সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ৮০

ঈশ্বরের লোকেরা বাবিল ত্যাগ করে

ঈশ্বরের লোকেরা বাবিল ত্যাগ করে

মাদীয় ও পারসীকরা বাবিল দখল করে ফেলার পর, প্রায় দু-বছর কেটে গিয়েছে। আর দেখো, এখন কী হচ্ছে! হ্যাঁ, ইস্রায়েলীয়রা বাবিল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তারা কীভাবে মুক্ত হয়েছে? কে তাদেরকে যেতে দিয়েছেন?

পারস্যরাজ কোরস। কোরসের জন্মের অনেক আগেই, যিহোবা তাঁর ভাববাদী যিশাইয়কে কোরস সম্বন্ধে এই কথা লিখতে বলেছিলেন: ‘আমি যেমনটা চাই, তুমি ঠিক তা-ই করবে। তুমি যাতে নগর দখল করতে পার, সেইজন্য নগরের দ্বারগুলো খোলা থাকবে।’ আর কোরস বাবিল দখল করায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মাদীয় ও পারসীকরা রাতের বেলা সেই দ্বারগুলো দিয়ে নগরে প্রবেশ করেছিল, যেগুলো খোলা রাখা হয়েছিল।

কিন্তু, যিহোবার ভাববাদী যিশাইয় এও বলেছিলেন যে, কোরস যিরূশালেম ও এর মন্দিরকে আবার নির্মাণ করার আদেশ দেবেন। কোরস কি সেই আদেশ দিয়েছিলেন? হ্যাঁ, দিয়েছিলেন। কোরস ইস্রায়েলীয়দের এই কথা বলেছিলেন: ‘যাও, যিরূশালেমে গিয়ে তোমাদের ঈশ্বর যিহোবার মন্দির নির্মাণ করো।’ আর এখানে এই ইস্রায়েলীয়রা এখন ঠিক তা করার জন্যই যাচ্ছে।

কিন্তু, বাবিলে থাকা সমস্ত ইস্রায়েলীয় যিরূশালেমে ফিরে যাওয়ার জন্য দীর্ঘযাত্রা করতে পারে না। এটা প্রায় আট-শো কিলোমিটারের (পাঁচ-শো মাইলের) পথ আর অনেকেই এত বৃদ্ধ ও অসুস্থ হয়ে গিয়েছে যে, তারা এত দূরের পথে যাত্রা করতে পারবে না। আর কিছু লোকের না যাওয়ার পিছনে অন্যান্য কারণও ছিল। তবে, যারা ফিরে যায়নি, তাদেরকে কোরস বলেন: ‘যে-লোকেরা যিরূশালেম ও এর মন্দির নির্মাণ করার জন্য ফিরে যাচ্ছে, তাদেরকে তোমরা রুপো, সোনা ও অন্যান্য উপহার দিয়ে দাও।’

তাই, যে-ইস্রায়েলীয়রা যিরূশালেমের উদ্দেশে যাত্রা করে, তাদের অনেক উপহার দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, কোরস তাদেরকে সেই বাটি ও পানপাত্রগুলো দিয়ে দেন, যেগুলো রাজা নবূখদ্‌নিৎসর যিরূশালেম ধ্বংস করার সময় যিহোবার মন্দির থেকে নিয়ে এসেছিলেন। তাই, লোকেদের সঙ্গে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জিনিসপত্র থাকে।

প্রায় চার মাস যাত্রা করার পর, ইস্রায়েলীয়রা একেবারে ঠিক সময়ে যিরূশালেমে পৌঁছায়। যে-সময়ে এই নগর ধ্বংস করা হয়েছে ও এই দেশ পুরোপুরি জনশূন্য হয়ে পড়েছে, তখন থেকে ঠিক সত্তর বছর পার হয়েছে। কিন্তু, ইস্রায়েলীয়রা যদিও এখন নিজেদের দেশে ফিরে এসেছে, তবুও তাদের কিছুটা কঠিন সময় পার করতে হবে আর এই বিষয়ে আমরা পরে শিখব।

যিশাইয় ৪৪:২৮; ৪৫:১-৪; ইষ্রা ১:১-১১.