সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

খ্রীষ্টজগৎ ঈশ্বর ও বাইবেলকে প্রতারণা করেছে

খ্রীষ্টজগৎ ঈশ্বর ও বাইবেলকে প্রতারণা করেছে

অধ্যায় ৪

খ্রীষ্টজগৎ ঈশ্বর ও বাইবেলকে প্রতারণা করেছে

যারা বাইবেলকে অনুসরণ করে বলে দাবি করে থাকে তাদের মন্দ আচরণের জন্যই বহু দেশের লোকেরা বাইবেলকে এড়িয়ে চলে এবং এর প্রতি তাদের শ্রদ্ধার অভাব দেখা যায়। কোন কোন দেশে এও বলা হয় যে বাইবেল হল এমন একটি পুস্তক যা যুদ্ধ করতে পরিচালিত করে, এটি সাদা চামড়ার লোকেদের পুস্তক এবং এটি এমন এক বই যা ঔপনিবেশিক মনোভাবকে সমর্থন করে। কিন্তু ওইগুলি ভুল ধারণা।

মধ্যপ্রাচ্যে লেখা বাইবেল, খ্রীষ্টধর্মের নামে বহুকালব্যাপী যে ঔপনিবেশিক যুদ্ধ এবং লোভী শোষণ চলে আসছে তা সমর্থন করে না। পরিবর্তে বাইবেল পড়ে এবং যীশু যে সত্য খ্রীষ্টধর্ম শিখিয়েছিলেন তা শিখে আপনি জানতে পারবেন যে বাইবেল যুদ্ধ, অনৈতিকতা এবং অপরকে শোষণ করাকে তীব্র নিন্দা করে। দোষ লোভী লোকেদের, বাইবেলের নয়। (১ করিন্থীয় ১৩:১-৬; যাকোব ৪:১-৩; ৫:১-৬; ১ যোহন ৪:৭, ৮) তাই স্বার্থপর লোকেরা যারা বাইবেলের উত্তম পরামর্শের বিপরীতে চলে তাদের মন্দ আচরণ যেন বাইবেলের অমূল্য ধন থেকে আপনাকে উপকৃত হতে বঞ্চিত না করায়।

যারা বাইবেলকে অনুসরণ করে চলে না তাদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে খ্রীষ্টজগতের জাতিগুলি ও লোকেরা। “খ্রীষ্টজগৎ”-কে ব্যাখ্যা করা হয় জগতের সেই অংশ হিসাবে যেখানে খ্রীষ্টধর্ম প্রভাব বিস্তার করেছে। এটি বিশেষভাবে গির্জ্জার ব্যবস্থাসহ পাশ্চাত্য জগৎ, যেটি প্রায় চতুর্থ শতাব্দী থেকে বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে। শতাব্দীব্যাপী খ্রীষ্টজগতের কাছে বাইবেল আছে এবং এর পুরোহিতেরা বাইবেল থেকে শিক্ষা দেয় ও ঈশ্বরের প্রতিনিধি বলে দাবি করে। কিন্তু খ্রীষ্টজগতের পুরোহিতেরা ও মিশনারীরা কি সত্য শিক্ষা দেয়? তাদের কার্যাবলি কি প্রকৃতই ঈশ্বর ও বাইবেলকে প্রতিনিধিত্ব করে? না। চতুর্থ শতাব্দীতে থেকে এর ধর্ম পুরোভাগে আসার পর থেকে, খ্রীষ্টজগৎ ঈশ্বর ও বাইবেলের শত্রু প্রমাণিত হয়েছে। হ্যাঁ, ইতিহাসের সত্য বিবরণগুলি প্রদর্শন করে যে খ্রীষ্টজগৎ ঈশ্বর এবং বাইবেলকে প্রতারণা করেছে।

বাইবেল বহির্ভূত মতবাদগুলি

খ্রীষ্টজগতের মূল মতবাদগুলি বাইবেলের উপর নয় কিন্তু প্রাচীন কাল্পনিক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে আছে—যেগুলি হল গ্রীক, মিশর, বাবিলন ও অন্যান্য দেশের। এইরূপ শিক্ষাগুলি যেমন মানব আত্মার স্বাভাবিক অমরত্ব, নরকাগিনতে চিরকাল যন্ত্রণা, পুরগাতরি এবং ত্রিত্ব (একই ঈশ্বরত্বে তিন ব্যক্তি) বাইবেলে পাওয়া যায় না।

