প্রেতচর্চার মধ্যে দোষের কী রয়েছে?
প্রেতচর্চার মধ্যে দোষের কী রয়েছে?
ছোটোবেলা থেকে বারবারা * প্রায়ই স্বপ্ন পেতেন, কণ্ঠস্বর শুনতে পেতেন আর তাই তিনি এই বিষয়ে দৃঢ়নিশ্চিত ছিলেন যে, মৃত আত্মীয়দের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তিনি ও তার স্বামী ইয়োয়াখিম জাদুবিদ্যা সম্বন্ধীয় বইপত্র পড়তেন এবং টেরোট কার্ড পড়ায় দক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। * এগুলো ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, তারা অনেক অর্থ উপার্জন করবে আর তারা ব্যবসায় সত্যিই অনেক অর্থ উপার্জন করেছিল। একদিন, তারা তাদের কার্ড থেকে বুঝতে পেরেছিল যে, কিছু বিপদজনক লোক তাদের বাড়িতে আসবে আর কীভাবে তারা নিজেদের পক্ষসমর্থন করবে, সেই কার্ড সেটাও তাদের বলেছিল।
জাদুবিদ্যায় বিশ্বাস করা যদিও সেকেলে বলে মনে হতে পারে, কিন্তু অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ে আগ্রহ ব্যাপকভাবে প্রচলিত। পৃথিবীব্যাপী লোকেরা তাদের ভবিষ্যৎ বলার অথবা মন্দ আত্মাদের থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য তাবিজ পরে, ওয়াইজা বোর্ড ব্যবহার করে এবং ভূতুড়িয়াদের কাছে যায়। “ল্যাপটপ ও লুসিফার” শিরোনামের একটা প্রবন্ধে জার্মান পত্রিকা ফোকাস এই মন্তব্য করেছিল: “ডাকিনীবিদ্যা সম্বন্ধীয় যেকোনো বিষয়ে ইন্টারনেট আরও বেশি আগ্রহ ও কৌতূহল জাগিয়ে তুলছে।”
আপনি কি জানেন যে, বাইবেল প্রেতচর্চা সম্বন্ধে বলে? এই বিষয়ে এটি যা বলে, তা হয়তো আপনাকে অবাক করতে পারে।
প্রেতচর্চা সম্বন্ধে বাইবেল যা বলে
প্রাচীন ইস্রায়েলে তাঁর লোকেদের উদ্দেশে দেওয়া ঈশ্বরের আইন বলেছিল: “তোমার মধ্যে যেন এমন কোন লোক পাওয়া না যায়, . . . যে মন্ত্র ব্যবহার করে, বা গণক, বা মোহক, বা মায়াবী, বা ঐন্দ্রজালিক, বা ভূতড়িয়া, বা গুণী বা প্রেতসাধক। কেননা সদাপ্রভু এই সকল কার্য্যকারীকে ঘৃণা করেন।” (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১০-১২) প্রেতচর্চা করার বিরুদ্ধে অবস্থান কেন এতটা কঠোর ছিল?
আমাদের শুরুর অভিজ্ঞতা যেমন দেখায়, অনেকে বিশ্বাস করে যে, জীবিতরা মৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে এবং জাদুবিদ্যা থেকে যে-তথ্য পাওয়া যায়, সেটার উৎস হল মৃত ব্যক্তিরা। অনেক ধর্মে যা শেখানো হয়—মৃত্যুর পর মানুষ আত্মিক রাজ্যে জীবিত থাকে—তা থেকে এই ধরনের বিশ্বাসগুলো এসেছে। কিন্তু এই শিক্ষার বিপরীতে, বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে: “মৃতেরা কিছুই জানে না।” (উপদেশক ৯:৫) মৃতদের সম্বন্ধে বর্ণনা করতে গিয়ে এটি বলে, তারা যেন গভীর ঘুমে রয়েছে এবং তাদের চারপাশে যা ঘটছে, সেই বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। * (মথি ৯:১৮, ২৪; যোহন ১১:১১-১৪) তা-ই যদি হয়, তাহলে আপনি হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারেন যে, অতিপ্রাকৃতিক শক্তি সম্বন্ধে লোকেরা যে-অভিজ্ঞতাগুলো লাভ করে থাকে, সেগুলোকে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করব? আর এই ধরনের যোগাযোগের উৎসই বা কী?
