নতুন জগতের ভিত্তি এখন থেকেই গঠিত হচ্ছে
অংশ ১১
নতুন জগতের ভিত্তি এখন থেকেই গঠিত হচ্ছে
আর একটি অপূর্ব বিষয় হল যে, এমনকি শয়তানের জগতের অধঃপতনের সাথে সাথে এখনই নতুন জগতের ভিত্তি গঠন করা হচ্ছে। আমাদের চোখের সামনেই, ঈশ্বর সমস্ত জাতি থেকে লোকেদের সংগ্রহ করছেন এবং তাদের নিয়ে এক নতুন পার্থিব সমাজের ভিত্তি গঠন করছেন যা শীঘ্রই বর্তমানের অনৈক্যপূর্ণ জগতকে প্রতিস্থাপিত করবে। বাইবেলে ২ পিতর ৩:১৩ পদে এই নতুন সমাজকে “নূতন পৃথিবী” বলা হয়েছে।
২ বাইবেল ভাববাণী আরও বলে: “শেষকালে [আমরা যে সময়ে বাস করছি] . . . অনেক দেশের লোক যাইবে, বলিবে, চল, আমরা সদাপ্রভুর পর্ব্বতে [তাঁর সত্য উপাসনা], . . . গিয়া উঠি; তিনি আমাদিগকে আপন পথের বিষয়ে শিক্ষা দিবেন, আর আমরা তাঁহার মার্গে গমন করিব।”—যিশাইয় ২:২-৩.
৩ সেই ভবিষ্যদ্বাণীটি তাদের মধ্যে এখন পূর্ণ হচ্ছে যারা ‘ঈশ্বরের পথে ও তাঁর মার্গে গমন করতে’ স্বীকার করছে। প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১৪; মথি ২৪:৩.
বাইবেলের শেষ পুস্তকটি শান্তিপ্রিয় আন্তর্জাতিক এই লোক-সমাজকে বলে যে তারা “প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক,” এবং প্রকৃতই বিশ্বব্যাপী এক ভ্রাতৃসমাজ একত্রে ঈশ্বরকে সেবা করছে। আর বাইবেল আরও বলে: “ইহারা সেই লোক, যাহারা সেই মহাক্লেশের মধ্য হইতে আসিয়াছে।” অর্থাৎ তারা এই মন্দ বিধিব্যবস্থার শেষ থেকে রক্ষাপ্রাপ্ত হবে।—এক প্রকৃত আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃসমাজ
৪ লক্ষ লক্ষ যিহোবার সাক্ষীগণ ঈশ্বরের নির্দেশ ও পথ অনুসারে জীবনযাপন করতে প্রকৃতই চেষ্টা করেন। তাদের অনন্ত জীবনের আশা ঈশ্বরের নতুন জগতের উপর নোঙ্গর বাঁধা আছে। প্রতিদিন ঈশ্বরের নিয়মানুসারে জীবন পরিচালিত করে, তারা বর্তমানে ও নতুন জগতে ঈশ্বরের শাসনের প্রতি অধীনতা স্বীকার করার ইচ্ছাটি প্রকাশ করে। জাতি ও বর্ণ নির্বিশেষে তারা প্রত্যেকটি জায়গায় একই মান অনুসরণ করে—যেগুলি ঈশ্বর তাঁর বাক্যে লিখে দিয়েছেন। সেই কারণেই তারা প্রকৃতই এক আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃসমাজ, এক নতুন জগত সমাজ যা ঈশ্বর করতে চলেছেন।—যিশাইয় ৫৪:১৩; মথি ২২:৩৭, ৩৮; যোহন ১৫:৯, ১৪.