উদাহরণস্বরূপ, মন্দ লোকেরা অগিনময় নরকে চিরকাল যন্ত্রনা ভোগ করবে এমন শিক্ষাটির বিষয়ে বিবেচনা করুন। এই প্রকৃতির ধারণা সম্পর্কে আপনি কিরূপ বোধ করেন? অনেকে এটিকে বিরোধী প্রকৃতির মনে করেন। ঈশ্বর মানুষকে যন্ত্রনাদায়ক বেদনার মধ্যে রেখে চিরকাল কষ্ট দেবেন এরূপ ধারণাকে তারা অযৌক্তিক বলে ভাবেন। এরূপ চরম নিষ্ঠুর মনোভাব, বাইবেলের ঈশ্বরের বিপরীত, কারণ “ঈশ্বর প্রেম।” (১ যোহন ৪:৮) বাইবেল স্পষ্ট বলে যে সেই প্রকৃতির শিক্ষা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ‘মনেও কখন তা আসেনি।’—যিরমিয় ৭:৩১; ১৯:৫; ৩২:৩৫.

বর্তমানে বহু ধর্ম, সেই সঙ্গে খ্রীষ্টজগতের গির্জ্জাগুলিও শিক্ষা দেয় যে মানুষের এক অমর আত্মা আছে এবং মৃত্যুতে তা স্বর্গে অথবা নরকে যায়। এটি বাইবেলের শিক্ষা নয়। পরিবর্তে, বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে: “জীবিত লোকেরা জানে যে, তাহারা মরিবে; কিন্তু মৃতেরা কিছুই জানে না . . . তুমি যে স্থানে যাইতেছ, সেই পাতালে [কবর] কোন কার্য্য কি সঙ্কল্প, কি বিদ্যা কি প্রজ্ঞা, কিছুই নাই।” (উপদেশক ৯:৫, ১০) আর গীতরচক বলেন মৃত্যুতে মানুষ “নিজ মৃত্তিকায় প্রতিগমন করে; সেই দিনেই তাহার সঙ্কল্প সকল নষ্ট হয়।”—গীতসংহিতা ১৪৬:৪.

এছাড়া স্মরণ করুন যে আদম ও হবা যখন ঈশ্বরের নিয়ম লঙ্ঘন করে, তখন তাদের শাস্তি অমরত্ব ছিল না। তাহলে তা শাস্তি নয় কিন্তু পুরস্কারস্বরূপ হত! পরিবর্তে, তাদের বলা হয়েছিল তারা “মৃত্তিকায় প্রতিগমন করিবে; কেননা [তারা] তাহা হইতে গৃহীত হইয়াছে”। ঈশ্বর আদমকে জোর দিয়ে বলেন: “তুমি ধূলি, এবং ধূলিতে প্রতিগমন করিবে।” (আদিপুস্তক ৩:১৯) তাই, স্বাভাবিকরূপে আত্মার অমরত্ব লাভ বাইবেলের শিক্ষা নয় কিন্তু অ-খ্রীষ্টীয় লোকেদের কাছ থেকে খ্রীষ্টজগতের ধার করা শিক্ষা যারা তাদের অনেক পূর্বে বাস করত।

আরও, খ্রীষ্টজগতের ত্রিত্ব মতবাদ ঈশ্বরকে কোন এক রহস্যময় একের মধ্যে তিন ঈশ্বর হিসাবে প্রদর্শন করে। কিন্তু সেই শিক্ষাটিও বাইবেলে পাওয়া যায় না। যেমন, যিশাইয় ৪০:২৫ পদে ঈশ্বর স্পষ্টরূপে বলেন: “তোমরা কাহার সহিত আমার উপমা দিবে যে আমি তাহার সদৃশ হইব?” উত্তর হল স্পষ্ট: কেউ তাঁর সমকক্ষ হতে পারে না। তাছাড়া, গীতসংহিতা ৮৩:১৮ পদ সরলভাবে বলে: “তুমি, যাঁহার নাম সদাপ্রভু, একা তুমিই সমস্ত পৃথিবীর উপরে পরাৎপর।”—আরও দেখুন যিশাইয় ৪৫:৫; ৪৬:৯; যোহন ৫:১৯; ৬:৩৮; ৭:১৬.

