সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ৬৮

যে-দুটি বালক আবারও বেঁচে ওঠে

যে-দুটি বালক আবারও বেঁচে ওঠে

কোনো সন্তান যদি মারা গিয়ে আবার বেঁচে উঠত, তাহলে তার মায়ের কেমন লাগত? তিনি খুবই খুশি হতেন! কিন্তু, একজন মৃত ব্যক্তি কি আবার বেঁচে উঠতে পারেন? এইরকম ঘটনা কি আগে কখনো ঘটেছে?

এখানে ওই লোকটির দিকে আর এই মহিলা ও ছোটো বালকটিকে দেখো। এই ব্যক্তি হলেন ভাববাদী এলিয়। মহিলাটি হলেন সারিফৎ নগরের একজন বিধবা আর বালকটি হল তার সন্তান। একদিন, বালকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে আর অবশেষে সে মারা যায়। এলিয় তখন সেই মহিলাকে বলেন: ‘ছেলেটিকে আমার কাছে দাও।’

এলিয় মৃত বালকটিকে নিয়ে ওপরের কুঠুরিতে যান এবং বিছানায় শুইয়ে দেন। এরপর, তিনি এই প্রার্থনা করেন: ‘হে যিহোবা, এই বালকটিকে আবার জীবন ফিরিয়ে দাও।’ আর বালকটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করে! এতে এলিয় বালকটিকে নিয়ে নীচের ঘরে যায় আর সেই মহিলাকে বলে: ‘দেখো তোমার ছেলে বেঁচে উঠেছে!’ সেই কারণে এই মা এত খুশি।

যিহোবার আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ ভাববাদীর নাম হল ইলীশায়। তিনি এলিয়ের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে যিহোবা ইলীশায়কে দিয়েও অলৌকিক কাজ করান। একদিন ইলীশায় শূনেম নগরে যান আর সেখানে একজন মহিলা তার প্রতি অনেক দয়া দেখান। পরে, সেই মহিলার এক পুত্রসন্তান হয়।

বড়ো হয়ে ওঠার পর, সেই সন্তান একদিন সকালে বাইরে তার বাবার কাছে যায়, যিনি মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ ছেলেটি এই বলে কেঁদে ওঠে: ‘আমার মাথায় ব্যথা হচ্ছে!’ ছেলেটিকে ঘরে নিয়ে যাওয়ার পর সে মারা যায়। এতে সেই মা কতই-না দুঃখিত হন! সঙ্গেসঙ্গে সেই মহিলা ইলীশায়কে ডেকে নিয়ে আসেন।

ইলীশায় এসে মৃত বালকটির কামরায় যান। তিনি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেন এবং বালকটির দেহের ওপরে শুয়ে পড়েন। অল্পসময়ের মধ্যে বালকটির দেহ গরম হয়ে ওঠে আর সে সাত বার হাঁচি দেয়। তার মা যখন এসে দেখেন যে, তার ছেলেটি বেঁচে উঠেছে, তখন তিনি কতই-না খুশি হন!

অনেক অনেক লোক মারা গিয়েছে। এতে তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধব অনেক দুঃখিত হয়েছে। আমাদের মৃত ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে তোলার ক্ষমতা নেই। কিন্তু, যিহোবার সেই ক্ষমতা রয়েছে। পরে আমরা শিখব যে, কীভাবে তিনি লক্ষ লক্ষ লোককে জীবনে ফিরিয়ে আনবেন।