ঈশ্বরের উদ্দেশ্য শীঘ্রই বাস্তবে রূপায়িত হবে
অধ্যায় ৭
ঈশ্বরের উদ্দেশ্য শীঘ্রই বাস্তবে রূপায়িত হবে
১ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে গেলে ঈশ্বর যদিও বহুকাল অসিদ্ধতা ও দুঃখকষ্ট থাকতে অনুমতি দিয়েছেন কিন্তু তিনি মন্দ পরিস্থিতিকে অনির্দিষ্টকাল যাবৎ থাকতে দেবেন না। বাইবেল আমাদের বলে যে এই সকল ঘটতে অনুমতি দিতে ঈশ্বরের এক নির্দিষ্ট সময়কাল আছে।
২ “সকল বিষয়েরই সময় আছে।” (উপদেশক ৩:১) দুষ্টতা ও দুঃখকষ্ট থাকতে অনুমতি দিতে ঈশ্বরের নির্দিষ্ট করা সময় যখন পরিসমাপ্তিতে আসবে, তখন তিনি মানবের কার্যাবলিতে হস্তক্ষেপ করবেন। তিনি দুষ্টতা ও দুঃখকষ্টের সমাপ্তি করবেন এবং তাঁর আদি উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করবেন যেটি হল পরমদেশীয় পরিস্থিতির মধ্যে সম্পূর্ণ শান্তি ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা উপভোগরত সুখী ও সিদ্ধ মানব পরিবারে পূর্ণ এক পৃথিবী।
ঈশ্বরের বিচারগুলি
৩ বহু বাইবেল ভাববাণীগুলির মধ্যে কয়েকটি লক্ষ্য করুন যা বলে যে ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ, অর্থাৎ, তাঁর বিচারের ফলাফল, খুব শীঘ্রই মানব পরিবারের জন্য কি অর্থ রাখবে:
৪ “সরলগণ দেশে বাস করিবে, সিদ্ধেরা তথায় অবশিষ্ট থাকিবে। কিন্তু দুষ্টগণ দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে, বিশ্বাসঘাতকেরা তথা হইতে উন্মূলিত হইবে।”—হিতোপদেশ ২:২১, ২২.
৫ “দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে, কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারাই দেশের অধিকারী হইবে। আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, তুমি তাহার স্থান তত্ত্ব করিবে, কিন্তু সে আর নাই। কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।”—গীতসংহিতা ৩৭:৯-১১.
৬ “সদাপ্রভুর অপেক্ষায় থাক, তাঁহার পথে চল; তাহাতে তিনি তোমাকে দেশের অধিকার ভোগের জন্য উন্নত করিবেন; দুষ্টগণের উচ্ছেদ হইলে তুমি তাহা দেখিতে পাইবে। সিদ্ধকে অবধারণ কর, সরলকে নিরীক্ষণ কর; শান্তিপ্রিয় ব্যক্তির শেষ ফল আছে। অধর্ম্মাচারিগণ সকলেই বিনষ্ট হইবে; দুষ্টদের শেষ ফল উচ্ছিন্ন হইবে।”—৭ তাই, সেই অপূর্ব ভবিষ্যৎ অনুসারে, যা সকল ব্যক্তিরা উপভোগ করবে যারা সর্বশক্তিমান স্রষ্টার শাসন করার ক্ষমতাকে স্বীকার করে, আমাদের উৎসাহ দেওয়া হয়: “তোমার চিত্ত আমার আজ্ঞা সকল পালন করুক। কারণ তদ্দ্বারা তুমি আয়ুর দীর্ঘতা, জীবনের বৎসর-বাহুল্য, এবং শান্তি, প্রাপ্ত হইবে।” বাস্তবে, যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে বেছে নেয় তাদের অনন্ত জীবন দেওয়া হবে! ফলে, ঈশ্বরের বাক্য পরামর্শ দেয়: “তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না; তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।”—হিতোপদেশ ৩:১, ২, ৫, ৬.
