সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অধ্যায় ৫

“ঈশ্বরের প্রতিই আমাদের বাধ্য হতে হবে“

“ঈশ্বরের প্রতিই আমাদের বাধ্য হতে হবে“

প্রেরিতেরা এক উদাহরণ স্থাপন করেন, যা সমস্ত সত্য খ্রিস্টানদের অনুকরণ করতে হবে

প্রেরিত ৫:১২–৬:৭ পদের উপর ভিত্তি করে

১-৩. (ক) কেন প্রেরিতদের মহাসভার সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তাদের সামনে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল? (খ) প্রেরিতেরা যা-করেছিলেন, কেন তা জানার জন্য আমরা খুবই আগ্রহী?

 মহাসভার বিচারকেরা রেগে লাল হয়ে রয়েছে, তাদের সামনে যিশুর প্রেরিতদের দাঁড় করানো হয় আর এখন তাদের বিচার করা হবে। কিন্তু, প্রেরিতেরা কোন অপরাধ করেছেন? মহাযাজক এবং মহাসভার সভাপতি যোষেফ কায়াফা রেগে গিয়ে বলেন, “আমরা তোমাদের দৃঢ়ভাবে আদেশ দিয়েছিলাম, যেন তোমরা এই নামে কোনো শিক্ষা না দাও।” কায়াফা এতটাই রেগে ছিলেন যে, তিনি যিশুর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করতে চাইছিলেন না। তিনি আরও বলেন, “তোমরা তোমাদের শিক্ষা দিয়ে জেরুসালেম পূর্ণ করেছ এবং সেই ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য আমাদের দায়ী করতে চাইছ।” (প্রেরিত ৫:২৮) কায়াফার সতর্ক বার্তা একেবারে স্পষ্ট ছিল: তোমাদের প্রচার বন্ধ করো, না হলে তোমাদের আস্ত রাখব না!

প্রেরিতেরা এখন কী করবেন? প্রচার করার এই আজ্ঞা যিশু তাদের দিয়েছিলেন, যাঁকে ঈশ্বর সমস্ত কর্তৃত্ব দিয়েছেন। (মথি ২৮:১৮-২০) প্রেরিতেরা কি মানুষের ভয়ে সুসমাচার প্রচার করা বন্ধ করে দেবেন, না কি তারা সাহস বজায় রাখবেন এবং প্রচার করে চলবেন? অন্যভাবে বললে, তাদের সামনে এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, তারা ঈশ্বরের আজ্ঞার প্রতি বাধ্যতা দেখাবেন না মানুষের আজ্ঞার প্রতি? এই বিষয়ে তাদের মনে কোনো দ্বিধা ছিল না। প্রেরিত পিতর কোনোরকম দ্বিধা ছাড়াই সমস্ত প্রেরিতের পক্ষ থেকে এগিয়ে আসেন এবং সাহসের সঙ্গে জোর গলায় তাদের সিদ্ধান্ত জানান।

সত্য খ্রিস্টান হওয়ায় আমরা এই বিষয়টা জানার জন্য খুবই আগ্রহী যে, মহাসভার কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার পর প্রেরিতেরা কি করেছিলেন। বর্তমানে আমরাও প্রচার করার দায়িত্ব পেয়েছি। ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া এই দায়িত্ব সম্পন্ন করার সময় আমাদেরও বিরোধীদের কাছ থেকে আসা বিভিন্ন বিরোধিতা সহ্য করতে হবে। (মথি ১০:২২) হতে পারে, তারা আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে অথবা কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। এইরকম পরিস্থিতিতে আমরা কী করব? আসুন দেখি, প্রেরিতেরা কী করেন আর এমন কী ঘটে যার ফলে মহাসভায় তাদের বিচার হয়। এই বিষয়গুলোর ওপর মনোযোগ দেওয়া আমাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও প্রচার করে চলতে সাহায্য করবে। a

“যিহোবার স্বর্গদূত কারাগারের দরজাগুলো খুলে দিলেন” (প্রেরিত ৫:১২-২১ক)

৪, ৫. কায়াফা এবং সদ্দূকীরা কেন “ঈর্ষাতে পরিপূর্ণ” হয়েছিল?

