সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পবিত্র আত্মা–ঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি

পবিত্র আত্মা–ঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি

পবিত্র আত্মাঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি

ত্রিত্বের শিক্ষা অনুসারে পবিত্র আত্মা ঈশ্বরত্বের তৃতীয় ব্যক্তি, পিতা এবং পুত্রের সমান। যেমন আওয়ার অরথোডক্স খৃষ্টীয়ান ফেইথ বইটিতে বলা হয়: “পবিত্র আত্মা সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বর।”

ইব্রীয় শাস্ত্রাবলীতে, “আত্মার” জন্য যে শব্দটি প্রায়ই বাবহৃত হয় তা হল বয়াক, অর্থ “শ্বাস; বাতাস; আত্মা”। গ্রীক শাস্ত্রাবলীতে, শব্দটি হল নিউমা, অর্থ একই। এই শব্দগুলি কি নির্দ্দেশ করে যে পবিত্র আত্মা ত্রিত্বের একটি অংশ?

একটি সক্রিয় শক্তি

বাইবেলে “পবিত্র আত্মার” ব্যবহার নির্দ্দেশ করে যে এটা একটি নিয়ন্ত্রিত শক্তি যা যিহোবা ঈশ্বর তাঁর বিভিন্ন উদ্দেশ্য সম্পাদন করতে ব্যবহার করেন। এটাকে কিছু পরিমানে, বিদ্যুতের সাথে তুলনা করা যেতে পারে, একটি শক্তি যা বহু রকমের কাজ সম্পাদনের উপয়োগী করে নেওয়া যেতে পারে।

আদিপুস্তক ১:২ পদে বাইবেল বলে যে “ঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি [“আত্মা” (ইব্রীয়, রুয়াক)] জলের উপরে অবস্থিতি করিতেছিল।” এখানে ঈশ্বরের আত্মা হল তাঁর সক্রিয় শক্তি পৃথিবীকে আকৃতি দিতে কাজ করছিল।

ঈশ্বর তাঁর সেবকদের আলোকিত করতে তাঁর আত্মা ব্যবহার করেন। দায়ূদ প্রার্থনা করেছিলেন: “তোমার ইষ্ট সাধন করিতে আমাকে শিক্ষা দেও, কেন না তুমিই আমার ঈস্বর; তোমার আত্মা (বয়াক) মঙ্গলময়, আমাকে সরল ভুমি দিয়া চালায়” (গীত সংহিতা ১৪৩:১০) মোশিকে সাহায্যকল্পে যখন ৭০ জন দক্ষ ব্যক্তি নিযুক্ত হয়, ঈশ্বর তাঁকে বলেছিলেনঃ “তোমার উপরে যে আত্মা [রুয়াক] অধিষ্ঠান করেন, তাঁহার কিয়দংশ লইয়া তাহাদের উপর অধিষ্ঠান করাইব।”​—⁠গণনাপুস্তক ১১:১৭

“পবিত্র আত্মার [গ্রীক শব্দ, নিউমা] দ্বারা পরিচালিত হইয়া” ঈশ্বরের লোকেরা বাইবেলের ভাববাণী লিপিবদ্ধ করেছিল। (২ পিতর ১:​২০, ২১) এইরূপে বাইবেল “ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত” ছিল, যার গ্রীক শব্দ হল থিওপনিউসটস, অর্থ “ঈশ্বর–নিঃশ্বসিত।” (২ তীমথিয় ৩:১৬) এবং পবিত্র আত্মা কোন কোন লোককে দর্শন বা ভাববাণীমূলক স্বপ্নাদি দেখতে পরিচালিত করেছিল।–২য় শমূয়েল ২৩:২; যোয়েল২:​২৮, ২৯; লূক ১:৬৭; প্রেরিত ১:১৬; ২:​৩২, ৩৩

পবিত্র আত্মা যীশুকে বাপ্তিস্মের পরে প্রান্তরে চালনা করেছিল। (মার্ক ১:১২) আত্মা ঈশ্বরের দাসদের মধ্যে আগুনের মত ছিল তাদেরকে ঐ শক্তির দ্বারা উদ্যেগী করত। এবং এটা তাদের সাহস এবং নির্ভীকতার সাথে কথা বলতে সমর্থ করেছিল।​—⁠মীখা ৩:৮; প্রেরিত ৭:​৫৫-৬০; ১৮:২৫; রোমীয় ১২:১১; ১ম থিষলনীকীয় ৫:৯

ঈশ্বর তাঁর আত্মার দ্বারা, তাঁর বিচার মনুষ্য এবং জাতিদের উপরে সম্পাদন করেন। (যিশাইয় ৩০:​২৭, ২৮; ৫৯:​১৮, ১৯) এবং ঈশ্বরের আত্মা লোকদের পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করার জন্য সর্বত্র পৌঁছাতে পারে।–গীতসংহিতা ১৩৯:​৭-১২

