সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞার এক অনুপম উৎস

সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞার এক অনুপম উৎস

অধ্যায় ৩

সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞার এক অনুপম উৎস

বাইবেল কি সেই সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞার বিবরণ? সেটি কি জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে সেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর আমাদের দিতে পারে?

বাইবেল প্রকৃতই আমাদের পরীক্ষার যোগ্য। একটি কারণ হল এটি সমস্ত সংকলিত পুস্তকের মধ্যে সবচেয়ে অসাধারণ, যে কোন বইয়ের থেকে খুবই আলাদা। নিম্নের কতগুলি সত্য বিবেচনা করুন।

অতি প্রাচীন, সবথেকে ব্যাপকরূপে বিতরিত পুস্তক

লিখিত যে কোন বইয়ের থেকে বাইবেল হল অতি প্রাচীন পুস্তক, এর কিছু অংশ প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে সংকলিত হয়। যে সকল পুস্তককে পবিত্র বলে মনে করা হয় তাদের থেকে এই গ্রন্থটি বহু শতাব্দী পুরনো। এর ৬৬টি বইয়ের প্রথম বইটি, বুদ্ধদেব ও কন্‌ফুশিয়াসের প্রায় হাজার বছর পূর্বে এবং মহম্মদের প্রায় দুহাজার বছর পূর্বে লেখা হয়েছিল।

বাইবেলে লিখিত ইতিহাস মানব পরিবারের প্রারম্ভে নিয়ে যায় এবং আমরা কিভাবে এখানে পৃথিবীতে আসি সে সম্বন্ধে ব্যাখ্যা দেয়। এমন কি এটি আমাদের মানব সৃষ্টির পূর্বের কালে নিয়ে যায়, পৃথিবী কিভাবে গঠন হয়েছিল সেই সত্যটিও জানায়।

অন্যান্য ধর্মীয় পুস্তক ও এমন কি অধর্মীয় পুস্তকেরও, শুধুমাত্র কয়েকটি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি রয়ে গেছে। বাইবেলের প্রায় ১১,০০০টি হাতে লেখা কপি বা এর কিছু অংশ ইব্রীয় ও গ্রীক ভাষায় পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে কয়েকটি আবার আদি লেখার সমসাময়িক। বাইবেলের বিরুদ্ধে ধারণাসাধ্য প্রচণ্ড আক্রমণ কেন্দ্রীভূত করার প্রচেষ্টা করা হলেও এইগুলি তবুও রক্ষা পেয়েছে।

তাছাড়া, তুলনা করলে বাইবেল ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপক বিতরিত পুস্তক। প্রায় দুই হাজার ভাষায় প্রায় তিনশো কোটি বাইবেল বা এর অংশগুলি বিতরণ করা হয়েছে। বলা হয় যে মানব পরিবারের ৯৮ শতাংশ লোকেদের নিজের ভাষায় বাইবেল পড়ার সুবিধা আছে। অন্য কোন পুস্তক এই সংখ্যার নিকটে আসতে পারেনি।

তাছাড়া, বাইবেলের নির্ভুলতার সাথে অন্যান্য বইয়ের তুলনা করা যায় না। বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিৎ, ভূগোলবিৎ, ভাষা বিশারদ এবং অন্যান্যেরা বাইবেলের বিবরণ ক্রমাগত সত্য প্রমাণ করে চলেছেন।

বৈজ্ঞানিক নির্ভুলতা

উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক না হলেও, বৈজ্ঞানিক বিষয় সম্বন্ধে আলোচনা করার সময় এটি প্রকৃত বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিষয়গুলি বলে থাকে। কিন্তু পবিত্র বলে বিবেচিত অন্যান্য প্রাচীন পুস্তকগুলিতে বৈজ্ঞানিক রূপকথা, ভুল এবং সরাসরি মিথ্যা রয়েছে। বাইবেলের বহু বৈজ্ঞানিক নির্ভুলতার মধ্যে মাত্র চারটির প্রতি লক্ষ্য দিন:

মহাকাশে কিভাবে পৃথিবী রয়েছে। প্রাচীনকালে যখন বাইবেল লেখা হয় তখন পৃথিবী কিভাবে মহাকাশে রয়েছে সে নিয়ে অনেক অনুমান ছিল। কিছু ব্যক্তিরা বিশ্বাস করতেন যে একটা বড় সামুদ্রিক কচ্ছপের উপরে চারটি হাতি দাঁড়িয়ে পৃথিবীকে ধরে রেখেছে। সা.শ.পূ চতুর্থ শতাব্দীর গ্রীক দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক, অ্যারিস্টটল্‌ শিক্ষা দেন যে পৃথিবী কখনই শূন্য স্থানে ঝুলে থাকতে পারে না। পরিবর্তে তিনি শিক্ষা দেন যে কঠিন স্বচ্ছ গোলকের বহির্ভাগ পৃষ্ঠে জ্যোতিষ্কমণ্ডলী আটকে রয়েছে, আর প্রতিটি গোলক অপর গোলকের ভিতরে রয়েছে। অনুমান হয় পৃথিবী সবচেয়ে ভিতরের গোলকে রয়েছে এবং সবচেয়ে বাইরের গোলক ধরে রয়েছে তারাগুলিকে।

১০ তবুও, বাইবেল লেখার সময় অবাস্তব, অবৈজ্ঞানিক মতবাদগুলি প্রচলিত থাকলেও, বাইবেল তা প্রতিফলন না করে (সা.শ.পূ. প্রায় ১৪৭৩ সালে) সরলভাবে বলে: “[ঈশ্বর] অবস্তুর উপরে পৃথিবীকে ঝুলাইয়াছেন।” (ইয়োব ২৬:৭) আদি ইব্রীয় ভাষায় এখানে ব্যবহৃত “অবস্তু” শব্দটির অর্থ হল “কোন কিছুই নয়,” এবং বাইবেলে এই একবারই এই শব্দটি উল্লিখিত হয়েছে। পৃথিবী শূন্য স্থান দ্বারা পরিব্যাপ্ত, এই যে চিত্র বাইবেল দেয় তা পণ্ডিতগণ মনে করেন সেই সময়ের জন্য ছিল এক অপূর্ব দূরদর্শিতা। থিওলজিকাল্‌ ওয়ার্ডবুক অফ্‌ দ্যা ওল্ড টেস্টামেন্ট বলে: “ইয়োব ২৬:৭ পদ লক্ষণীয়রূপে সেই সময়ের পরিচিত পৃথিবীকে শূন্যে ঝুলন্ত অবস্থায় চিত্রিত করে, এইভাবে ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের প্রত্যাশা করে।”

১১ অ্যারিস্টটলের ১,১০০ বছরেরও পূর্বে বাইবেলে সঠিক মন্তব্য করা হয়েছিল। তবুও, অ্যারিস্টটলের দৃষ্টিভঙ্গি, তার মারা যাওয়ার পরও প্রায় ২,০০০ বছর অবধি সত্য হিসাবে শিখানো হয়! অবশেষে, সা.শ. ১৬৮৭ সালে স্যার আইজ্যাক্‌ নিউটন তার আবিষ্কারটি প্রকাশ করেন যা হল পৃথিবী অন্যান্য জ্যোতিষ্কের সাথে পরস্পর আকর্ষণের মাধ্যমে মহাকাশে রয়েছে, যেটি হল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। কিন্তু সেটি প্রকাশ করা হয়, পৃথিবী যে “অবস্তুর” উপরে ঝুলে আছে বাইবেলের অতি সুন্দর সরল এই বক্তব্যের প্রায় ৩,২০০ বছর পরে।

১২ হ্যাঁ, প্রায় ৩,৫০০ বছর পূর্বে, বাইবেল সঠিকরূপে বলেছিল যে পৃথিবী দৃশ্যত কোন কিছুর উপরে অবস্থিত নয়, যে সত্যটি সাম্প্রতিককালে বুঝতে পারা গেছে এমন মাধ্যাকর্ষন শক্তি ও গতির নিয়মের সাথে সঙ্গতি রাখে। “ইয়োব কিভাবে এই সত্যটি জেনেছিলেন,” একজন পণ্ডিত বলেন, “এই প্রশ্নটির উত্তর, যারা পবিত্র শাস্ত্রের অনুপ্রেরণাকে অস্বীকার করে তারা সহজে পাবেন না।”

১৩পৃথিবীর আকার। দ্যা এনসাইক্লোপিডিয়া অ্যামেরিকানা বলে: “মানুষের পৃথিবী সম্বন্ধে আদি ধারণা ছিল, মহাবিশ্বের কেন্দ্রে পৃথিবী এক সমতল, শক্ত পাটাতন। . . . পৃথিবী গোলকাকার এই ধারণাটি রেনেসাঁসের সময় পর্যন্ত ব্যাপকরূপে স্বীকৃত হয়নি।” এমন কি কিছু প্রাচীন নাবিকেরা ভয় পেতেন যে তারা হয়ত এই সমতল পৃথিবীর ধারে এসে পড়ে যাবেন। কিন্তু তারপর কম্পাসের পরিচয় ও অন্যান্য আরও উন্নতির জন্য দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রা সম্ভব হয়। এই “আবিষ্কারার্থে সমুদ্রযাত্রাগুলি,” আর একটি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্যাখ্যা করে, “পৃথিবী গোল কিন্তু সমতল নয় যেমন বেশির ভাগ লোকে বিশ্বাস করত তা দেখতে সাহায্য করে।”

