সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

শেষদিনের চিহ্ন

শেষদিনের চিহ্ন

অধ্যায় ১১১

শেষদিনের চিহ্ন

এখন সময় মঙ্গলবার অপরাহ্ন। যীশু জৈতুন পর্বতের উপর বসে, নীচে মন্দিরের দিকে লক্ষ্য করেন, পিতর, আন্দ্রিয়, যাকোব, এবং যোহন তাঁর নিকট বিরলে আসেন। তারা মন্দির সম্বন্ধে চিন্তিত, কারণ যীশু একটু আগে বলেছেন একটি পাথরের উপরে আর একটি পাথর থাকবে না।

কিন্তু তারা যখন যীশুর কাছে আসে তখন আরও অধিক কিছু তাদের মনে রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ পূর্বে, তিনি তাঁর “উপস্থিতি,” সেই সময় হবে বলেন “যখন মনুষ্যপুত্র প্রকাশিত হবেন।” আর পূর্বে এক সময়, তিনি তাদের বলেন “যুগান্তের শেষ” সম্বন্ধে। তাই প্রেরিতরা খুব কৌতুহলী জানবার জন্য।

“বলুন দেখি,” তারা বলে, “এই সকল ঘটনা কখন হইবে [যার ফল হবে যিরূশালেম ও তার মন্দিরের বিনাশ] আর আপনার আগমনের ও যুগান্তের চিহ্ন কি?” দেখতে গেলে, এই প্রশ্নের তিনটি ভাগ আছে। প্রথমে, তারা যিরূশালেমের ও মন্দিরের শেষ সম্বন্ধে জানতে চায়, তারপর রাজ্যের ক্ষমতায় যীশুর উপস্থিতি সম্পর্কে আর শেষে সমগ্র এই মন্দ বিধিব্যবস্থার শেষ সম্বন্ধে।

যীশু তাঁর সুদীর্ঘ উত্তরে, এই তিন ভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দেন। তিনি চিহ্ন দেন যা সনাক্ত করে কখন যিহূদী বিধিব্যবস্থা শেষ হবে; কিন্তু এর থেকেও আরও কিছু তিনি বলেন। তিনি চিহ্ন দেন যা তাঁর ভবিষ্যৎ শিষ্যদের সতর্ক করবে যাতে তারা জানতে পারে যে তারা তাঁর উপস্থিতির সময়কালে এবং সমস্ত বিধিব্যবস্থার শেষের নিকটে বাস করছে।

বছরগুলি যেমন যেতে থাকে, শিষ্যরা যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতা লক্ষ্য করেন। হ্যাঁ, যে বিষয়গুলি তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সেগুলি তাদের দিনে ঘটতে আরম্ভ করে। সেই কারণে, যে খ্রীষ্টানরা জীবিত ছিলেন ৩৭ বৎসর পরে, ৭০ সা.শ., তারা আশ্চর্য্য বোধ করেননি যখন যিহূদী বিধিব্যবস্থা ও মন্দির ধ্বংস হয়।

যাইহোক, খ্রীষ্টের উপস্থিতি ও জগত পরিস্থিতির শেষ ৭০ সা.শ. হয়নি। তাঁর রাজ্যের ক্ষমতায় উপস্থিতি আরও অনেক পরে ঘটে। কিন্তু কখন? যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী বিবেচনা করলে তা প্রকাশ পায়।

যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে “যুদ্ধের কথা ও যুদ্ধের জনরব শুনিবে।” “জাতির বিপক্ষে জাতি উঠিবে,” তিনি বলেন, আর দুর্ভিক্ষ, মহামারী ও ভূমিকম্প হবে। তাঁর শিষ্যদের ঘৃণা করা হবে ও হত্যা করা হবে। মিথ্যা ভবিষ্যৎ-বক্তারা উঠে অনেককে বিপথে চালিত করবে। অরাজকতা বৃদ্ধি পাবে, আর অনেকের প্রেম শিথিল হয়ে পড়বে। আর একই সময়, ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার সকল জাতির কাছে সাক্ষ্য দেবার জন্য প্রচার করা যাবে।

