সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

২ ঈশ্বর সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন

২ ঈশ্বর সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন

২ ঈশ্বর সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন

“এটাই অনন্তজীবন যে, তারা তোমার, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বর সম্বন্ধে এবং সেই ব্যক্তি যাঁকে তুমি পাঠিয়েছ অর্থাৎ যিশু খ্রিস্ট সম্বন্ধে জ্ঞান নেয়।”—যোহন ১৭:৩, NW.

 কোন আপত্তি তোলা হয়? কেউ কেউ বলে যে, ঈশ্বর বলে কেউ নেই। অন্যেরা মনে করে যে, ঈশ্বর কোনো ব্যক্তি নন কিন্তু কেবল নৈর্ব্যক্তিক এক শক্তি। আবার যারা বিশ্বাস করে যে তিনি আছেন, তারা তিনি কে এবং তিনি কোন গুণাবলি প্রদর্শন করেন, সেই বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মতবাদগুলো শিক্ষা দেয়।

কীভাবে আপনি সেই আপত্তির উত্তর দিতে পারেন? ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করার একটা উপায় হল, তাঁর সৃষ্ট বিষয়গুলো দেখা। প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “[ঈশ্বরের] অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্য্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে।” (রোমীয় ১:২০) সৃষ্ট বিষয়গুলোকে মনোযোগপূর্বক পর্যবেক্ষণ করার দ্বারা আপনি আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রজ্ঞা ও ক্ষমতা সম্বন্ধে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।—গীতসংহিতা ১০৪:২৪; যিশাইয় ৪০:২৬.

কিন্তু, ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান অর্জন করার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল খুলতে হবে এবং নিজেকে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আপনি কী চিন্তা করবেন, সেই বিষয়ে অন্যদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে দেবেন না। এর পরিবর্তে, বাইবেলের এই উপদেশ মেনে চলুন: “এই যুগের অনুরূপ হইও না, কিন্তু মনের নূতনীকরণ দ্বারা স্বরূপান্তরিত হও; যেন তোমরা পরীক্ষা করিয়া জানিতে পার, ঈশ্বরের ইচ্ছা কি, যাহা উত্তম ও প্রীতিজনক ও সিদ্ধ।” (রোমীয় ১২:২) উদাহরণস্বরূপ, নিম্নলিখিত তথ্যগুলো বিবেচনা করুন, যেগুলো ঈশ্বর সম্বন্ধে বাইবেল প্রকাশ করে।

ঈশ্বরের এক ব্যক্তিগত নাম রয়েছে। ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নাম বাইবেলজুড়ে মূলত হাজার হাজার বার রয়েছে। অনেক অনুবাদের যাত্রাপুস্তক ৬:৩ পদে এই নাম রয়েছে, যেটি বলে: “আমি অব্রাহামকে, ইস্‌হাককে ও যাকোবকে ‘সর্ব্বশক্তিমান্‌ ঈশ্বর’ বলিয়া দর্শন দিতাম, কিন্তু আমার যিহোবা [সদাপ্রভু] নাম লইয়া তাহাদিগকে আমার পরিচয় দিতাম না।”

যিহোবা ঈশ্বরের অনুভূতি রয়েছে, যা মানুষের বিভিন্ন কাজের দ্বারা প্রভাবিত হয়। যিহোবা ইস্রায়েলীয়দের মিশরের দাসত্ব থেকে মুক্ত করার পর, তারা মাঝে মাঝে তাঁর বিজ্ঞ পরামর্শকে অগ্রাহ্য করেছিল। তাদের বিদ্রোহী কাজ তাঁকে “মনঃপীড়া” দিয়েছিল। তাদের কাজগুলো ‘ইস্রায়েলের পবিত্রতমকে অসন্তুষ্ট করিয়াছিল।’—গীতসংহিতা ৭৮:৪০, ৪১.

যিহোবা আলাদা আলাদা ব্যক্তি হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের জন্য চিন্তা করেন। তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় যিশু বলেছিলেন: “দুইটী চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তোমাদের পিতার অনুমতি বিনা তাহাদের একটীও ভূমিতে পড়ে না। কিন্তু তোমাদের মস্তকের কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে। অতএব ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।”—মথি ১০:২৯-৩১.

ঈশ্বর এক জাতি বা সংস্কৃতির চেয়ে অন্যদের অধিক প্রাধান্য দেন না। প্রেরিত পৌল এথেন্সের গ্রিকদের বলেছিলেন যে, ঈশ্বর “এক ব্যক্তি হইতে মনুষ্যদের সকল জাতিকে উৎপন্ন করিয়াছেন।” তিনি এও বলেছিলেন যে, ঈশ্বর “আমাদের কাহারও হইতে দূরে নহেন।” (প্রেরিত ১৭:২৬, ২৭) প্রেরিত পিতর বলেছিলেন: “ঈশ্বর মুখাপেক্ষা [“পক্ষপাতিত্ব,” বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন] করেন না; কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেহ তাঁহাকে ভয় করে ও ধর্ম্মাচরণ করে, সে তাঁহার গ্রাহ্য হয়।”—প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫.

কোন পুরস্কার রয়েছে? কারো কারো “ঈশ্বরের বিষয়ে . . . উদ্যোগ আছে, কিন্তু তাহা জ্ঞানানুযায়ী [“যথার্থ জ্ঞানের আলোয়,” বাংলা জুবিলী বাইবেল] নয়।” (রোমীয় ১০:২) ঈশ্বর সম্বন্ধে বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়, তা যদি আপনি জানেন, তাহলে আপনি ভ্রান্ত হওয়া এড়াতে পারবেন এবং ‘ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী হইতে’ সমর্থ হবেন।—যাকোব ৪:৮. (w০৯ ৫/১)

আরও তথ্যের জন্য, বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? * বইয়ের “ঈশ্বর সম্বন্ধে সত্যটি কী?” শিরোনামের অধ্যায় ১ দেখুন।

[পাদটীকা]

^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করার একটা উপায় হল তাঁর সৃষ্ট বিষয়গুলো দেখা