সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যিশাইয়ের ভাববাণী পূর্ণ করা

যিশাইয়ের ভাববাণী পূর্ণ করা

অধ্যায় ৩৩

যিশাইয়ের ভাববাণী পূর্ণ করা

যীশু যখন জানতে পারেন যে ফরীশীরা ও হেরোদের দলের লোকরা তাঁকে হত্যা করতে চায়, তখন তিনি ও তাঁর শিষ্যরা গালীল সমুদ্রের দিকে চলে যান। এখানে বিরাট জনতার ভীড় উপস্থিত হয় প্যালেস্টাইন, ও তার সীমানার বাইরে থেকেও। তিনি অনেককে সুস্থ করেন, ফলে নিদারুণ যন্ত্রণাদায়ক ব্যাধিগ্রস্ত সকলে তাঁকে স্পর্শ করার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে।

যেহেতু ভীড় এত বেশী হয়, যীশু তাঁর শিষ্যদের বলেন একটি নৌকা সব সময় তাঁর কাজের জন্য প্রস্তুত রাখতে। তীর থেকে সরে গিয়ে, তিনি সেই ভীড়কে তাঁর উপর এসে পড়া থেকে রোধ করতে পারবেন। তিনি তাদের নৌকা থেকেও শিক্ষা দিতে পারেন বা অন্য জায়গায় গিয়ে তীরে অন্য ব্যক্তিদেরও সাহায্য দিতে পারেন।

শিষ্য মথি লক্ষ্য করেন যে যীশুর কাজ, “যিশাইয় ভাববাদী দ্বারা কথিত বচন পূর্ণ করে।” এরপর মথি যীশু যে ভাববাণী পূর্ণ করেন তা উবতি করেন:

“দেখ! আমার দাস, তিনি আমার মনোনীত, আমার প্রিয়, আমার প্রাণ তাঁহাতে প্রীত! আমি তাঁহার উপরে আপন আত্মাকে স্থাপন করিব, আর তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায়বিচার প্রচার করিবেন। তিনি কলহ করিবেন না, উচ্চশব্দও করিবেন না, পথে কেহ তাঁহার রব শুনিতে পাইবে না। তিনি থেৎলা নল ভাঙ্গিবেন না, সধূম শলিতা নির্ব্বাণ করিবেন না, যে পর্য্যন্ত না ন্যায়বিচার জয়ীরূপে প্রচলিত করেন। আর তাঁহার নামে পরজাতিগণ প্রত্যাশা রাখিবে।”

যীশু, অবশ্যই, সেই প্রিয় দাস, যাঁর উপর ঈশ্বর প্রীত। যীশু স্পষ্ট করে দেন সত্য ন্যায়বিচার কি, যা মিথ্যা ধর্মীয় রীতিনীতির দ্বারা অন্ধকারাচ্ছন্ন রয়েছে। ঈশ্বরের আইনকে ভুলভাবে ব্যবহার করার জন্যই, ফরীশীরা বিশ্রামবারে অসুস্থ ব্যক্তিদের সাহায্যের জন্য আসবে না! ঈশ্বরের ন্যায়বিচার স্পষ্ট করে দেওয়ার দ্বারা যীশু লোকেদের উপর রীতিগত বোঝার যে অন্যায় ভার আছে তা মুক্ত করেন, আর এই জন্য, ধর্মীয় নেতারা তাঁকে হত্যা করতে চায়।

এর অর্থ কি যে, ‘তিনি কলহ করিবেন না, উচ্চশব্দও করিবেন না, পথে কেহ তাঁহার রব শুনিতে পাইবে না’? যখন লোকদের অরোগ্য করেন, যীশু ‘দৃঢ়ভাবে আজ্ঞা দেন যেন তাঁকে তারা প্রকাশ না করে।’ তিনি চান না যে তাঁর সম্বন্ধে রাস্তা ঘাটে প্রচার হোক এবং লোকে বানানো তথ্য এক মুখ থেকে অন্য মুখে ছড়াক।

আরও, যীশু সান্ত্বনাদায়ক বার্তা বহন করেন সেই ব্যক্তিদের জন্য যারা রূপকভাবে থেৎলা, নুয়েপড়া ও পদদলিত নলের ন্যায়। এরা সধূম শলিতার ন্যায়, যাদের জীবনের শেষ আশা প্রায় নিভতে বসেছে। যীশু এই ধরনের ব্যক্তিদের মাড়িয়ে বা নিভিয়ে দিতে চান না। কিন্তু সহানুভূতি ও প্রেমের সাথে, তিনি নম্রদের দক্ষভাবে তুলে ধরেন। সত্যই, যীশু হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যাঁর উপর জাতিগণ নির্ভর করতে পারে! মথি ১২:১৫-২১; মার্ক ৩:৭-১২; যিশাইয় ৪২:১-৪.

▪ যীশু কিভাবে ন্যায় বিচার স্পষ্ট করেন, কলহ না করে অথবা পথে স্বর উচ্চ না করে?

▪ কারা সেই থেৎলা নল ও সধূম শলিতার ন্যায়, ও যীশু তাদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করেন?