ঈশ্বর এবং তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বাইবেলের শিক্ষা হল স্পষ্ট, সহজবোধ্য এবং যুক্তিসঙ্গত। খ্রীষ্টজগতের শিক্ষাগুলির ক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়। আরও মন্দ বিষয় হল, তারা বাইবেলের বিরোধিতা করে।

ঈশ্বরবিহীন ক্রিয়াকলাপ

১০ খ্রীষ্টজগৎ মিথ্যা মতবাদগুলি শিক্ষা দেওয়া ছাড়াও তার ক্রিয়াকলাপের দ্বারা ঈশ্বর এবং বাইবেলকে প্রতারণা করেছে। পুরোহিতেরা ও গির্জ্জাগুলি গত শতাব্দীগুলিতে যা করেছে এবং আমাদের সময়কালে যা করে চলেছে, তা বাইবেলের ঈশ্বরের চাহিদাগুলির বিপরীত আর খ্রীষ্টধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষার ও কার্যের সম্পূর্ণ ভিন্ন।

১১ যেমন, যীশু তাঁর অনুসরণকারীদের জগতের রাজনৈতিক বিষয়গুলির সাথে লিপ্ত এবং যুদ্ধের সাথে জড়িত না হতে শিক্ষা দেন। তাদের শান্তিপ্রিয় হতে, আইনমান্যকারী হতে, কোন পক্ষপাতিত্ব না করে সহ-মানবের প্রতি প্রেম দেখাতে, এমন কি অপরের জীবন না নিয়ে বরং নিজের জীবন ত্যাগ করতেও ইচ্ছুক থাকতে তিনি তাদের শিক্ষা দেন।—যোহন ১৫:১৩; প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫; ১ যোহন ৪:২০, ২১.

১২ হ্যাঁ, যীশু শিক্ষা দেন অপর মানবের প্রতি প্রেমই হবে সেই প্রতীক যা মিথ্যা খ্রীষ্টান, যারা কপট, তাদের থেকে সত্য খ্রীষ্টানদের চিহ্নিত করবে। যারা তাঁকে অনুসরণ করবে, তাদের তিনি বলেন: “এক নূতন আজ্ঞা আমি তোমাদিগকে দিতেছি, তোমরা পরস্পর প্রেম কর; আমি যেমন তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি, তোমরাও তেমনি পরস্পর প্রেম কর। তোমরা যদি আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখ, তবে তাহাতেই সকলে জানিবে যে, তোমরা আমার শিষ্য।”—যোহন ১৩:৩৪, ৩৫; ১৫:১২.

১৩ তবুও, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খ্রীষ্টজগতের পুরোহিতেরা রাজনীতির সাথে লিপ্ত হয়েছে এবং তাদের জাতিগুলির যুদ্ধকে সমর্থন করেছে। এমন কি তারা খ্রীষ্টজগতের মধ্যেই দুটি বিপরীত পক্ষকে যুদ্ধ করতে সমর্থন করেছে, যেমন এই শতাব্দীর দুটি বিশ্ব যুদ্ধে। সেই দ্বন্দ্বে, প্রতিটি পক্ষের পুরোহিতেরা বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করেছে এবং একটি দেশ থেকে এক ধর্মের সদস্যেরা অপর দেশের সেই একই ধর্মের সদস্যদের হত্যা করেছে। কিন্তু বাইবেল বলে ঈশ্বরের নয়, শয়তানের সন্তানেরা সেইভাবে কাজ করে। (১ যোহন ৩:১০-১২, ১৫) তাই, পুরোহিতবর্গ ও তাদের অনুসরণকারীরা খ্রীষ্টান বলে দাবি করলেও তারা যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষার বিরোধিতা করে, যিনি তাঁর অনুসরণকারীদের ‘খড়্গ সরিয়ে রাখতে’ বলেন।—মথি ২৬:৫১, ৫২.