যদিও যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী সীমিত ভাবে পরিপূর্ণ হয় যিরূশালেম ৭০ সা.শ. ধ্বংস হবার পূর্বে, কিন্তু বৃহৎ পরিপূর্ণতা তাঁর উপস্থিতি ও যুগান্তের শেষে লাভ করে। যত্নের সাথে জগতের ঘটনাবলী পরীক্ষা করলে আমরা দেখব যে ১৯১৪ সাল থেকে যীশুর সেই গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বৃহৎ আকারে পরিপূর্ণতা লাভ করছে।

চিহ্নের আর একটি অংশ যীশু দেন আর তা হল “ত্তংসের যে ঘৃণার্হ বস্তু,” তার অবির্ভাব। ৬৬ সা.শ. এই ঘৃণার্হ বস্তু প্রকাশিত হয় “শিবিরস্থ রোমীয় সৈন্যদল” রূপে যারা যিরূশালেম ও মন্দিরের চারিদিকে ঘিরে ফেলে। এই “ঘৃণার্হ বস্তু” যেখানে থাকা উচিত নয় সেই স্থান গ্রহণ করে।

বৃহৎ আকারে চিহ্নের পরিপূর্ণতায়, ঘৃণার্হ বস্তুটি হচ্ছে জাতিপুঞ্জ ও তার উত্তরাধিকারী, রাষ্ট্রসংঘ। এই সংগঠনকে খ্রীষ্টিয় জগত ঈশ্বরের রাজ্যের বিক ভাবে যা জগৎব্যাপী শান্তি আনবে। কি ঘৃণার্হ! সময় মত, সেই কারণে, যে রাজনৈতিক শক্তিগুলি এই রাষ্ট্রসংঘের সাথে জড়িত তারা খ্রীষ্টিয় জগতের উপরে আক্রমণ করবে (রূপক যিরূশালেম) ও তাকে ধ্বংস করবে।

যীশু তাই ভবিষ্যদ্বাণী করেন: “আর তৎকালে এরূপ মহাক্লেশ উপস্থিত হইবে, যেরূপ জগতের আরম্ভ অবধি এ পর্যন্ত কখনও হয় নাই, আর কখনও হইবেও না।” যদিও যিরূশালেমের ধ্বংস সত্যই এক মহাক্লেশ যা ঘটে ৭০ সা.শ., কারণ প্রায় ১০ লক্ষ লোককে হত্যা করা হয়, তবুও নোহের দিনের পৃথিবীব্যাপী প্লাবনের থেকে বৃহৎ নয়। সেইজন্য যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীর এই অংশের বৃহৎ পরিপূর্ণতা এখনও ঘটবার অপেক্ষায় আছে।

শেষের দিনে দৃঢ়তা

মঙ্গলবার, নিশান ১১ তারিখের শেষ সন্নিকট, যীশু তাঁর প্রেরিতদের সাথে তাঁর রাজ্যের ক্ষমতায় আসা ও যুগান্তের শেষের চিহ্ন সম্বন্ধে আলোচনা চালিয়ে যান। তিনি তাদের ভাক্ত খ্রীষ্টদের পিছু ছোটার বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, চেষ্টা করা হবে, “যদি হইতে পারে, মনোনীতদিগকেও ভুলাইবে।” কিন্তু, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ঈগলের মত, মনোনীতরা যেখানে প্রকৃত আত্মিক খাদ্য পাওয়া যাবে সেখানে উপস্থিত হবে, তা হল, সত্য খ্রীষ্টের কাছে তাঁর অদৃশ্য উপস্থিতিতে। তারা ভ্রান্ত হয়ে মিথ্যা খ্রীষ্টের সাথে একত্রিত হবে না।