‘পরাক্রমের উৎকর্ষ’

ঈশ্বরের আত্মা তাঁকে সেবারত ব্যক্তিদের “পরাক্রমের উৎকর্ষও” যোগাতে পারে। (২ করিন্থীয় ৪:৭) এটা তাদের বিশ্বাসের পরীক্ষাতে ধৈর্য্য ধরতে সাহায্য করে বা সেই সকল বিষয় করতে যা তারা নতুবা করতে পারত না।

উদাহরণস্বরূপ, বিচারকর্ত্তৃগণ ১৪:৬ পদ শিমশোন সম্বন্ধে বর্ণনা করে: “ইয়াওয়ের আত্মা তাঁহার উপরে সবলে আসিলেন এবং তাঁহার হস্তে কিছু না অস্ত্র থাকিলেও তিনি ঐ সিংহকে ছিড়িয়া ফেলিলেন।’’ (জে বি) তিনি যা করেছিলেন সেইভাবে তার শরীরকে চালনা করতে একজন ঐশিক ব্যক্তি কি প্রকৃতপক্ষে শিমশোনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে বা তার উপরে সবলে আসতে পারে? না, প্রকৃতপক্ষে “প্রভুর শক্তি [যা] শিমশোন কে বলবান করেছিল।”–টি ই ভি

বাইবেল, বলে যে যীশু যখন বাপ্তাইজিত হন, পবিত্র আত্মা তাঁর উপরে, মনুষ্যের আকৃতিতে নয়, কপোতের ন্যায় নামিয়া আসে। (মার্ক ১:১০) ঈশ্বরের এই সক্রিয় শক্তি যীশুকে রোগ আরোগ্য সাধনে এবং মৃতদের পুনরুত্থিত করতে সমর্থ করেছিল। যেমন লূক ৫:১৭ পদ বলে: “প্রভুর [ঈশ্বর] শক্তি উপস্হিত ছিল যেন [যীশু] সুস্হ করেন।”–জে বি

ঈশ্বরের আত্মা যীশুর শিষ্যদেরও অলৌকিক কার্য্যসকল করার শক্তি যুগিয়েছিল। প্রেরিত ২:​১-৪ বর্ণনা করে যে শিষ্যেরা পঞ্চাশত্তমীর দিনে একত্রে সমবেত হইয়াছিল যখন “হঠাৎ আকাশ হইতে প্রচন্ড বায়ুর বেগের শব্দবৎ একটা শব্দ আসিল এবং . . . তাহাতে তাঁহারা সকলে পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন এবং আত্মা তাহাদিগকে যেরূপ বক্তৃতা দান করিলেন, তদনুসারে অন্য অন্য ভাষায় কথা কহিতে লাগিলেন।”

কাজেই পবিত্র আত্মা যীশু এবং তাঁর দাসদের কাজ করার শক্তি যুগিয়েছিল যা মনুষ্য সাধারণভাবে করতে পারত না।

একজন ব্যক্তি নয়

যাহোক, বাইবেল পদগুলি কি আছে না যা পবিত্র আত্মাকে ব্যক্তিবাচক শব্দে বলে? হ্যাঁ, কিন্তু লক্ষ্য করুন ক্যাথলিক ঈশ্বরতত্ত্ববিদ এডমন্ড ফোর্টম্যান এই সম্বন্ধে দি ট্রায়ুন গডে কি বলেন: “এই আত্মাকে যদিও প্রায়ই ব্যক্তিবাচক শব্দে বর্ণনা করা হয়ে থাকে, এটা খুবই স্পষ্ট বলে মনে হয় যে [ইব্রীয় শাস্ত্রাবলীর] পবিত্র লেখকেরা এই আত্মাকে কখনও পৃথক ব্যক্তিরূপে সমর্পণ বা কল্পনা করেন নাই।”

শাস্ত্রে এটা অস্বাভাবিক নয় যে কোন কিছুকে ব্যক্তিত্ব প্রদান করা হয়। প্রজ্ঞার আপনার সন্তান আছে এরূপে বলা আছে। (লূক ৭:৩৫) পাপ এবং মৃত্যুকে রাজা বলা হয়। (রোমীয় ৫:​১৪, ২১) আদি পুস্তক ৪:৭ পদে দি নিউ ইংলিস বাইবেল (এন ই) বলে: “পাপ হল একটি মন্দ দূত দ্বারে গুঁড়ি মারিয়া রহিয়াছে, “পাপকে কয়িনের দ্বারে গুঁড়ি মেরে থাকা একটি দুষ্ট দূতরূপে ব্যক্তিত্ব প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু, অবশ্যই, পাপ একটি আত্মিক ব্যক্তি নয়; তেমনি পবিত্র আত্মাকে ব্যক্তিত্ব প্রদান করাতে এটাও একটি আত্মিক ব্যক্তি হয় না।

