সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

গল্প ৮৭

মন্দিরে বালক যিশু

মন্দিরে বালক যিশু

ছোটো বালকটি ওই বয়স্ক লোকদের সঙ্গে কেমন কথা বলছে দেখো। তারা যিরূশালেমের ঈশ্বরের মন্দিরের শিক্ষাগুরু। আর এই বালকটি যিশু। তিনি বেশ বড়ো হয়ে উঠেছেন। এখন তাঁর বয়স বারো বছর।

শিক্ষাগুরুরা যিশুকে ঈশ্বর ও বাইবেলে লিখিত বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে এত কিছু জানতে দেখে অনেক অবাক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, যোষেফ ও মরিয়ম এখানে নেই কেন? তারা কোথায়? চলো দেখি।

যোষেফ প্রতি বছর নিস্তারপর্ব নামে একটা বিশেষ উদ্‌যাপনের জন্য তার পরিবারকে যিরূশালেমে নিয়ে আসেন। নাসরৎ থেকে যিরূশালেমের যাত্রাপথটা অনেক দীর্ঘ। কারো গাড়ি নেই আর কোনো রেলগাড়িও নেই। তখনকার দিনে এসব তাদের ছিল না। বেশিরভাগ লোক হেঁটে যাত্রা করে আর যিরূশালেমে পৌঁছাতে তাদের প্রায় তিন দিন সময় লাগে।

এখন যোষেফের এক বিরাট পরিবার রয়েছে। তাই, দেখাশোনা করার জন্য যিশুর কয়েক জন ছোটো ভাই-বোনও রয়েছে। এই বছর যোষেফ ও মরিয়ম তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে নাসরতে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার দীর্ঘ যাত্রাপথে রয়েছে। তারা মনে করে যে, যিশু হয়তো অন্যদের সঙ্গে যাত্রা করছেন। কিন্তু, দিনের শেষে তারা যখন থামে, তখন তারা যিশুকে খুঁজে পায় না। তারা আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের মাঝে তাঁকে খুঁজতে থাকে কিন্তু তিনি তো তাদের সঙ্গে নেই! তাই, তারা তাঁকে খোঁজার জন্য যিরূশালেমে ফিরে যায়।

অবশেষে তারা যিশুকে এখানে এই শিক্ষাগুরুদের সঙ্গে খুঁজে পায়। তিনি তাদের কথা শুনছিলেন এবং তাদের প্রশ্ন করছিলেন। আর সমস্ত লোক যিশুর বুদ্ধি দেখে আশ্চর্য হয়ে যায়। কিন্তু, মরিয়ম বলেন: ‘বাছা, কেন তুমি আমাদের সঙ্গে এইরকম আচরণ করলে? তোমার বাবা আর আমি তোমাকে খুঁজতে খুঁজতে দিশেহারা হয়ে গিয়েছি।’

‘কেন তোমরা আমার খোঁজ করছিলে?’ যিশু উত্তর দেন। ‘তোমরা কি জানতে না যে, আমাকে আমার পিতার ঘরে থাকতে হবে?’

হ্যাঁ, যিশু সেই স্থানে থাকতে ভালোবাসেন, যেখানে তিনি ঈশ্বর সম্বন্ধে শিখতে পারবেন। আমাদেরও কি একইরকম অনুভব করা উচিত নয়? নাসরতে নিজের বাড়িতে থাকার সময়, যিশু প্রতি সপ্তাহে উপাসনার জন্য সভাগুলোতে যেতেন। তিনি যেহেতু সবসময় মনোযোগ দিতেন, তাই তিনি বাইবেল থেকে অনেক বিষয় শিখতে পেরেছিলেন। এসো, আমরাও যিশুর মতো হই আর তাঁর উদাহরণ অনুসরণ করি।