করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রেরিত পৌলও যিশুর ব্যবহৃত একই শব্দচিত্র ব্যবহার করে লিখেছিলেন: “তোমরা আপনারা বিলক্ষণ জান, রাত্রিকালে যেমন চোর, তেমনি প্রভুর দিন আসিতেছে।” (যে-শব্দচিত্রগুলো আমাদেরকে ঈশ্বর সম্বন্ধে শিক্ষা দেয়
কোনো মানুষই সর্বশক্তিমানের ব্যক্তিত্ব ও ক্ষমতার সমস্ত দিক পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারে না। প্রাচীনকালে রাজা দায়ূদ লিখেছিলেন যে, যিহোবার “মহিমার তত্ত্ব পাওয়া যায় না।” (গীতসংহিতা ১৪৫:৩) ঈশ্বরের কিছু সৃজনশীল কাজ বিবেচনা করে, ইয়োব বিস্ময়ে বলে উঠেছিলেন: “দেখ, এই সকল তাঁহার মার্গের প্রান্ত; তাঁহার বিষয়ে কাকলীমাত্র শুনা যায়; কিন্তু তাঁহার পরাক্রমের গর্জ্জন কে বুঝিতে পারে?”—ইয়োব ২৬:১৪.
যদিও আমরা ঈশ্বরের মহিমা পুরোপুরি বুঝতে পারি না, কিন্তু বাইবেল বিভিন্ন শব্দচিত্র ব্যবহার করে, যেগুলো আমাদেরকে স্বর্গীয় ঈশ্বরের চমৎকার গুণাবলি সম্বন্ধে কিছুটা হলেও বুঝতে সাহায্য করে। যিহোবাকে একজন রাজা, আইনপ্রণেতা, বিচারক ও যোদ্ধা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে—স্পষ্টতই এমন একজন, যাঁকে আপনার সম্মান করা উচিত। এ ছাড়া, তাঁকে একজন পালক, একজন পরামর্শদাতা, একজন শিক্ষক, একজন পিতা, একজন আরোগ্যকর্তা ও একজন পরিত্রাতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে—এমন একজন যাঁকে আপনি ভালোবাসতে পারেন। (গীতসংহিতা ১৬:৭; ২৩:১; ৩২:৮; ৭১:১৭; ৮৯:২৬; ১০৩:৩; ১০৬:২১; যিশাইয় ৩৩:২২; ৪২:১৩; যোহন ৬:৪৫) এই প্রতিটা সহজ-সরল বর্ণনা আপনার মনে বেশ কয়েকটা হৃদয়গ্রাহী চিত্র তুলে ধরে, যেগুলোতে বিভিন্ন সাদৃশ্য রয়েছে। এইরকম শব্দচিত্রগুলো এমন ধারণাকে প্রকাশ করতে পারে, যা প্রচুর শব্দ দিয়েও পর্যাপ্তভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে না।
এ ছাড়া, বাইবেল যিহোবাকে জড় বস্তুর সঙ্গে তুলনা করে। তাঁকে “ইস্রায়েলের শৈল,” “উঁচু পাহাড়” এবং “দুর্গ” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। (২ শমূয়েল ২৩:৩; গীতসংহিতা ১৮:২, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন; দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪) এখানে সাদৃশ্য কী? ঠিক যেমন একটা বড়ো শৈল খুব দৃঢ়ভাবে স্থাপিত এবং অনড়, তেমনই যিহোবা ঈশ্বর আপনার জন্য নিরাপত্তার দৃঢ় উৎস হিসেবে প্রমাণিত হতে পারেন।
গীতসংহিতা বইটিতে অনেক শব্দচিত্র রয়েছে, যেগুলো যিহোবার ব্যক্তিত্বের বিভিন্ন দিককে বর্ণনা করে। উদাহরণস্বরূপ, গীতসংহিতা ৮৪:১১ পদ যিহোবা সম্বন্ধে বলে যে, তিনি হলেন “সূর্য্য ও ঢাল” কারণ তিনি হলেন দীপ্তি, জীবন, শক্তি ও সুরক্ষার উৎস। অন্যদিকে, গীতসংহিতা ১২১:৫ পদ বলে যে, “সদাপ্রভুই তোমার ছায়া, তিনি তোমার দক্ষিণ পার্শ্বে।” ঠিক যেমন ছায়াময় স্থান আপনাকে সূর্যের প্রখর তাপ থেকে রক্ষা করতে পারে, তেমনই যিহোবা সেই ব্যক্তিদের রক্ষা করতে পারেন, যারা দুর্দশার তাপের মধ্যে দিয়ে তাঁকে সেবা করে, তিনি তাদেরকে তাঁর ‘হস্ত’ বা তাঁর “পক্ষের” নীচে ছায়াতুল্য সুরক্ষা জোগান।—যিশাইয় ৫১:১৬; গীতসংহিতা ১৭:৮; ৩৬:৭.