আত্মিক জগতের সঙ্গে যোগাযোগ
সুসমাচারের বিবরণগুলো দেখায় যে, পৃথিবীতে থাকাকালীন যিশু মন্দ আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। মার্ক ১:২৩, ২৪ পদ জানায়, ‘এক অশুচি আত্মা’ যিশুকে বলেছিল: “আমি জানি, আপনি কে।” নিঃসন্দেহে, মন্দ আত্মারা এটাও জানে যে, আপনি কে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে, তারা কারা?
মানুষ সৃষ্টি করার আগে, ঈশ্বর অসংখ্য আত্মিক পুত্র বা স্বর্গদূত সৃষ্টি করেছিলেন। (ইয়োব ৩৮:৪-৭) স্বর্গদূতেরা মানুষের চেয়েও উচ্চতর প্রাণী। (ইব্রীয় ২:৬, ৭) তারা হল শক্তিশালী এবং খুবই বুদ্ধিমান আর তাদেরকে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। গীতরচক গেয়েছিলেন: “সদাপ্রভুর দূতগণ! তাঁহার ধন্যবাদ কর, তোমরা বলে বীর, তাঁহার বাক্য-সাধক, তাঁহার বাক্যের রব শ্রবণে নিবিষ্ট।”—গীতসংহিতা ১০৩:২০.
বাইবেল প্রকাশ করে যে, এক সময়ে স্বর্গদূতেরা এমন এক উপায়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছিল, যেটাকে ঈশ্বর অনুমোদন করেননি। কী উদ্দেশ্যে তারা তা করেছিল? যারা তা করেছিল, তাদের মধ্যে প্রথম স্বর্গদূত, প্রথম মানুষ আদম এবং হবাকে তাদের ঈশ্বর ও সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতারণাকে কাজে লাগিয়েছিল। তা করার দ্বারা, সে নিজেকে শয়তান দিয়াবলে, ঈশ্বরের অপবাদক ও বিপক্ষে পরিণত করেছিল।—আদিপুস্তক ৩:১-৬.
পরে, অন্য স্বর্গদূতেরা স্বর্গের “নিজ বাসস্থান ত্যাগ করিয়াছিল,” মনুষ্য দেহ ধারণ করেছিল এবং পৃথিবীতে সুন্দরী নারীদের সঙ্গে বাস করতে শুরু করেছিল। (যিহূদা ৬; আদিপুস্তক ৬:১, ২) সেই বিদ্রোহী স্বর্গদূত ও তাদের সংকর জাতীয় বংশধরেরা মানবজাতিকে এতটাই ভীত সন্ত্রস্ত করেছিল যে, পৃথিবী “দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ” হয়ে গিয়েছিল। নোহের দিনে ঈশ্বর কীভাবে সেই দৌরাত্ম্যপূর্ণ ও দুষ্ট প্রজন্মকে জলপ্লাবনের দ্বারা ধ্বংস করেছিলেন, খুব সম্ভবত সেই বিষয়ে বাইবেলের বিবরণের সঙ্গে আপনি পরিচিত আছেন।—আদিপুস্তক ৬:৩, ৪, ১১-১৩.
জলপ্লাবনের ফলে সেই মন্দদূতেরা মনুষ্য দেহ ত্যাগ করে আত্মিক রাজ্যে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে তাদের নিজ ‘বাসস্থানে’ ফিরে যেতে দেননি। এর পরিবর্তে, তাদেরকে এক অবনমিত অবস্থায় আবদ্ধ করা হয়েছে, যেটাকে ‘অন্ধকারের কারাকূপের’ সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। (২ পিতর ২:৪, ৫) বাইবেল এই বিদ্রোহী দূতেদের ‘ভূত’ বা মন্দদূত বলে উল্লেখ করে। (যাকোব ২:১৯) প্রেতচর্চার পিছনে তারাই রয়েছে।
মন্দদূতেরা যা চায়
যে-দুষ্ট আত্মারা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের প্রথম উদ্দেশ্য হল, সত্য ঈশ্বর যিহোবাকে উপাসনা করা থেকে তাদেরকে বিপথে পরিচালিত করা। জাদুবিদ্যা চর্চাকারীরা, তাদের যে-দান বা শক্তি আছে বলে তারা দাবি করে, সেগুলো ঈশ্বর সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান লাভ করা এবং তাঁর সঙ্গে এক সম্পর্ক গড়ে তোলা থেকে লোকেদেরকে বিক্ষিপ্ত করা ছাড়া বেশি কিছু নয়।
মন্দদূতেদের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য, তাদের নেতা শয়তান, যিশুকে দিয়ে যা করানোর চেষ্টা করেছিল, সেটার মধ্যে দেখতে পাওয়া যায়। শয়তান যিশুকে “জগতের সমস্ত রাজ্য ও সেই সকলের প্রতাপ” দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এর বিনিময়ে, শয়তান কী চেয়েছিল? সে বলেছিল: “ভূমিষ্ঠ হইয়া আমাকে প্রণাম কর।” হ্যাঁ, শয়তান ও তার মন্দদূতেরা উপাসনা পেতে চায়। কিন্তু, যিশু ঈশ্বর ও সত্য উপাসনা ত্যাগ করার ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।—মথি ৪:৮-১০.
