সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ৪৯

সূর্য স্থির হয়ে থাকে

সূর্য স্থির হয়ে থাকে

যিহোশূয়কে দেখো। তিনি বলছেন: ‘সূর্য, স্থির হয়ে যাও!’ আর সূর্যটা স্থির হয়ে থাকে। এটা ঠিক এখানেই পুরো এক দিনের জন্য মধ্য আকাশে স্থির হয়ে থাকে। যিহোবাই তা ঘটতে দিয়েছেন! কিন্তু, চলো আমরা দেখি যে, কেন যিহোশূয় চেয়েছিলেন যেন সূর্য ক্রমাগত আলো দিতে থাকে।

কনানের পাঁচ জন দুষ্ট রাজা যখন গিবিয়োনীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শুরু করে, তখন গিবিয়োনীয়রা একজন লোককে পাঠিয়ে যিহোশূয়ের কাছে সাহায্য চায়। ‘তাড়াতাড়ি আমাদের কাছে আসুন!’ তিনি বলেন। ‘আমাদের রক্ষা করুন! পাহাড় অঞ্চলের সমস্ত রাজা আপনার দাসদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে।’

সঙ্গেসঙ্গে যিহোশূয় ও তার সমস্ত যোদ্ধা সেখানে ছুটে যায়। সারারাত ধরে তারা সারিবদ্ধ হয়ে চলতে থাকে। তারা যখন গিবিয়োনে এসে পৌঁছায়, তখন সেই পাঁচ রাজার সৈন্যরা ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে শুরু করে। তখন যিহোবা আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো করে শিলা বর্ষণ করেন আর এগুলোর আঘাতে যিহোশূয়ের যোদ্ধাদের হাতে মারা যাওয়া সৈন্যের চেয়ে আরও বেশি সৈন্য মারা যায়।

যিহোশূয় বুঝতে পারেন যে, অল্পসময়ের মধ্যেই সূর্য ডুবে যাবে। অন্ধকার হয়ে যাবে আর তখন সেই পাঁচ জন দুষ্ট রাজার অনেক সৈন্যই পালিয়ে যাবে। তাই, যিহোশূয় যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেন আর এরপর এই কথা বলেন: ‘সূর্য, স্থির হয়ে যাও!’ আর সূর্য যখন আলো দিতে থাকে, তখন ইস্রায়েলীয়রা সেই যুদ্ধে জয়ী হতে সক্ষম হয়।

কনানে আরও অনেক দুষ্ট রাজা রয়েছে, যারা ঈশ্বরের লোকেদের ঘৃণা করে। সেই দেশের একত্রিশ জন রাজাকে পরাজিত করতে যিহোশূয় ও তার সৈন্যবাহিনীর ছয় বছর সময় লাগে। তা করা শেষ হলে, যিহোশূয় এই বিষয়ে লক্ষ রাখেন যেন কনান দেশটা সেই বংশগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়, যাদের তখনও জায়গা প্রয়োজন ছিল।

অনেক বছর কেটে গিয়েছে আর অবশেষে যিহোশূয় এক-শো দশ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ও তার বন্ধুরা যতদিন বেঁচে ছিলেন, ততদিন লোকেরা যিহোবার বাধ্য ছিল। কিন্তু যখন এই ভালো লোকেরা মারা যায়, তখন লোকেরা বিভিন্ন মন্দ কাজ করতে এবং সমস্যায় পড়তে শুরু করে। আর ঠিক তখন তাদের সত্যি সত্যিই ঈশ্বরের সাহায্যের প্রয়োজন হয়।