তদ্রুপ ১ম যোহন ৫:​৬-৮ পদে (এন ই) কেবল মাত্র আত্মা নয় কিন্তু “জল এবং রক্তকেও” “সাক্ষী” বলা হয়েছে। কিন্তু জল এবং রক্ত অবশ্যই ব্যক্তি নয়, পবিত্র আত্মাও একটি ব্যক্তি নয়।

এর সাথে মিল রেখে “পবিত্র আত্মা” সাধারণতঃ বাইবেলে অব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হয় যেমন এটাকে জল এবং অগ্নির সমান্তরাল করে দেখানো হয়েছে। (মথি ৩:১১; মার্ক ১:৮) লোকেদের মদ্য ব্যতিরেকে পবিত্র আত্মাতে পূর্ণ হতে বলা হয়েছে। (ইফিষীয় ৫:১৮) প্রজ্ঞা, বিশ্বাস, আনন্দ গুণাবলীর মত তাদের পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হতে বলা হয়েছে। (প্রেরিত ৬:৩; ১১:২৪; ১৩:৫২) এবং ২য় করিন্থীয় ৬:৬ পদে পবিত্র আত্মাকে অনেক গুণের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পবিত্র আত্মা যদি প্রকৃতই ব্যক্তি হত ঐরূপ অভিব্যক্তিগুলি তবে এত সাধারণ হত না।

তারপরে, আরো, যখন কোন কোন বাইবেলের পদগুলি বলে যে আত্মা কথা বলে অন্যান্য পদগুলি দেখায় যে এটা প্রকৃতপক্ষে মনুষ্য বা দূতদের মাধ্যমে করা হয়। (মথি ১০:​১৯, ২০; প্রেরিত ৪:​২৪, ২৫; ২৮:২৫; ইব্রীয় ২:⁠২) ঐ উদাহরণগুলিতে আত্মার কাজকে রেডিও তরঙ্গএর সাথে তুলনা করা হয়েছে যা এক ব্যক্তি থেকে দূরে অন্য ব্যক্তির কাছে সংবাদ প্রেরণ করে।

মথি ২৮:১৯ পদে “পবিত্র আত্মার . . . নামের” উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু গ্রীক বা ইংরাজিতে “নাম” শব্দে সর্বদা ব্যক্তিগত নাম বুঝায় না। আমরা যখন “আইনের নামে” বলি, আমরা কোন ব্যক্তির প্রতি উল্লেখ করি না। আমরা আইন যে জন্য বলবৎ তার কর্ত্তৃত্বকে বুঝাই। রবর্টসনসের ওয়ার্ড পিকচারস ইন দি নিউ টেষ্টামেন্ট বলে: “নামের (অনোমা) ব্যবহার সেপটুয়জিন্ট এবং প্যাপিরাইতে শক্তি বা কর্ত্তৃত্ব একই অর্থে ব্যবহার হয়।” কাজেই “পবিত্র আত্মার নামে” বাপ্তিস্ম আত্মার কর্ত্তৃত্বকে স্বীকার করে যা ঈশ্বর হতে এবং ঈশ্বরের ইচ্ছাতে কার্য্যকারী হয়।

“সাহায্যকারী”

যীশু পবিত্র আত্মাকে “সাহায্যকারী” বলেছেন, এবং বলেছেন যে তা শিক্ষা, পরিচালনা এবং কথা বলবে। (যোহন ১৪:​১৬, ২৬; ১৬:১৩) সাহায্যকারী কথার যে গ্রীক শব্দ (প্যারাক্লিটস) তিনি ব্যবহার করেছেন তা পুংলিঙ্গ। কাজেই সাহায্যকারী কি করবে সেই সম্বন্ধে উল্লেখ করতে যীশু পুংব্যক্তিত্ব সর্বনাম ব্যবহার করেছিলেন। (যোহন ১৬:​৭, ৮) অপরপক্ষে, আত্মার জন্য যখন ক্লীবলিঙ্গ গ্রীক শব্দ (নিউমা) ব্যবহৃত হয়, ক্লীবলিঙ্গ সর্বনাম “ইহা” উপযুক্তরূপে প্রয়োগ হয়।