একটু মনে করে দেখুন, মহাসভা যখন প্রথম বার পিতর ও যোহনকে প্রচার কাজ বন্ধ করার আদেশ দিয়েছিল, তখন তারা কী বলেছিলেন? তারা মহাসভাকে বলেছিলেন: “আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি, তা না বলে থাকতে পারি না।” (প্রেরিত ৪:২০) এরপর পিতর ও যোহন অন্যান্য প্রেরিতদের সঙ্গে মন্দিরে প্রচার করতে থাকেন এবং তারা অসুস্থ ব্যক্তিদের সুস্থ করেন, লোকদের মধ্যে থাকা মন্দ স্বর্গদূতদের বের করে দেন আর এই ধরনের অনেক বড়ো বড়ো আশ্চর্য কাজ করতে থাকেন। এই সমস্ত কিছু তারা “স্তম্ভবিশিষ্ট শলোমনের বারান্দায়” করেন। এটা মন্দিরের পূর্ব দিকে একটা ছাদ দেওয়া বারান্দা ছিল, যেখানে অনেক যিহুদি একত্রিত হত। আশ্চর্যের বিষয় হল, অসুস্থ ব্যক্তিদের উপর পিতরের ছায়া পড়া মাত্রই তারা সুস্থ হয়ে গেল। এভাবে যারা সুস্থ হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই সুসমাচার গ্রহণ করেছিল আর এর ফলে “অনেক অনেক পুরুষ ও মহিলা প্রভুতে বিশ্বাস করতে লাগল এবং শিষ্য হতে লাগল।”—প্রেরিত ৫:১২-১৫.

এই সমস্ত কিছু দেখে কায়াফা এবং তার সকল সঙ্গী বাকি সদ্দূকীরা “ঈর্ষাতে পরিপূর্ণ” হয়েছিল এবং প্রেরিতদের ধরে কারাগারে বন্দি করল। (প্রেরিত ৫:১৭, ১৮) কেন তারা এত রেগে গিয়েছিল? কারণ প্রেরিতেরা লোকদের শেখাচ্ছিলেন, যিশু মৃতদের মধ্যে থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন। কিন্তু, সদ্দূকীরা পুনরুত্থানে বিশ্বাস করত না। এ ছাড়া, প্রেরিতেরা এটাও শিক্ষা দিচ্ছিলেন, কেবলমাত্র যিশুর উপর বিশ্বাস করার মাধ্যমেই একজন ব্যক্তি পরিত্রাণ পেতে পারবে। কিন্তু সদ্দূকীদের এটা ভয় ছিল যে, লোকেরা যদি যিশুকে তাদের নেতা হিসেবে মেনে নেয়, তা হলে রোমীয়দের হাতে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। (যোহন ১১:৪৮) তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, সদ্দূকীরা প্রেরিতদের মুখ বন্ধ করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিল।

৬. যিহোবার উপাসকদের উপর হওয়া তাড়নার পিছনে বেশিরভাগই কাদের হাত থাকে আর কেন আমাদের এগুলো নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত নয়?

বর্তমানে, যিহোবার উপাসকদের উপর হওয়া তাড়নার পিছনে বেশিরভাগই ধর্মগুরুদের হাত থাকে। এই ধর্মগুরুদের আবার বড়ো বড়ো সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে হাত রয়েছে। সেইজন্য তারা আমাদের প্রচার কাজ বন্ধ করার জন্য এই আধিকারিকদের উসকে দেয় এবং টিভি ও খবরের কাগজের মাধ্যমে, সাক্ষিদের সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে থাকে। এই বিষয়গুলো নিয়ে কি আমাদের চিন্তিত হওয়া উচিত? না। আমাদের বার্তা মিথ্যা ধর্মের পর্দা ফাঁস করে দেয়। সৎ হৃদয়ের ব্যক্তিরা যখন বাইবেলের সত্য গ্রহণ করে, তখন তারা মিথ্যা শিক্ষা এবং রীতিনীতিগুলো থেকে মুক্ত হয়। (যোহন ৮:৩২) সেইজন্য আমাদের বার্তার কারণে ধর্মগুরুরা আমাদের এত ঘৃণা করে এবং আমাদের উপর অত্যাচার করে।

৭, ৮. স্বর্গদূতদের নির্দেশনা শোনার পর প্রেরিতেরা কোন বিষয় নিশ্চিত হয়েছিলেন আর আমাদের নিজেদের কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা উচিত?

প্রেরিতদের কারাগারে বন্দি করা হয়েছে আর তারা বিচারের রায় শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এই সময় তারা হয়তো চিন্তা করছিলেন, এবার শত্রুদের হাতে তাদের মরতে হবে। (মথি ২৪:৯) কিন্তু, রাতের বেলা হঠাৎ এমন এক ঘটনা ঘটে, যা তারা কখনো আশা করেননি। “যিহোবার স্বর্গদূত কারাগারের দরজাগুলো খুলে দিলেন।” b (প্রেরিত ৫:১৯) এরপর স্বর্গদূত স্পষ্টভাবে তাদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন: “মন্দিরে গিয়ে ভবিষ্যৎ জীবনের সমস্ত কথা লোকদের বলো।” (প্রেরিত ৫:২০) স্বর্গদূতের এই কথা শুনে প্রেরিতেরা আরও নিশ্চিত হয়ে যান যে, প্রচার কাজ করে তারা একদম সঠিক কাজ করছেন। সেইসঙ্গে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন যে, যাই ঘটুক না কেন তারা এই কাজ চালিয়ে যাবেন। তাই, প্রেরিতেরা সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও সাহসের সঙ্গে “ভোর বেলায় মন্দিরে প্রবেশ করলেন এবং শিক্ষা দিতে লাগলেন।”—প্রেরিত ৫:২১.

প্রত্যেককে নিজেদের জিজ্ঞেস করা উচিত, ‘আমার মধ্যে কি এতটা বিশ্বাস ও সাহস রয়েছে যে, কঠিন পরীক্ষার মধ্যেও আমি প্রেরিতদের মতো প্রচার কাজ করে চলতে পারব?’ এটা জেনে আমরা সাহস লাভ করতে পারি যে, “ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য” দেওয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে স্বর্গদূতেরাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন।—প্রেরিত ২৮:২৩; প্রকা. ১৪:৬, ৭.

“মানুষের প্রতি নয়, বরং ঈশ্বরের প্রতিই আমাদের বাধ্য হতে হবে” (প্রেরিত ৫:২১খ-৩৩)

“তাই, তারা তাদের নিয়ে এসে মহাসভার সামনে দাঁড় করালেন।”—প্রেরিত ৫:২৭.

৯-১১. মহাসভা প্রেরিতদের প্রচার কাজ বন্ধ করার আদেশ দিলে তারা কী করেন এবং সত্য খ্রিস্টানদের জন্য কেন এটা একটা উত্তম উদাহরণ?

মহাসভায় কায়াফা এবং অন্যান্য বিচরকেরা প্রেরিতদের শাস্তি দেওয়ার জন্য তৈরি রয়েছে। কিন্তু তারা জানে না যে, রাতের বেলা কারাগারে কী হয়েছিল, সেইজন্য তারা রক্ষীদের বলে কারাগার থেকে বন্দিদের নিয়ে আসতে। রক্ষীরা যখন কারাগারে যায় আর দেখে বন্দিরা সেখানে নেই, তখন তারা কতটা আশ্চর্য হয়েছিল, তা একটু কল্পনা করুন! তারা এটা বুঝতে পারছিল না, কীভাবে এটা সম্ভব কারণ “কারাগার ভালোভাবে বন্ধ ও সুরক্ষিত রয়েছে এবং রক্ষীরা দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।” (প্রেরিত ৫:২৩) এরই মধ্যে মন্দিরের রক্ষীদের অধ্যক্ষ জানতে পারেন, প্রেরিতেরা মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছেন এবং পুনরায় যিশু খ্রিস্ট সম্বন্ধে প্রচার করছেন। তারা আবারও সেই কাজ করছিলেন, যে-কাজের জন্য তাদের বন্দি করা হয়েছিল। সেই অধ্যক্ষ তখন দ্রুত তার রক্ষীদের সঙ্গে সেই মন্দিরে যান এবং প্রেরিতদের ধরে নিয়ে এসে মহাসভার সামনে দাঁড় করান।