স্বর্গ থেকে ঈশ্বরের শাসন
৮ ঈশ্বর পৃথিবী পরিষ্করণের কাজ মানবজাতির কখনও থাকতে পারে এমন এক সবথেকে উত্তম সরকারের মাধ্যমে করবেন। এটি এমন এক সরকার যা স্বর্গীয় প্রজ্ঞা প্রতিফলন করে কারণ তা ঈশ্বরের পরিচালনার অধীনে স্বর্গ থেকে শাসন করে। আর সেই স্বর্গীয় সরকার পৃথিবী থেকে সকল প্রকার মানব সরকারকে সরিয়ে দেবে। ঈশ্বর থেকে স্বাধীন হয়ে শাসন করার চেষ্টা করতে মানুষ আর বিকল্প কিছু বেছে নিতে পারবে না।
৯ এই সম্পর্কে দানিয়েল ২:৪৪ পদের ভবিষ্যদ্বাণী বলে: “সেই রাজগণের [বর্তমানের সরকারগুলি] সময়ে স্বর্গের ঈশ্বর এক রাজ্য [স্বর্গে] স্থাপন করিবেন, তাহা কখনও বিনষ্ট হইবে না, এবং সেই রাজত্ব অন্য জাতির হস্তে সমর্পিত হইবে না [ঈশ্বরের থেকে স্বাধীন থেকে মানুষকে আর শাসন করতে দেওয়া হবে না]; তাহা ঐ সকল রাজ্য [বর্তমানের] চূর্ণ ও বিনষ্ট করিয়া আপনি চিরস্থায়ী হইবে।”—আরও দেখুন প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১-২১; ২০:৪-৬.
১০ তাই, মানবজাতির উপরে দুর্নীতিপরায়ন শাসন আর থাকবে না, কারণ ঈশ্বর এই বিধিব্যবস্থার শেষ আনলে ঈশ্বরের থেকে স্বাধীন মানব শাসন আর কখনই থাকতে পারবে না। মথি ৬:১০.
আর যে রাজ্য স্বর্গ থেকে শাসন করবে তা দুর্নীতিগ্রস্ত হবে না যেহেতু ঈশ্বর হলেন এর উদ্ভাবক ও রক্ষক। পরিবর্তে, এটি তার মানব প্রজাদের মঙ্গলের জন্যই কাজ করবে। আর তখনই স্বর্গে যেমন, তেমন পৃথিবীতেও ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন হবে। সেই কারণেই যীশু তাঁর শিষ্যদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে শিক্ষা দিতে পেরেছিলেন: “তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।”—আমরা কত নিকটে?
১১ আমরা এই অতৃপ্তিকর বিধিব্যবস্থা এবং ঈশ্বরের নতুন জগতের প্রারম্ভের কত নিকটে? বাইবেল ভাববাণীগুলি আমাদের স্পষ্ট উত্তর দেয়। যেমন, যীশু স্বয়ং বলেছেন আমাদের কী দেখতে হবে ফলে যাকে বাইবেল বলে থাকে “যুগান্ত” সেই অনুযায়ী আমাদের স্থানটি আমরা নির্ধারণ করতে পারি। সেই সম্পর্কে মথি ২৪ এবং ২৫ অধ্যায় ও মার্ক ১৩ এবং লূক ২১ অধ্যায়ে লিখিত আছে। আরও, ২ তীমথিয় ৩ অধ্যায়ে যেমন লিখিত আছে, প্রেরিত পৌল ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে এমন এক সময়কাল আসবে যাকে “শেষ কাল” বলা হবে, যখন বিভিন্ন ঘটনাবলী আরও বেশি করে নির্দিষ্ট করবে যে আমরা সময়ের ধারায় কোথায় আছি।
১২ যীশু বলেন যে এই সকল ঘটনাবলী দিয়ে এই সময়কালের প্রারম্ভ হবে: “জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠিবে, এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প হইবে।” (মথি ২৪:৭) লূক ২১:১১ পদ দেখায় যে তিনি “স্থানে স্থানে . . . মহামারী হইবে” বলেও উল্লেখ করেন। আর “অধর্ম্মের বৃদ্ধি” সম্পর্কেও তিনি সাবধান করে দেন।—মথি ২৪:১২.
১৩ প্রেরিত পৌল ভাববাণী করেন: “কিন্তু ইহা জানিও, শেষ কালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে। কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্ম্মনিন্দক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু, স্নেহরহিত, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রিয়, প্রচণ্ড, সদ্বিদ্বেষী, বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্ব্বান্ধ, ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয় হইবে; লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে; . . . দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।”—২ তীমথিয় ৩:১-৫, ১৩.
