সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

পাঠ ১৩

সুসমাচার প্রচারকরা আইনের সাহায্য নেয়

সুসমাচার প্রচারকরা আইনের সাহায্য নেয়

আলোচিত বিষয়

যিশু যেমন ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন যে, লোকেরা আইনের সাহায্য নিয়ে তাঁর শিষ্যদের প্রচার কাজে বিরোধিতা করবে

১, ২. (ক) ধর্মগুরুরা কি করতে সফল হয়েছিল? প্রেরিতরা কি করেছিল? (খ) প্রেরিতরা কেন প্রচার কাজ বন্ধ করার আদেশের প্রতি বাধ্যতা দেখায়নি?

 ৩৩ খ্রিস্টাব্দে পঞ্চাশত্তমীর দিনে জেরুসালেমে খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর শুরু হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ পর এই নতুন মণ্ডলীতে শয়তানের আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। শয়তান এই মণ্ডলী শক্তিশালী হয়ে ওঠার আগেই এটাকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। তাই সে পরিস্থিতিকে এমন ভাবে ঘুরিয়ে দেয় যে ধর্মীয় নেতারা প্রচার কাজের ওপর পুরোপুরিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু প্রেরিতরা সাহসের সঙ্গে প্রচার করে চলেছিল আর এর ফলে অনেক পুরুষ ও মহিলা “প্রভুতে বিশ্বাস করতে” লাগল।—প্রেরিত ৪:১৮, ৩৩; ৫:১৪.

প্রেরিতরা আনন্দিত হয়েছিলেন “কারণ যিশুর নামে অপমানিত হওয়ার জন্য ঈশ্বর তাদের যোগ্য বলে মনে করেছিলেন”

এটা দেখে বিরোধীরা অনেক রেগে যায় আর তারা প্রেরিতদের আবার আক্রমণ করে। আর এবার তারা সমস্ত প্রেরিতকে জেলে বন্দি করে। কিন্তু যিহোবার এক স্বর্গদূত রাতের বেলায় জেলের দরজা খুলে দেয় এবং ভোর বেলা প্রেরিতদের আবারও প্রচার করতে দেখা যায়। প্রেরিতদের আবার গ্রেপ্তার করা হয় এবং আধিকারিকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আধিকারিকরা প্রেরিতদের বলে, প্রচার না করার যে-আদেশ রয়েছে তা তারা অমান্য করেছে। প্রেরিতেরা তখন সাহসের সঙ্গে বলেন “মানুষের প্রতি নয়, বরং ঈশ্বরের প্রতিই আমাদের বাধ্য হতে হবে।” এর ফলে আধিকারিকরা রাগে ফেটে পড়লেন এবং তাদের “হত্যা করতে” চাইলেন। ঠিক সেই সময়ই আইনের একজন সুপরিচিত শিক্ষক গমলীয়েল প্রেরিতদের পক্ষ নিয়ে আধিকারিকদের সাবধান করে বলেন, “সাবধান হও ... তোমরা এই ব্যক্তিদের প্রতি কিছু কোরো না, এদের ছেড়ে দাও।” আশ্চর্যের বিষয় হল আধিকারিকরা তার কথা মেনে নেয় এবং প্রেরিতদের ছেড়ে দেয়। সেই বিশ্বস্ত প্রেরিতরা কি করেছিল? তারা ভয় না পেয়ে প্রতিদিন “খ্রিস্ট যিশু সম্বন্ধে সুসমাচার ঘোষণা করতে লাগলেন—তারা এই কাজ করা বন্ধ করতেন না।”—প্রেরিত ৫:১৭-২১, ২৭-৪২; হিতোপদেশ ২১:১, ৩০.

৩, ৪. (ক) প্রাচীন কাল থেকে ঈশ্বরের লোকদের উপর অত্যাচার করার জন্য শয়তান কী করেছে? (খ) এই পাঠ এবং পরবর্তী দুটো পাঠে আমরা কী নিয়ে বিবেচনা করব?

এভাবে ৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথমবার আইনকে ব্যবহার করে খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর উপর বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু এটা ছিল একটা শুরু। (প্রেরিত ৪:৫-৮; ১৬:২০; ১৭:৬, ৭) সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত শয়তান সত্য উপাসনার বিরোধিতা করে এমন ব্যক্তিদের উসকে দিচ্ছে, যাতে তারা সরকারি আধিকারিকদের প্ররোচিত করে আমাদের প্রচার কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। এই বিরোধীরা ঈশ্বরের লোকদের উপর বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে একটা হল আমরাই যত নষ্টের গোঁড়া। সমাজে আমরা বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করি আর দ্বিতীয়টা হল আমরা হলাম দেশদ্রোহী, এ ছাড়া তারা আমাদের উপর এই অভিযোগ নিয়ে এসেছে যে আমরা বই বিক্রি করি। আমাদের ভাইদের যখনই ঠিক বলে মনে হয়েছিল তখনই তারা এই অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রমাণ করার জন্য আইনের সাহায্য নিয়েছে এবং আদালতে গিয়েছে। কিন্তু এই মামলার ফলাফল কি হয়েছিল? বহু বছর আগে আদালতের দেওয়া রায় থেকে আপনি কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন? আসুন এমন কিছু মামলা নিয়ে বিবেচনা করি, যেগুলো আমাদের “সুসমাচারের পক্ষসমর্থন” করতে আর “প্রচার করার বৈধ অধিকার” লাভ করতে সাহায্য করেছে।—ফিলি. ১:৭.

এই পাঠে আমরা দেখব কীভাবে আমরা প্রচার করার অধিকার লাভ করেছি। পরবর্তী দুটো পাঠে আমরা দেখব যে, জগৎ থেকে পৃথক থাকার এবং ঈশ্বরের রাজ্যের মান অনুযায়ী জীবনযাপন করার জন্য আমরা কোন কোন আইনি লড়াই লড়েছি।

সমস্ত সমস্যার মূল নাকি ঈশ্বরের রাজ্যের বিশ্বস্ত সেবক

৫. ১৯৩৫ সালের পর রাজ্যের প্রচারকদের কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল? নেতৃত্ব নিচ্ছিলেন এমন ভাইয়েরা কী করার কথা চিন্তা করেন?

১৯৩৫ সালের পর আমেরিকার সমস্ত শহর এবং রাজ্যে যে আধিকারিকরা ছিল তারা যিহোবার সাক্ষিদের উপর চাপ সৃষ্টি করে যে, তারা যদি প্রচার কাজ করতে চায় তাহলে সরকারের কাছ থেকে তাদের লাইসেন্স অথবা পারমিট নিতে হবে। কিন্তু আমাদের ভাইয়েরা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেনি। তার কারণ হল, লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারে আর তারা এটা মনে করত যে, এই কাজ বন্ধ করার অধিকার কোনো সরকারের নেই কারণ এই কাজ করার আজ্ঞা যিশু তাদের দিয়েছেন। (মার্ক ১৩:১০) এর ফলে হাজার হাজার রাজ্যের প্রচারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সেইসময় সংগঠনে যে-ভাইয়েরা নেতৃত্ব নিচ্ছিলেন তারা আদালতে যাওয়ার কথা চিন্তা করেন। তারা আদালতে এটা বলতে চেয়েছিল, সাক্ষিদের প্রচার করার যে-অধিকার রয়েছে, সরকার বেআইনিভাবে সেটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার চেষ্টা করছে। ১৯৩৮ সালে এমন একটা ঘটনা ঘটে যেটার মামলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তার একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই ঘটনাটা কি ছিল?

৬, ৭. ক্যেন্টওয়েল পরিবারের সঙ্গে কী ঘটেছিল?

১৯৩৮ সালের ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল বেলা ভাই নিউটন ক্যেন্টওয়েল যার বয়স ৬০ বছর ছিল, তিনি ও তার স্ত্রী এস্টার এবং তাদের সন্তানরা হেনরি, রাসেল ও জেসি ক্যানেটিকিট রাজ্যের নিউ হেভেন শহরে প্রচার করার জন্য বেরিয়ে পড়েন। এই পাঁচ জন বিশেষ অগ্রগামী ছিলেন। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, সারা দিন প্রচার করার পরই বাড়ি ফিরবে। এমনকি তারা কয়েক দিন পরেও ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কেন? তার কারণ হল, তাদের আগেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাই তারা জানত যে, তাদের আবারও গ্রেপ্তার করা হতে পারে। কিন্তু তারপরও এই ক্যেন্টওয়েল পরিবারের উদ্যোগ কমে যায়নি। সে-দিন তারা দুটো গাড়ি নিয়ে নিউ হেভেনে পৌঁছান। একটা গাড়ি ভাই নিউটন চালাচ্ছিলেন এবং গাড়ির মধ্যে বিভিন্ন প্রকাশনা এবং গ্রামাফোন ছিল। দ্বিতীয় গাড়িটায় মাইক লাগানো ছিল আর এই গাড়িটা ২২ বছর বয়সের হেনরি চালাচ্ছিলেন। আসলে, তারা যেমনটা চিন্তা করেছিল, ঠিক তেমনি ঘটেছিল। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ এসে তাদের থামিয়ে দিয়েছিল।

প্রথমে ১৮ বছর বয়সের রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং এরপর ভাই নিউটন ও এস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ বছর বয়সের জেসি লক্ষ্য করে যে, পুলিশ তার বাবা-মা এবং ভাইকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে। হেনরি যেহেতু শহরের অন্য এলাকায় প্রচার করছিল তাই জেসি সেখানে একাই রয়ে যায়। তা সত্ত্বেও জেসি গ্রামাফোনটা নেয় এবং প্রচার কাজ চালিয়ে যায়। দু-জন ক্যাথলিক ব্যক্তি জেসিকে ভাই রাদারফোর্ডের একটা বক্তৃতা শোনানোর জন্য অনুমতি দেয়, যেটার শিরোনাম ছিল “শত্রু।” কিন্তু তারা এই বক্তৃতা শুনতে শুনতে এতটাই রেগে যায় যে তারা জেসিকে মারতে চেয়েছিল। জেসি কোন কথা না বলে সেখান থেকে শান্তভাবে যেতে থাকে কিন্তু কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ তাকে থামতে বলে আর এভাবে জেসিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ এস্টারের ওপর কোনো কেস দেয়নি কিন্তু ক্যেন্টওয়েল এবং তার দুই ছেলের উপর কেস দিয়েছিল। তবে সেই দিনই তাদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

৮. কেন আদালত জেসি ক্যেন্টওয়েলকে শান্তি ভঙ্গ করার দোষে দোষী সাব্যস্ত করেছিল?

কয়েক মাস পর ১৯৩৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউ হেভেন কোর্টে ক্যেন্টওয়েল পরিবারের বিচারের শুনানি শুরু হয়। ভাই ক্যেন্টওয়েল, রাসেল এবং জেসিকে বিনা লাইসেন্সে চাঁদা তোলার এবং সমাজের শান্তি ভঙ্গ করার দোষে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ট্রিনিটি সুপ্রিম কোর্টে যখন পুনরায় আপিল করা হয় তখন ভাই ক্যেন্টওয়েল ও রাসেলকে ছেড়ে দেওয়া হয় কিন্তু বোন জেসিকে সমাজের শান্তি ভঙ্গ করার দোষে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কেন? তার কারণ হল, যে-দুজন ক্যাথলিক ব্যক্তি সেই রেকর্ড করা বক্তৃতাটা শুনেছিল, তারা কোর্টে সাক্ষী দেয় যে, সেই বক্তৃতা শুনে তাদের মনে হয়েছে এটা তাদের ধর্মকে অসম্মান করেছে এবং এটা শুনে তারা অত্যন্ত রেগে গিয়েছিল। এরপর আমাদের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইয়েরা এই মামলাটা আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যায়, যেটা সেই দেশের সবচেয়ে উচ্চ আদালত ছিল।

৯, ১০. (ক) ক্যেন্টওয়েল পরিবারের উপর যে মামলা করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট তার কোন রায় দিয়েছিল? (খ) বর্তমানেও কীভাবে আমরা সেই রায় থেকে উপকার পাচ্ছি?

১৯৪০ সালের ২৯ মার্চ প্রধান বিচারপতি চার্লস ই. হগ ও তার আট জন সহ বিচারপতি ভাই হেডেন ক্যোভিনটনের বক্তব্য শুনতে শুরু করেন, যিনি যিহোবার সাক্ষিদের একজন উকিল ছিলেন। a ক্যানেটিকিট রাজ্যের উকিল যখন এটা প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন প্রমাণপত্র দেয় যে সাক্ষিরা সমাজে শান্তি ভঙ্গ করে থাকে তখন সেই আদালতের একজন বিচারক তাকে জিজ্ঞেস করেন, “এটা কি সত্য নয় যে যিশু খ্রিস্টের সময়েও লোকেরা তাঁর বার্তা পছন্দ করেননি।” উত্তরে সেই উকিল বলেন, “হ্যাঁ এটা ঠিক। আর যতদূর আমার মনে পড়ে, বাইবেল এটাও বলে যে, সেই বার্তা জানানোর জন্য যিশুর সাথে কি করা হয়েছিল।” একটু চিন্তা করুন, তিনি কী বলে ফেললেন। তিনি অজান্তে সাক্ষিদের যিশু খ্রিস্টের সঙ্গে তুলনা করছেন আর ক্যানেটিকিট রাজ্যকে সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে তুলনা করেছেন যারা যিশুকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ১৯৪০ সালে মে মাসের ২০ তারিখে আদালতের সমস্ত বিচারপতি যিহোবার সাক্ষিদের পক্ষে রায় দেয়।

হেডেন ক্যোভিনটন (সামনে, মাঝখানে), গ্লেন হাউ (বাম দিকে) এবং অন্যান্যরা মামলাতে বিজয়লাভ করার পর কোর্ট থেকে বেরিয়ে আসছে

১০ আদালত যে রায় দিয়েছিল সেটা কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল? কারণ কোর্ট এই রায় দিয়েছিল যে প্রত্যেকের নিজের ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে আর কোনো দেশ অথবা কোনো রাষ্ট্র কিংবা কোন এলাকার আধিকারিক সেই স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারবে না। এ ছাড়া আদালত এটাও বলেছিল যে, জেসি যে কাজ করেছে সেটা যে “সমাজের শান্তি ভঙ্গ করেছে আর এমনকি কোনো ক্ষতি করেছে” তারা এমন কোনো প্রমাণ পাইনি। আদালতের এই রায় থেকে এটা প্রমাণ হয়েছিল যে, সাক্ষিরা সমাজে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে না। আদালতের এই মামলা থেকে যিহোবার লোকেরা কত বড়ো জয়লাভই না করেছিল আর বর্তমানে আমরাও তার থেকে উপকার লাভ করছি। একজন উকিল যিনি যিহোবার সাক্ষী ছিলেন তিনি বলেন, “নিজেদের ধর্ম পালন করার ক্ষেত্রে আমরা এতটাই স্বাধীনতা পেয়েছি যে, “এখন আর আমাদের এটা ভেবে ভয় লাগে না যে, আমাদের উপর মিথ্যে অভিযোগ নিয়ে আসার মাধ্যমে আমাদের কাজের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। সেজন্য আমরা যেখানেই থাকি না কেন লোকদের আসার বার্তা জানাতে পারি।”

দেশদ্রোহী নাকি সত্যের প্রচারক

ঈশ্বর, খ্রিস্ট ও স্বাধীনতার প্রতি কিউবেকের তীব্র ঘৃণা কানাডিয়ানদের উপর কলঙ্ক

১১. আমাদের ভাইয়েরা কানাডায় কোন অভিযান চালিয়েছিল এবং কেন?

১১ ১৯৪০ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে যিহোবার সাক্ষিরা কানাডায় তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হয়। তাই ১৯৪৬ সালে আমাদের ভাইয়েরা লোকদের এটা জানানোর জন্য একটা অভিযান চালিয়েছিল যে, সরকার আমাদের উপাসনা করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। এই অভিযান ১৬ দিন পর্যন্ত চলেছিল আর তারা এই অভিযানে একটা ট্র্যাক্ট বিতরণ করেছিল, যেটার শিরোনাম ছিল, ঈশ্বর, খ্রিস্ট ও স্বাধীনতার প্রতি কিউবেকের তীব্র ঘৃণা কানাডিয়ানদের উপর কলঙ্ক। এই চার পৃষ্ঠার ট্র্যাক্টে খোলাখুলিভাবে লেখা হয়েছিল যে, কীভাবে কিউবেকে আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে পাদরিরা দাঙ্গা লাগানোর জন্য লোকদের উসকে দিয়েছিল আর পুলিশ এবং জনতা আমাদের ভাইদেরকে নির্মমভাবে মেরেছিল। তাতে এটাও লেখা ছিল, “যিহোবার সাক্ষিদের এখনও অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।” “গ্রেটার মন্ট্রিয়ালে এখনো যিহোবার সাক্ষিদের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০০ টারও বেশি মামলা রয়েছে।”

১২. (ক) ট্র্যাক্ট বিতরণের অভিযান চলাকালীন বিরোধীরা কী করেছিল? (খ) ভাইদের উপর কোন অভিযোগ আনা হয়েছিল? (ফুটনোট দেখুন।)

১২ কিউবেকের মুখ্য আধিকারিক মরিস ডুপ্লেস রোমান ক্যাথলিক চার্চের কার্ডিনাল ভিলেনিউভের সঙ্গে মিলে এই ট্র্যাক্টের বিরোধিতা করে। এটা অনেকটা এই রকম ছিল যে, “সাক্ষিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, সাক্ষিদের উপর কোনো দয়া দেখানো হবে না। খুব দ্রুত মামলার সংখ্যা বেড়ে ৮০০ থেকে ১৬০০ হয়ে যায়। একজন অগ্রগামী বলেন, “পুলিশ আমাদের এতবার গ্রেপ্তার করেছিল যে আমরা গোনা ছেড়ে দিয়েছিলাম।” যে সাক্ষিরা এই ট্র্যাক্ট বিতরণ করছিল তাদের উপরে এই অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিল যে, তারা “দেশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক কথা ছড়িয়ে” অপরাধ করছে। b

১৩. সবার প্রথমে কাদের উপর দেশদ্রোহীতার অভিযোগ এনে মামলা করা হয়েছিল? আদালত সেই মামলার কোন রায় দিয়েছিল?

১৩ ১৯৪৭ সালে প্রথমে ভাই ইমি বুশো এবং তার মেয়েদের উপরে দেশদ্রোহীতার মামলা করা হয়। তার বড় মেয়ে গেজেলের বয়স ছিল ১৮ আর ছোটো মেয়ে লেসেলের বয়স ছিল ১১। তারা তিন জন কিউবেকের তিব্র ঘৃণা নামক ট্র্যাক্টটি কিউবেক শহরের দক্ষিণে তাদের জমির পাশে পাহাড়ি এলাকায় বিতরণ করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মিথ্যা ছিল যে তারা আইন অমান্য করে লোকদের মধ্যে শান্তি নষ্ট করছে। ভাই বুশো একজন সহজসরল ও নম্র স্বভাবের ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তার ছোটো জমিতে শান্তভাবে কাজ করতেন এবং কখনো কখনো আবার ঘোড়ার গাড়ি চড়ে শহরে যেতেন। কিন্তু তার পরও তার পরিবারকে সেই অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল যার বিষয়ে এই ট্র্যাক্টে বলা হয়েছে। যে বিচারক তাদের মামলার শুনানি শুনছিলেন তিনি সাক্ষীদের ঘৃণা করতেন। তিনি বুশো পরিবারের পক্ষে থাকা সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রত্যাক্ষান করেন আর সরকারি উকিলের সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্বাস করেন যে, সেই ট্র্যাক্টের মাধ্যমে সমাজের শান্তি নষ্ট করা হচ্ছিল। আর তাই তিনি তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন। তিনি অন্য ভাবে এটা বলতে চাইছিলেন, সত্য জানানো অন্যায়। ভাই বুশো এবং তার বড়ো মেয়ে গেজেলেকে দেশদ্রোহী কাজ উসকে দেয় এইরকম কথা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তার ছোট মেয়ে লেসেলকে দুই দিনের জন্য জেলে থাকতে হয়। ভাইয়েরা তখন কানাডার সবচেয়ে বড়ো আদালত সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন আর এই আদালত এই মামলাটা শোনার জন্য রাজি হয়ে যায়।

১৪. কিউবেকের ভাইয়েরা তাড়নার সময় কী করে গিয়েছিল?

১৪ এর মধ্যে কিউবেকে আমাদের ভাই-বোনদের উপর ক্রমাগত তীব্র অত্যাচার হতে থাকে কিন্তু তারপরও তারা সাহসের সঙ্গে প্রচার কাজ চালিয়ে যায়। তবে বেশিরভাগ সময় এর অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া গিয়েছে। ১৯৪৬ সালে যখন ট্র্যাক্ট বিতরণ করা শুরু হয়েছিল তখন থেকে চার বছরের মধ্যে কিউবেকে সাক্ষিদের সংখ্যা ৩০০ থেকে বেড়ে প্রায় ১০০০ হয়ে গিয়েছিল। c

১৫, ১৬. (ক) বুশো পরিবারের উপর যে মামলা চলছিল কানাডার সুপ্রিম কোর্ট তার কোন রায় দিয়েছিল? (খ) এই বিজয়ের ফলে আমাদের ভাইদের ও অন্যদের কোন উপকার হয়েছিল?

১৫ ১৯৫০ সালের জুন মাসে কানাডার সুপ্রিম কোর্টের যে নয় জন বিচারপতি ছিলেন, তারা একসঙ্গে ভাই ইমি বুশোর মামলার শুনানি শোনেন। ১৯৫০ সালে ১৮ ডিসেম্বর প্রায় ৬ মাস পর আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেয়। ভাই গ্লেন হাউ যিনি সাক্ষিদের একজন উকিল ছিলেন তিনি বলেন, ভাই বুশোর পক্ষে যে উকিলরা লড়ছিলেন আদালত তাদের সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করেন এবং বলেন যে, দেশদ্রোহীতার অর্থ হল সরকারের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো অথবা বিদ্রোহ করার জন্য লোকদের উসকে দেওয়া। কিন্তু সেই ট্র্যাক্টে এমন কিছু লেখা ছিল না যার ফলে বিদ্রোহ হতে পারে। সেই জন্য এটা বলা যায় যে, এই ট্র্যাক্টে সেই বিষয়গুলো লেখা ছিল যেটা আইনের মধ্যে থেকে প্রত্যেককে বলার অধিকার দেয়। ভাই হাউ বলেন, যিহোবা কীভাবে আমাদের জয়ী হতে সাহায্য করেছিলেন, তা আমি নিজের চোখে দেখেছি। d

১৬ সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঈশ্বরের রাজ্যের পক্ষে এক আশ্চর্যজনক জয় এনে দিয়েছিল। কিউবেকে আরও ১২২টি মামলা চলছিল, যেখানে সাক্ষিদের উপর এই অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছিল যে, তারা এমন কথা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছিল যা দেশদ্রোহীতার কাজকে উসকে দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সেই সমস্ত মামলাকে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করেছিল। আদালতের এই রায়ের ফলে কানাডা এবং গণতান্ত্রিক দেশগুলোর লোকরা এই স্বাধীনতা পেয়েছিল যে, সরকারের কোনো কাজ যদি তাদের পছন্দ না হয় তাহলে তারা তাদের মতামত জানাতে পারে। শুধু তাই নয়, এই বিজয় লাভ করার পর কিউবেকে যিহোবার সাক্ষিদের উপর চার্চ এবং সরকারের পক্ষ থেকে আসা আক্রমণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। e

বই বিক্রেতা নাকি ঈশ্বরের রাজ্যের উদ্যোগী প্রচারক

১৭. কিছু সরকার আমাদের প্রচার কাজের ক্ষেত্রে কী করার চেষ্টা করে?

১৭ প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানদের মত বর্তমানেও যিহোবার সাক্ষিরা, “ঈশ্বরের বাক্য কেনা-বেচা” করে না। (পড়ুন, ২ করিন্থীয় ২:১৭.) কিন্তু তার পরও কিছু সরকার ব্যাবসা সংক্রান্ত আইন আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে আমাদের প্রচার কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার চেষ্টা করে। আসুন এমন দুটো মামলা সম্বন্ধে জানি, যেটা এই বিষয়ের উপর রয়েছে, যিহোবার সাক্ষিরা বই বিক্রেতা নাকি ঈশ্বরের রাজ্যের উদ্যোগী প্রচারক।

১৮, ১৯. ডেনমার্কের আধিকারিকরা কীভাবে প্রচার কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল?

১৮ ডেনমার্ক ১ অক্টোবর ১৯৩২ সালে একটা আইন জারি করা হয়েছিল যে বিনা লাইসেন্সে পত্রপত্রিকা বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আমাদের ভাইয়েরা লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কোন আবেদন করেনি। এই আইন যে-দিন জারি করা হয়েছিল তার পরের দিন পাঁচজন প্রকাশক রাসকিলে প্রচার করছিল, যেটা ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিমে অবস্থিত। সারা দিন প্রচার করার পর ভাইয়েরা দেখেন যে, অগাস্ট লেমান নামে একজন ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে বিনা লাইসেন্সে জিনিসপত্র বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

১৯ ১৯৩২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভাই অগাস্ট লেমানকে আদালতে তোলা হয়। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, তিনি লোকদের সঙ্গে দেখা করে বাইবেল ভিত্তিক পত্রিকাগুলো বিতরণ করছিলেন সেগুলো বিক্রি করছিলেন না। আদালত এটা মেনে নেয় আর বলে, “অভিযুক্ত ... তার নিজের ভরণপোষণ জোগানোর ক্ষেত্রে সমর্থ। তিনি এখনো পর্যন্ত এই কাজের মাধ্যমে না কোন টাকা-পয়সা পেয়েছেন আর না ভবিষ্যতে পাওয়ার আশা রাখে। এর পরিবর্তে এই কাজ করার জন্য তার নিজের টাকা খরচ হয়।” আদালত সাক্ষিদের পক্ষ নেয় এবং বলে যে, লেমানকে “বিক্রেতা অথবা কোনো ব্যবসায়ী” বলা যাবে না। কিন্তু যারা ঈশ্বরের লোকদের বিপক্ষে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল যে, কোনো না কোনোভাবে সারা দেশে হওয়া প্রচার কাজকে তারা বন্ধ করবে। (গীতসংহিতা ৯৪:২০) সরকারি উকিল দেশের অন্যান্য অনেক আদালতে আপিল করেন এবং শেষে সুপ্রিম কোর্টে যান। আমাদের ভাইয়েরা তখন কী করেছিল?

২০. ডেনমার্কের সুপ্রিম কোর্ট কোন রায় দিয়েছিল? এই রায় শোনার পর আমাদের ভাইয়েরা কী করেছিল?

২০ সুপ্রিম কোর্টে যেদিন শুনানি ছিল, তার আগের সপ্তাহে পুরো ডেনমার্কে সাক্ষিরা প্রচার কাজ আরও বেশি করে করেছিল। ১৯৩৩ সালের অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল। এই আদালত নিম্ন আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত হয় যে, অগাস্ট লেমান কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। এই রায়ের অর্থ ছিল, সাক্ষিরা কোনো রকম বাধা ছাড়াই প্রচার করতে পারবে। ভাই-বোনেরা এই বিজয়ের জন্য যিহোবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চেয়েছিল। তাই তারা প্রচার কাজ আরও বেশি করে করতে থাকে। আদালতের এই রায়ের পর থেকে ডেনমার্কে আমাদের ভাইয়েরা সরকারি কোনো বাধা নিষেধ ছাড়াই প্রচার কাজ করতে পেরেছিল।

১৯৩০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে ডেনমার্কে সাহসী প্রচারকরা

২১, ২২. যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ভাই মার্ডাকের মামলার কোন রায় দিয়েছিল?

২১ যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪০ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী অগ্রগামী ভাই রবার্ট মার্ডাক ও আরও সাতজন সাক্ষি, পেনশিলভেনিয়ার পিটার্সবার্গের কাছে জেনিট শহরে প্রচার করছিলেন আর তখন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের উপর এই অভিযোগ আনা হয় যে, তারা কোনো লাইসেন্স ছাড়া লোকদের বই দিচ্ছিলেন। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে যখন আপিল করা হয় তখন সেই আদালত এই মামলাটা শুনতে রাজি হয়ে যায়।

২২ ১৯৪৩ সালের মে মাসের ৩ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট সাক্ষিদের পক্ষে রায় দেয়। আদালত বলে যে, লাইসেন্স নেওয়ার জন্য আবেদন করা সঠিক হবে না কারণ লাইসেন্স নেওয়ার অর্থ হল, “দেশের সংবিধান থেকে পাওয়া অধিকার লাভ করার জন্য কোনো মূল্য দেওয়া।” শহরে যে আইন তৈরি করা হয়েছিল আদালত সেই আইনকে এই বলে বাতিল করে দেয় যে, “এই আইন প্রকাশনা ছাপানো ও নিজের ধর্ম পালন করার যে স্বাধীনতা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।” বিচারক উইলাম ও. ডগলাস বেশিরভাগ বিচারপতির রায় নিয়ে বলেন, যিহোবার সাক্ষিরা “শুধুমাত্র প্রচার করেনা অথবা ধর্মীয় প্রকাশনা বিতরণ করেনা বরং তারা দুটো কাজই করে থাকে”। তিনি এটাও বেলন, “এই ধরনের ধার্মিক কাজকে সেই একই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত যা চার্চে হওয়া উপাসনা ও মঞ্চ থেকে দেওয়া উপদেশকে দেওয়া হয়ে থেকে।”

২৩. ১৯৪৩ সালে আমরা যে মামলা জিতেছি, তা কীভাবে বর্তমানেও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

২৩ সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঈশ্বরের লোকদের জন্য এক বিরাট বড়ো আইনি বিজয় ছিল। এর থেকে আমাদের সম্বন্ধে এটা প্রমাণ হয়েছিল যে, আমরা বই বিক্রেতা নই বরং খ্রিস্টের সেবক। ১৯৪৩ সালের সেই স্মরণীয় দিনে যিহোবার সাক্ষিরা ১৩ টার মধ্যে ১২টা মামলা জিতে ছিল, যার মধ্যে একটা ছিল মার্ডাক মামলা। সম্প্রতি যখন জনসাধারণ্যে ও ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করার অধিরাকারের ওপর বিরোধীরা পুনরায় প্রশ্ন তোলে তখন আমরা সেই মামলার রায় উল্লেখ করে আত্মপক্ষ্য সমর্থন করতে পেরেছি।

“মানুষের প্রতি নয়, বরং ঈশ্বরের প্রতিই আমাদের বাধ্য হতে হবে।”

২৪. কোনো সরকার যখন আমাদের প্রচার কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তখন আমরা কী করি?

২৪ সরকার যখন আমাদের কোনো বিধি নিষেধ ছাড়া প্রচার করার জন্য আইনি মান্যতা দেয় তখন আমরা যিহোবার সাক্ষিরা এর জন্য অনেক কৃতজ্ঞ হয়ে থাকি। কিন্তু যখন কোনো সরকার আমাদের কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তখনও আমরা প্রচার কাজ বন্ধ করে দিই না বরং এই কাজ করার পদ্ধতি পরিবর্তন করে থাকি। প্রেরিতদের মতো, “মানুষের প্রতি নয়” বরং শাসক হিসেবে “ঈশ্বরের প্রতিই আমাদের বাধ্য” হতে হবে। (প্রেরিত ৫:২৯; মথি ২৮:১৯, ২০) সেইসঙ্গে আমরা আদালতের কাছে আপিল করি যাতে আমাদের কাজের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা যেন তুলে নেওয়া হয়। এইরকম দুটো উদাহরণ নিয়ে বিবেচনা করুন।

২৫, ২৬. নিকারাগুয়ায় হওয়া কোন ঘটনার জন্য সেখানকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল? (খ) সেই মামলার রায় কী হয়েছিল?

২৫ নিকারাগুয়া। ১৯৫২ সালের ১৯ নভেম্বর মেনস্টারমেন নামে একজন ভাই যিনি মিশনারি ও শাখা দাস ছিলেন তিনি নিকারাগুয়ার রাজধানী মানাগুয়ায় ইমিগ্রেশন অফিসে যায়। তাকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল, তিনি যেন সেই অফিসের বড়ো অফিসার ক্যাপ্টেন আরনল্ড গার্সিয়ার সামনে হাজির হন। সেই ক্যাপ্টেন ভাই মেনস্টারমেনকে বলেন, নিকারাগুয়ায় সমস্ত যিহোবার সাক্ষিদের উপর “নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আর তারা আজ থেকে তাদের শিক্ষাগুলো অন্যদের কাছে প্রচার করতে এবং কোনোরকম ধর্মীয় কাজ করতে পারবে না।” ভাই যখন কারণ জানতে চান তখন ক্যাপ্টেন বলেন, সরকার সাক্ষিদের প্রচার করার জন্য অনুমতি দেয়নি এবং তাদের উপর কমিউনিস্ট অর্থাৎ সাম্যবাদী হওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। আমাদের উপর কে এই অভিযোগ নিয়ে এসেছিল? রোমান ক্যাথলিক পাদরি।

নিষেধাজ্ঞা থাকার সময় নিকারাগুয়ার ভাই-বোনেরা

২৬ ভাই মেনস্টারমেন দ্রুত সরকার, ধর্মীয় মন্ত্রালয় ও রাষ্ট্রপতি আনাস্টাসিয়ো সমসার কাছে আপিল করেন। তবে কোনো লাভ হয় না। তাই ভাইয়েরা উপাসনা করার পদ্ধতি পরিবর্তন করেন। তারা কিংডম হলে মিলিত হওয়া বন্ধ করে দেয় ও ছোটো ছোটো দলে মিলিত হতে থাকে। সেইসঙ্গে তারা রাস্তায় সাক্ষ্যদান করা বন্ধ করে দেয় কিন্তু অন্যান্য উপায়ে রাজ্যের বার্তা প্রচার করতে থাকে। সেইসঙ্গে তারা নিকারাগুয়া সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে যাতে তাদের উপর করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। আমাদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং আমরা আবেদনে কী কী বলেছি তা খবরের কাগজের মাধ্যমে দূর দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের মামলা শোনার জন্য রাজি হয়ে যায়। মামলার ফলাফল কি হয়েছিল? সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত জর্জ একমত হয়ে সাক্ষিদের পক্ষে রায় দেয় আর এই রায় ১৯৫৩ সালের ১৯ জুন প্রকাশ করা হয়। আদালত সমস্ত দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তে এসেছিল যে, সাক্ষিদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে কারণ সংবিধান প্রত্যেকে বলার, নিজের বিবেক অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং নিজেদের ধার্মিক শিক্ষাগুলো প্রচার করার অধিকার দেয়। আদালত নিকারাগুয়া সরকারকে এই হুকুমও দেয় যেন তারা সাক্ষিদের সঙ্গে আগের মতো ভালো ব্যবহার করে।

২৭. নিকারাগুয়ার লোকেরা কেন আদালতের রায় শুনে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল? (খ) আমাদের ভাইয়েরা এই বিজয়কে কীভাবে দেখেছিল?

২৭ নিকারাগুয়ার লোকেরা এটা দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল যে, সুপ্রিম কোর্ট সাক্ষিদের পক্ষে রায় দিয়েছে। সেইসময় পর্যন্ত পাদরিদের এতটাই প্রভাব ছিল যে, আদালত তাদের সঙ্গে কোনোরকম সমস্যায় জড়াতে চাইত না। সরকারি আধিকারিকদেরও এতটাই ক্ষমতা ছিল যে, আদালত খুব কমই তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যেতেন। আমাদের ভাইয়েরা নিশ্চিত ছিল যে, তারা এই বিজয় লাভ করতে পেরেছে কারণ তাদের রাজা যিশু তাদের রক্ষা করছেন তাই তারা প্রচার কাজ করা বন্ধ করেনি।—প্রেরিত ১:৮.

২৮, ২৯. ১৯৮৫ সালের দিকে কীভাবে জাইরে হঠাৎ করে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়ে যায়?

২৮ জাইর। ১৯৮৫ সালের মাঝামাঝি জাইরে ৩৫ হাজারের মতো যিহোবার সাক্ষি ছিল। (বর্তমানে এই দেশ কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত।) এখানে রাজ্যের কাজ এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছিল যে, শাখা অফিস নতুন নতুন বিল্ডিং তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সেখানকার রাজধানী কিনশাসার এক স্টেডিয়ামে একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাই-বোনেরা যোগ দিয়েছিল আর এই সম্মেলনে মোট ৩২০০০ জন উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু কিছু সময় পর যিহোবার সাক্ষিদের পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে থাকে। কীভাবে?

২৯ সেই সময়ে মার্সেল ফিল্টো নামে একজন মিশনারি ভাই জাইরে সেবা করতেন। তিনি কানাডার কিউবেক শহরের বাসিন্দা ছিলেন এবং ডুপ্লেসিস শাসনের সময় তাড়না সহ্য করেছিলেন। ভাই জানিয়েছিলেন যে, জাইরে সেই সময় কি ঘটেছিল। “১৯৮৬ সালের ১২ই মার্চ দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইয়েরা একটা চিঠি পান। সেই চিঠিতে লেখা ছিল জাইরে যিহোবার সাক্ষিদের নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।” আর এই চিঠিতে দেশের রাষ্ট্রপতি মবুটু সেসে সকোর সাক্ষর ছিল।

৩০. শাখা কমিটিকে কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল? (খ) তারা কোন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?

৩০ পরের দিন রেডিওতে একটা ঘোষণা শোনা যায়, যাতে বলা হয়েছিল, “আমরা [জাইরে] আর কোনো দিন যিহোবার সাক্ষিদের নাম শুনবো না।” ঠিক তারপরেই যিহোবার সাক্ষিদের উপর অত্যাচার শুরু হয়। কিংডম হল ভেঙে দেওয়া হয়, ভাইদের ঘর লুট করা হয়, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়, জেলে বন্দি করা হয় এবং তাদের মারধর করা হয়। এমনকি তাদের সন্তানদেরও জেলে রাখা হয়। ১৯৮৮ সালের ১২ অক্টোবর সরকার আমাদের সংগঠনের যাবতীয় সম্পত্তি দখল করে নেয় আর সেনাবাহিনীর একটা দল সিভিল গার্ড আমাদের শাখা অফিস দখল করে নেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইয়েরা রাষ্ট্রপতি মবুটুর কাছে আপিল করেন কিন্তু কোন উত্তর পান না। সেই সময় শাখা কমিটিকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হত যে, “তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবে নাকি অপেক্ষা করবে।” সেই সময়ে শাখা কমিটির কোঅর্ডিনেটর ভাই তিমথি হোমস্‌ যিনি একজন মিশনারি ছিলেন, তিনি স্মরণ করে বলেন, “আমরা প্রজ্ঞা ও নির্দেশনার জন্য যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলাম।” সেই সময় এই বিষয়ে প্রার্থনা ও অনেক চিন্তা করার পর সংগঠন এই সিদ্ধান্তে এসেছিল যে, এখন আইনি লড়াই করার সঠিক সময় নয়। তাই তারা ভাই-বোনদের যত্ন নেওয়ার এবং কীভাবে অন্যান্য উপায়ে প্রচার কাজ করা যায় সেই দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিল।

“সেই মামলার সময় আমরা দেখেছিলাম যে, যিহোবা কীভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারেন।”

৩১, ৩২. জাইরের সুপ্রিম কোর্ট কোন আশ্চর্যজনক রায় দিয়েছিল? (খ) এই রায় ভাইদের উপর কোন প্রভাব ফেলেছিল?

৩১ অনেক বছর কেটে যায়, যিহোবার সাক্ষিদের উপর ধীরে ধীরে তাড়না কমে যায় এবং দেশে মানবঅধিকারকে অনেক উচ্চ মূল্য দেওয়া হচ্ছিল। শাখা কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয় যে, আমাদের উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার সময় এসেছে। তাই তারা জাইরের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল। আশ্চর্যের বিষয় হল, সুপ্রিম কোর্ট তাদের মামলাটা শোনার জন্য রাজি হয়ে যায়। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি নিষেধাজ্ঞা জারি করার সাত বছর পর সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দিয়েছিল যে, সরকার সাক্ষিদের উপর যে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিল, তা বেআইনি ছিল। তাই তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত অলৌকিক কাজের থেকে কম কিছু ছিল না। বিচারপতিরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল। ভাই হোমস্‌ বলেছিলেন, “সেই মামলার সময় আমরা দেখেছিলাম যে, যিহোবা কীভাবে পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারেন।” (দানিয়েল ২:২১) এই বিজয়ের ফলে আমাদের ভাইদের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছিল। তারা এটা অনুভব করেছিল যে, রাজা যিশু তাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছেন যে, কখন ও কীভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে সাক্ষিরা আনন্দিত কারণ তারা যিহোবাকে উপাসনা করার স্বাধীনতা লাভ করেছে

৩২ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর শাখা অফিসকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তারা মিশনারিদের আমন্ত্রণ জানাতে পারে, নতুন শাখা অফিস নির্মাণ করতে পারে এবং বিদেশ থেকে প্রকাশনাও আনতে পারে। f পৃথিবীব্যাপী ঈশ্বরের লোকেরা এটা দেখে কতই না খুশি হয় যে, যিহোবা তাঁর নিজের লোকদের কীভাবে সাহায্য করেন, যাতে তারা তাঁর সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারে।—যিশা. ৫২:১০.

“যিহোবা আমার সাহায্যকারী”

৩৩. কিছু মামলা নিয়ে আলোচনা করার মাধ্যমে আমরা কী শিখেছি?

৩৩ এখনও পর্যন্ত আমরা যে আইনি লড়াইগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি সেগুলো এটা প্রমাণ দেয় যে, যিশু তাঁর প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি তোমাদের এমন কথা ও প্রজ্ঞা জুগিয়ে দেব যে, তোমাদের সমস্ত বিরোধী একত্রে মিলেও তা প্রতিরোধ করতে অথবা খণ্ডন করতে পারবে না।” (পড়ুন, লূক ২১:১২-১৫) বর্তমানেও যিহোবা কখনো কখনো গমলীয়েলের মত লোকদের ব্যবহার করে, তাঁর লোকদের রক্ষা করেন অথবা সাহসী বিচারপতিদের ও উকিলদের ন্যায়ের পক্ষ সমর্থন করার জন্য পরিচালিত করেন। যিহোবা আমাদের বিরোধীদের হাতিয়ারগুলো অকেজ বলে প্রমাণ করে দিয়েছেন। (পড়ুন, যিশাইয় ৫৪:১৭) ঈশ্বরের কাজকে যতই বাধা দেওয়া হোক না কেন, সেটা কখনো থেমে যাবে না।

৩৪. (ক) আমরা যে মামলাগুলোতে বিজয় লাভ করেছি, সেগুলো কেন অবাক করে দেওয়ার মতো? (খ) এর থেকে কোন বিষয়টা প্রমাণ হয়? (“ আদালতের কাছ থেকে পাওয়া আশ্চর্যজনক জয় প্রচার কাজকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।)

৩৪ আমরা যে মামলাগুলো জিতেছি সেগুলো কেন অবাক করে দেওয়ার মতো? এই বিষয়টার উপর একটু মনোযোগ দিন। যিহোবার সাক্ষিরা অনেক প্রভাবশালী অথবা উচ্চপদস্থ ব্যক্তি নয়। আমরা ভোট দিই না অথবা কোন রাজনৈতিক অভিযানে অংশ নিই না কিংবা কোনো নেতাকে নিজেদের দিকে টানারও চেষ্টা করি না। শুধু তাই নয়, আমাদের মধ্যে যাদেরকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তিকেই “অশিক্ষিত এবং সাধারণ” ব্যক্তি বলে মনে করা হয়। (প্রেরিত ৪:১৩) এর পরিবর্তে যারা আমাদের বিরোধিতা করে যেমন, ধর্মীয় এবং সরকারি আধিকারিকরা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাশালী। তাই মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটা অসম্ভব বলে মনে হয় যে, আদালত এই বিরোধীদের বিপক্ষে গিয়ে আমাদের সাহায্য করবে। কিন্তু আদালত অনেকবার আমাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে। আমাদের আইনি বিজয়গুলো এই বিষয়টা প্রমাণ দেয় যে, ”আমরা ঈশ্বরের সামনে খ্রিস্টের অনুসারী হিসেবে” চলছি। (২ করিন্থীয় ২:১৭) তাই আমরা পেরিত পৌলের মত বলতে পারি, “যিহোবা আমার সাহায্যকারী; আমি ভয় করব না।”—ইব্রীয় ১৩:৬.

a এই মামলাকে ক্যেন্টওয়েল বনাম ক্যানেটিকিট রাজ্য বলা হয়। এই মামলাটা সেই ৪৩টা মামলার মধ্যে প্রথম ছিল যেখানে ভাই হেডেন ক্যোভিনটন আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে ভাইদের পক্ষে লড়ে ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ভাই মারা যান। ২০১৫ সালে তার স্ত্রী ডরথি মারা যান, মারা যাওয়ার সময় তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। এই বোন মৃত্যু পর্যন্ত বিশ্বস্তভাবে সেবা করেছিলেন।

b এই অভিযোগ ১৬০৬ সালে জারি হওয়া একটা আইনের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল। সেই আইন অনুযায়ী বিচার সংক্রান্ত কমিটির (জুরি) যদি মনে হয় যে, কোনো ব্যক্তির কথা সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে পারে এমন কী সেই ব্যক্তি যদি সত্য কথাও বলে থাকেন, তা হলেও সেই সমিতি ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারে।

c ১৯৫০ সালে পুরো কিউবেকে ১৬৪ জন পূর্ণ সময়ের দাস ছিলেন। যার মধ্যে ৬৩ জন গিলিয়েড গ্যাজুয়েট ছিলেন। তাদের যখন কিউবেকে গিয়ে সেবার করার জন্য বলা হয় তখন তারা আনন্দের সঙ্গে রাজি হয়ে যায়, যদিও তারা জানত যে সেখানে তাদের তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হবে।

d ভাই ডব্লু. গ্লেন হাউ অনেক সাহসী উকিল ছিলেন। ১৯৪৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি কানাডা ও অন্যান্য দেশে অনেক কৌশলতার সঙ্গে যিহোবার সাক্ষিদের হয়ে শত শত মামলা লড়েছিলেন।

e এই মামলার বিষয়ে আরও জানার জন্য ২০০০ সালের ২২ এপ্রিল “এই যুদ্ধ তোমাদের নয়, কিন্তু ঈশ্বরের” শিরোনামের সজাগ হোন! ইংরেজি পত্রিকাটি দেখুন।

f সিভিল গার্ডরা শেষ পর্যন্ত শাখা অফিসের বিল্ডিং খালি করে দেয়। কিন্তু তারপরও অন্য একটা জায়গায় নতুন শাখা অফিস নির্মাণ করা হয়েছিল।