১৪ তবুও, সেই সকল সমুদ্রযাত্রার অনেক আগে, প্রায় ২,৭০০ বছর পূর্বে, বাইবেল বলে: “তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট।” (যিশাইয় ৪০:২২) যেমন বিভিন্ন উদ্ধৃতিগুলি দেখায়, এখানে যে ইব্রীয় শব্দটিকে “সীমাচক্র” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে তার অর্থ আবার “গোলক” হতেও পারে। তাই অন্যান্য বাইবেল অনুবাদ বলে, “পৃথিবীর গোলক” (ডুয়ে ভারশান) এবং “গোল পৃথিবী।”—মফ্যাট।

১৫ ফলে, পৃথিবীকে ধরে রাখা ও তার আকার সম্পর্কে সেই সময় যে অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত ছিল তার দ্বারা বাইবেল প্রভাবিত হয়নি। কারণটি সাধারণ: বাইবেলের গ্রন্থকার হলেন মহাবিশ্বের স্রষ্টা। তিনি পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন তাই তিনি জানেন যে সেটি কার উপরে ঝুলে আছে ও তার আকার কী প্রকৃতির। তাই বাইবেলকে অনুপ্রাণিত করার সময় তিনি নিশ্চিত করেন যেন কোন অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, সেই সময়ের অন্যান্য লোকেরা সেগুলি যতই বিশ্বাস করুক না কেন, তাতে লিখিত না হয়।

১৬জীবিত বস্তুর উপাদান। “সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকার ধূলিতে আদমকে [অর্থাৎ মনুষ্যকে] নির্ম্মাণ করিলেন,” আদিপুস্তক ২:৭ পদ বলে। দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে: “যে সকল রাসায়নিক বস্তু জীবিত বস্তুকে গঠন করে তা অজৈব পদার্থেও রয়েছে।” তাই, সমস্ত মূল রাসায়নিক পদার্থ যা মানব সহ জীবন্ত প্রাণীকে গঠন করে থাকে, তা পৃথিবীতেও পাওয়া যায়। এটি বাইবেলের সেই বক্তব্যের সাথে মিল রাখে যা দেখায় মানুষ ও অন্যান্য সকল জীবিত প্রাণীদের সৃষ্টি করতে ঈশ্বর কী বস্তুর ব্যবহার করেছিলেন।

১৭“স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী।” বাইবেল বলে ঈশ্বর প্রথম মানব দম্পতিকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের থেকেই অন্যান্য মানুষেরা এসেছে। (আদিপুস্তক ১:২৬-২৮; ৩:২০) এটি বলে অন্যান্য জীবিত প্রাণীরা যেমন, মৎস্য, পক্ষী ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরাও একইভাবে “স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী” এসেছে। (আদিপুস্তক ১:১১, ১২, ২১, ২৪, ২৫) আর এই বিষয়টি বৈজ্ঞানিকেরা প্রাকৃতিক সৃষ্টিতেও লক্ষ্য করেছেন, যে প্রত্যেকটি জীবিত প্রাণী স্ব-জাতির পিতামাতার কাছ থেকে আসে। এর কোন ব্যতিক্রম নেই। এই ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞানী রেমো লক্ষ্য করেন: “জীবন, জীবনের সৃষ্টি করে; প্রতিটি কোষে সর্বদা তাই ঘটে থাকে। কিন্তু কিভাবে এক অজৈব পদার্থ জৈব পদার্থের সৃষ্টি করতে পারে? এটি হল জীববিজ্ঞানে উত্তর না পাওয়া এক সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আর এখনও পর্যন্ত জীববিজ্ঞানীরা এলোমেলো অনুমান ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি। অজৈব বস্তু যেভাবেই হোক নিজে থেকে জৈব উপায়ে সংগঠিত হয়েছে। . . . কিন্তু যাইহোক, আদিপুস্তকের লেখক তা সঠিকরূপে প্রকাশ করেন।”

ঐতিহাসিক নির্ভুলতা

১৮ অস্তিত্বে থাকা যে কোন পুস্তকের থেকে বাইবেলে সবচেয়ে নির্ভুল প্রাচীন ইতিহাস আছে। এ ল্যইয়ার এক্সামিনস্‌ দ্যা বাইবেল বইটি এর ঐতিহাসিক নির্ভুলতা সম্পর্কে এইভাবে আলোকপাত করে: “প্রেমকাহিনী, রূপকথা এবং মিথ্যা সাক্ষ্যের ঘটনাগুলি অনির্দিষ্ট সময়ে ও অনেক দূরে ঘটেছে বলে সতর্কতার সাথে উপস্থাপন করে, ফলে আমরা আইনজীবিরা যে উত্তম যুক্তির প্রাথমিক নিয়মগুলি সম্বন্ধে শিখি যা হল ‘কোন কিছু ঘোষণা করলে তার সময় ও স্থান দেওয়া উচিৎ তা তারা উলঙ্ঘন করে থাকে,’ কিন্তু বাইবেলের বর্ণনা সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে সেই সম্পর্কীয় ঘটনার সময় ও তারিখ উল্লেখ করে।”

১৯দ্যা নিউ বাইবেল ডিক্সনারী মন্তব্য করে: “[প্রেরিতদের কার্যের লেখক] তার বর্ণনা সমকালীন ইতিহাসের কাঠামো অনুযায়ী করেন; শহরের ম্যাজিস্ট্রেট, আঞ্চলিক রাজ্যপাল, প্রতিনিধি রাজা ও সেইরূপ অন্যান্য ব্যক্তিদের প্রতি উদ্ধৃতিকরণ দ্বারা তার পৃষ্ঠাগুলি ভর্তি ছিল এবং এই উদ্ধৃতিগুলি স্থান এবং সময় সম্বন্ধে প্রশ্ন উঠলে সবসময় সত্য হিসাবে প্রমাণিত হয়।”

২০দ্যা ইউনিয়ন বাইবেল কম্প্যানিয়ন-এ লেখা অনুযায়ী এস. অস্টিন অ্যালাবোন্‌ বলেন: “স্যার আইজ্যাক্‌ নিউটন . . . প্রাচীন লেখাগুলির একজন সমালোচকরূপেও বিশিষ্ট ছিলেন এবং পবিত্র শাস্ত্রগুলি অত্যন্ত যত্নের সাথে পরীক্ষা করেছিলেন। এই বিষয়ে তার রায় কী? তিনি বলেছেন, ‘অন্য যে কোন [জাগতিক] ইতিহাসের চেয়ে নূতন নিয়মে আমি বিশ্বাসযোগ্যতার অধিক নিশ্চিত প্রমাণচিহ্ন পেয়েছি।’ ডা. জনসন্‌ বলেন যে জুলিয়াস সিজার যে ক্যাপিটলে (Capitol) মারা গিয়েছিলেন তার থেকে সুসমাচারে যেমন বলা আছে যে যীশু খ্রীষ্ট কালভেরিতে মারা গিয়েছিলেন, তার সাক্ষ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে অনেক বেশি আছে। বাস্তবিকই অনেক বেশি আছে।”

২১ এই উৎস আরও বলে: “সুসমাচারে ইতিহাসের সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ আছে বলে যারা প্রকাশ করে তাদের যে কোন এক জনকে জিজ্ঞাসা করুন, তাদের কি যুক্তি আছে বিশ্বাস করার যে সিজার ক্যাপিটলে মারা গিয়েছিলেন, অথবা পোপ লিও তৃতীয় ৮০০ সালে সম্রাট শার্লেমেনকে পশ্চিমের সম্রাট হিসাবে অভিষিক্ত করেছিলেন? . . . আপনি কিভাবে জানেন যে [ইংলণ্ডে] প্রথম চার্লস নামে একজন ব্যক্তি কখনও বাস করতেন ও তার শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল এবং তার জায়গায় অলিভার ক্রম্‌ওয়েল শাসনকর্তা হয়েছিলেন? স্যার আইজ্যাক্‌ নিউটনকে মাধ্যাকর্ষণ নিয়মের আবিষ্কর্তা হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে . . . এই সমস্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে যা কিছুই দাবি করা হয় সেগুলি আমরা বিশ্বাস করি; আর এর কারণ যেহেতু এদের সত্যতা সম্বন্ধে আমাদের কাছে ঐতিহাসিক প্রমাণ রয়েছে। . . . যদি, এই ধরনের প্রমাণ দেওয়া সত্ত্বেও, কেউ বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে, আমরা তাদের মূর্খ বিকৃতবুদ্ধি অথবা সম্পূর্ণরূপে জ্ঞানহীন বলে নাকচ করে দিই।”