যোহন ১৪:১৭ পদ সম্বন্ধে যেমন ক্যাথলিক নিউ অ্যামেরিকান বাইবেল স্বীকার করে যা বেশীরভাগ ত্রিত্বের অনুবাদকেরা লুকাইয়া রাখে: “‘আত্মার’ গ্রীক শব্দ হল ক্লীবলিঙ্গ এবং আমরা যখন ইংরেজিতে ব্যক্তিগত সর্বনাম ব্যবহার করি (‘সে,’ ‘তার,’ ‘তাহাকে’), বেশীরভাগ গ্রীক MSS [পান্ডুলিপি] ‘ইহা’ প্রয়োগ করে।”

কাজেই প্যারাক্লিটস শব্দের জন্য যোহন ১৬:​৭, ৮ পদে যখন বাইবেল পুং ব্যক্তিগত সর্বনাম ব্যবহার করে সেটা ব্যাকরণের নীতি অনুসারেই হয়, একটি মতবাদ প্রকাশ করে না।

ত্রিত্বের অংশ নয়

বিভিন্ন উৎস স্বীকার করে যে বাইবেল এই ধারনা সমর্থন করে না যে পবিত্র আত্মা ত্রিত্বের তৃতীয় ব্যক্তি। উদাহরণস্বরূপ:

দি ক্যাথলিক এনসাইক্লেপিডিয়া: “পুরাতন নিয়মের কোথাও তৃতীয় ব্যক্তির কোন নির্দ্দেশ নেই।”

ক্যাথলিক থিওলজিয়ান ফোর্টম্যান: “যিহুদীরা কখনও আত্মাকে ব্যক্তিরূপে দেখত না; এমনকি কোন দৃঢ় প্রমাণ নেই যে পুরাতন নিয়মের কোন লেখক সেই দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করত . . . পবিত্র আত্মা সাধারণতঃ সিনপটিকস [সুসমাচারে] সমর্পিত হয়েছে এবং প্রেরিতে ঐশিক শক্তি বা তেজরূপে।”

দি নিউ ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া: [পুরাতন নিয়ম] স্পষ্টতঃই ঈশ্বরের আত্মাকে ব্যক্তিরূপে বিবেচনা করে না . . . ঈশ্বরের আত্মা কেবলমাত্র ঈশ্বরের শক্তি। এটাকে যদি কখনও ঈশ্বর থেকে আলাদা করে দেখানো হয়, তার কারণ ইয়াওয়ের নিশ্বাস বাইরে থেকে কাজ করে।” এটা আরো বলেঃ “[নূতন নিয়মের] বেশীরভাগ পদ ঈশ্বরের আত্মাকে কোনকিছু রূপে প্রকাশ করে, কোন ব্যক্তিরূপে নয়, এটা বিশেষতঃ আত্মা এবং ঈশ্বরের শক্তির মধ্যবর্ত্তী সমান্তরালে প্রদর্শিত হয়।”–বাকা অক্ষর আমাদের।

একটি ক্যাথলিক অভিধান: “সমগ্রভাবে, নূতন নিয়ম, পুরাতন নিয়মের মত, আত্মাকে ঐশিক শক্তি বা তেজ রূপে বলে।”

সুতরাং, যিহুদী বা প্রথমিক খৃষ্টীয়ানদের কেউই পবিত্র আত্মাকে ত্রিত্বের অংশরূপে দেখে নাই। ঐ শিক্ষা অনেক পরে আসে। যেমন একটি ক্যাথলিক অভিধান বলে: “৩৬২ সালে আলেকজান্দ্রিয়া পরিষদে তৃতীয় ব্যক্তিকে ঘোষণা করা হয়েছিল . . . এবং পরিশেষে ৩৮১ সালে কনষ্টানটিপোলের পরিষদে” –পঞ্চাশত্তমীর দিনে পবিত্র আত্মা শিষ্যদের পূর্ণ করার তিন এবং অর্দ্ধ শতাব্দী পরে।

না, পবিত্র আত্মা ব্যক্তি নয় এবং ত্রিত্বেরও অংশ নয়। পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি যা তিনি তাঁর ইচ্ছা সম্পাদনে ব্যবহার করেন। এটা ঈশ্বরের সমান নয় কিন্তু সর্বদা তাঁর হস্তগত এবং অধীনস্ত।

[২২ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“সমগ্রভাবে, নূতন নিয়মে, পুরাতন নিয়মের মত, আত্মাকে ঐশিক শক্তি বা তেজ বলা হয়।”–একটি ক্যাথলিক অভিধান।

[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]

পবিত্র আত্মা একক্ষেত্রে কপোতের ন্যায় আরেকক্ষেত্রে অগ্নিবৎ জিহ্বার ন্যায় প্রতীয়মান হয়–কখনও ব্যক্তিরূপে নয়