১০ এই অধ্যায়ের শুরুতে যেমন বলা হয়েছে, প্রেরিতদের ধর্মগুরুদের সামনে নিয়ে আসা হলে, তারা প্রেরিতদের উপর রেগে যায় আর তাদের কড়াভাবে বলে, তোমরা এই কাজ বন্ধ করো। উত্তরে প্রেরিতেরা কী বলেন? পিতর সমস্ত প্রেরিতের পক্ষ থেকে নির্ভয়ে বলেন: “মানুষের প্রতি নয় বরং ঈশ্বরের প্রতিই আমাদের বাধ্য হতে হবে।” (প্রেরিত ৫:২৯) এভাবে প্রেরিতেরা যে-উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন, তা বছরের পর বছর ধরে সমস্ত সত্য খ্রিস্টান অনুসরণ করে আসছে। এটা ঠিক যে, যারা কর্তৃত্বে রয়েছে, তারা হয়তো আমাদের বলতে পারে, আমরা যেন তাদের আদেশের প্রতি বাধ্য হই। কিন্তু, এই কর্তৃত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সেই সময় তাদের এই অধিকার হারিয়ে ফেলে, যখন তারা আমাদের এমন কিছু করতে বলে, যা ঈশ্বর আমাদের করতে বারণ করেছেন কিংবা এমন কিছু করতে বারণ করে, যা ঈশ্বর আমাদের করতে বলেছেন। তাই বর্তমানে, যখন ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ প্রচার কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তখনও আমরা প্রচার কাজ বন্ধ করি না কারণ এই কাজ ঈশ্বর আমাদের করতে বলেছেন। (রোমীয় ১৩:১) আমরা বিচক্ষণতার সঙ্গে এই কাজ করে চলি এবং ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য এমন পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করি, যাতে বিরোধীদের নজরে না আসি।

১১ প্রেরিতদের উত্তর শুনে বিচারকেরা রাগে ফেটে পড়ে, যারা ইতিমধ্যেই রেগে ছিল। তারা ঠিক করে যে, প্রেরিতদের ‘হত্যা করবে।’ (প্রেরিত ৫:৩৩) এখন মনে হচ্ছে, এই উদ্যোগী ও সাহসী প্রচারকদের মৃত্যু নিশ্চিত। সেই সময় তাদের রক্ষা করার জন্য এমন এক সাহায্য আসে, যা হয়তো আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি!

“তোমরা তা বিনষ্ট করতে পারবে না।” (প্রেরিত ৫:৩৪-৪২)

১২, ১৩. (ক) গমলীয়েল তার সহ-বিচারকদের কোন পরামর্শ দেন এবং তারা কী করে? (খ) বর্তমানে যিহোবা কীভাবে তাঁর লোকদের পক্ষে কাজ করে থাকেন এবং “ধার্মিক হওয়ার কারণে” আমাদের “যদি কষ্ট ভোগ করতেও হয়,” তা হলে কোন দুটো বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারি?

১২ গমলীয়েল নামে একজন ফরীশী কিছু বলার জন্য মহাসভার মধ্যে উঠে দাঁড়ান। তিনি “একজন ব্যবস্থাগুরু এবং সম্মাননীয় ব্যক্তি ছিলেন।” c গমলীয়েলকে তার সহ-বিচারকেরা নিশ্চয়ই অনেক সম্মান করত। আর সেইজন্য তিনি হয়তো মহাসভার মধ্যে কিছু বলার জন্য উঠে দাঁড়ান এবং আদেশ দেন, “যেন প্রেরিতদের কিছু সময়ের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।” (প্রেরিত ৫:৩৪) এরপর গমলীয়েল অতীতের কিছু দল সম্বন্ধে উদাহরণ দেন, যারা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায়, কিন্তু তাদের নেতারা মারা যাওয়ার পর, তারা আবার দ্রুত হারিয়ে যায়। তারপর, তিনি আদালতের কাছে বিনতি করেন যেন প্রেরিতদের সঙ্গে সম্মান দেখিয়ে এবং ধৈর্য ধরে আচরণ করা হয়, যাদের নেতা যিশু কিছু দিন আগেই মারা গিয়েছেন। গমলীয়েল দৃঢ়তার সঙ্গে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, “তোমরা এই ব্যক্তিদের প্রতি কিছু কোরো না, এদের ছেড়ে দাও। কারণ এই পরিকল্পনা অথবা কাজ যদি মানুষের কাছ থেকে হয়ে থাকে, তা হলে সেটা বিনষ্ট হবেই; কিন্তু, এটা যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে হয়ে থাকে, তা হলে তোমরা তা বিনষ্ট করতে পারবে না। কি জানি, হয়তো দেখা যাবে, তোমরা ঈশ্বরেরই বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ।” (প্রেরিত ৫:৩৮, ৩৯) বিচারকেরা তার কথা মেনে নেয় এবং দ্রুত প্রেরিতদের ছেড়ে দেয়। কিন্তু, তারা তাদের ছেড়ে দেওয়ার আগে প্রহার করাল আর কড়াভাবে আদেশ দিল, “যেন তারা যিশুর নামে কোনো কথা না বলে।”—প্রেরিত ৫:৪০.

১৩ বর্তমানেও যিহোবা গমলীয়েলের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যবহার করে, তাঁর লোকদের সাহায্য করতে পারেন। (হিতো. ২১:১) যিহোবা তাঁর পবিত্র শক্তি মাধ্যমে ক্ষমতাশালী শাসক, বিচারক কিংবা আইন প্রবর্তকদের ব্যবহার করে তাঁর উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করতে পারেন। (নহি. ২:৪-৮) কিন্তু, কোনো কোনো ক্ষেত্রে যিহোবা যদি এই ধরনের ব্যবস্থা না করেন এবং “ধার্মিক হওয়ার কারণে” আমাদের “যদি কষ্ট ভোগ করতেও হয়,” তা হলে দুটো বিষয়ে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি। (১ পিতর ৩:১৪) প্রথমত, ঈশ্বর আমাদের সহ্য করার শক্তি দিতে পারেন। (১ করি. ১০:১৩) দ্বিতীয়ত, বিরোধীরা কখনো ঈশ্বরের কাজকে “বিনষ্ট করতে পারবে না।”—যিশা. ৫৪:১৭.

১৪, ১৫. (ক) প্রেরিতদের যখন মারধর করা হয়েছিল, তখন তারা কী করেছিলেন এবং কেন? (খ) একটা অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে বলুন, যা দেখায় যিহোবার লোকেরা আনন্দের সঙ্গে তাড়না সহ্য করে থাকে?

১৪ প্রেরিতদের মারধর করা হয়েছিল বলে, তারা কি তাদের উদ্যোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন অথবা তাদের উদ্দেশ্য পরিবর্তন করেছিলেন? কখনোই না। এর পরিবর্তে, “তারা আনন্দ করতে করতে মহাসভার সামনে থেকে চলে গেলেন।” (প্রেরিত ৫:৪১) কোন কারণে তারা “আনন্দ” করছিলেন? মারধর করা হয়েছিল বলে তো নিশ্চয়ই নয় বরং এইজন্য আনন্দ করেছিলেন কারণ তারা জানতেন, যিহোবার প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার এবং তাদের আদর্শ যিশু খ্রিস্টের পদচিহ্ন অনুসরণ করার কারণেই তাদের তাড়না করা হয়েছে।—মথি ৫:১১, ১২.

১৫ প্রথম শতাব্দীর সেই ভাইদের মতো বর্তমানেও আমরা সুসমাচারের জন্য আনন্দের সঙ্গে বিভিন্ন তাড়না সহ্য করি। (১ পিতর ৪:১২-১৪) তবে, আমরা লোকদের হুমকি শুনতে, কষ্ট ভোগ করতে কিংবা জেলে যেতে আনন্দ পাই না বরং আমরা এটা ভেবে আনন্দ পাই যে, আমরা আমাদের আনুগত্য বজায় রাখতে পেরেছি। হেনরিক ডরনিকের উদাহরণ লক্ষ করুন, যিনি বহু বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে তাড়না সহ্য করেছেন। ১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে আধিকারিকরা হেনরিক এবং তার দাদকে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই বিরোধীরা বলে, “এদের দু-জনকে কোনো বিষয়ের জন্য রাজি করানো অসম্ভব, এরা তো আনন্দের সঙ্গে মরতেও রাজি।” ভাই হেনরিক বলেন, “যদিও আমি মারা যেতে চায়নি, কিন্তু যিহোবার প্রতি আনুগত্য বজায় রাখার জন্য আমার প্রতি যা যা অত্যাচার করা হয়েছে, সেগুলো আমি সাহস ও সম্মানের সঙ্গে সহ্য করেছি আর এটা আমাকে আনন্দ দিয়েছিল।”—যাকোব ১:২-৪.

প্রেরিতদের মতো আমরাও “ঘরে ঘরে” গিয়ে প্রচার করি

১৬. কীভাবে প্রেরিতেরা দেখিয়েছিলেন, ঈশ্বরের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং কীভাবে আমরা বর্তমানে প্রেরিতদের সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকি?

১৬ প্রেরিতেরা কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর একটুও সময় নষ্ট করেননি। তারা আবারও প্রচার কাজ শুরু করে দেন আর “তারা প্রতিদিন মন্দিরে ও ঘরে ঘরে গিয়ে শিক্ষা দিতে এবং খ্রিস্ট যিশু সম্বন্ধে সুসমাচার ঘোষণা করতে লাগলেন।” d (প্রেরিত ৫:৪২) এই উদ্যোগী প্রচারকেরা দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হন যে, তারা ঈশ্বরের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেবেন। লক্ষ করুন, তারা সুসমাচার জানানোর জন্য লোকদের ঘরে ঘরে যান কারণ যিশু খ্রিস্ট তাদের এই আদেশ দিয়েছিলেন। (মথি ১০:৭, ১১-১৪) আর নিশ্চিতভাবে, তারা এই কারণেই পুরো জেরুসালেম তাদের শিক্ষা দিয়ে পরিপূর্ণ করেছিলেন। বর্তমানেও যিহোবার সাক্ষিরা প্রেরিতদের সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে ঘরে ঘরে প্রচার করার জন্য পরিচিত। আমরাও প্রচারের এলাকায় প্রতিটা ঘরে যাই, যেটা দেখায় যে, আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দিতে আর প্রত্যেক ব্যক্তিকে সুসমাচার শোনার সুযোগ দিতে চাই। যিহোবা কি ঘরে ঘরে এই প্রচার কাজের উপর আশীর্বাদ করেছেন? নিশ্চয়ই করেছেন। সেইজন্য শেষকালের এই শেষ সময়ে, লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি রাজ্যের সুসমাচার গ্রহণ করেছে। আর এদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি রয়েছে, যারা সেই সময় সুসমাচার শুনেছে, যখন কোনো সাক্ষী তার ঘরে গিয়েছিল।

“প্রয়োজনীয় বিষয়টা” দেখাশোনা করার জন্য যোগ্য ভাইদের নিযুক্ত করা হয় (প্রেরিত ৬:১-৬)

১৭-১৯. এমন কোন সমস্যা এসেছিল যেটার ফলে ভাইদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারত এবং সমস্যাটা সমাধান করার জন্য প্রেরিতেরা কী করেন?

১৭ জেরুসালেমের সেই নতুন মণ্ডলীর সামনে আরও একটা সমস্যা আসতে চলেছে আর এবার এটা মণ্ডলীর ভিতর থেকে আসতে যাচ্ছে। প্রথম প্রথম সমস্যাটা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি। সমস্যাটা কী ছিল? এই মণ্ডলীতে থাকা বেশিরভাগ খ্রিস্টানই অন্যান্য দেশ থেকে এসেছিল এবং জেরুসালেমে বাপ্তিস্ম নিয়েছিল। এই খ্রিস্টানেরা আরও শিক্ষা লাভ করার জন্য কিছু সময় জেরুসালেমে থেকে যায়। তাদের খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় জোগানোর জন্য জেরুসালেমের ভাই-বোনেরা স্বেচ্ছায় দান দেয়। (প্রেরিত ২:৪৪-৪৬; ৪:৩৪-৩৭) কিন্তু, ঠিক সেই সময়ই একটা সমস্যা দেখা দেয়, যেটা প্রেরিতদের খুব সতর্কতার সঙ্গে সমাধান করতে হত, যাতে তারা মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখতে পারেন। “দৈনিক খাবার বিতরণের সময় গ্রিকভাষী বিধবাদের উপেক্ষা করা হচ্ছিল।” (প্রেরিত ৬:১) আর অন্যদিকে ইব্রীয়ভাষী বিধবাদের ভালোভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছিল। এটা কোনো সাধারণ সমস্যা নয় বরং একটা ভেদাভেদের সমস্যা ছিল কারণ এর ফলে মণ্ডলীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছিল।

১৮ প্রেরিতদের নিয়ে গঠিত পরিচালকগোষ্ঠী কীভাবে এই সমস্যাটা সমাধান করবে? দিন দিন মণ্ডলীগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই, তাদের উপর এগুলো দেখাশোনা করার এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। সেইজন্য তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় যে, তারা যদি “ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া বন্ধ করে খাবার পরিবেশন করার কাজে ব্যস্ত” থাকে, তা হলে সেটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। (প্রেরিত ৬:২) তাই, তারা শিষ্যদের নির্দেশ দেয়, তারা যেন এমন সাত জন পুরুষকে বাছাই করে, “যারা পবিত্র শক্তিতে ও প্রজ্ঞায় পূর্ণ” যাতে প্রেরিতেরা তাদের খাবার পরিবেশন করার, “প্রয়োজনীয় বিষয়টা” দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিতে পারে। (প্রেরিত ৬:৩) এই কাজের জন্য যোগ্য ভাইদের প্রয়োজন কারণ এটা শুধুমাত্র খাবার পরিবেশন করা ছিল না বরং টাকাপয়সার লেনদেন, কেনাকাটা করা এবং প্রত্যেকটা জিনিসের সঠিক হিসাব রাখার বিষয়টাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। যে-পুরুষদের বাছাই করা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের গ্রিক নাম ছিল। তাই, সম্ভবত গ্রিক বিধবাদের জন্য এই ভাইদের গ্রহণ করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। এই সাত জন পুরুষের নাম সেই প্রেরিতদের কাছে পাঠানো হলে, তারা প্রার্থনাপূর্বক বিবেচনা করার পর, সেই সাত জনকে এই “প্রয়োজনীয় বিষয়টা” দেখাশোনা করার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। e

১৯ এই সাত জন পুরুষকে খাবার পরিবেশন করার দায়িত্ব দেওয়ার মানে কি এই ছিল যে, তাদের আর সুসমাচার প্রচার করতে হবে না? না। স্তিফান ছিলেন সেই ভাইদের মধ্যে একজন যিনি সাহসী ও উদ্যোগী প্রচারক ছিলেন। (প্রেরিত ৬:৮-১০) আরেকজন ভাই ছিলেন ফিলিপ, যাকে “সুসমাচার প্রচারক” বলা হয়েছে। (প্রেরিত ২১:৮) এখান থেকে বোঝা যায়, সেই সাত জন পুরুষ খাবার পরিবেশন করার সাথে সাথে উদ্যোগের সঙ্গে প্রচার কাজও চালিয়ে গিয়েছিল।

২০. বর্তমানে যিহোবার লোকেরা কীভাবে প্রেরিতদের মত একই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে?

২০ বর্তমানে, যিহোবার লোকেরাও প্রেরিতদের মত একই পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকে। মণ্ডলীতে দায়িত্ব পালন করার জন্য এমন পুরুষদের নাম সুপারিশ করা হয়, যারা যিহোবার মতো করে চিন্তা করে এবং যাদের জীবনধারা দেখায়, তাদের ওপর পবিত্র শক্তি কাজ করছে। একজন পুরুষ বাইবেলে দেওয়া যোগ্যতাগুলো পূরণ করলে, তাকে পরিচালকগোষ্ঠীর নির্দেশনায় মণ্ডলীতে একজন প্রাচীন অথবা পরিচারক দাস হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। f (১ তীম. ৩:১-৯, ১২, ১৩) যেহেতু এই যোগ্যতাগুলোর বিষয়ে ঈশ্বরের বাক্যে লেখা রয়েছে, তাই আমরা বলতে পারি, এই পুরুষদের পবিত্র শক্তির মাধ্যমে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই পুরুষেরা মণ্ডলীর প্রয়োজনীয় বিষয়টা দেখাশোনা করার জন্য হৃদয় থেকে পরিশ্রম করে থাকে যেমন, তারা সেই বিশ্বস্ত বয়স্ক ভাই-বোনদের দেখাশোনা করে, যাদের সত্যিই সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। (যাকোব ১:২৭) কিছু প্রাচীন আবার কিংডম হল নির্মাণের কাজে, সংগঠনের বিভিন্ন সম্মেলন আয়োজন করার কাজে অথবা হসপিটাল লিয়েইজন কমিটিতে সাহায্য করে থাকেন। পরিচারক দাসেরা এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে, সেগুলো সরাসরি পালকীয় সাক্ষাৎ অথবা শিক্ষাদানের সঙ্গে জড়িত নয়। এই সমস্ত যোগ্য পুরুষদের মণ্ডলীতে এবং সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি সুসমাচার প্রচার করার দায়িত্ব পালন করতে হবে কারণ এই কাজ ঈশ্বর তাদের দিয়েছেন।—১ করি. ৯:১৬.

“ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে পড়তে লাগল” (প্রেরিত ৬:৭)

২১, ২২. কোন বিষয়টা দেখায়, নতুন মণ্ডলীর উপর যিহোবার আশীর্বাদ ছিল?

২১ যিহোবার সাহায্যে মণ্ডলী বাইরে থেকে আসা সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি মণ্ডলীর ভিতর থেকে আসা সেই সমস্যাগুলোর হাত থেকেও নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পেরেছিল, যেগুলোর কারণে হয়তো তাদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারত। আর যিহোবার আশীর্বাদ তাদের উপর স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল, কারণ শাস্ত্রপদ বলে, “ঈশ্বরের বাক্য ছড়িয়ে পড়তে লাগল এবং জেরুসালেমে শিষ্যদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকল; আর যাজকদের এক বিরাট দল যিশুর অনুসারী হয়ে উঠল।” (প্রেরিত ৬:৭) প্রেরিত বইয়ে মণ্ডলী বৃদ্ধির বিষয়ে এমন অনেক বিবরণ রয়েছে, যার মধ্যে আমরা একটা দেখলাম। (প্রেরিত ৯:৩১; ১২:২৪; ১৬:৫; ১৯:২০; ২৮:৩১) বর্তমানে আমরা যখন শুনি যে, অন্যান্য দেশে রাজ্যের কাজ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগ কি বৃদ্ধি পায় না?

২২ প্রথম শতাব্দীতে নিষ্ঠুর ধর্মগুরুরা শিষ্যদের তাড়না করেই গিয়েছিল। দ্রুত তাড়নার এক বিরাট ঝড় উঠে আর স্তিফান সেটার শিকার হন। পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা এই বিষয়ে আরও জানতে পারব।

a মহাসভা—যিহুদিদের উচ্চ আদালত” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।

b প্রেরিত বইয়ে প্রায় ২০ বারের মতো সরাসরি স্বর্গদূতদের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমটা প্রেরিত ৫:১৯ পদে উল্লেখ রয়েছে। এর আগে প্রেরিত ১:১০ পদেও স্বর্গদূতদের বিষয়ে উল্লেখ করা রয়েছে, কিন্তু সেখানে তাদের স্বর্গদূত নয় বরং ‘সাদা কাপড়পরা পুরুষ’ বলা হয়েছে।

d ‘ঘরে ঘরে গিয়ে’ প্রচার করা” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।

e এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল। তাই, এই সাত জন ভাইয়ের মধ্যে সেই সমস্ত যোগ্যতা অবশ্যই ছিল, যা একজন প্রাচীনের মধ্যে থাকে। কিন্তু বাইবেল স্পষ্টভাবে জানায় না, খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে কবে থেকে প্রাচীন অথবা অধ্যক্ষদের নিযুক্ত করা শুরু হয়েছিল।

f প্রথম শতাব্দীতে যোগ্য ভাইয়েরা প্রাচীনদের নিযুক্ত করতেন। (প্রেরিত ১৪:২৩; ১ তীম. ৫:২২; তীত ১:৫) বর্তমানে পরিচালকগোষ্ঠী সীমা অধ্যক্ষদের নিযুক্ত করে আর সেই সীমা অধ্যক্ষেরা প্রাচীন এবং পরিচারক দাসদের নিযুক্ত করেন।