ভাক্ত খ্রীষ্টরা কেবল দৃশ্যত উপস্থিত হতে পারে। কিন্তু ইহার পরিবর্তে, যীশুর উপস্থিতি অদৃশ্যভাবে। তা হবে মানব ইতিহাসের এক ভয়ানক সময়ে, যেমন যীশু বলেন: “সূর্য্য অন্ধকার হইবে, চন্দ্র জোৎস্না দিবে না।” হ্যাঁ, ইহা হবে মানব অস্তিত্বের সব থেকে অন্ধকারময় সময়। এমন হবে যেন দিনের বেলায় সূর্য্য অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে, আর যেন রাত্রিকে চাঁদ আলো দিচ্ছে না।

“আকাশমণ্ডলের পরাআম সকল বিচলিত হইবে,” যীশু বলে চলেন। এর দ্বারা তিনি বলতে চান যে আক্ষরিক আকাশ যেন অমঙ্গলের রূপ নেবে। আকাশ কেবল পাখিদের জন্য থাকবে না, কিন্তু যুদ্ধের বিমান দ্বারা, রকেট ও অন্য মহাশূণ্যভেদকারী জিনিষগুলির দ্বারা পূর্ণ হবে। ভীতি ও হিংস্রতা পূর্বে যা মানুষের ইতিহাসে ঘটেছে তা সব ছাড়িয়ে যাবে।

এর ফলস্বরূপ, যীশু বলেন, “পৃথিবীতে জাতিগণের ক্লেশ হইবে, তাহারা সমুদ্রের ও তরঙ্গের গর্ড্জনে উদ্বিগ্ন হইবে; ভয়ে, ও ভূমণ্ডলে যাহা যাহা ঘটিবে তাহার অশঙ্কায়, মানুষের প্রাণ উড়িয়া যাইবে।” মানব ইতিহাসের এই অন্ধকারময় পরিস্থিতি সেই সময়ের দিকে নিয়ে যাবে, যেমন যীশু বলেন, “তখন মনুষ্যপুত্রের চিহ্ন আকাশে দেখা যাইবে, আর তখন পৃথিবীর সমুদয় গোষ্ঠী বিলাপ করিবে।”

সকলেই যে বিলাপ করবে যখন ‘মনুষ্যপুত্র তাঁর প্রতাপে আসবেন’ এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা ধ্বংস করতে, তা নয়। “মনোনীত ব্যক্তিরা,” ১৪৪,০০০ যারা খ্রীষ্টের সাথে স্বর্গ রাজ্যে শাসন করবেন ও তাদের সাথী যাদের যীশু “অপর মেষ” বলেন, তারা বিলাপ করবে না। যদিও তারা মানব ইতিহাসের সব থেকে অন্ধকারময় সময়ে বাস করে, তারা যীশুর উৎসাহজনক কথায় সাড়া দেয়: “সেইরূপ তোমরা যখন এই সকল ঘটিতেছে দেখিবে, তোমরা ঊর্দ্ধদৃষ্টি করিও, মাথা তুলিও, কারণ তোমাদের মুক্তি সন্নিকট।”

যাতে তাঁর শিষ্যরা যারা শেষকালে বাস করবে তারা বুঝতে পারে যে শেষ কত কাছে, যীশু এই দৃষ্টান্ত দেন: “ডুমুর গাছ ও আর সকল গাছ দেখ: যখন সেগুলি পল্লবিত হয়, তখন তাহা দেখিয়া তোমরা আপনারাই বুঝিতে পার যে, এখন গ্রীষ্মকাল সন্নিকট। সেইরূপ তোমরাও যখন এই সকল ঘটিতেছে দেখিবে, তখন জানিবে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট। আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, যে পর্যন্ত সমস্ত সিদ্ধ না হইবে, সেই পর্যন্ত এই কালের লোকদের লোপ হইবে না।”

সেই কারণে, যখন তাঁর শিষ্যরা চিহ্নের বিভিন্ন পূর্ণতা লক্ষ্য করবে, তাদের বুঝতে হবে যে এই বিধিব্যবস্থার শেষ নিকটে আর ঈশ্বরের রাজ্য খুব শীঘ্রই সমস্ত দুষ্টতাকে মুছে দেবে। বস্তুতঃ, শেষ উপস্থিত হবে তাদের জীবনকালে যারা যীশুর কথিত সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতা দেখেছে! সেই শিষ্যরা যারা গুরুত্বপূর্ণ শেষকালে জীবিত থাকবে তাদের উপদেশ দিতে গিয়ে যীশু বলেন:

“কিন্তু আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, পাছে ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের হৃদয় ভারগ্রস্ত হয়, আর সেই দিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়ে। কেননা সেই দিন সমস্ত ভূতলনিবাসী সকলের উপরে উপস্থিত হইবে। কিন্তু তোমরা সর্বসময়ে জাগিয়া থাকিও এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে, তাহা এড়াইতে, এবং মনুষ্যপুত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে, শক্তিমান্‌ হও।”

সুবুদ্ধি এবং নির্বুদ্ধি কুমারীগণ

যীশু তাঁর প্রেরিতদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন যে চিহ্নগুলি দেখাবে তাঁর রাজ্যের ক্ষমতায় উপস্থিতি সম্বন্ধে। এবার তিনি তাঁর চিহ্ন সম্বন্ধে আরও বিশদভাবে জানান তিনটি উপমা, বা দৃষ্টান্তের দ্বারা।

এই দৃষ্টান্তগুলির প্রত্যেকটি যারা তাঁর উপস্থিতির সময় বেঁচে থাকবে তারা দেখতে পাবে। তিনি প্রথমটি এই কথার দ্বারা পরিচয় করান: “তখন স্বর্গ-রাজ্য এমন দশটি কুমারীর তুল্য বলিতে হইবে, যাহারা আপন আপন প্রদীপ লইয়া বরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে বাহির হইল। তাহাদের মধ্যে পাঁচ জন্য নির্বুদ্ধি, আর পাঁচ জন সুবুদ্ধি ছিল।”

এই অভিমত প্রকাশ করার দ্বারা যে “স্বর্গ-রাজ্য দশটি কুমারীর তুল্য,” যীশু বোঝাতে চাননি যে যারা স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করে তারা অর্ধেক নির্বুদ্ধি আর বাকিরা সুবুদ্ধি! না, তিনি বোঝাতে চাইছেন স্বর্গ-রাজ্যের সাথে জড়িত, কিছু ঘটনা এইরূপ বা ওইরূপ, অথবা রাজ্যের সাথে এই এই ঘটনার যোগ আছে।

দশ কুমারী চিত্রিত করে যারা খ্রীষ্টান রূপে দাবি করে স্বর্গ-রাজ্যের অংশীদার বলে তাদের। ৩৩ সা.শ. পঞ্চাশত্তমীর দিনে খ্রীষ্টিয় মণ্ডলী বিবাহের জন্য বাগদত্তা হয় পুনরুত্থিত, গৌরবান্বিত বর, যীশু খ্রীষ্টের কাছে। কিন্তু বিবাহ হবে স্বর্গে ভবিষ্যতে কোন এক সময়ে।

দৃষ্টান্তের দশজন কুমারী বাহির হয় এই বরকে স্বাগত জানানোর জন্য এবং বিবাহ মিছিলে যোগ দেবার জন্য। যখন তিনি উপস্থিত হবেন, তারা সেই শোভাযাত্রার পথ আলোকিত করবে, এইভাবে তাঁকে গৌরবান্বিত করবে যখন তিনি তাঁর কনেকে তাঁর প্রস্তুত করা গৃহে নিয়ে আসবেন। যাইহোক, যীশু ব্যাখ্যা করেন: “যারা নির্বুদ্ধি, তাহারা আপন আপন প্রদীপ লইল, সঙ্গে তৈল লইল না; কিন্তু সুবুদ্ধিরা আপন আপন প্রদীপের সহিত পাত্রে করিয়া তৈল লইল। আর বর বিলম্ব করাতে সকলে ঢুলিতে ঢুলিতে ঘুমাইয়া পড়িল।”

বরের বিলম্ব প্রদর্শন করে যে খ্রীষ্টের রাজারূপে উপস্থিতি সুদূর ভবিষ্যতে হবে। তিনি তাঁর রাজ্যে শেষ পর্যন্ত ১৯১৪ সালে উপস্থিত হন। তার আগে যে লম্বা রাত অতিবাহিত হয়, তাতে সকল কুমারীরা ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু এর জন্য তাদের দোষারোপ করা হয়নি। যে জন্য নির্বুদ্ধি কুমারীদের ভর্ৎসনা করা হয় তা হল তাদের সাথে অতিরিক্ত তৈল না থাকার দরুন। যীশু ব্যাখ্যা করেন কিভাবে কুমারীরা জেগে ওঠে বর উপস্থিত হবার পূর্বে: “পরে মধ্য রাত্রে এই উচ্চ রব হইল, ‘দেখ, বর! তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে বাহির হও।’ তাহাতে সেই কুমারীরা উঠিল এবং আপন আপন প্রদীপ সাজাইল। আর নির্বুদ্ধিরা সুবুদ্ধিদিগকে বলিল, ‘তোমাদের তৈল হইতে আমাদের কিছু দাও, কেননা আমাদের প্রদীপ নিভিয়া যাইতেছে।’ কিন্তু সুবুদ্ধিরা উত্তর করিয়া কহিল, ‘হয়ত তোমাদের ও আমাদের জন্য কুলাইবে না। তোমরা বরং বিআতাদের কাছে গিয়া আপনাদের জন্য আয় কর।’”

তৈল চিহ্নিত করে সেই বস্তু যা সত্য খ্রীষ্টানদের জ্যোতিস্বরূপ আলোকিত হতে সাহায্য করে। তাহা হল ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য, যা খ্রীষ্টানরা দৃঢ়মুষ্টিতে ধরে রাখে, পবিত্র আত্মার সঙ্গে, যা তাদের এই বাক্য বুঝতে সাহায্য করে। আত্মিক তৈল যারা সুবুদ্ধি কুমারী তাদের সাহায্য করে আলো দেখাতে ও বরের বিবাহ ভোজে যাওয়া মিছিলকে স্বাগত জানাতে। কিন্তু নির্বুদ্ধি কুমারী দলের নিজেদের কাছে, তাদের পাত্রে, সেই প্রয়োজনীয় আত্মিক তৈল নেই। তাই যীশু বর্ণনা করেন যে কি হয়:

“তাহারা [নির্বুদ্ধি কুমারীগণ] আয় করিতে [তৈল] যাইতেছে, ইতিমধ্যে বর আসিলেন এবং যাহারা প্রস্তুত ছিল, তাহারা তাঁহার সহিত বিবাহ বাটীতে প্রবেশ করিল; আর দ্বার রুদ্ধ হইল। শেষে অন্য সব কুমারীও আসিয়া কহিতে লাগিল, ‘প্রভু, প্রভু, আমাদিগকে দ্বার খুলিয়া দিউন!’ কিন্তু তিনি উত্তর করিয়া কহিলেন, ‘আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমাদিগকে চিনি না।’”

খ্রীষ্ট তাঁর স্বর্গীয় রাজ্যে উপস্থিত হবার পর, যারা সুবুদ্ধি কুমারীর দল প্রকৃত অভিষিক্ত খ্রীষ্টানরা তাদের সুযোগের প্রতি জাগ্রত হয় এই অন্ধকারময় জগতে আলো দিতে পুনরায় আগত বরের প্রশংসায়। কিন্তু যারা নির্বুদ্ধি কুমারীগণ দ্বারা চিত্রিত, তারা এই স্বাগতমূলক প্রশংসা জানানোর জন্য প্রস্তুত নয়। তাই যখন সময় উপস্থিত হয়, খ্রীষ্ট তাদের জন্য স্বর্গে বিবাহ ভোজের জন্য দ্বার খুলে দেন না। তিনি তাদের বাইরে ছেড়ে দেন জগতের অন্ধকারময় রাতে, যাতে অন্য অধর্মাচারীদের সাথে তারা বিনষ্ট হয়। “অতএব, জাগিয়া থাক,” যীশু উপসংহারে বলেন, “কেননা তোমরা সেই দিন বা সেই দণ্ড জান না।”