১৪ যীশু ও পৌল যে সকল বিষয়ে বলেছিলেন তা কি আমাদের দিনে ঘটেছে? হ্যাঁ, নিশ্চয় সেগুলি ঘটেছে। সেই সময়াবধি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছিল সবথেকে জঘন্য যুদ্ধ। আধুনিক ইতিহাসে সেটি ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং যেটি ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। যুদ্ধের সাথে আসে খাদ্যাভাব, মহামারী ও অন্যান্য দুর্দশাগুলি। যেমন যীশু বলেছিলেন, ১৯১৪ সালের পর থেকে সেই সকল ঘটনাগুলি ছিল “যাতনার আরম্ভ মাত্র।” (মথি ২৪:৮) এগুলির সাথেই শুরু হয়েছিল ভবিষ্যদ্বাণী করা সময় “শেষ কাল,” শেষ বংশের আরম্ভ যখন ঈশ্বর দুষ্টতা ও দুঃখকষ্টের অনুমতি দেবেন।
১৫ বিংশ শতাব্দীর ঘটনাবলীর সাথে আপনি হয়ত পরিচিত আছেন। যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে তা হয়ত আপনি জানেন। প্রায় দশ কোটি লোক যুদ্ধে হত হয়েছে। কোটি কোটি লোক ক্ষুধা ও রোগব্যাধিতে মারা গেছে। ভূমিকম্প অগণিত লোকের জীবনহানি করেছে। জীবন ও সম্পত্তির প্রতি অশ্রদ্ধা বেড়েই চলেছে। অপরাধের ভয় দৈনন্দিন জীবনের এক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। নৈতিক মানকে হেয় জ্ঞান করা হচ্ছে। জনসংখ্যা বিস্ফোরণের সমস্যা রয়েছে যার সমাধান করা হয়নি। দূষণ জীবনের মানকে নষ্ট করে দিচ্ছে ও এমন কি একে বিপদাপন্ন করছে। প্রকৃতই, আমরা ১৯১৪ সাল থেকে শেষকালে বাস করছি এবং আমাদের সময় সম্পর্কে বাইবেল ভাববাণীর চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাচ্ছি।
১৬ শেষকালের এই সময়কাল কতদিন ধরে থাকবে? যে বংশ ১৯১৪ সাল থেকে “যাতনার আরম্ভ” দেখবে তাদের সম্বন্ধে যীশু বলেন: “এই কালের লোকদের লোপ হইবে না, যে পর্য্যন্ত না এ সমস্ত সিদ্ধ হয়।” (মথি ২৪:৮, ৩৪-৩৬) তাই, শেষকালের সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলি একটি বংশের জীবনকালেই ঘটা দরকার, সেটি হল ১৯১৪ সালের বংশ। সুতরাং ১৯১৪ সালে যারা জীবিত ছিলেন তাদের মধ্যে কিছু লোক এই বিধিব্যবস্থার শেষ আসা অবধি জীবিত থাকবেন। সেই বংশের লোকেরা এখন খুবই বৃদ্ধ হয়ে গেছেন, যা ইঙ্গিত করে যে ঈশ্বর এই বর্তমান বিধিব্যবস্থার শেষ আনার পূর্বে বেশি সময় আর বাকি নেই।
১৭ আর একটি ভবিষ্যদ্বাণী যা প্রদর্শন করে যে এই বিধিব্যবস্থার শেষ অতি নিকটে সেটি প্রেরিত পৌল প্রদান করেন, যিনি ভাববাণী করেন: “রাত্রিকালে যেমন চোর, তেমনি প্রভুর দিন আসিতেছে। লোকে যখন বলে শান্তি ও অভয়, তখনই তাহাদের কাছে . . . আকস্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়; আর তাহারা কোন ক্রমে এড়াইতে পারিবে না।”—১ থিষলনীকীয় ৫:২, ৩; আরও দেখুন লূক ২১:৩৪, ৩৫.
১৮ বর্তমানে ঠাণ্ডা লড়াই শেষ হয়ে গিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক যুদ্ধ হয়ত আর মহা ভীতির কারণ হবে না। তাই জাতিরা হয়ত মনে করতে পারে যে তারা নতুন জগৎ ব্যবস্থার খুবই নিকটে। কিন্তু যখনই তারা মনে করবে যে তাদের প্রচেষ্টা সফল হচ্ছে, তখনই তার উল্টোটি হবে, সেটি হবে ঈশ্বরের দ্বারা এই বিধিব্যবস্থার ধ্বংস যে আসন্ন, তার সর্বশেষ সঙ্কেত। মনে রাখবেন, রাজনৈতিক বোঝাপড়া এবং চুক্তিগুলি লোকেদের মধ্যে কোন প্রকৃত পরিবর্তন আনছে না। সেগুলি লোকেদের পরস্পরকে প্রেম করতে পরিচালিত করছে না। জগতের নেতারা অপরাধকে বন্ধ করতে পারছেন না, না পারছেন রোগ ও মৃত্যুকে দূর করতে। তাই, মানুষের কোন শান্তি ও সুরক্ষার প্রচেষ্টার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবেন না এবং মনে করবেন না যে এই জগৎ তার সমস্যাগুলি সমাধান করার পথে। (গীতসংহিতা ১৪৬:৩) সেই ঘোষণার প্রকৃত অর্থ হবে যে এই জগতের শেষ অতি নিকটে এসে গেছে।