যে-শব্দচিত্রগুলো যিশু সম্বন্ধে বর্ণনা করে
বাইবেল বার বার যিশুকে “ঈশ্বরের পুত্ত্র” হিসেবে উল্লেখ করে। (যোহন ১:৩৪; ৩:১৬-১৮) কিছু ন-খ্রিস্টান ব্যক্তির কাছে এই বিষয়টা বোঝা দুষ্কর, কারণ ঈশ্বরের আক্ষরিক কোনো স্ত্রী নেই এবং তাঁর মধ্যে মানব স্বভাবও নেই। স্পষ্টতই, একজন মানুষ যেভাবে পুত্রের জন্ম দেন, ঈশ্বর সেভাবে পুত্রের জন্ম দেন না। তাই, এই অভিব্যক্তিটি হচ্ছে এক শব্দচিত্র। এটা পাঠককে এই বিষয়টা বুঝতে সাহায্য করার জন্য তৈরি যে, ঈশ্বরের সঙ্গে যিশুর সম্পর্ক হচ্ছে একজন মানব পুত্রের সঙ্গে তার পিতার সম্পর্কের মতোই। এ ছাড়া, এই শব্দচিত্র এই বিষয়ের ওপরও জোর দেয় যে, যিশু যিহোবার কাছ থেকে তাঁর জীবন লাভ করেছিলেন, তাঁর দ্বারা সৃষ্ট হয়েছিলেন। অনুরূপভাবে, প্রথম মানুষ আদমকেও বলা হয়েছে: “ঈশ্বরের পুত্ত্র।”—লূক ৩:৩৮.
ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে তিনি যে-বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেন, তা বর্ণনা করার জন্য যিশু বিভিন্ন শব্দচিত্র ব্যবহার করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি বলেছিলেন: “আমি প্রকৃত দ্রাক্ষালতা, এবং আমার পিতা কৃষক।” এরপর যিশু তাঁর শিষ্যদেরকে দ্রাক্ষালতার শাখার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। (যোহন ১৫:১, ৪) এই শব্দচিত্রটি কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শিক্ষা দেয়? জীবিত ও ফলবান থাকার জন্য একটা আক্ষরিক দ্রাক্ষালতার শাখাগুলোকে এর কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। অনুরূপভাবে, খ্রিস্টের শিষ্যদেরও তাঁর সঙ্গে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। “আমা ভিন্ন তোমরা কিছুই করিতে পার না,” যিশু বলেছিলেন। (যোহন ১৫:৫) আর ঠিক যেমন একজন কৃষক আশা করেন যে, একটা দ্রাক্ষালতা ফল উৎপাদন করবে, তেমনই যিহোবা আশা করেন যে, যারা খ্রিস্টের সঙ্গে একতাবদ্ধ থাকে, তারা আধ্যাত্মিক ফল উৎপন্ন করবে।—যোহন ১৫:৮.
সাদৃশ্য সম্বন্ধে নিশ্চিত হোন
একটা শব্দচিত্র পড়ে সাদৃশ্য বুঝতে না পারলে আমাদের হয়তো ভুল ধারণা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রোমীয় ১২:২০ পদে প্রাপ্ত কথাগুলো বিবেচনা করুন: “তোমার শত্রু যদি ক্ষুধিত হয়, তাহাকে ভোজন করাও; যদি সে পিপাসিত হয়, তাহাকে পান করাও; কেননা তাহা করিলে তুমি তাহার মস্তকে জ্বলন্ত অঙ্গারের রাশি করিয়া রাখিবে।” একজন ব্যক্তির মাথায় জ্বলন্ত অঙ্গার বা কয়লা রাশি করে রাখা কি প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়? না দেয় না, যখন আমরা সাদৃশ্যটা বুঝতে পারি, তখন এইরকমটা বোঝায় না। এই শব্দচিত্রটি আকরিক গলিয়ে ধাতু নিষ্কাশনের প্রাচীন পদ্ধতি থেকে নেওয়া হয়েছে। অঙ্গার বা কয়লার রাশির ওপর আকরিক উত্তপ্ত করা হতো এবং কিছু কয়লা আকরিকের ওপরেও রাশি করে রাখা হতো। এই প্রক্রিয়া আকরিককে গলিয়ে ফেলত এবং যেকোনো ভেজাল দ্রব্য থেকে পরিষ্কৃত ধাতুকে পৃথক করে ফেলত। একইভাবে, সদয়ভাব অনুশীলন করা ব্যক্তির মনোভাবকে নরম করবে ও তার মধ্যে যে-ভালো গুণ রয়েছে, তা প্রকাশ করে দেবে।
শব্দচিত্রগুলোর সঠিক বোধগম্যতা কেবলমাত্র আমাদের মনকেই আলোকিত করে না কিন্তু সেইসঙ্গে আমাদের হৃদয়কেও স্পর্শ করে। পাপকে যখন ‘ঋণের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়, তখন আমরা পাপ যে কতটা ভারী বোঝার মতো, তা অনুভব করতে পারি। (মথি ৬:১২, পাদটীকা; লূক ১১:৪) কিন্তু, যিহোবা যখন আমাদের ক্ষমা করেন ও সেই ঋণকে বাতিল করে দেন, যা বাতিল না করলে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে, তখন আমরা কত স্বস্তিই না বোধ করি! আমাদেরকে যখন বলা হয় যে, তিনি আমাদের পাপগুলো ‘আচ্ছাদন করেন’ ও ‘মুছিয়া ফেলেন’—স্লেটকে মুছে পরিষ্কার করার মতো—তখন আমরা পুনরায় এই আশ্বাস পাই যে, তিনি ভবিষ্যতে কখনো আমাদের বিরুদ্ধে এই পাপগুলোকে ধরে রাখবেন না। (গীতসংহিতা ৩২:১, ২; প্রেরিত ৩:১৯) আর এটা জানা কতই না সান্ত্বনাদায়ক যে, যিহোবা আমাদের সেই পাপগুলোকে দূর করে দিতে পারেন, যেগুলো সিঁদুর বা লাক্ষার মতো টকটকে লাল আর সেগুলোকে তিনি হিমের মতো সাদা করে ফেলতে পারেন!—যিশাইয় ১:১৮.
এগুলো হচ্ছে ঈশ্বরের বাক্য, বাইবেলে ব্যবহৃত শত শত শব্দচিত্রের মধ্যে মাত্র কয়েকটা। তাই, যখন আপনি বাইবেল পড়বেন, তখন শব্দচিত্রগুলোতে বিশেষ মনোযোগ দিন। সাদৃশ্যগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত হতে সময় করে নিন এবং সেগুলো নিয়ে ধ্যান করুন। তা করা আপনার বোধগম্যতাকে এবং শাস্ত্রের প্রতি আপনার উপলব্ধিবোধকে বৃদ্ধি করবে। (w০৯ ৫/১)
[পাদটীকাগুলো]
^ এই প্রবন্ধে ব্যবহৃত “শব্দচিত্র” অভিব্যক্তিটি সাধারণ অর্থে সব বাক্যালঙ্কারকে—রূপকালঙ্কার, উপমা বা সাহিত্য সংক্রান্ত অন্যান্য হাতিয়ারকে—বোঝায়, যেগুলোর সঙ্গে প্রতীকী ভাষা জড়িত।
^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত দুই খণ্ডের বাইবেল এনসাইক্লোপিডিয়া শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি (ইংরেজি), কোনো বিষয়ের পটভূমি সম্বন্ধে প্রচুর তথ্য প্রদান করে, যেগুলো অনেক ক্ষেত্রে সাদৃশ্যের বিষয়টা ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।
[১৯ পৃষ্ঠার ক্যাপশন]
শব্দচিত্রগুলো যেভাবে সাহায্য করে
শব্দচিত্রগুলো আমাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। একটা কঠিন বিষয়কে হয়তো সহজে বোধগম্য কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের বেশ কয়েকটা দিককে স্পষ্টতর করার জন্য একাধিক শব্দচিত্র ব্যবহৃত হতে পারে। শব্দচিত্রগুলোর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলোর ওপর জোর দেওয়া যেতে পারে বা সেগুলোকে অধিক আগ্রহজনক করে তোলা যেতে পারে।
[২০ পৃষ্ঠার বাক্স]
বিভিন্ন বিষয় শনাক্ত করুন
শব্দচিত্র: “তোমরা পৃথিবীর লবণ।” (মথি ৫:১৩)
বিষয়: তোমরা (যিশুর শিষ্যরা)
চিত্র: লবণ
এই প্রসঙ্গে সাদৃশ্য: সংরক্ষণকর
শিক্ষা: শিষ্যদের কাছে এমন এক বার্তা ছিল, যা অনেক লোকের জীবন সংরক্ষণ বা রক্ষা করতে পারে
[২১ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
“সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে না।”—গীতসংহিতা ২৩:১