তালন্তের দৃষ্টান্ত

যীশু তাঁর আলোচনা চালিয়ে যান তাঁর প্রেরিতদের সাথে জৈতুন পর্বতের উপর তাদের আরও একটি দৃষ্টান্ত বলার দ্বারা, তিনটির এটি দ্বিতীয়। কয়েকদিন পূর্বে, যখন তিনি যিরীহোতে ছিলেন, তিনি তাদের মুদ্রার দৃষ্টান্ত দেন বোঝাবার জন্য যে ভবিষ্যতে রাজ্য আসতে অনেক দেরী আছে। যে দৃষ্টান্ত এবার তিনি দেন, যদিও এর অনেক দিক প্রায় একইরূপ, তা দেখায় খ্রীষ্টের রাজ্যের ক্ষমতায় আসার সময় কি কার্য সফল হবে। তা প্রদর্শন করে যে তাঁর শিষ্যরা যারা তখন পৃথিবীতে আছে তাদের কাজ করতে হবে তাঁর “পার্থিব সম্পত্তি” বৃদ্ধি করার জন্য।

যীশু শুরু করেন: “কারণ মনে কর [যে পরিস্থিতি রাজ্যের সাথে যুক্ত] যেন কোন ব্যক্তি বিদেশে যাইতেছেন, তিনি আপন দাসদিগকে ডাকিয়া নিজ সম্পত্তি তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিলেন।” যীশু হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যিনি স্বর্গে যাত্রা করার পূর্বে, তাঁর দাসদের কাছে—যারা স্বর্গীয় রাজ্যে যাবার পথে—তাঁর সম্পত্তি জমা দেন। এই সম্পত্তি জাগতিক বিষয় নয়, কিন্তু তা চিত্রিত করে এক ক্ষেত্রকে যা তিনি প্রস্তুত করে গেছেন আরও শিষ্য উৎপন্ন করার ক্ষমতা দিয়ে।

যীশু তাঁর সম্পত্তি তাঁর দাসদের কাছে জমা দেন স্বর্গে আরোহণের অল্প পূর্বে। কিভাবে তিনি তা করেন? তাদের আদেশ দিয়ে যেন তারা সেই চাষ করা ক্ষেত্রে পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত রাজ্যের বার্তা প্রচার করার মাধ্যমে কাজ করতে থাকে। যেমন যীশু বলেন: “তিনি একজনকে পাঁচ তালন্ত, অন্য জনকে দুই তালন্ত এবং আর এক জনকে এক তালন্ত, যাহার যেরূপ শক্তি তাহাকে তদনুসারে দিলেন; পরে বিদেশে চলিয়া গেলেন।”

সেই আটটি তালন্ত—যা খ্রীষ্টের সম্পত্তি—তা বিলি করা হয় সামর্থ বা আত্মিক যে সম্ভাবনা, দাসদের আছে, সেই অনুযায়ী। দাসেরা বিভিন্ন শ্রেণীর শিষ্যদের চিহ্নিত করে। প্রথম শতাব্দীতে, যে শ্রেণী পাঁচ তালন্ত পায় তারা প্রেরিতদের চিত্রিত করে। যীশু বলে চলেন যে শ্রেণী পাঁচ ও দুই তালন্ত পেয়েছে তারা তাদের রাজ্যের প্রচার কাজ ও শিষ্য তৈরী করে সেই ধনের দ্বিগুণ বৃদ্ধি ঘটায়। যাইহোক, যে দাস এক তালন্ত পায় সে তাহা মাটিতে পুঁতে রাখে।

“দীর্ঘকালের পর,” যীশু বলে চলেন, “দাসদিগের প্রভু আসিয়া তাহাদের নিকট হইতে হিসাব লইলেন।” আমাদের এই বিংশ শতাব্দী অবধি, প্রায় ১,৯০০ বৎসর পরে, খ্রীষ্ট ফেরেন তাঁর হিসাব নিতে, তাই এই সময় সত্যই, “দীর্ঘকাল পরে।” এরপর যীশু ব্যাখ্যা করেন:

