যীশুর প্রথম আশ্চর্য্য কাজ
অধ্যায় ১৫
যীশুর প্রথম আশ্চর্য্য কাজ
কেবল এক-দুই দিন হয়েছে যখন থেকে আন্দ্রিয়, পিতর, যোহন, ফিলিপ, নথনেল, এবং হয়ত বা যাকোব যীশুর প্রথম শিষ্য হয়েছেন। তারা এখন তাদের ঘরে গালীল প্রদেশে ফিরে যাচ্ছেন, সেখানকারই তারা সকলে বাসিন্দা। তাদের লক্ষ্যস্থান হল কান্না, যা নথনেলের আবাস নগর, পাহাড়ের কাছে, নাসরৎ থেকে খুব দূরে নয়, যেখানে যীশু নিজে বড় হয়েছিলেন। তাদের একটি বিবাহ ভোজে কান্না নগরে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে।
যীশুর মাও সেই বিবাহে এসেছেন। তিনি যেহেতু যে পরিবারে বিবাহ হচ্ছে তাদের বান্ধবী, সেইজন্য তিনি অতিথিদের সেবা করছিলেন মনে হয়। তাই তৎপরতার সাথে কিছুর আভাব লক্ষ্য করে, তিনি যীশুকে গিয়ে বলেন: “উহাদের দ্রাক্ষারস নাই।”
মরিয়ম যখন এইভাবে বলতে চাইছিলেন, যেন যীশু দ্রাক্ষারসের আভাব সম্বন্ধে কিছু করেন, যীশু প্রথমে অনীহা দেখান। “আমার সঙ্গে তোমার বিষয় কি?” তিনি জিজ্ঞাসা করেন। ঈশ্বরের মনোনীত রাজা হিসাবে, তিনি তাঁর কাজে পরিবার বা বন্ধুদের দ্বারা পরিচালিত হবেন না। তাই মরিয়ম বিজ্ঞতার সাথে ব্যাপারটা তার পুত্রের উপর ছেড়ে দেন, কেবল যারা পরিচর্য্যা করছিল তাদের বলেন: “ইনি তোমাদের যাহা কিছু বলেন, তাহাই কর।”
সেখানে ছয়টি বড় পাথরের জালা বসানো ছিল, তাদের প্রত্যেকটিতে চল্লিশ লিটারেরও বেশী জল ধরে। যীশু যারা পরিচর্য্যা করছিল তাদের বলেন: “ঐ সকল জালায় জল পূর।” আর পরিচারকেরা সেগুলি কানায় কানায় পূর্ণ করল। তখন যীশু বলেন: “এখন উহা হইতে কিছু তুলিয়া ভোজাধ্যক্ষের কাছে লইয়া যাও।”
ভোজাধ্যক্ষ এত উচ্চ মানের দ্রাক্ষারস দেখে খুব প্রভাবিত হন, তিনি বোঝেন না যে তাহা আশ্চর্য্যভাবে তৈরী হয়েছে। তিনি, বরকে ডেকে বলেন: “সকল লোকেই প্রথমে উত্তম দ্রাক্ষারস পরিবেষণ করে, এবং যথেষ্ট পান করা হইলে পর তাহা অপেক্ষা কিছু মন্দ পরিবেষন করে; তুমি উত্তম দ্রাক্ষারস এখন পর্য্যন্ত রাখিয়াছ।”
ইহা যীশুর প্রথম আশ্চর্য্য কাজ, ও তা দেখে তাঁর নূতন শিষ্যদের বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। পরে, তাঁর মাতা ও অর্দ্ধ ভ্রাতাদের সাথে, তিনি কফরনাহূম শহরে যাত্রা করেন যা গালীল সমুদ্রের কাছে। যোহন ২:১-১২.
▪ যীশুর পরিচর্য্যার কোন সময় কান্নায় বিবাহ হয়?
▪ কেন যীশু তাঁর মাতার প্রস্তাবে বাধা দেন?
▪ কি আশ্চর্য্য কাজ যীশু সম্পন্ন করেন, এবং ইহা অন্যদের উপর কি প্রভাব ফেলে?