কথাবার্তা শুরু করার জন্য
পাঠ ৫
কৌশলতা সহকারে কথা বলুন
নীতি: ‘প্রভুর একজন দাসের সকলের প্রতি সুকৌশলী হতে হবে।’—২ তীম ২:২৪, পাদ.
পৌল কী করেছিলেন?
১. ভিডিওটা দেখুন অথবা প্রেরিত ১৭:২২, ২৩ পদ পড়ুন। এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে চিন্তা করুন:
-
ক. এথেন্সে পৌল যখন মিথ্যা ধর্মের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিষয় দেখেছিলেন, তখন তার কেমন লেগেছিল?—প্রেরিত ১৭:১৬ পদ দেখুন।
-
খ. কীভাবে পৌল কৌশলতা সহকারে এথেন্সের লোকদের সুসমাচার জানিয়েছিলেন?
পৌলের কাছ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
২. কথা বলার আগে আমরা যদি চিন্তা করি, আমরা কী বলব, কীভাবে বলব এবং কখন বলব, তা হলে লোকেরা হয়তো আমাদের কথা শোনার জন্য আগ্রহ দেখাবে।
আমরা কীভাবে পৌলকে অনুকরণ করতে পারি?
৩. চিন্তা করে শব্দ বাছাই করুন। যেমন, যারা “বাইবেল” অথবা “যিশু” শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত নয়, তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় আমাদের এমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে, যা তারা বুঝতে পারে।
৪. কাউকে দ্রুত সংশোধন করার চেষ্টা করবেন না। তাকে মন খুলে কথা বলার সুযোগ দিন। তিনি যদি এমন কিছু বলেন, যেটার সঙ্গে বাইবেলের শিক্ষার কোনো মিল নেই, তা হলে তর্ক করবেন না। (যাকোব ১:১৯) আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে তার কথা শোনেন, তা হলে আপনি বুঝতে পারবেন, তিনি কী বিশ্বাস করেন এবং কেন তা বিশ্বাস করেন।—হিতো. ২০:৫.
৫. যখন সম্ভব, সেই ব্যক্তির সঙ্গে একমত হোন এবং তার প্রশংসা করুন। তিনি হয়তো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, তার ধর্ম যা শিক্ষা দেয়, তা সঠিক। তাই, প্রথমে এমন বিষয় নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন, যে-বিষয়ে আপনারা দু-জনেই একমত আর এরজন্য তার প্রশংসা করুন। এরপর ধীরে ধীরে তাকে বাইবেলের শিক্ষা সম্বন্ধে জানানোর চেষ্টা করুন।