৫ যিহোবার সাক্ষীগণ এই অনুপম বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃসমাজের জন্য নিজেরা কৃতিত্ব নেয় না। তারা জানে যে এটি হল, যারা ঈশ্বরের নিয়মের প্রতি বাধ্য হয়, তাদের উপর ঈশ্বরের শক্তিশালী আত্মার কার্যের ফল। (প্রেরিত ৫:২৯, ৩২; গালাতীয় ৫:২২, ২৩) এটি ঈশ্বরের কার্য। যেমন যীশু বলেন, “যাহা মনুষ্যের অসাধ্য, তাহা ঈশ্বরের সাধ্য।” (লূক ১৮:২৭) তাই যে ঈশ্বর এই স্থায়ী মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলেন, তিনিই স্থায়ী এই নতুন জগৎ সমাজ গঠন করতেও সক্ষম হয়েছেন।
৬ তাই যিহোবা, যেটি এখন গঠিত হচ্ছে সেই নতুন জগতের ভিত্তিরূপে যা সৃষ্টি করছেন তাতে তাঁর শাসন করার রীতি ইতিমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। আর তিনি তাঁর সাক্ষীদের নিয়ে যা করেছেন, তা এক অর্থে, বর্তমান দিনে এক আশ্চর্য কাজ। কেন? কারণ তিনি যিহোবার সাক্ষীদের বিশ্বব্যাপী এক প্রকৃত ভ্রাতৃসমাজ গঠন করেছেন যা কখনই বিভেদসৃষ্টিকারী জাতি, বর্ণ, অথবা ধর্মের আগ্রহের জন্য ভাঙ্গতে পারে না। সাক্ষীদের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ এবং ২০০টিরও অধিক দেশে বসবাস করলেও, তারা অটুট বাঁধনে একত্রে বাঁধা আছে। সমস্ত ইতিহাসে অনুপম এই বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃসমাজ প্রকৃতই বর্তমান দিনের এক আশ্চর্যকাজ—ঈশ্বরের কার্য।—যিশাইয় ৪৩:১০, ১১, ২১; প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫; গালাতীয় ৩:২৮.
ঈশ্বরের প্রজাদের শনাক্ত করা
৭ আরও উত্তমরূপে কিভাবে নির্ধারিত করা যেতে পারে যে, ঈশ্বর কাদের তাঁর নতুন জগতের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করছেন? জানেন, কারা যীশুর বাক্য যোহন ১৩:৩৪, ৩৫ পূর্ণ করে? তিনি বলেছিলেন: “এক নূতন আজ্ঞা আমি তোমাদিগকে দিতেছি, তোমরা পরস্পর প্রেম কর; আমি যেমন তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি, তোমরাও তেমনি পরস্পর প্রেম করিও।” যিহোবার সাক্ষীগণ যীশুর বাক্যতে বিশ্বাস করে ও সেই অনুসারে কার্য করে। ঈশ্বরের বাক্য যেমন নির্দেশ দেয়, তারা “সর্ব্বাপেক্ষা পরস্পর একাগ্র ভাবে প্রেম” করে। (১ পিতর ৪:৮) তাছাড়া তারা ‘প্রেম [নিজেদের] পরিধান করায়, তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন।’ (কলসীয় ৩:১৪) তাই ভ্রাতৃপ্রেম হল সেই “আঠাস্বরূপ” যা বিশ্বব্যাপী তাদের একত্রে যুক্ত করে রাখে।
৮ এছাড়া, ১ যোহন ৩:১০-১২ বলে: “ইহাতে ঈশ্বরের সন্তানগণ এবং দিয়াবলের সন্তানগণ প্রকাশ হইয়া পড়ে; যে কেহ ধর্ম্মাচরণ না করে, এবং যে ব্যক্তি আপন ভ্রাতাকে প্রেম না করে, সে ঈশ্বরের লোক নয়। কেননা তোমরা আদি হইতে যে বার্ত্তা শুনিয়াছ, তাহা এই, আমাদের পরস্পর প্রেম করা কর্ত্তব্য; কয়িন যেমন সেই পাপাত্মার লোক, এবং আপন ভ্রাতাকে বধ করিয়াছিল, তেমন যেন না হই।” তাই ঈশ্বরের লোকেরা এক অহিংস, বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃসমাজ।
শনাক্তকরণের অপর একটি বৈশিষ্ট্য
৯ ঈশ্বরের দাসদের শনাক্ত করার আর একটি উপায় আছে। জগৎ শেষের ভাববাণীতে, যীশু অনেক কিছু বলেন যেগুলি এই নির্দিষ্ট সময়কে শেষকাল রূপে চিহ্নিত করে। (এই ব্রোশারের অংশ ৯ দেখুন।) এই ভাববাণীর এক মূল বৈশিষ্ট্যটি তাঁর বাক্য মথি ২৪:১৪ পদে উল্লিখিত আছে: “সর্ব্ব জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।”
১০ আমরা কি সেই ভাববাণী পূর্ণ হতে দেখছি? হ্যাঁ। শেষকাল ১৯১৪ সাল থেকে শুরু হলেই, যিহোবার সাক্ষীগণ যীশুর নির্দেশ অনুসারেই, লোকেদের ঘরে ঘরে গিয়ে জগতব্যাপী ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করেছেন। (মথি ১০:৭, ১২; প্রেরিত ২০:২০) প্রতিটি দেশে লক্ষ লক্ষ সাক্ষীগণ নতুন জগৎ সম্বন্ধে বলার জন্য লোকেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই কারণেই আপনি এই ব্রোশারটি পেয়েছেন, কারণ যিহোবার সাক্ষীদের কাজের মধ্যে সংযুক্ত আছে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে কোটি কোটি সাহিত্যাদি ছাপানো ও বিতরণ করা। আপনি কি অন্য কারুর সম্বন্ধে জানেন যারা জগতব্যাপী ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে গৃহে গৃহে প্রচার করেন? আর মার্ক ১৩:১০ প্রদর্শন করে যে এই প্রচার ও শিক্ষার কাজ শেষ আসার পূর্বে “অগ্রে” করা হবে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিচার্য বিষয়টির উত্তর দেওয়া
১১ ঈশ্বরের নিয়ম ও নীতির প্রতি বাধ্য হয়ে যিহোবার সাক্ষীগণ আরও কিছু সম্পাদন করেন। তারা শয়তানকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে কারণ সে দাবী করেছিল যে পরীক্ষায় পড়লে মানুষেরা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারবে না, আর এইভাবে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিচার্য বিষয়টির তারা উত্তর দেয় যার সাথে জড়িত ছিল মানুষের বিশ্বস্ততা। (ইয়োব ২:১-৫) বিভিন্ন জাতির থেকে আগত লক্ষ লক্ষ লোকদের নিয়ে গঠিত একটি সমাজে থেকে, যিহোবার সাক্ষীগণ একদেহ স্বরূপ হয়ে ঈশ্বরের শাসনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন। শয়তানতুল্য চাপ থাকা সত্ত্বেও, অসিদ্ধ মানুষ হয়েও সার্বিক সার্বভৌমতার বিচার্য বিষয়ে তারা ঈশ্বরের পক্ষ সমর্থন করেন।
১২ অতীতের অন্যান্য সাক্ষীর বৃহৎ সারি যারা ঈশ্বরের প্রতি তাদের আনুগত্য প্রদর্শন করেছিল তাদের সাক্ষ্যের সাথে যুক্ত হয় বর্তমানের এই লক্ষাধিক যিহোবার সাক্ষীদের সাক্ষ্য। অল্প করে উল্লেখ করলে তাদের কয়েকজন ছিলেন হেবল, নোহ, ইয়োব, অব্রাহাম, সারা, ইস্হাক, যাকোব, দবোরা, রূৎ, দায়ূদ ও দানিয়েল। (ইব্রীয়, ১১ অধ্যায়) বাইবেল যেমন বলে, তারা হলেন ‘বৃহৎ সাক্ষীমেঘ।’ (ইব্রীয় ১২:১) এই ব্যক্তিরা ও যীশুর শিষ্যগণসহ অন্যান্যরা ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখেন। আর যীশু স্বয়ং নিখুঁতরূপে আনুগত্য বজায় রেখে এক মহান উদাহরণ স্থাপন করেন।
১৩ শয়তান সম্বন্ধে যীশু যা ধর্মীয় নেতাদের বলেন এটি তা সত্য প্রমাণ করে: “ঈশ্বরের কাছে সত্য শুনিয়া তোমাদিগকে জানাইয়াছি যে আমি, আমাকেই বধ করিতে চেষ্টা করিতেছ . . . তোমরা আপনাদের পিতা দিয়াবলের, এবং তোমাদের পিতার অভিলাষ সকল পালন করাই তোমাদের ইচ্ছা; সে আদি হইতেই নরঘাতক, সত্যে থাকে নাই। সে যখন মিথ্যা বলে, তখন আপনা হইতেই বলে, কেননা সে মিথ্যাবাদী ও তাহার পিতা।”—যোহন ৮:৪০, ৪৪.
আপনার মনোনয়নটি কী?
১৪ যিহোবার সাক্ষীদের আন্তর্জাতিক সমাজে ঈশ্বরের দ্বারা এখন নতুন জগতের ভিত্তি গঠন হচ্ছে যেটি দিনে দিনে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোক সঠিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তাদের স্বাধীন ইচ্ছা, ঈশ্বরের শাসনকে গ্রহণ করার জন্য ব্যবহার করছেন। তারা নতুন জগৎ সমাজের অংশে পরিণত হয়ে, এবং সার্বভৌমত্বের বিচার্য বিষয়ে ঈশ্বরের পক্ষটি তুলে ধরে, শয়তানকে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত করেন।
১৫ ঈশ্বরের শাসনকে নির্বাচন করে, তারা খ্রীষ্টের ‘দক্ষিণ হস্তে’ থাকতে যোগ্য হয় যখন তিনি “ছাগ” থেকে “মেষ” মথি ২৫:৩১-৪৬.
পৃথক করেন। শেষকাল সম্বন্ধে তাঁর ভাববাণীতে, যীশু বলেন: “সমুদয় জাতি তাঁহার সম্মুখে একত্রীকৃত হইবে; পরে তিনি তাহাদের এক জন হইতে অন্য জনকে পৃথক্ করিবেন, যেমন পালরক্ষক ছাগ হইতে মেষ পৃথক্ করে; আর তিনি মেষদিগকে আপনার দক্ষিণদিকে ও ছাগদিগকে বামদিকে রাখিবেন।” মেষ হল নম্র লোকেরা যারা ঈশ্বরের শাসনের প্রতি বাধ্যতা প্রদর্শন করে খ্রীষ্টের ভ্রাতাদের সমর্থন করে ও তাদের সাথে মেলামেশা করে। ছাগরা হল একগুঁয়ে ব্যক্তিরা যারা খ্রীষ্টের ভ্রাতাদের প্রত্যাখ্যান করে এবং ঈশ্বরের শাসনকে সমর্থন করতে কিছুই করে না। এর পরিণতি কী হবে? যীশু বলেন: “ইহারা [ছাগগণ] অনন্ত দন্ডে, কিন্তু ধার্ম্মিকেরা [মেষগণ] অনন্ত জীবনে প্রবেশ করিবে।”—১৬ প্রকৃতই, ঈশ্বর আমাদের জন্য চিন্তা করেন! অতি শীঘ্রই তিনি আমাদের জন্য আনন্দময় এক পরমদেশ প্রদান করবেন। আপনি কি সেই পরমদেশে বাস করতে চান? যদি চান, তাহলে তাঁর সম্বন্ধে শিক্ষা করে এবং যা শিখেছেন সেই অনুসারে কাজ করে, যিহোবার ব্যবস্থার প্রতি আপনার উপলব্ধিটি প্রদর্শন করুন। “সদাপ্রভুর অন্বেষণ কর, যাবৎ তাঁহাকে পাওয়া যায়, তাঁহাকে ডাক, যাবৎ তিনি নিকটে থাকেন; দুষ্ট আপন পথ, অধার্ম্মিক আপন সঙ্কল্প ত্যাগ করুক; এবং সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিয়া আইসুক, তাহাতে তিনি তাহার প্রতি করুণা করিবেন।”—যিশাইয় ৫৫:৬, ৭.
১৭ সময় নষ্ট করার সময় নেই। এই পুরনো বিধিব্যবস্থার শেষ অতি নিকটে। ঈশ্বরের বাক্য পরামর্শ দেয়: “তোমরা জগৎকে প্রেম করিও না, জগতীস্থ বিষয় সকলও প্রেম করিও না। কেহ যদি জগৎকে প্রেম করে, তবে পিতার প্রেম তাহার অন্তরে নাই। . . . আর জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।”—১ যোহন ২:১৫-১৭.
১৮ নতুন জগতে অনন্ত জীবনের জন্য ঈশ্বরের প্রজাদের এখন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। একটি পরমদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় আত্মিক ও অন্যান্য কুশলতা তারা শিক্ষা করছে। আমরা আপনাকে আবেদন জানাচ্ছি ঈশ্বরকে শাসক হিসাবে মনোনয়ন করুন এবং বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী জীবনরক্ষার কার্য তিনি যে সম্পাদন করছেন তার সমর্থন করুন। যিহোবার সাক্ষীগণের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করুন, এবং ঈশ্বর যিনি প্রকৃতই আপনার জন্য চিন্তা করেন ও যিনি দুঃখকষ্টের শেষ করবেন, তাঁকে জানুন। এইরূপে আপনিও নতুন জগতের ভিত্তির অংশ হতে পারবেন। আর তখনই আপনি ঈশ্বরের অনুমোদন পেতে ও সেই অপূর্ব নতুন জগতে অনন্তকাল বাস করতে দৃঢ় নিশ্চয়তার সাথে আশা করতে পারেন।
[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]
১, ২. বাইবেল ভাববাণীর পরিপূর্ণতার সাথে আমাদের চোখের সামনে কী ঘটে চলেছে?
৩. (ক) কাদের মধ্যে যিশাইয়ের ভাববাণী পরিপূর্ণ হচ্ছে? (খ) এই সম্পর্কে কিভাবে বাইবেলের শেষ পুস্তকটি মন্তব্য করে?
৪, ৫. যিহোবার সাক্ষীদের জগতব্যাপী ভ্রাতৃসমাজ কেন সম্ভব?
৬. যিহোবার সাক্ষীগণের ভ্রাতৃসমাজকে কেন বর্তমান দিনের এক আশ্চর্যকাজ বলা যেতে পারে?
৭. তাঁর সত্য অনুগামীদের কিভাবে শনাক্ত করা হবে বলে যীশু বলেন?
৮. কিভাবে ১ যোহন ৩:১০-১২ ঈশ্বরের প্রজাদের আরও ভালভাবে শনাক্ত করে?
৯, ১০. (ক) শেষ কালে কোন্ কাজের দ্বারা ঈশ্বরের সেবকেরা শনাক্ত হবে? (খ) কিভাবে যিহোবার সাক্ষীগণ মথি ২৪:১৪ পদকে পূর্ণ করেন?
১১. ঈশ্বরের শাসনের বাধ্য হয়ে যিহোবার সাক্ষীগণ আর কী সম্পাদন করেন?
১২. সাক্ষীগণ তাদের বিশ্বাসে, কাদের অনুসরণ করেন?
১৩. শয়তান সম্বন্ধে যীশুর কোন্ বাক্যগুলি সত্য প্রমাণিত হয়েছে?
১৪. নতুন জগতের ভিত্তির এখন কী হচ্ছে?
১৫. আমাদের দিনে কোন্ পৃথকীকরণের কাজ যীশু সম্পাদন করছেন?
১৬. আগত পরমদেশে বসবাস করতে চাইলে আপনার কী করা দরকার?
১৭. কাকে সেবা করতে হবে তা মনোনয়ন করার জন্য সময় নষ্ট করার সময় নেই কেন?
১৮. কোন্ পদক্ষেপ আপনাকে ঈশ্বরের অপূর্ব নতুন জগতে থাকার জন্য দৃঢ় নিশ্চয়তার আশা করতে সমর্থ করে?
[৩১ পৃষ্ঠার চিত্র]
যিহোবার সাক্ষীদের এক প্রকৃত আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃসমাজ আছে
[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের নতুন জগতের ভিত্তি এখনই গঠিত হচ্ছে