পাঠ ১৩
তীমথিয় লোকেদেরকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন
তীমথিয় ছিলেন একজন যুবক, যিনি লোকেদের সাহায্য করতেন। অন্যদেরকে সাহায্য করার জন্য তিনি অনেক জায়গায় গিয়েছিলেন। এই কারণে তিনি অনেক আনন্দিত ছিলেন। তুমি কি তার গল্প শুনতে চাও?—
তীমথিয়ের মা এবং দিদিমা তাকে যিহোবা সম্বন্ধে শিক্ষা দিয়েছিলেন
তীমথিয় লুস্ত্রা নামে একটা নগরে বড়ো হয়েছিলেন। তার দিদিমা লোয়ী এবং মা উনীকী তাকে ছোটোবেলা থেকেই যিহোবা সম্বন্ধে শেখাতে শুরু করেছিলেন। তীমথিয় যখন বড়ো হতে থাকেন, তখন তিনি অন্যদেরকেও যিহোবা সম্বন্ধে জানতে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন।
তীমথিয় যখন যুবক ছিলেন, তখন পৌল তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, অন্যান্য জায়গায় প্রচার করার জন্য তিনি তার সঙ্গে যেতে চান কি না। তীমথিয় বলেছিলেন: ‘হ্যাঁ!’ তিনি যাওয়ার জন্য এবং অন্যদের সাহায্য করার জন্য তৈরি ছিলেন।
তীমথিয় পৌলের সঙ্গে মাকিদনিয়ার থিষলনীকী নামক একটা নগরে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার জন্য তাদেরকে অনেকটা পথ হেঁটে গিয়ে নৌকায় উঠতে হয়েছিল। অবশেষে তারা যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছেছিলেন, তখন তারা অনেক লোককে যিহোবা সম্বন্ধে শিখতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু, কিছু লোক রেগে গিয়েছিল এবং তাদেরকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। তাই, পৌল এবং তীমথিয়কে সেই জায়গা ছেড়ে অন্যান্য জায়গায় গিয়ে প্রচার করতে হয়েছিল।
কয়েক মাস পর, পৌল তীমথিয়কে থিষলনীকীতে ফিরে যেতে এবং সেখানকার ভাই-বোনদের খবরাখবর নিয়ে আসতে বলেছিলেন। সেই বিপদজনক নগরে ফিরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন ছিল! কিন্তু, তীমথিয় সেখানে গিয়েছিলেন কারণ তিনি সেখানকার ভাই-বোনদের জন্য চিন্তিত ছিলেন। তিনি ফিরে এসে পৌলকে ভালো খবর দিয়েছিলেন। থিষলনীকীর ভাই-বোনেরা বেশ ভালোভাবেই ছিল!
তীমথিয় বহু বছর ধরে পৌলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। পৌল একবার বলেছিলেন যে, তীমথিয় হলেন সবচেয়ে ভালো ব্যক্তি, যাকে তিনি মণ্ডলীকে সাহায্য করার জন্য পাঠাতে পারেন। তীমথিয় যিহোবাকে এবং লোকেদেরকে ভালোবাসতেন।
তুমি কি লোকেদের ভালোবাসো এবং তাদেরকে যিহোবা সম্বন্ধে শিখতে সাহায্য করতে চাও?— যদি তা-ই হয়, তাহলে তীমথিয়ের মতো তুমিও এক সুখী এবং আনন্দময় জীবন উপভোগ করতে পারবে!