সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যীশুর যিরূশালেমে অন্তিম যাত্রার সময় দশজন কুষ্ঠরোগী আরোগ্য লাভ করে

যীশুর যিরূশালেমে অন্তিম যাত্রার সময় দশজন কুষ্ঠরোগী আরোগ্য লাভ করে

অধ্যায় ৯২

যীশুর যিরূশালেমে অন্তিম যাত্রার সময় দশজন কুষ্ঠরোগী আরোগ্য লাভ করে

যীশু মহাসভার যে চেষ্টা তাঁকে হত্যা করার তা বিফল করেন যিরূশালেম ছেড়ে ইফ্রয়িমে যাত্রা করে, হয়ত তা যিরূশালেমের ২৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে। সেখানে তিনি তাঁর শিষ্যদের নিয়ে, নিজ শত্রুদের থেকে দূরে থাকেন।

যাহাহোক, ৩৩ সা.শ. নিস্তারপর্বের সময় নিকটে আসছিল, শীঘ্র যীশু আবার ভ্রমণ শুরু করেন। তিনি শমরিয়া হয়ে গালীলে উপস্থিত হন। তাঁর মৃত্যুর পূর্বে এই অঞ্চলে তাঁর এটাই শেষ ভ্রমণ। গালীলে থাকাকালীন, সবেত তিনি ও তাঁর শিষ্যরা অন্যদের সাথে যোগ দেন যারা যিরূশালেমে যাচ্ছিল নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপন করতে। তারা পিরিয়া প্রদেশের মধ্যে দিয়ে, যর্দ্দনের পূর্বদিকের রাস্তা নেন।

এই যাত্রার প্রথম দিকে, যীশু যখন একটি গ্রামে প্রবেশ করছেন তা হয় শমরিয়া না হয় গালীলে, তিনি দশজন লোকের সাক্ষাৎ পান যারা কুষ্ঠরোগী। এই ভয়ঙ্কর রোগ একজনের শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষয় করে আস্তে আস্তে—যেমন তার আঙ্গুল, পায়ের আঙ্গুল, কান, নাক, ও তার ঠোঁট। অন্যদের যাতে এই রোগ না হয়, ঈশ্বরের আইন একজন কুষ্ঠরোগী সম্বন্ধে বলে: “সে আপনার ওষ্ঠ বস্ত্র দ্বারা ঢাকিয়া ‘অশুচি, অশুচি!’ এই চীৎকার করিবে। যত দিন তাহার গাত্রে ঘা থাকিবে, তত দিন সে অশুচি থাকিবে, সে অশুচি; . . . সে একাকী বাস করিবে।”

দশজন কুষ্ঠরোগী আইনের সীমা পালন করে যীশুর থেকে অনেক দূরে থাকে। কিন্তু তারা উচ্চরবে চিৎকার করে: “যীশু, নাথ, আমাদিগকে দয়া করুন!”

তাদের দূরে দেখে, যীশু আজ্ঞা দেন: “যাও, যাজকগণকে গিয়ে আপনাদিগকে দেখাও।” যীশু ইহা বলেন কারণ ঈশ্বরের আইন যাজকদের ক্ষমতা দেয় যারা কুষ্ঠরোগ থেকে ভাল হয়ে গেছে তাদের শুচি ঘোষণা করতে। এই ভাবে এই লোকেরা আবার সুস্থ ব্যক্তিদের সাথে বাস করতে অনুমোদন লাভ করে।

এই দশজন কুষ্ঠরোগীর যীশুর আশ্চর্য্য ক্ষমতার উপর বিশ্বাস আছে। তাই তারা তাড়াতাড়ি যাজকের সাথে দেখা করতে যায়, এমনকি যদিও তখনও সুস্থ হয়নি। তারা যখন পথে যাচ্ছে, যীশুর প্রতি তাদের বিশ্বাস পুরস্কৃত হয়। তারা দেখতে পায় ও অনুভব করে তাদের পুনর্নবীনিকৃত স্বাস্থ্য!

শুচিকৃত নয়জন কুষ্ঠরোগী তাদের নিজের পথে চলে যায়, কিন্তু একজন কুষ্ঠী, শমরীয়, ফিরে আসে যীশুর খোঁজে। কেন? কারণ তার যা হয়েছে তার জন্য সে খুব কৃতজ্ঞ। সে উচ্চরবে ঈশ্বরের গৌরব করে, আর যখন সে যীশুকে খুঁজে পায়, সে তাঁর পায়ে পড়ে, ধন্যবাদ দেয়।

উত্তরে যীশু বলেন: “দশজন কি শুচিকৃত হয় নাই? তবে সেই নয়জন কোথায়? ঈশ্বরের গৌরব করিবার জন্য ফিরিয়া আসিয়াছে, এই অন্যজাতীয় লোকটি ভিন্ন এমন কাহাকেও কি পাওয়া গেল না?”

তারপর তিনি সেই শমরীয় ব্যক্তিটিকে বলেন: “উঠিয়া চলিয়া যাও, তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করিয়াছে।”

যখন আমরা যীশু এই দশজন কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য করেছেন পড়ি, আমাদের হৃদয়ে তাঁর এই প্রশ্নের দ্বারা ইঙ্গিত থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত: “অন্য নয়জন কোথায়?” যে অকৃতজ্ঞতা ঐ নয়জন দেখিয়েছিল তা গুরুতর অন্যায়। আমরা কি, সেই শমরীয় ব্যক্তির মত কৃতজ্ঞতা দেখাব ঈশ্বরের কাছ থেকে আমরা যা লাভ করি তার জন্য, যার মধ্যে আছে ঈশ্বরের ধার্মিকতার নূতন জগতে অনন্ত জীবনের নিশ্চিত প্রতিজ্ঞা? যোহন ১১:৫৪, ৫৫; লূক ১৭:১১-১৯; লেবীয়পুস্তক ১৩:১৬, ১৭, ৪৫, ৪৬; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

▪ তাঁকে হত্যার চআন্তকে যীশু কিভাবে বিফল করেন?

▪ যীশু পরে কোথায় যাত্রা করেন, এবং তাঁর লক্ষ্যস্থল কোথায়?

▪ কুষ্ঠরোগীরা কেন দূরে দাঁড়িয়ে ছিল, এবং যীশু তাদের কেন যাজকদের কাছে যেতে বলেন?

▪ এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কি শিখতে পারি?