২২ তারপর এই উৎসটি পরিসমাপ্তি করে: “পবিত্র শাস্ত্রের প্রামাণিকত্ব সম্পর্কে প্রচুর পরিমাণে এখন দেওয়া প্রমাণ সত্ত্বেও যদি তারা এখনও দৃঢ় বিশ্বাসী হতে পারেননি বলে দাবি করেন, তাহলে তাদের সম্বন্ধে আমরা কী বলব? . . . অবশ্যই আমাদের এই পরিসমাপ্তিতে আসা যুক্তিসঙ্গত যে মস্তিষ্কে নয় বরং হৃদয়ে কোন ত্রুটি আছে;—যা হল, যা তাদের গর্বকে খর্ব করবে এবং ভিন্ন জীবনযাপনে বাধ্য করবে তা তারা বিশ্বাস করতে চায় না।”

আভ্যন্তরীণ মিল এবং অকপটতা

২৩ কল্পনা করুন যে একটি বই রোমীয় সাম্রাজ্যের সময়ে লেখা শুরু হয়, সেই লেখা মধ্যযুগেও চলতে থাকে এবং এই বিংশ শতাব্দীতে সেটি শেষ হয় এবং যাতে বিভিন্ন লেখকের অবদান আছে। যদি লেখকেরা বিভিন্ন জীবিকার হয়ে থাকে যেমন সৈন্য, রাজা, পুরোহিত, মৎস্যধারী, পশুপালক এবং ডাক্তার, তাহলে আপনি কী ফল আশা করবেন? বইটির মধ্যে মিল ও সঙ্গতি থাকবে বলে কি আপনি আশা করবেন? আপনি হয়ত বলতে পারেন ‘তার সম্ভাবনাই নেই।’ বাইবেল কিন্তু এইরূপ এক পরিস্থিতির মধ্যে লেখা হয়েছিল। তবুও এটিতে সম্পূর্ণরূপে মিল আছে, শুধুমাত্র সর্বমোট ধারণার ক্ষেত্রে নয় কিন্তু ছোট ছোট বিষয়েও।

২৪ বাইবেল হল ১,৬০০ বছরব্যাপী ৪০ জন বিভিন্ন লেখকের দ্বারা লিখিত ৬৬টি পুস্তকের সঙ্কলনগ্রন্থ যার লেখা আরম্ভ হয় সা.শ.পূ. ১৫১৩ সালে এবং শেষ হয় সা.শ. ৯৮ সালে। বিভিন্ন পটভূমি থেকে লেখকেরা এসেছিলেন ও অনেকের আবার অন্য লেখকের সাথে কোন যোগাযোগ ছিল না। কিন্তু যে বইটির সৃষ্টি হয় তাতে প্রথম থেকে শেষ অবধি এক মূখ্য সমন্বয়যুক্ত বিষয়বস্তু আছে, মনে হয় যেন একই মনের সৃষ্টি। অনেকে যেমন মনে করেন বাইবেল হল পাশ্চাত্য সভ্যতার অবদান, কিন্তু তা নয়, তার পরিবর্তে এটি প্রাচ্যের লোকেরাই লিখেছিলেন।

২৫ যেখানে প্রাচীন লেখকদের মধ্যে বেশির ভাগ তাদের সফলতা ও গুণাবলী সম্বন্ধে বিবরণ দেয় সেখানে বাইবেলের লেখকেরা খোলাখুলিভাবে তাদের ভুলত্রুটিগুলি ও তার সাথে তাদের রাজা ও নেতাদের ব্যর্থতাও স্বীকার করেন। গণনাপুস্তক ২০:১-১৩ এবং দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৫০-৫২ মোশির ব্যর্থতার বিবরণ দেয় এবং তিনিই সেই পুস্তকগুলি লেখেন। যোনা ১:১-৩ এবং ৪:১ পদ যোনার ব্যর্থতার বিবরণ দেয় আর তিনি সেই বিষয়গুলি লেখেন। মথি ১৭:১৮-২০; ১৮:১-৬; ২০:২০-২৮; এবং ২৬:৫৬ পদ যীশুর শিষ্যদের দুর্বল দিকগুলির বিষয়ে বলে। তাই, বাইবেল লেখকগণের সততা ও অকপটতা বাইবেল অনুপ্রাণিত বলে তাদের দাবিকে সমর্থন করে।

