সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

নিজের সম্বন্ধে যিশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন

নিজের সম্বন্ধে যিশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন

নিজের সম্বন্ধে যিশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন

“এই বিষয়ে যিশুর কোনো সন্দেহ ছিল না যে, তিনি কে ছিলেন, কোথা থেকে এসেছিলেন, কেন জগতে এসেছিলেন আর ভবিষ্যতে তাঁর জন্য কী রয়েছে।”—গ্রন্থকার হার্বার্ট লকার।

যিশুর শিক্ষাকে গ্রহণ করার এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করার আগে তাঁর সম্বন্ধে আমাদের কিছু জানা প্রয়োজন। যিশু আসলে কে ছিলেন? তিনি কোথা থেকে এসেছিলেন? তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য কী ছিল? সুসমাচারগুলোতে—মথি, মার্ক, লূক এবং যোহনে—আমরা যেন যিশুর নিজের মুখ থেকেই উত্তরগুলো শুনতে পাই।

পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার পূর্বে তিনি জীবিত ছিলেন যিশু একবার বলেছিলেন: “অব্রাহামের জন্মের পূর্ব্বাবধি আমি আছি।” (যোহন ৮:৫৮) অব্রাহাম যিশুর জন্মের প্রায় ২,০০০ বছর আগে জীবিত ছিলেন। কিন্তু, এমনকী এই বিশ্বস্ত কুলপতি পৃথিবীতে থাকারও পূর্বে যিশু জীবিত ছিলেন। তাহলে যিশু কোথায় জীবিত ছিলেন? ‘আমি স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিয়াছি,’ তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন।—যোহন ৬:৩৮.

ঈশ্বরের পুত্র যিহোবার অনেক দূত পুত্র রয়েছে। কিন্তু যিশু হলেন অদ্বিতীয়। তিনি নিজেকে ‘ঈশ্বরের একজাত পুত্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। (যোহন ৩:১৮) এই অভিব্যক্তিটির অর্থ হল যে, একমাত্র যিশুই ঈশ্বরের সরাসরি সৃষ্টি। এই একজাত পুত্রের মাধ্যমেই ঈশ্বর অন্য সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছিলেন।—কলসীয় ১:১৬.

‘মনুষ্যপুত্ত্র’ নিজেকে উল্লেখ করার জন্য যিশু অন্য যেকোনো অভিব্যক্তির চেয়ে এটিকে বেশি ব্যবহার করেছেন। (মথি ৮:২০) এভাবে তিনি দেখিয়েছিলেন যে, তিনি মানুষের রূপধারী কোনো দূত কিংবা যিশুরূপী ঈশ্বর ছিলেন না। পরিবর্তে, তিনি পুরোপুরি মানুষ ছিলেন। ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে স্বর্গ থেকে তাঁর পুত্রের জীবন পৃথিবীতে স্থানান্তরিত করে কুমারী মরিয়মের গর্ভসঞ্চার করেছিলেন। ফল স্বরূপ, যিশু একজন সিদ্ধ, নিষ্পাপ মানুষ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।—মথি ১:১৮; লূক ১:৩৫; যোহন ৮:৪৬.

প্রতিজ্ঞাত মশীহ “আমি জানি, মশীহ আসিতেছেন,” একজন শমরীয় নারী যিশুকে একথা বলেছিলেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন: “তোমার সহিত কথা কহিতেছি যে আমি, আমিই তিনি।” (যোহন ৪:২৫, ২৬) “খ্রীষ্ট” শব্দটির মতো “মশীহ” শব্দটিরও অর্থ “অভিষিক্ত ব্যক্তি।” ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলো পূর্ণ করার ক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করার জন্য যিশু ঈশ্বরের দ্বারা অভিষিক্ত বা নিযুক্ত হয়েছিলেন।

তাঁর প্রধান কাজ যিশু একবার বলেছিলেন: “আমাকে ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিতে হইবে; কেননা সেই জন্যই আমি প্রেরিত হইয়াছি।” (লূক ৪:৪৩) প্রয়োজন রয়েছে এমন লোকেদের জন্য যদিও তিনি অনেক ভালো কাজ করেছিলেন, তবুও ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে প্রচার করা তাঁর জীবনের প্রধান বিষয় ছিল। সেই রাজ্য সম্বন্ধে তিনি যা শিক্ষা দিয়েছিলেন, পরে তা আলোচনা করা হবে।

স্পষ্টতই, যিশু কোনো সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন না। * আমরা যেমন দেখব যে, তাঁর স্বর্গীয় জীবন, পৃথিবীতে থাকাকালীন তিনি যে-কথাগুলো বলেছিলেন সেগুলোকে আরও অর্থপূর্ণ করে তুলেছিল। তাই, এতে কি অবাক হওয়ার কিছু রয়েছে যে, তাঁর প্রচারিত বার্তা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ লোকের জীবনকে প্রভাবিত করবে? (w১০-E  ০৪/০১)

[পাদটীকা]

^ যিশু এবং ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে তাঁর ভূমিকা সম্বন্ধে আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৪ অধ্যায় দেখুন।