আজকে মন্দদূতেরা কদাচিৎ এই ধরনের সরাসরি প্রস্তাব দিয়ে থাকে। এর পরিবর্তে, তারা বিনোদনমূলক আপাতদৃষ্টিতে অক্ষতিকর মাধ্যমগুলো যেমন, ক্রিস্টাল বল, টিয়াপাখি, টেরোট
কার্ড, পেন্ডুলাম ও কুষ্ঠী বিচারের দ্বারা অসতর্ক ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে। এই ধরনের অভ্যাসগুলোর দ্বারা প্রতারিত হবেন না! এই অভ্যাসগুলো এক অজানা জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করার শুধুমাত্র এক সাধারণ উপায় নয়। যিহোবাকে উপাসনা করা থেকে লোকেদেরকে বিপথগামী করার উদ্দেশ্যে, তাদেরকে প্রলোভিত করার ও ফাঁদে ফেলার জন্য দুষ্ট আত্মারা জাদুবিদ্যা ও এর আকর্ষণ করার ক্ষমতাকে ব্যবহার করে। দুষ্ট আত্মারা যখন তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না, তখন তারা যারা তাদের জালে আটকা পড়ে, প্রায়ই তাদের হয়রান করে এবং তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। আপনার ক্ষেত্রে যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে তাদের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করার জন্য আপনি কী করতে পারেন?প্রেতচর্চা—যেভাবে মুক্ত হওয়া যায়
এই বিষয়ে কোনো ভুল নেই যে, যে-আত্মারা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা হল ঈশ্বরের শত্রু, যাদের অবশ্যই ধ্বংস করা হবে। (যিহূদা ৬) তারা হল প্রতারক ও মিথ্যাবাদী, যারা মৃত ব্যক্তিদের ভান করে। আপনি যদি বুঝতে পারেন যে, আপনি যাকে বন্ধু হিসেবে দেখেন, তিনি একজন প্রতারক এবং আপনার জন্য উপকারজনক এমন বিষয়গুলো থেকে আপনাকে বিক্ষিপ্ত করতে চান, তাহলে আপনি কেমন বোধ করবেন? আপনি যদি বুঝতে পারেন যে, আপনি অজান্তেই ইন্টারনেটে একজন যৌন শিকারির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, তাহলে আপনি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন? মন্দদূতেদের ফাঁদে পড়া আরও বেশি বিপদজনক। যোগাযোগ ছিন্ন করার জন্য আপনাকে আপনার যথাসাধ্য করতে হবে। আপনি কী করতে পারেন?
প্রেতচর্চা সম্বন্ধে শাস্ত্র যা বলে, তা জানার পর, প্রাচীন ইফিষের কিছু অধিবাসী জাদুক্রিয়া সম্বন্ধীয় তাদের বইপত্র নষ্ট করে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেছিল, যদিও সেগুলো খুব দামি ছিল। তারা সেগুলো ‘সকলের সাক্ষাতে পোড়াইয়া ফেলিয়াছিল।’ (প্রেরিত ১৯:১৯, ২০) আজকে জাদুবিদ্যার সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলোর অন্তর্ভুক্ত শুধুমাত্র বইপত্র, তাবিজ, ওয়াইজা বোর্ড বা এইরকম অন্যান্য বিষয়ই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে ইলেকট্রনিক উৎসগুলো থেকে আসা বিষয়বস্তুও। এমন যেকোনো বিষয় থেকে দূরে থাকুন, যেটা প্রেতচর্চার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলে মনে হয়।
এই প্রবন্ধের শুরুতে উল্লেখিত দম্পতির বিষয়ে স্মরণ করুন। তারা তাদের কার্ড থেকে বুঝতে পেরেছিল যে, কিছু বিপদজনক লোক তাদের বাড়িতে আসবে কিন্তু তারা যেন তাদের কথা না শোনে কিংবা তাদের কাছ থেকে কোনোকিছু গ্রহণ না করে। কিন্তু, কানে ও গুডরুন নামে দুজন যিহোবার সাক্ষি যখন তাদের দরজায় এসে বলেছিল যে, তারা ঈশ্বর সম্বন্ধে সুসমাচার নিয়ে এসেছে, তখন ইয়োয়াখিম ও বারবারা তাদের কথা শুনবে বলে স্থির করেছিল। তাদের কথাবার্তায় প্রেতচর্চার বিষয়টা উঠেছিল এবং কানে ও গুডরুন শাস্ত্র থেকে এই বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রদান করেছিল। এক নিয়মিত বাইবেল আলোচনা শুরু হয়েছিল।
শীঘ্র ইয়োয়াখিম ও বারবারা মন্দদূতেদের সঙ্গে সমস্তরকম যোগাযোগ ছিন্ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সাক্ষিরা ব্যাখ্যা করেছিল যে, মন্দ আত্মারা সম্ভবত এতে খুশি হবে না। বস্তুত, ইয়োয়াখিম ও বারবারা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল এবং মন্দদূতেদের কাছ থেকে ভয়ানক আক্রমণের শিকার হয়েছিল। কিছু সময়ের জন্য, তারা প্রতি রাতে ভয় পেত, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা অন্য আরেকটা বাড়িতে চলে গিয়েছিল আর এটা তাদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছিল। তাদের কষ্টকর সময়ে, এই দম্পতি ফিলিপীয় ৪:১৩ পদের কথাগুলোর ওপর আস্থা রেখেছিল, যেটি বলে: “যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁহাতে আমি সকলই করিতে পারি।” যিহোবা তাদের দৃঢ়সংকল্পকে আশীর্বাদ করেছিলেন এবং মন্দ আত্মারা পরিশেষে তাদেরকে হয়রান করা বন্ধ করেছিল। আজকে, ইয়োয়াখিম ও বারবারা সত্য ঈশ্বর যিহোবার সুখী উপাসক।
যারা যিহোবার আশীর্বাদ লাভ করবে, তাদের সকলের উদ্দেশে শাস্ত্র এই জোরালো পরামর্শ দেয়: “তোমরা ঈশ্বরের বশীভূত হও; কিন্তু দিয়াবলের প্রতিরোধ কর, তাহাতে সে তোমাদের হইতে পলায়ন করিবে। ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্ত্তী হইবেন।” (যাকোব ৪:৭, ৮) যিহোবা ঈশ্বর আপনাকে মন্দ আত্মাদের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করতে পারেন এবং তিনি তা করবেন, যদি আপনি তা চান। প্রেতচর্চা থেকে স্বাধীন হওয়ার বিষয়টা স্মরণ করে ইয়োয়াখিম ও বারবারা গীতসংহিতা ১২১:২ পদের কথাগুলোর সঙ্গে সর্বান্তঃকরণে একমত হন, যেটি বলে: “সদাপ্রভু হইতে আমার সাহায্য আইসে।” (w১২-E ০৩/০১)
[পাদটীকাগুলো]
^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।
^ টেরোট কার্ড হল, ছবিসহ একগুচ্ছ কার্ড, যেটা ভবিষ্যতে লোকেদের প্রতি কী ঘটবে, সেই বিষয়ে আগে থেকে জানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
^ মৃতদের অবস্থা সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের “মৃতেরা কোথায়?” শিরোনামের ৬ অধ্যায় দেখুন।
[২৭ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
জাদুবিদ্যা চর্চা ঈশ্বরের সঙ্গে এক উত্তম সম্পর্ক গড়ে তোলা থেকে লোকেদেরকে বাধা দেয়
[২৮ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]
“ঈশ্বরের নিকটবর্ত্তী হও, তাহাতে তিনিও তোমাদের নিকটবর্ত্তী হইবেন।”—যাকোব ৪:৮