এর সবচেয়ে বৈশিষ্ট্যমূলক উপাদান

২৬ বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কেন এটি এত নির্ভুল এবং কেন এটি এত সঙ্গতিপূর্ণ ও অকপট, তা বাইবেল নিজেই প্রকাশ করে। এটি দেখায় যে সর্বোচ্চ ব্যক্তি, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর, স্রষ্টা যিনি মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই হলেন বাইবেলের লেখক। তাঁর শক্তিশালী কার্যকরী শক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করে তিনি যা অনুপ্রাণিত করেন তা লিখতে শুধুমাত্র তিনি মনুষ্য বাইবেল লেখকদের লেখক হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন।

২৭ বাইবেলে প্রেরিত পৌল বলেন: “ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্ম্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী, যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ক, সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য সুসজ্জীভূত হয়।” আর প্রেরিত পৌল আরও বলেন: “আমাদের কাছে ঈশ্বরের বার্ত্তারূপ বাক্য প্রাপ্ত হইয়া তোমরা মনুষ্যদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া তাহা গ্রহণ করিয়াছিলে।”—২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭; ১ থিষলনীকীয় ২:১৩.

২৮ তাই, বাইবেল একই লেখকের মন থেকে এসেছে—ঈশ্বরের। তাঁর অত্যাশ্চর্য শক্তির মাধ্যমে যা লেখা হয়েছে তার সততা বর্তমান দিন অবধি নিশ্চিতরূপে বজায় রাখা তাঁর পক্ষে খুবই সাধারণ বিষয় ছিল। বাইবেলের পাণ্ডুলিপির বিশিষ্ট পণ্ডিত, স্যার ফেড্রিক কেনিয়ন্‌ ১৯৪০ সালে বলেছিলেন: “শাস্ত্র বাস্তবিক যেভাবে লেখা হয়েছিল সেইভাবেই রক্ষা পেয়েছে কি না সেই সন্দেহের লেশটুকুও এখন সম্পূর্ণভাবে চলে গেছে।”

২৯ হাজার হাজার কিলোমিটার দূর থেকে মহাকাশ, এমন কি চন্দ্র থেকেও রেডিও এবং টেলিভিশনের সিগন্যাল পৃথিবীতে পাঠাতে মানুষের ক্ষমতা আছে। মহাকাশ অনুসন্ধান কোটি কোটি কিলোমিটার দূরের গ্রহের প্রাকৃতিক তথ্যাদি ও চিত্র পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। মানুষের স্রষ্টা যিনি বেতার তরঙ্গের স্রষ্টা, তিনি নিশ্চয় এতটা করতে সমর্থ। বাইবেল লিপিবদ্ধ করতে যাদের তিনি মনোনীত করেছিলেন তাদের মনে তাঁর মহান শক্তির সাহায্যে বাক্যগুলি ও চিত্রগুলি দেওয়া তাঁর পক্ষে নিশ্চয় এক সাধারণ বিষয় ছিল।

৩০ এছাড়াও, বইটিতে পৃথিবী ও জীবন সম্বন্ধে অনেক কিছু আছে যা মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের আগ্রহের প্রমাণ দেয়। তাই, তিনি কে এবং মানুষের জন্য তাঁর উদ্দেশ্য কী তা একটি পুস্তকে—একটি স্থায়ী দলিলে, স্পষ্টরূপে প্রকাশ করে তিনি মানুষকে সেটি জানার জন্য যে সাহায্য করতে চান তা বোধসাপেক্ষ।

৩১ যে তথ্যগুলি শুধুমাত্র মানুষের মৌখিক কথার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে তার সাথে তুলনা করলে যে পুস্তকের লেখক ঈশ্বর তার সর্বোৎকৃষ্টতার বিষয়েও বিবেচনা করুন। মুখের কথা নির্ভরযোগ্য হয় না, কারণ লোকেরা বার্তাটিকে নিজের বাক্যে সহজ করে বলে এবং বেশ কিছু সময় যাওয়ার পর বিষয়টি বিকৃত হয়ে যায়। তারা নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে কথ্য ভাষায় তথ্যটি দেয়। কিন্তু ঈশ্বর-অনুপ্রাণিত স্থায়ী লিখিত বিবরণে ভুল থাকার সম্ভাবনা খুব কমই আছে। তাছাড়া একটি বই আবার পুনরুৎপাদন এবং অনুবাদ করা যেতে পারে যাতে বিভিন্ন ভাষার লোকেরা এর থেকে উপকৃত হতে পারে। আমাদের স্রষ্টার পক্ষে এইরূপ এক মাধ্যমের দ্বারা তথ্যাদি প্রদান করা তাই কি যুক্তিসঙ্গত নয়? নিশ্চয়, যুক্তিসঙ্গতের থেকেও আরও কিছু, কারণ স্রষ্টাই বলেন যে তিনি তা করেছিলেন।

পরিপূর্ণ ভাববাণী

৩২ এছাড়াও, বাইবেল অদ্বিতীয় উপায়ে ঐশিক অনুপ্রেরণার নিদর্শন রাখে: এটি হল ভাববাণীর পুস্তক, যেগুলি ক্রমাগত নির্ভুলভাবে পরিপূর্ণ হয়েছে এবং হয়ে চলেছে।

৩৩ উদাহরণস্বরূপ, প্রাচীন সোরের ধ্বংস, বাবিলনের পতন, যিরূশালেম পুনর্নির্মাণ এবং মাদীয়-পারস্য ও গ্রীক রাজাদের উত্থান এবং পতন সম্বন্ধে বাইবেলে বিশদভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা ছিল। ভবিষ্যদ্বাণীগুলি এতই নির্ভুল যে কিছু সমালোচক অনর্থক প্রচেষ্টা করেন এই বলতে যে সেগুলি ঘটনাগুলি ঘটার পরে লেখা হয়েছিল।—যিশাইয় ১৩:১৭-১৯; ৪৪:২৭–৪৫:১; যিহিষ্কেল ২৬:৩-৬; দানিয়েল ৮:১-৭, ২০-২২.

৩৪ সা.শ. ৭০ সালে যিরূশালেম ধ্বংস সম্বন্ধে যীশু যে ভবিষ্যদ্বাণী করেন তা নির্ভুলভাবে পরিপূর্ণ হয়। (লূক ১৯:৪১-৪৪; ২১:২০, ২১) এবং “শেষ কাল” সম্পর্কে যীশুর এবং প্রেরিত পৌলের ভাববাণী আমাদের এই সময়েই বিশদভাবে পরিপূর্ণ হচ্ছে।—২ তীমথিয় ৩:১-৫, ১৩; মথি ২৪; মার্ক ১৩; লূক ২১.

৩৫ কোন মানুষের মন, যতই বুদ্ধিযুক্ত হোক না কেন, এত সঠিকরূপে ভবিষ্যতের ঘটনা সম্পর্কে আগে থেকে বলতে পারে না। একমাত্র মহাবিশ্বের সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞানী স্রষ্টার মন বলতে পারে, যেমন আমরা ২ পিতর ১:২০, ২১ পদে পড়ি: “ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।”

এটি উত্তর দেয়

৩৬ তাই, বাইবেল বিভিন্ন প্রকারে প্রমাণ দেয় যে এটি হল সর্বমহান ব্যক্তির অনুপ্রাণিত বাক্য। এইজন্য, এটি আমাদের বলে কেন মানুষেরা পৃথিবীতে আছে, কেন এত দুঃখকষ্ট, আমরা কোথায় যাচ্ছি এবং পরিস্থিতি কিভাবে ভালোর দিকে পরিবর্তিত হবে। বাইবেল আমাদের কাছে প্রকাশ করে যে এক সর্বোচ্চ ঈশ্বর আছেন যিনি মানুষ ও পৃথিবীকে এক উদ্দেশ্যের জন্য সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁর উদ্দেশ্য সফল হবেই। (যিশাইয় ১৪:২৪) বাইবেল আমাদের কাছে আরও প্রকাশ করে যে সত্য ধর্মটি কী এবং আমরা তা কিভাবে খুঁজে পেতে পারি। তাই এটি হল সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞার একমাত্র উৎস যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সত্য উত্তরগুলি দিতে পারে।—গীতসংহিতা ১৪৬:৩; হিতোপদেশ ৩:৫; যিশাইয় ২:২-৪.

৩৭ বাইবেলের প্রামাণিকত্ব ও সত্যতা সম্পর্কে প্রচুর প্রমাণ থাকলেও, বাইবেলকে গ্রহণ করেছে বলে যারা দাবি করে তারা সকলেই কি এর শিক্ষাকে অনুসরণ করে চলে? উদাহরণস্বরূপ, যে জাতি খ্রীষ্টধর্মকে মেনে চলে বলে দাবি করে, অর্থাৎ খ্রীষ্টজগৎ, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করুন। বহু শতাব্দী ধরে তাদের সাথে বাইবেলের পরিচয় আছে। কিন্তু তাদের চিন্তাধারা ও কার্যাবলি কি ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞাকে প্রকৃতই প্রতিফলিত করে?

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

১, ২. আমাদের কেন বাইবেল পরীক্ষা করা উচিৎ?

৩, ৪. বাইবেল কত পুরনো?

৫. প্রাচীন জাগতিক লিপির সাথে তুলনা করলে বাইবেলের কতগুলি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি এখনও অস্তিত্বে আছে?

৬. বাইবেল কত ব্যাপকরূপে বিতরণ করা হয়েছে?

৭. বাইবেলের নির্ভুলতা সম্পর্কে কী বলা যেতে পারে?

৮. বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বাইবেল কতটা নির্ভুল?

৯, ১০. বাইবেলের কালের অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত না করে, পরিবর্তে পৃথিবীকে ধরে রাখার সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?

১১, ১২. ইয়োব ২৬:৭ পদের সত্যটি কখন মানুষেরা বুঝতে সক্ষম হয়?

১৩. বহু শতাব্দী পূর্বে পৃথিবীর আকার সম্পর্কে মানুষেরা কী মনে করত কিন্তু কী তাদের সেই ধারণার পরিবর্তন করায়?

১৪. পৃথিবীর আকার সম্পর্কে বাইবেল কিভাবে বর্ণনা দেয় এবং কখন?

১৫. পৃথিবী সম্পর্কে অবৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা বাইবেল কেন প্রভাবিত হয়নি?

১৬. জীবন্ত প্রাণীদের গঠন কিভাবে বাইবেলের মন্তব্যের সাথে মিল রাখে?

১৭. জীবন্ত বস্তু কিভাবে অস্তিত্বে এসেছে তার সত্যটি কী?

১৮. বাইবেলের ঐতিহাসিক নির্ভুলতা সম্পর্কে এক আইনজীবী কী বলেন?

১৯. বাইবেলের ঐতিহাসিক বিশদ বিবরণ সম্পর্কে কিভাবে একটি উৎস মন্তব্য করে?

২০, ২১. বাইবেলের ইতিহাস সম্বন্ধে এক বাইবেল পণ্ডিত কী বলেন?

২২. বাইবেলের প্রামাণিকত্ব অনেকে কেন গ্রহণ করতে অস্বীকার করে?

২৩, ২৪. বাইবেলের আভ্যন্তরীণ মিল কেন এত অসাধারণ?

২৫. বাইবেলের সততা ও অকপটতা বাইবেল লেখকদের কোন্‌ দাবিকে সমর্থন করে?

২৬, ২৭. বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বাইবেল কেন এত নির্ভুল?

২৮. তাহলে, বাইবেল কোথা থেকে এসেছে?

২৯. ঈশ্বরের যোগাযোগ করার ক্ষমতাকে কিভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে?

৩০. মানুষের জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য কী তা যাতে মানুষ অন্বেষণ করে তা কি ঈশ্বর চান?

৩১. মৌখিক কথার মাধ্যমে যে তথ্য প্রদান করা হয় তার থেকে অনুপ্রাণিত সংবাদ কেন অনেক বেশি শ্রেষ্ঠ?

৩২-৩৪. বাইবেলে কী আছে যা অন্য কোন পুস্তকে নেই?

৩৫. বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণীগুলি কেন একমাত্র স্রষ্টার কাছ থেকেই আসতে পারে?

৩৬. বাইবেল আমাদের কী বলে?

৩৭. খ্রীষ্টজগৎ সম্বন্ধে কী জিজ্ঞাসা করা উচিৎ?

[Pictures on page 11]

স্যার আইজ্যাক নিউটন বিশ্বাস করতেন যে অন্যান্য জ্যোতিষ্ক মণ্ডলের সাথে পৃথিবী মাধ্যাকর্ষণ শক্তির জন্য মহাকাশে ঝুলছে

পৃথিবী শূন্য স্থান দ্বারা পরিব্যাপ্ত, এই যে চিত্র বাইবেল দেয় পণ্ডিতগণ মনে করেন তা সেই সময়ের জন্য ছিল এক অপূর্ব দূরদর্শিতা

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

এমন কি কিছু প্রাচীন নাবিকেরা ভয় পেতেন যে তারা হয়ত এই সমতল পৃথিবীর ধারে এসে পড়ে যাবেন

[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

জুলিয়াস সিজার, সম্রাট শার্লেমেন, অলিভার ক্রমওয়েল বা পোপ লিও তৃতীয় যে জীবিত ছিলেন তার প্রমাণের থেকে যীশু খ্রীষ্টের অস্তিত্বের অনেক বেশি প্রমাণ আছে

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

সা.শ. ৭০ সালে যিরূশালেম ধ্বংস সম্বন্ধে যীশুর দত্ত ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতার প্রমাণ রোমে আর্চ অফ টাইটাস্‌ থেকে পাওয়া যায়