সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

তাঁর দোষারোপকারীদের প্রতি উত্তর

তাঁর দোষারোপকারীদের প্রতি উত্তর

অধ্যায় ৩০

তাঁর দোষারোপকারীদের প্রতি উত্তর

যখন যিহূদী ধর্মীয় নেতারা যীশুকে দোষারোপ করে বিশ্রামবার ভঙ্গ করা সম্বন্ধে, তিনি উত্তর দেন: “আমার পিতা এখন পর্য্যন্ত কার্য্য করিতেছেন, আমিও করিতেছি।”

ফরীশীদের দাবি সত্ত্বেও, যীশুর কাজ সেইরূপ ছিল না যা বিশ্রামবারের আইনে নিষিদ্ধ। তাঁর প্রচার করার ও লোকদের সুস্থ করার যে কাজ তা ঈশ্বর প্রদত্ত, আর ঈশ্বরকে অনুকরণ করে, তিনি তা প্রত্যেক দিন করতে থাকেন। কিন্তু, তাঁর উত্তর যিহূদীদের আরও ক্রুদ্ধ করে আগের চেয়ে, আর তারা তাঁকে হত্যা করার সুযোগ খোঁজে। কেন?

কারণ তারা শুধু যে বিশ্বাস করে যে যীশু বিশ্রামবার লঙ্ঘন করেছেন তাই নয় কিন্তু যীশু যে ঈশ্বরের ব্যক্তিগত পুত্র এই দাবিটি তারা মনে করে ঈশ্বরের নিন্দা। যাইহোক, যীশু ভয় পাননি এবং তাঁর যে অনুগ্রহের সম্বন্ধ ছিল ঈশ্বরের সাথে তা ব্যক্ত করেন। “কারণ পিতা পুত্রকে ভালবাসেন,” তিনি বলেন, “এবং আপনি যাহা যাহা করেন, সকলই তাঁহাকে দেখান।”

“কেননা পিতা যেমন মৃতগণকে উঠান,” যীশু বলে চলেন, “তদ্রূপ পুত্রও যাহাদিগকে ইচ্ছা জীবনদান করেন।” সত্যই, পুত্র ইতিমধ্যেই আত্মিকভাবে মৃতদের জীবনদান করছিলেন! “যে ব্যক্তি আমার বাক্য শুনে, ও যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহাকে বিশ্বাস করে,” যীশু বলেন, “সে মৃত্যু হইতে জীবনে পার হইয়া গিয়াছে।” হ্যাঁ তিনি বলে চলেন: “এমন সময় আসিতেছে, বরং এখনই উপস্থিত, যখন মৃতেরা ঈশ্বরের পুত্রের রব শুনিবে, এবং যাহারা শুনিবে, তাহারা জীবিত হইবে।”

যদিও কোন প্রমাণ নেই যে তখন অবধি যীশু কাউকে পুনরুত্থান করেছেন, তিনি তাঁর দোষারোপকারীদের বলছিলেন যে মৃতদের এইরূপ আক্ষরিক পুনরুত্থান বাস্তবে ঘটবে। “ইহাতে আশ্চর্য্য মনে করিও না,” তিনি বলেন: “কেননা এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে তাঁহার রব শুনিবে এবং বাহির হইয়া আসিবে।”

তখন অবধি, যীশু স্পষ্টতই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যসাধনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার এরূপ স্বতন্ত্র ও নিশ্চিতভাবে প্রকাশ্যে বর্ণনা দেননি। কিন্তু যীশুর দোষারোপকারীদের তাঁর নিজের সাক্ষ্য থেকেও অতিরিক্ত কিছু আছে এই বিষয়। “তোমরা যোহনের নিকটে লোক পাঠাইয়াছ,” যীশু তাদের মনে করিয়ে দেন, “আর তিনি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়াছেন।”

মাত্র দুই বৎসর পূর্বে, যোহন বাপ্তাইজক এই যিহূদী ধর্মীয় নেতাদের বলেছিলেন তাঁর পশ্চাৎ কেউ আসছেন। যোহন, যিনি এখন কারারুদ্ধ, তাঁর প্রতি একদা তাদের উচ্চ সম্মান স্মরণ করিয়ে দিয়ে, যীশু বলেন: “তোমরা তাঁহার আলোতে কিছু কাল আনন্দ করিতে ইচ্ছুক হইয়াছিলে।” যীশু তাদের এই বিষয় স্মরণ করিয়ে দেন তাদের সাহায্য করার আশায়, হ্যাঁ, বাঁচানোর আশায়। তবুও তিনি যোহনের সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করেন না।

“যে সকল কার্য্য আমি করিতেছি, [ঠিক তখনই যে আশ্চর্য্য কাজ তিনি করেছিলেন তা সহ] সেই সকল আমার বিষয় এই সাক্ষ্য দিতেছে যে, পিতা আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন।” কিন্তু তাছাড়াও, যীশু বলে চলেন: “পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনিই আমার বিষয় সাক্ষ্য দিয়াছেন।” ঈশ্বর যীশুর সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেন, উদাহরণস্বরূপ, তাঁর বাপ্তিস্মের সময়, এই বলে: “ইনিই আমার প্রিয় পুত্র।”

সত্যই, যীশুর দোষারোপকারীদের তাঁকে অস্বীকার করার কোন অজুহাত নেই। যে শাস্ত্র তারা দাবি করে তারা অনুসন্ধান করছে, তাহাই তাঁর সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়! “যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করিতে তবে আমাকেও বিশ্বাস করিতে,” যীশু শেষ করেন, “কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন। কিন্তু তাঁহার লেখায় যদি বিশ্বাস না কর, তবে আমার কথায় কিরূপে বিশ্বাস করিবে?” যোহন ৫:১৭-৪৭; ১:১৯-২৭; মথি ৩:১৭.

▪ কেন যীশুর কাজ বিশ্রামবারকে ভঙ্গ করে না?

▪ কিভাবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রধান ভূমিকার কথা যীশু বর্ণনা করেন?

▪ তিনি যে ঈশ্বরের পুত্র তা প্রমাণ করতে যীশু কার সাক্ষ্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন?