সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ৪৬

যিরীহোর প্রাচীর

যিরীহোর প্রাচীর

কীসের কারণে যিরীহোর প্রাচীর এভাবে ভেঙে পড়ছে? দেখে মনে হচ্ছে যেন একটা বড়ো বোমা এটাকে আঘাত করেছে। কিন্তু, সেই সময়ে তো তাদের কাছে বোমা ছিল না; এমনকী তাদের কাছে বন্দুকও ছিল না। এটা যিহোবার আরেকটা অলৌকিক কাজ! এসো দেখি, কীভাবে তা হয়েছে।

শোনো যিহোবা যিহোশূয়কে কী বলছেন: ‘তুমি ও তোমার যোদ্ধারা দলবদ্ধ হয়ে ওই নগরের চারিদিকে ঘুরবে। প্রতিদিন এক বার করে ছয় দিনে ছয় বার দলবদ্ধ হয়ে ঘুরবে। তোমাদের সঙ্গে করে নিয়ম-সিন্দুক নেবে। সাত জন যাজক এটার আগে আগে যাবে এবং তাদের তূরী বাজাবে।

‘সপ্তম দিনে তোমরা দলবদ্ধ হয়ে সাত বার ওই নগরের চারিদিকে ঘুরবে। এরপর, একটানা তূরী বাজাবে এবং সকলে খুব জোরে চিৎকার করবে। এতে সেই প্রাচীর একেবারে ভেঙে পড়বে!’

যিহোশূয় ও লোকেরা যিহোবার কথা অনুযায়ী কাজ করে। দলবদ্ধ হয়ে ঘোরার সময় তারা সকলে চুপ করে থাকে। কেউ কোনো কথা বলে না। শুধুমাত্র যে-শব্দ শোনা যায়, তা হল তূরী ও দলবদ্ধ হয়ে হাঁটার শব্দ। যিরীহোতে ঈশ্বরের লোকেদের যে-শত্রুরা ছিল, তারা নিশ্চয়ই ভয় পেয়ে গিয়েছে। তুমি কি দেখতে পাচ্ছ, একটা জানালায় লাল দড়ি ঝুলছে? এটা কার ঘরের জানালা? হ্যাঁ, রাহব ঠিক সেটাই করেছিলেন, যা দু-জন গুপ্তচর তাকে করতে বলেছিল। তার পুরো পরিবার তার সঙ্গে ভিতর থেকে দেখছে।

অবশেষে, সপ্তম দিনে সাত বার ওই নগরের চারিদিকে দলবদ্ধ হয়ে ঘোরার পর, তূরীর শব্দ ও যোদ্ধাদের চিৎকার শোনা যায় আর সেই প্রাচীর ভেঙে পড়ে। এরপর, যিহোশূয় বলেন: ‘নগরের সকলকে মেরে ফেলো ও নগরটা পুড়িয়ে দাও। সব কিছু পুড়িয়ে ফেলো। শুধুমাত্র রুপো, সোনা, তামা এবং লোহা সংগ্রহ করবে এবং সেগুলো যিহোবার তাঁবুর ভাণ্ডারে দিয়ে দেবে।’

সেই দু-জন গুপ্তচরকে যিহোশূয় বলেন: ‘রাহবের ঘরে যাও এবং তাকে ও তার পরিবারকে বের করে নিয়ে এসো।’ রাহব ও তার পরিবার রক্ষা পেয়েছে, ঠিক যেমনটা সেই গুপ্তচরেরা তার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিল।