সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বর কী করছেন?

ঈশ্বর কী করছেন?

ঈশ্বর কী করছেন?

“হে সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW], কেন দূরে দাঁড়াইয়া থাক? সঙ্কটের সময়ে কেন লুকাইয়া থাক?”—গীতসংহিতা ১০:১.

খবরের শিরোনামগুলোর প্রতি এক ঝলক তাকানো এই বিষয়টা নিশ্চিত করে যে, আমরা “সঙ্কটের সময়ে” বাস করছি। আর যখন দুঃখজনক ঘটনা পরিবারকে আঘাত করে—যখন আমরা অপরাধ, মারাত্মক কোনো দুর্ঘটনা অথবা কোনো প্রিয়জনের মৃত্যুর দ্বারা ব্যক্তিগতভাবে দুঃখার্ত হই—তখন আমরা হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারি, ঈশ্বর কি দেখেন? তিনি কি চিন্তা করেন? তিনি কি আদৌ রয়েছেন?

কিন্তু, আপনি কি এই সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করেছেন যে, ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশাগুলো এক ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে হতে পারে? উদাহরণস্বরূপ: একটা ছোটো বাচ্চার কথা কল্পনা করুন, যে তার বাবা কাজে গিয়েছে বলে মনমরা হয়ে আছে। সেই বাচ্চাটি তার বাবার অভাব বোধ করে এবং চায় তার বাবা বাড়িতে ফিরে আসুক। বাচ্চাটি পরিত্যক্ত বোধ করে। সারাদিন ধরে, সে বার বার-ই জিজ্ঞেস করে, “বাবা কোথায়?”

সেই বাচ্চাটির চিন্তাভাবনায় যে-ত্রুটি রয়েছে, সেটাকে আমরা সহজেই শনাক্ত করতে পারি। কারণ, ঠিক সেই মুহূর্তে তার বাবা সমগ্র পরিবারের প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য কাজ করছেন। আমরা যখন “ঈশ্বর কোথায়” বলে চিৎকার করি, তখন আমাদের চিন্তাভাবনায়ও কি একইভাবে ত্রুটি রয়েছে?

উদাহরণস্বরূপ, কেউ কেউ হয়তো চায় ঈশ্বর যেন একজন শাস্তি প্রদানকারী হন, যাঁর প্রধান কাজ হল কোনো অন্যায় কাজের জন্য অপরাধীকে সত্বর শাস্তি দেওয়া। অন্যেরা ঈশ্বরকে এক স্বর্গীয় স্যান্টা ক্লজের মতো দেখে থাকে, যাঁর ভূমিকা হল বিভিন্ন উপহার যেমন, একটা চাকরি, একজন সাথি প্রদান করা অথবা এমনকী কোনো লটারির টিকিট জেতানো।

এই উভয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা ধরে নেওয়া হয় যে, ঈশ্বর যদি তৎক্ষণাৎ ন্যায়বিচার না নিয়ে আসেন অথবা আমরা যা চাই তা অনুমোদন না করেন, তাহলে তিনি নিশ্চয় আমাদের দুঃখকষ্টের ব্যাপারে অনুভূতিহীন এবং আমাদের প্রয়োজনগুলোর বিষয়ে অবগত নন। কিন্তু, এটা একেবারেই সত্য নয়! আসল বিষয়টা হল যে, ঠিক এই মুহূর্তে যিহোবা ঈশ্বর সমগ্র মানব পরিবারের প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য কাজ করছেন, কিন্তু অনেকে যেভাবে চাইছে সেইভাবে নয়।

তাহলে, ঈশ্বর কী করছেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে, আমাদেরকে মানব ইতিহাসের শুরুতে ফিরে দেখতে হবে যখন ঈশ্বরের সঙ্গে মানবজাতির সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল—কিন্তু তা পুরোপুরিভাবে নয়।

পাপের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো

এমন একটা বাড়ির কথা চিন্তা করুন যেটা অনেক বছর ধরে ভগ্নাবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছাদ ধসে পড়েছে, দরজাগুলো কবজা থেকে খুলে গিয়েছে আর বাইরের দিকটা লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। এক সময়, এই বাড়িটা ভালো অবস্থায় ছিল—কিন্তু এখন আর নেই। যতটা মাত্রায় ক্ষতি হয়েছে, সেটার বিষয় বিবেচনা করলে পুনর্স্থাপন সামান্য কাজ নয়; এটা রাতারাতি ঘটবে না।

এখন সেই ক্ষতির কথা বিবেচনা করুন যা প্রায় ৬,০০০ বছর আগে মানবজাতির প্রতি ঘটেছিল যখন এক অদৃশ্য আত্মা শয়তান, আদম ও হবাকে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে প্ররোচিত করেছিল। সেই ঘটনার আগে, প্রথম মানব দম্পতি তাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের সঙ্গে চিরকাল বেঁচে থাকার প্রত্যাশাসহ নিখুঁত স্বাস্থ্য উপভোগ করেছিল। (আদিপুস্তক ১:২৮) কিন্তু তারা যখন পাপ করেছিল, তখন আদম ও হবা যেন সেই মানব পরিবারকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল যা তখনও জন্মায়নি।

সেই বিদ্রোহের ক্ষতিকর প্রভাবগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। বাইবেল বলে: “এক মনুষ্য [আদম] দ্বারা পাপ, ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল।” (রোমীয় ৫:১২) মৃত্যু নিয়ে আসা ছাড়াও, পাপ আমাদের সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে নষ্ট করে দিয়েছে এবং শারীরিক, মানসিক এবং আবেগগতভাবে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ফল স্বরূপ, আমাদের অবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়া সেই বাড়ির মতোই। ধার্মিক ব্যক্তি ইয়োব বাস্তবসম্মতভাবেই আমাদের অবস্থার সারাংশ করেছিলেন যখন তিনি মানুষকে “ক্ষণস্থায়ী এবং সমস্যায় পূর্ণ” বলে বর্ণনা করেছিলেন।—ইয়োব ১৪:১, বাংলা ইজি-টু-রিড ভারসন।

কিন্তু আদম ও হবা পাপ করার পর ঈশ্বর কি মানবজাতিকে পরিত্যাগ করেছিলেন? একেবারেই নয়! বস্তুতপক্ষে, সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত, আমাদের স্বর্গীয় পিতা মানব পরিবারের জন্য কাজ করে চলেছেন। তিনি আমাদের জন্য যা করছেন সেটা আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য, তিনটে পদক্ষেপের বিষয় বিবেচনা করুন যেগুলো একটা বাড়ি পুনর্স্থাপনের জন্য প্রয়োজন আর এও বিবেচনা করুন যে, কীভাবে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ ঈশ্বর মানবজাতিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য যা করেছেন সেটার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

১ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িটা পরীক্ষা করার পর, মালিককে স্থির করতে হবে যে, সেটাকে পুনর্স্থাপন করা হবে না কি ভেঙে ফেলা হবে।

এদনে বিদ্রোহের পর পরই, যিহোবা ঈশ্বর মানবজাতিকে পুনরুদ্ধার করার জন্য তাঁর উদ্দেশ্য ঘোষণা করেছিলেন। তিনি সেই অদৃশ্য আত্মা, যে সেই বিদ্রোহের পিছনে ছিল, তাকে বলেছিলেন: “আমি তোমাতে ও নারীতে, এবং তোমার বংশে ও তাহার বংশে পরস্পর শত্রুতা জন্মাইব; সে তোমার মস্তক চূর্ণ করিবে, এবং তুমি তাহার পাদমূল চূর্ণ করিবে।”—আদিপুস্তক ৩:১৫.

এই কথাগুলোর দ্বারা, যিহোবা এদনে সেই বিদ্রোহের প্ররোচককে ধ্বংস করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। (রোমীয় ১৬:২০; প্রকাশিত বাক্য ১২:৯) অধিকন্তু, যিহোবা ভাববাণী করেছিলেন যে, এক ভাবী ‘বংশ’ মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্ত করবে। * (১ যোহন ৩:৮) এভাবে যিহোবা প্রকাশ্যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তিনি কী করবেন: ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টিকে ধ্বংস নয় বরং পুনর্স্থাপন করতে চলেছেন। কিন্তু মানবজাতির পুনর্স্থাপনের জন্য সময়ের দরকার।

২ একজন স্থপতি এমন নকশাগুলো তৈরি করেন যেগুলো স্পষ্টভাবে দেখায় যে, পুনর্স্থাপনের কাজ কী সম্পাদন করবে।

যিহোবা ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দেরকে আইনবিধি এবং যে-মন্দিরে তাদেরকে তাঁর সেবা করতে হতো সেই মন্দিরের নকশা প্রদান করেছিলেন। বাইবেল বলে: “এ সকল ত আগামী বিষয়ের ছায়ামাত্র।” (কলসীয় ২:১৭) নকশাগুলোর মতো, সেগুলো আরও মহত্তর কিছুকে প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

উদাহরণস্বরূপ, ইস্রায়েলীয়রা পাপের ক্ষমা লাভের জন্য পশুবলি উৎসর্গ করত। (লেবীয় পুস্তক ১৭:১১) সেই প্রথা আরও মহত্তর এক বলির পূর্বাভাস দিয়েছিল যেটা অনেক শতাব্দী পর উৎসর্গ করা হবে—এমন এক বলি যেটা মানবজাতির জন্য সত্যিকারের মুক্তি জোগাবে। * ইস্রায়েলীয়রা যে-আবাস ও মন্দিরে উপাসনা করত সেটার কাঠামো, ভাবী মশীহ তাঁর বলিদানমূলক মৃত্যু থেকে তাঁর স্বর্গারোহণ পর্যন্ত সময়ে যে-পদক্ষেপগুলো নেবেন, সেগুলোর পূর্বাভাস দিয়েছিল।—৭ পৃষ্ঠায় দেওয়া চার্টটা দেখুন।

৩ এমন একজন নির্মাতাকে বেছে নেওয়া হয় যিনি নকশাকে অনুসরণ করে পুনর্স্থাপনের কাজ সম্পাদন করবেন।

যিশু ছিলেন সেই প্রতিজ্ঞাত মশীহ যিনি ইস্রায়েলীয়দের বলিদানের দ্বারা স্থাপিত আদর্শ মেনে চলবেন এবং মানবজাতিকে মুক্ত করার জন্য তাঁর নিজের জীবন দান করবেন। বাস্তবিকই, যোহন বাপ্তাইজক যিশুকে “ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান” বলে সম্বোধন করেছিলেন। (যোহন ১:২৯) যিশু স্বেচ্ছায় সেই কার্যভার গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “আমার ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য আমি স্বর্গ হইতে নামিয়া আসি নাই; কিন্তু যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহারই ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য।”—যোহন ৬:৩৮.

যিশুর জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা, যিশু যে ‘অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিবেন’ কেবল সেটাকেই নয় কিন্তু তিনি যে অন্যদেরকে তাঁর অনুসারী হওয়ার এবং এক রাজ্যে তাঁর সঙ্গে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানাবেন, সেটাকেও অন্তর্ভুক্ত করেছিল। (মথি ২০:২৮; লূক ২২:২৯, ৩০) এই রাজ্য হল সেই মাধ্যম যেটার দ্বারা ঈশ্বর মানবজাতির জন্য তাঁর উদ্দেশ্য সম্পাদন করবেন। ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধীয় বার্তাকে “সুসমাচার” বলা হয় কারণ এটা ব্যাখ্যা করে যে, পৃথিবীর বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ঈশ্বর স্বর্গে এক সরকার স্থাপন করেছেন!—মথি ২৪:১৪; দানিয়েল ২:৪৪. *

পুনর্স্থাপনের কাজ চলতে থাকে

যিশু তাঁর স্বর্গারোহণের আগে তাঁর অনুসারীদের আদেশ দিয়েছিলেন: “তোমরা . . . সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; . . . আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।”—মথি ২৮:১৯, ২০.

তাই যিশুর মৃত্যুর সঙ্গেসঙ্গে মানবজাতির পুনর্স্থাপনের কাজ শেষ হয়ে যাবে না। এটা “যুগান্ত পর্য্যন্ত” অর্থাৎ সেই সময় পর্যন্ত চলতে থাকবে যখন ঈশ্বরের রাজ্য আমাদের পৃথিবীর ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করবে। সেই সময় এখন খুব নিকটে। আমরা এটা জানি কারণ ‘যুগান্ত’ বা বিধিব্যবস্থার শেষ সম্বন্ধে যিশু যা ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন, তা এখন পরিপূর্ণ হচ্ছে। *মথি ২৪:৩-১৪; লূক ২১:৭-১১; ২ তীমথিয় ৩:১-৫.

আজকে, যিহোবার সাক্ষিরা দ্বীপ ও দেশ মিলিয়ে ২৩৬টা জায়গায় ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার বিষয়ে যিশুর আদেশ মেনে চলে। বস্তুতপক্ষে, যে-পত্রিকাটি আপনি পড়ছেন সেটি এই রাজ্য ও এটা যা সম্পাদন করবে, সেই সম্বন্ধে আরও জানতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রহরীদুর্গ পত্রিকার প্রতিটা সংখ্যার ২ পৃষ্ঠায় আপনি এই মন্তব্য পাবেন: “এই পত্রিকাটি . . . লোকেদেরকে এই সুসমাচারের মাধ্যমে সান্ত্বনা দেয় যে, ঈশ্বরের রাজ্য যেটা স্বর্গে এক বাস্তব সরকার, শীঘ্র সমস্ত দুষ্টতার শেষ নিয়ে আসবে এবং পৃথিবীকে এক পরমদেশে পরিণত করবে। এটি যিশু খ্রিস্টের ওপর বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে, যিনি মারা গিয়েছিলেন যাতে আমরা অনন্তজীবন লাভ করি এবং যিনি এখন ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হিসেবে শাসন করছেন।”

এটা ঠিক যে, তবুও আপনি হয়তো এখনই সন্ত্রাসী হামলা অথবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোর বিষয়ে শুনতে পান কিংবা আপনি হয়তো ব্যক্তিগতভাবে কোনো দুঃখজনক ঘটনা ভোগ করছেন। কিন্তু বাইবেল অধ্যয়ন আপনাকে প্রত্যয়ী করবে যে, ঈশ্বর মানবজাতিকে পরিত্যাগ করেননি। এর বিপরীতে, “তিনি আমাদের কাহারও হইতে দূরে নহেন।” (প্রেরিত ১৭:২৭) আর আমাদের আদি পিতামাতা যা হারিয়েছিল সেটাকে পুনর্স্থাপন করা সম্বন্ধীয় তাঁর প্রতিজ্ঞা সফল হবেই।যিশাইয় ৫৫:১১. (w১০-E ০৫/০১)

[পাদটীকাগুলো]

^ আদিপুস্তক ৩:১৫ পদ সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত যিহোবার নিকটবর্তী হোন বইয়ের ১৯ অধ্যায়টি দেখুন।

^ আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৫ অধ্যায়টি দেখুন।

^ ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে আরও তথ্যের জন্য বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৮ অধ্যায়টি দেখুন।

^ আরও তথ্যের জন্য বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ৯ অধ্যায়টি দেখুন।

[৭ পৃষ্ঠার তালিকা/চিত্রগুলো]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

“প্রকৃত বিষয়গুলির প্রতিরূপমাত্র” আবাস যা চিত্রিত করেছিল

যজ্ঞবেদি

যিশুর বলিদান গ্রহণ করার বিষয়ে ঈশ্বরের ইচ্ছুক মনোভাব।—ইব্রীয় ১৩:১০-১২.

মহাযাজক

যিশু।—ইব্রীয় ৯:১১.

প্রায়শ্চিত্তের দিনে, মহাযাজক লোকেদের পাপের জন্য বলি উৎসর্গ করতেন।—লেবীয় পুস্তক ১৬:১৫, ২৯-৩১.

সাধারণ কাল ৩৩ সালের ১৪ নিশান, যিশু আমাদের জন্য তাঁর জীবন বলি দিয়েছিলেন।—ইব্রীয় ১০:৫-১০; ১ যোহন ২:১, ২.

পবিত্র

আত্মায় জাত পুত্র হিসেবে যিশুর অবস্থা।—মথি ৩:১৬, ১৭; রোমীয় ৮:১৪-১৭; ইব্রীয় ৫:৪-৬.

তিরস্করিণী

প্রতিবন্ধকরূপ যিশুর মাংসিক দেহ, যেটা স্বর্গীয় জীবন থেকে পার্থিব জীবনকে পৃথক করেছিল।—১ করিন্থীয় ১৫:৪৪, ৫০; ইব্রীয় ৬:১৯, ২০; ১০:১৯, ২০.

মহাযাজক তিরস্করিণীর অপর দিকে যেতেন যেটা পবিত্র থেকে অতি পবিত্রকে পৃথক করত।

যিশু তাঁর পুনরুত্থানের পর, ‘আমাদের জন্য ঈশ্বরের সাক্ষাতে প্রকাশমান হইবার’ জন্য স্বর্গারোহণের দ্বারা ‘তিরস্করিণীর অপর দিকে গিয়েছিলেন।’—ইব্রীয় ৯:২৪-২৮.

অতি পবিত্র

স্বর্গ।—ইব্রীয় ৯:২৪.

মহাযাজক একবার অতি পবিত্র স্থানের ভিতরে নিয়ম সিন্দুকের সামনে, উৎসর্গীকৃত বলির রক্তের কিছুটা ছিটিয়ে দিতেন।—লেবীয় পুস্তক ১৬:১২-১৪.

তাঁর পাতিত রক্তের মূল্য উপস্থাপন করার দ্বারা যিশু আমাদের পাপের জন্য প্রকৃত প্রায়শ্চিত্ত প্রদান করেছিলেন।—ইব্রীয় ৯:১২, ২৪; ১ পিতর ৩:২১, ২২.