“তখন যে ব্যক্তি পাঁচ তালন্ত পাইয়াছিল, সে আরও পাঁচ তালন্ত আনিয়া কহিল, ‘প্রভু, আপনি আমার নিকটে পাঁচ তালন্ত সমর্পণ করিয়াছিলেন; দেখুন আর পাঁচ তালন্ত লাভ করিয়াছি।’ তাহার প্রভু তাহাকে কহিলেন, ‘বেশ, উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস! তুমি অল্প বিষয়ের উপরে বিশ্বস্ত হইলে, আমি তোমাকে বহু বিষয়ের উপরে নিযুক্ত করিব। তুমি আপন প্রভুর আনন্দের সহভাগী হও।’” যে দাস দুই তালন্ত পেয়েছিল সেও তদ্রূপ তার তালন্ত দ্বিগুণ করল, সেও একই প্রশংসা ও পুরস্কার পায়।

কিভাবে এই বিশ্বস্ত দাসেরা প্রভুর আনন্দে প্রবেশ করে? তাদের প্রভু, যীশু খ্রীষ্টের, আনন্দ হচ্ছে যখন তিনি দূরদেশে তাঁহার পিতার কাছে স্বর্গে যান রাজ্যের অধিকার প্রাপ্ত হতে। বর্ত্তমান দিনে যারা বিশ্বস্ত দাস, তাদের অধিক আনন্দ হয় যে তাদের অধিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের ব্যাপারে, এবং তারা তাদের পার্থিব জীবনকাল শেষ করার পর চূড়ান্তরূপে আনন্দিত হবে স্বর্গরাজ্যে পুনরুত্থিত হয়ে। কিন্তু তৃতীয় দাসের কি হবে?

“প্রভু, আমি জানিতাম, আপনি কঠিন লোক,” এই দাস অভিযোগ করে। “তাই আমি ভীত হইয়া গিয়া আপনার তালন্ত ভূমির মধ্যে লুকাইয়া রাখিলাম। দেখুন, আপনার যাহা আপনি পাইলেন।” এই দাস ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্ষেত্রে কাজ করতে ও শিষ্য করতে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই প্রভু তাকে “দুষ্ট ও অলস দাস” বলে অভিহিত করেন এবং বিচারাজ্ঞা ঘোষণা করেন: “অতএব তোমরা ইহার নিকট হইতে ঐ তালন্ত লও, . . . আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেও। সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে।” যারা এই দুষ্ট দাস শ্রেণীর, তাদের বাইরে ফেলে দেওয়া হবে, এবং সকল আত্মিক আনন্দ থেকে তারা বঞ্চিত হবে।

এই উদাহরণ উত্তম শিক্ষা দেয় সকলের জন্য যারা দাবী করে তারা খ্রীষ্টের অনুগামী। তারা যদি প্রশংসা ও পুরস্কার পেতে চায়, এবং বাইরে ফেলে দেওয়া ও ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চায়, তাদের এখন স্বর্গীয় প্রভুর সম্পত্তির বৃদ্ধির জন্য কাজ করা দরকার প্রচার কার্যে পূর্ণ মাত্রায় অংশ নেওয়ার দ্বারা। এই ব্যাপারে আপনি কি পরিশ্রমী?

যখন খ্রীষ্ট তাঁর রাজ্যের ক্ষমতায় আসেন

যীশু এখনও তাঁর প্রেরিতদের সাথে জৈতুন পর্বতে আছেন। তাঁর উপস্থিতি ও যুগান্তের শেষ সম্বন্ধে তাদের প্রশ্নের উত্তরে, তিনি তাদের এখন তিনটির শেষ দৃষ্টান্তটি বলেন। “আর যখন মনুষ্যপুত্র সমুদয় দূত সঙ্গে করিয়া আপন প্রতাপে আসিবেন,” যীশু শুরু করেন, “তখন তিনি নিজ প্রতাপের সিংহাসনে বসিবেন।”