সুসমাচার প্রচার
১৯ অপর একটি ভাববাণী যেটি দেখায় যে আমরা ১৯১৪ সাল থেকে শেষকালে বাস করছি, সেটি হল যেটি যীশু বলেছিলেন: “অগ্রে সর্ব্বজাতির কাছে সুসমাচার প্রচারিত হওয়া আবশ্যক।” (মার্ক ১৩:১০) অথবা যেমন মথি ২৪:১৪ পদ বলে: “সর্ব্বজাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।”
২০ বর্তমানে, জগতের শেষ এবং ঈশ্বরের রাজ্যের অধীনে আগত পরমদেশ নতুন জগৎ সম্পর্কে সুসমাচার সারা জগতে প্রচার করা হচ্ছে যা ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। কারা করছে? লক্ষ লক্ষ যিহোবার সাক্ষীগণ। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে তারা প্রচার করেছে।
২১ ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে প্রচার করার সাথে সাথে যিহোবার সাক্ষীরা এমন আচারব্যবহার করছেন যা তাদের খ্রীষ্টের প্রকৃত অনুসরণকারীরূপে শনাক্ত করছে, কারণ তিনি ঘোষণা করেছিলেন: “তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে প্রেম রাখ, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য।” তাই, প্রেমের অটুট বন্ধনে বদ্ধ আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্বে যিহোবার সাক্ষীরা একত্রিত।—যোহন ১৩:৩৫; আরও দেখুন যিশাইয় ২:২-৪; কলসীয় ৩:১৪; যোহন ১৫:১২-১৪; ১ যোহন ৩:১০-১২; ৪:২০, ২১; প্রকাশিত বাক্য ৭:৯, ১০.
২২ বাইবেল যা বলে তা যিহোবার সাক্ষীরা বিশ্বাস করে: “ঈশ্বর মুখাপেক্ষা করেন না; কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেহ তাঁহাকে ভয় করে ও ধর্ম্মাচরণ করে, সে তাঁহার গ্রাহ্য হয়।” (প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫) জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে তারা সমস্ত দেশের সহ-সাক্ষীদের আত্মিক ভাইবোন হিসাবে দেখে। (মথি ২৩:৮) সেই প্রকৃতির আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃত্ব আজ জগতে রয়েছে এবং সেটি আরও প্রমাণ করে যে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য খুব শীঘ্রই বাস্তবে রূপায়িত হবে।
[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]
১, ২. দুষ্টতা ও দুঃখকষ্ট শেষ করতে ঈশ্বর হস্তক্ষেপ করবেন বলে আমরা কেন নিশ্চিত থাকতে পারি?
৩, ৪. ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে হিতোপদেশের পুস্তক কিভাবে ফলাফল বর্ণনা করে?
৫, ৬. যখন ঈশ্বর হস্তক্ষেপ করবেন তখন কী ঘটবে সে সম্পর্কে গীতসংহিতা ৩৭ কিভাবে বলে?
৭. ঈশ্বরের বাক্য কোন্ বিচক্ষণ পরামর্শ আমাদের দেয়?
৮, ৯. এই পৃথিবীকে ঈশ্বর কী উপায়ে পরিষ্কার করবেন?
১০. ঈশ্বরের স্বর্গীয় রাজ্যের অধীন শাসনে আর কখনই দুর্নীতি আসবে না বলে কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি?
১১. এই বিধিব্যবস্থার কত নিকটে আছি তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে এমন ভাববাণীগুলি আমরা বাইবেলে কোথায় পাই?
১২, ১৩. শেষকাল সম্বন্ধে যীশু ও পৌল কী বলেছিলেন?
১৪, ১৫. বিংশ শতাব্দীর ঘটনাগুলি কিভাবে সাক্ষ্য দেয় যে আমরা নিশ্চয়ই শেষ কালে বাস করছি?
১৬. কত দিন যাবৎ শেষ কাল চলবে?
১৭, ১৮. কোন্ ভবিষ্যদ্বাণী দেখায় যে আমরা এই জগতের শেষের খুব নিকটে আছি?
১৯, ২০. শেষকালে প্রচার সম্বন্ধে কোন্ ভবিষ্যদ্বাণী এখন পরিপূর্ণ হচ্ছে?
২১, ২২. বিশেষভাবে, কোন্ বিষয়টি যিহোবার সাক্ষীগণকে সত্য খ্রীষ্টীয় হিসাবে শনাক্ত করে?
[২৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
ঈশ্বরের সিদ্ধ স্বর্গীয় সরকার হবে নতুন জগতে মানবজাতির একমাত্র শাসনব্যবস্থা