সন্তুষ্ট থাকা কি সম্ভব?
সন্তুষ্ট থাকা কি সম্ভব?
“সন্তুষ্ট থাকা দরিদ্রকে ধনী করে; অসন্তুষ্ট থাকা ধনীকে দরিদ্র করে।” —বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।
এই প্রবাদের সঙ্গে মিল রেখে অনেকেই শিখেছে যে, সন্তুষ্ট থাকাকে পণ্যসামগ্রীর মতো কেনা যায় না। তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, এমন এক জগতে যেখানে আরও সম্পদ, বড়ো বড়ো সাফল্য অথবা অন্যেরা যে-জীবন উপভোগ করে তা লাভ করার এক আকাঙ্ক্ষাকে জাগিয়ে তোলে, সেখানে সন্তুষ্ট থাকা—পরিতৃপ্তির অন্তরস্থ এক অনুভূতি—কঠিন বলেই মনে হয়! আপনি কি নীচের এই বিষয়গুলোর কোনোটার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন?
• বিজ্ঞাপনদাতারা আপনাকে এই বার্তার দ্বারা জর্জরিত করে যে, অনেক জিনিস কেনার দ্বারাই সন্তুষ্টি লাভ করা যেতে পারে।
• কর্মস্থলে অথবা স্কুলে প্রতিযোগিতার মনোভাব আপনাকে অন্যেরা যা করতে সমর্থ, সেটার সঙ্গে আপনার যোগ্যতাকে পরিমাপ করতে প্ররোচিত করে।
• লোকেদের জন্য আপনি যা করেন, সেটার প্রতি তাদের উপলব্ধির অভাব রয়েছে।
• বন্ধুরা তাদের যা আছে, সেটার দ্বারা আপনাকে ঈর্ষান্বিত করে।
• জীবন সম্বন্ধে আপনার মৌলিক প্রশ্নগুলোর উত্তর অজানা থেকে গিয়েছে।
এই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মুখোমুখি হলে সন্তুষ্ট থাকা কি প্রকৃতপক্ষে সম্ভব? প্রেরিত পৌল “সন্তুষ্ট থাকার রহস্য” সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন। কখনো কখনো তিনি প্রাচুর্যপূর্ণ জীবন যাপন করেছিলেন আর অন্য সময় তিনি অভাবে জীবন কাটিয়েছিলেন। তার বন্ধুরা তার প্রশংসা করেছিল কিন্তু অন্যেরা তাকে উপহাস করেছিল। তা সত্ত্বেও, তিনি বলেছিলেন যে, তিনি ‘যেকোনো পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছিলেন।’—বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের; ফিলিপীয় ৪:১১, ১২, নিউ ইন্টারন্যাশনাল ভারসন।
যারা এটা লাভ করার জন্য কখনো পদক্ষেপগুলো নেয়নি, তাদের কাছে সন্তুষ্ট থাকা হল একটা রহস্য কিন্তু পৌল যেমন বলেছিলেন, এটাকে শেখা যেতে পারে। আমরা আপনাকে এখন সন্তুষ্ট থাকার সেই পাঁচটা রহস্যকে বিবেচনা করার আমন্ত্রণ জানাই, যেগুলো ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলে পাওয়া যায়। (w১০-E ১১/০১)