১৪ খ্রীষ্টজগতের রাজনৈতিক শক্তিগুলির সাথে শতাব্দীব্যাপী গির্জ্জাগুলি সহযোগিতা করেছিল যখন সেই জাতিগুলি সাম্রাজ্যবাদের যুগে অন্য জাতিকে জয় করে, ক্রীতদাসে পরিণত করে এবং অবনত করে। আফ্রিকার ক্ষেত্রে শতাব্দী ধরে তাই ঘটে। চীনও তা অভিজ্ঞতা করে, যখন পাশ্চাত্য জাতিগুলি শক্তির জোরে প্রভাব বিস্তার করতে চেয়েছিল, যেমন ওপিয়ম্‌ যুদ্ধ ও বক্সারের বিদ্রোহের সময়ে হয়েছিল।

১৫ যারা সেই সকল শতাব্দীতে খ্রীষ্টজগতের ধর্মগুলির সাথে দ্বিমত পোষণ করে তাদের তারা তাড়না, অত্যাচার এবং এমন কি হত্যা করার ক্ষেত্রেও সর্বাগ্রে যায়, ইতিহাস যে সময়কে বলে অন্ধকারময় যুগ। রোমান ক্যাথলিক ধর্ম বিরুদ্ধবাদীদের বিচারের সময় (Inquisition), যা শতাধিক বছর ধরে চলে, সভ্য ও নির্দোষ ব্যক্তিদের উপর তাড়না ও হত্যা করার মত চরম নিষ্ঠুর প্রণালী ব্যবহার করার অধিকার দেওয়া হয় এবং তাদের উপর তা চালিয়ে যাওয়া হয়। সাধনকর্তারা ছিল পুরোহিত ও তাদের অনুসরণকারীরা যারা সকলেই খ্রীষ্টান বলে দাবি করত। এমন কি সাধারণ লোকেরা যাতে বাইবেল পড়তে না পারে তাই তারা তা নিশ্চিহ্ন করারও প্রচেষ্টা করেছিল।

খ্রীষ্টীয় নয়

১৬ না, খ্রীষ্টজগতের জাতিগুলি ও গির্জ্জাগুলি খ্রীষ্টীয় ছিলও না এবং এখনও খ্রীষ্টীয় নয়। তারা ঈশ্বরের দাস নয়। তাঁর অনুপ্রাণিত বাক্য তাদের সম্বন্ধে বলে: “তাহারা স্বীকার করে যে, ঈশ্বরকে জানে, কিন্তু কার্য্যে তাঁহাকে অস্বীকার করে; তাহারা ঘৃণাস্পদ ও অবাধ্য এবং সমস্ত সৎক্রিয়ার পক্ষে অপ্রামাণিক।”—তীত ১:১৬.

১৭ যীশু বলেন মিথ্যা ধর্মকে চেনা যেতে পারে তা যা উৎপন্ন করবে তার দ্বারা, তার ফল দ্বারা। তিনি বলেন: “ভাক্ত ভাববাদিগণ হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে, কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া। তোমরা তাহাদের ফল দ্বারাই তাহাদিগকে চিনিতে পারিবে। . . . প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, কিন্তু মন্দ গাছে মন্দ ফল ধরে। ভাল গাছে মন্দ ফল ধরিতে পারে না, এবং মন্দ গাছে ভাল ফল ধরিতে পারে না। যে কোন গাছে ভাল ফল ধরে না, তাহা কাটিয়া আগুনে ফেলিয়া দেওয়া যায়। অতএব তোমরা উহাদের ফল দ্বারাই উহাদিগকে [ভাক্ত ভাববাদিগণকে] চিনিতে পারিবে।”—মথি ৭:১৫-২০.

