সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?

ঈশ্বরের বাক্য থেকে শিখুন

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?

এই প্রবন্ধ আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করেছেন এমন প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরে ও আপনার বাইবেলে কোথায় আপনি উত্তরগুলো পেতে পারেন তা দেখায়। যিহোবার সাক্ষিরা আপনার সঙ্গে এই উত্তরগুলো আলোচনা করতে পেরে খুশি হবে।

১. পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী?

পৃথিবী হল মানুষের গৃহ। স্বর্গে বসবাস করার জন্য স্বর্গদূতেদের সৃষ্টি করার পর, পৃথিবী উপভোগ করার জন্য ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন। (ইয়োব ৩৮:৪, ৭) এভাবে, যিহোবা এক মনোরম পরমদেশ, যেটাকে এদন বলা হতো, সেখানে প্রথম মানুষকে রেখেছিলেন আর তাকে ও তার ভাবী বংশধরদেরকে পৃথিবীতে অন্তহীন এক জীবন উপভোগ করার আশা প্রদান করেছিলেন।—আদিপুস্তক ২:১৫-১৭; পড়ুন, গীতসংহিতা ১১৫:১৬.

পৃথিবীর কেবল ছোট্ট একটা অংশ জুড়ে এদন উদ্যান বিস্তৃত ছিল। প্রথম মানব দম্পতি আদম ও হবার সন্তান জন্ম দেওয়ার ছিল। মানব পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, তাদেরকে পৃথিবীকে প্রস্তুত করার ও এটাকে এক পরমদেশে পরিণত করার ছিল। (আদিপুস্তক ১:২৮) পৃথিবী কখনো ধ্বংস হবে না।—পড়ুন, গীতসংহিতা ১০৪:৫.

২. কেন পৃথিবী এখন একটা পরমদেশ নয়?

আদম ও হবা ঈশ্বরের অবাধ্য হয়েছিল, তাই তাদেরকে এদন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরমদেশ হারিয়ে গিয়েছিল আর কোনো মানুষই সেটাকে পুনরুদ্ধার করার ব্যাপারে সফল হয়নি। বাইবেল বলে: “পৃথিবী দুর্জ্জনের হস্তে সমর্পিত হইয়াছে।”—ইয়োব ৯:২৪; পড়ুন, আদিপুস্তক ৩:২৩, ২৪.

কিন্তু মানবজাতির জন্য তাঁর আদি উদ্দেশ্যকে যিহোবা ভুলে যাননি কিংবা ঈশ্বর কখনো ব্যর্থ হতে পারেন না। (যিশাইয় ৪৫:১৮) তাঁর উদ্দেশ্য অনুযায়ী তিনি মানবজাতিকে পুনরুদ্ধার করবেন।—পড়ুন, গীতসংহিতা ৩৭:১১.

৩. কীভাবে ঈশ্বর পৃথিবীতে শান্তি পুনর্স্থাপিত করবেন?

মানবজাতি যাতে শান্তি উপভোগ করে, তার জন্য ঈশ্বরকে অবশ্যই প্রথমে দুষ্ট লোকদেরকে নির্মূল করতে হবে। আরমাগিদনের যুদ্ধে ঈশ্বরের স্বর্গদূতেরা, যারা ঈশ্বরের বিরোধিতা করে তাদের সকলকে ধ্বংস করবে। শয়তানকে ১,০০০ বছরের জন্য কারাবদ্ধ করা হবে কিন্তু যে-লোকেরা ঈশ্বরকে ভালোবাসে, তারা পৃথিবীতে এক নতুন বিধিব্যবস্থা উপভোগ করার জন্য রক্ষা পাবে।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬; ২০:১-৩; ২১:৩, ৪.

৪. কখন দুঃখকষ্ট শেষ হবে?

১,০০০ বছরের সময়কালে, যিশু স্বর্গ থেকে পৃথিবীর ওপর শাসন করবেন ও এটাকে এক পরমদেশে পুনর্স্থাপিত করবেন। এ ছাড়া, যারা ঈশ্বরকে ভালোবাসে তাদের পাপ সকলও তিনি মুছে ফেলবেন। এভাবে যিশু অসুস্থতা, বার্ধক্য ও মৃত্যুকে দূর করবেন।—পড়ুন, যিশাইয় ১১:৯; ২৫:৮; ৩৩:২৪; ৩৫:১.

কখন ঈশ্বর পৃথিবী থেকে মন্দতাকে শেষ করবেন? শেষ কখন নিকটবর্তী হবে, তা ইঙ্গিত করার জন্য যিশু একটা “চিহ্ন” প্রদান করেছিলেন। জগতের বর্তমান পরিস্থিতিগুলো মানুষের টিকে থাকাকে হুমকির মুখে ফেলে ও দেখায় যে, আমরা ‘যুগান্তে’ বা বিধিব্যবস্থার শেষে বাস করছি।—পড়ুন, মথি ২৪:৩, ৭-১৪, ২১, ২২; ২ তীমথিয় ৩:১-৫.

৫. কারা ভবিষ্যৎ পরমদেশে বসবাস করবে?

যিশু তাঁর অনুসারীদেরকে শিষ্য তৈরি করার ও তাদেরকে ঈশ্বরের প্রেমের পথ সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। (মথি ২৮:১৯, ২০) যিহোবা পৃথিবীব্যাপী লক্ষ লক্ষ লোককে, পৃথিবীতে এক নতুন বিধিব্যবস্থায় জীবনের জন্য প্রস্তুত করছেন। (সফনিয় ২:৩) যিহোবার সাক্ষিদের কিংডম হলগুলোতে, লোকেরা কীভাবে আরও ভালো স্বামী ও বাবা আর কীভাবে আরও ভালো স্ত্রী ও মা হওয়া যায়, সেই বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে। সন্তান ও বাবা-মারা একত্রে আরও ভালো এক ভবিষ্যতের ওপর বিশ্বাস করার ভিত্তি সম্বন্ধে শিক্ষা লাভ করে।—পড়ুন, মীখা ৪:১-৪.

কিংডম হলে, আপনার সেই লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যারা ঈশ্বরকে ভালোবাসে ও যারা কীভাবে তাঁকে সন্তুষ্ট করতে হয়, সেই সম্বন্ধে শিখতে চায়।—পড়ুন, ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫. (w১১-E ০৪/০১)

আরও তথ্যের জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? এই বইয়ের ৩ অধ্যায় দেখুন।