তাদের বিশ্বব্যাপী সংগঠন ও কাজ
তাদের বিশ্বব্যাপী সংগঠন ও কাজ
বেশ কয়েকটি সংযোগকে ব্যবহার করা হচ্ছে এই সাক্ষ্যদান কাজ যা ২০০ টিরও বেশি দেশে করা হয়ে চলেছে তার পরিচালনার জন্য। সার্বিক পরিচালনা আসে ব্রুকলিন, নিউ ইয়র্কে অবস্থিত বিশ্ব প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক গোষ্ঠী থেকে। পরিচালক গোষ্ঠী প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১৫টি অথবা তার অধিক “অঞ্চলগুলির” প্রতিটি অঞ্চলে শাখার প্রতিনিধিদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিনিধি পাঠায়। শাখা অফিসগুলিতে, তাদের সীমার অধিকারের জায়গাগুলিতে কাজের দেখাশোনার জন্য তিন থেকে সাতজন সদস্যের শাখা কমিটি রয়েছে। অনেক শাখাতেই মুদ্রণের সুবিধাসুযোগ রয়েছে, কোথাও কোথাও হাই-স্পিড্ রোটারি প্রেসগুলিতে কাজ হয়। প্রতিটি শাখা দ্বারা পরিচর্যাকৃত দেশ বা জায়গাকে জেলাগুলিতে এবং জেলাগুলি আবার সীমায় বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি সীমার মধ্যে প্রায় ২০টি মণ্ডলী আছে। একজন জেলা অধ্যক্ষ তার জেলার সীমাগুলিকে পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করে থাকেন। প্রতিটি সীমার জন্য বছরে দুটি সম্মেলন রাখা হয়। একজন সীমা অধ্যক্ষও আছেন এবং তিনি তার সীমার মধ্যে প্রতিটি মণ্ডলী সাধারণত বছরে দুবার পরিদর্শন করেন, সেই মণ্ডলীর জন্য নির্দিষ্ট এলাকাতে প্রচার কাজ সংগঠন ও সম্পন্ন করায় সহায়তা করতে।
স্থানীয় মণ্ডলী তার কিংডম্ হল সহ আপনার সম্প্রদায়ের কাছে সুসমাচার বলার জন্য হচ্ছে কেন্দ্রস্থল। প্রতিটি মণ্ডলীর জন্য নির্দিষ্ট অঞ্চলকে ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করে দেওয়া হয়। এককভাবে সাক্ষীদের উপর ভার দেওয়া হয় সেই এলাকার প্রতিটি গৃহে গিয়ে সাক্ষাৎ করার ও কথা বলার প্রচেষ্টা করার জন্য। প্রতিটি মণ্ডলীতে, যেখানে কয়েকজন থেকে প্রায় ২০০ জন পর্যন্ত সাক্ষী থাকতে পারে, প্রাচীনদের নিয়োগ করা হয় বিভিন্ন কাজগুলির তত্ত্বাবধানের জন্য। যিহোবার সাক্ষীদের সংগঠনে সুসমাচারের এই একক ঘোষণাকারী অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষীদের প্রত্যেকে, তা বিশ্ব প্রধান কার্যালয়ে, শাখাগুলিতে অথবা মণ্ডলীগুলিতে, যেখানেই পরিচর্যা করুক, অপরকে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে ব্যক্তিগতভাবে বলার এই ক্ষেত্রের কাজ তারা করে।
এই কাজের সংবাদ অবশেষে বিশ্ব প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছায় এবং একটি বাৎসরিক বর্ষপুস্তক সঙ্কলন ও প্রকাশ করা হয়। আরও, প্রতি বছর প্রহরীদুর্গ-এর জানুয়ারী ১ সংখ্যায় একটি তথ্য-তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই দুই প্রকাশনা যিহোবা এবং খ্রীষ্ট যীশুর অধীনে তাঁর রাজ্যের সাক্ষ্যদানে প্রতি বছরের কর্ম সম্পাদনের বিস্তৃত বিবরণ পেশ করে। বর্ষপুস্তক ১৯৯৪ সংবাদ দেয় যে ১৯৯৩ সালে ১,১৮,৬৫,৭৬৫ জন সাক্ষী ও আগ্রহী ব্যক্তিরা যীশুর মৃত্যুর বাৎসরিক স্মরণার্থক সভায় উপস্থিত ছিল। পরিচর্যা বছর ১৯৯৩-তে যিহোবার সাক্ষীরা সুসমাচার ঘোষণায় ১,০৫,৭০,০০,০০০ ঘন্টার উপর ব্যয় করেছিল এবং ২,৯৬,০০৪ জন নূতন ব্যক্তি বাপ্তিস্মিত হয়েছিল। কোটি কোটি সাহিত্যাদি অর্পণ করা হয়েছিল।