১৮ তাই, তারা যা শিক্ষা দিয়েছে ও যা কাজ করেছে তার দ্বারা খ্রীষ্টজগতের ধর্মগুলি প্রদর্শন করে যে, বাইবেলে বিশ্বাসী, ঈশ্বর-ভীরু এবং খ্রীষ্টান বলে তাদের দাবিগুলি হল মিথ্যা। তারা ঈশ্বর ও বাইবেলকে প্রতারণা করেছে। আর তা করার দ্বারা তারা লক্ষ লক্ষ লোকেদের নিদারুন বিরক্ত করে তুলেছে এবং তাদের ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা থেকে সরিয়ে এনেছে।

১৯ যাইহোক, খ্রীষ্টজগতের পুরোহিতবর্গের ও গির্জ্জাগুলির ব্যর্থতা, তার সাথে খ্রীষ্টজগতের বহির্ভূত অন্যান্য ধর্মের ব্যর্থতার অর্থ এই নয় যে বাইবেলের ব্যর্থতা। পরিবর্তে, বাইবেল এক পরমেশ্বর সম্বন্ধে জানায় যিনি অস্তিত্বে আছেন এবং যিনি আমাদের ও আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যত্ন নেন। এটি প্রদর্শন করে যে তিনি কিভাবে সেই সহৃদয়যুক্ত ব্যক্তিদের পুরস্কার দেবেন যারা যেটি সঠিক তা করতে চায়, যারা দেখতে চায় সারা পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি অবস্থান করুক। কেন ঈশ্বর দুঃখকষ্ট থাকতে অনুমতি দিয়েছেন এবং যারা সহমানবদের ক্ষতি করে ও তার সাথে তাঁকে সেবা করে বলে দাবি করে কিন্তু আসলে করে না, তাদের কি করে তিনি দূর করবেন সেটিও তা প্রদর্শন করে।

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

১, ২. অনেকের বাইবেলের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব লক্ষ্য করা যায় কেন, কিন্তু বাইবেল কী বলে?

৩. খ্রীষ্টজগৎ সম্পর্কে ইতিহাসের সত্য বিবরণ কী প্রদর্শন করে?

৪, ৫. গির্জ্জাগুলি কোন্‌ বাইবেল বহির্ভূত মতবাদগুলি শিক্ষা দেয়?

৬. আত্মার অমরত্ব শিক্ষাটি বাইবেল কিভাবে খণ্ডন করে?

৭. ঈশ্বরের নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আদম ও হবার শাস্তি কী ছিল?

৮. খ্রীষ্টজগতের ত্রিত্বের মতবাদটিকে বাইবেল কিভাবে খণ্ডন করে?

৯. বাইবেলের শিক্ষা এবং খ্রীষ্টজগতের গির্জ্জার শিক্ষা সম্বন্ধে আমরা কী বলতে পারি?

১০, ১১. বাইবেলের শিক্ষা অনুযায়ী যা প্রয়োজন খ্রীষ্টজগৎ কিভাবে তার বিপরীত বিষয় শিক্ষা দিচ্ছে?

১২. সত্য খ্রীষ্টানদের কী চিহ্নিত করবে বলে যীশু বলেন?

১৩, ১৪. খ্রীষ্টজগতের গির্জ্জাগুলি ঈশ্বরকে প্রতিনিধিত্ব করে না বলে কী প্রদর্শন করে?

১৫. খ্রীষ্টজগৎ কোন্‌ মন্দ বিষয়গুলি সাধন করেছে?

১৬, ১৭. কেন আমরা বলতে পারি যে গির্জ্জাগুলি খ্রীষ্টীয় নয়?

১৮. খ্রীষ্টজগতের শিক্ষা ও ক্রিয়াকলাপ থেকে কী প্রতিফল হয়েছে?

১৯. খ্রীষ্টজগতের ব্যর্থতার অর্থ কি ঈশ্বর এবং বাইবেল ব্যর্থ হয়েছে?

[Pictures on page 17]

দাঁন্তের “ইনফারনো”

হিন্দু ত্রিত্ব

[সজন্যে]

Doré’s illustration of Barrators—Giampolo for Dante’s Divine Comedy

খ্রীষ্টজগতের ত্রিত্ব

[সজন্যে]

Courtesy of The British Museum

মিশরীয় ত্রিত্ব

[সজন্যে]

Museo Egizio, Turin

[Pictures on page 18]

যীশুর শিক্ষার বিরুদ্ধে, উভয় পক্ষেরই পুরোহিতেরা যুদ্ধকে সমর্থন করেছে

[সজন্যে]

U.S. Army photo