মনুষ্যেরা দূতেদের তাদের স্বর্গীয় মহিমায় দেখতে পায় না। সেই কারণে মনুষ্যপুত্র, যীশু খ্রীষ্টের আগমন, দূতেদের সঙ্গে অবশ্যই মনুষ্যচক্ষুর অগোচরে হবে। এই আগমন হয় ১৯১৪ সালে। কিন্তু কি উদ্দেশ্যে? যীশু ব্যাখ্যা করেন: “আর সমুদয় জাতি তাঁহার সম্মুখে একত্রীকৃত হইবে; পরে তিনি তাহাদের একজন হইতে অন্যজনকে পৃথক করিবেন, যেমন পালরক্ষক ছাগ হইতে মেষ পৃথক করে। আর তিনি মেষদিগকে আপনার দক্ষিণ দিকে ও ছাগদিগকে বাম দিকে রাখিবেন।”

যাদের অনুগ্রহের দিকে বেছে নেওয়া হবে, তাদের প্রতি কি ঘটবে সে সম্বন্ধে যীশু বলেন: “তখন রাজা আপনার দক্ষিণ দিকে স্থিত লোকদিগকে বলিবেন, ‘আইস, আমার পিতার আশীর্বাদ-পাত্রেরা, জগতের পত্তনাবধি তোমাদের জন্য যে রাজ্য প্রস্তুত করা গিয়াছে, তাহার অধিকারী হও।’” এই মেষেরা যাদের কথা এই দৃষ্টান্তে বলা হয়েছে তারা খ্রীষ্টের সাথে স্বর্গে রাজত্ব করবে না কিন্তু রাজ্যের অধিকারী হবে এই অর্থে যে তারা পৃথিবীতে প্রজা হবে। “জগতের পত্তন” হয় যখন আদম ও হবা প্রথম তাদের সন্তান উৎপন্ন করে যারা উপকৃত হতে পারত মানব জাতিকে উদ্ধার করার জন্য ঈশ্বরের ব্যবস্থার মাধ্যমে।

কেন মেষদের বেছে নেওয়া হয়েছে রাজার অনুমোদনের ডান হস্তের দিকে? “কেননা আমি ক্ষুধিত হইয়াছিলাম,” রাজা উত্তর দেন, “আর তোমরা আমাকে আহার দিয়াছিলে; পিপাসিত হইয়াছিলাম, আর আমাকে পান করাইয়াছিলে। অতিথি হইয়াছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দিয়াছিলে; বস্ত্রহীন হইয়াছিলাম, আর আমাকে বস্ত্র পরাইয়াছিলে। পীড়িত হইয়াছিলাম, আর আমাকে তত্ত্বাবধান করিয়াছিলে। কারাগারস্থ হইয়াছিলাম, আর আমার নিকটে আসিয়াছিলে।”

যেহেতু মেষেরা পৃথিবীতে, তারা জানতে ইচ্ছা করে কি করে এমন ভাল কাজ তারা তাদের স্বর্গীয় রাজার জন্য করতে পারে। “প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধিত দেখিয়া ভোজন করাইয়াছিলাম,” তারা জিজ্ঞাসা করে, “কিম্বা পিপাসিত দেখিয়া পান করাইয়াছিলাম? কবেই বা আপনাকে অতিথি দেখিয়া আশ্রয় দিয়াছিলাম, কিম্বা বস্ত্রহীন দেখিয়া বস্ত্র পরাইয়াছিলাম? কবেই বা আপনাকে পীড়িত কিম্বা কারাগারস্থ দেখিয়া আপনার নিকটে গিয়াছিলাম?”

“সত্য কহিতেছি,” রাজা উত্তর করেন, “আমার এই ভ্রাতৃগণের ক্ষুদ্রতমদের মধ্যে একজনের প্রতি যখন ইহা করিয়াছিলে, তখন আমারই প্রতি করিয়াছিলে।” খ্রীষ্টের ভাইরা হল ১৪৪,০০০ সংখ্যার মধ্য থেকে পৃথিবীতে অবশিষ্টরা যারা তাঁর সাথে স্বর্গে রাজত্ব করবেন। আর তাদের প্রতি সৎকাজ করা, যীশু বলেন, তাঁর প্রতি সৎকাজ করার প্রতিরূপ।

এরপর, রাজা ছাগদের প্রতি কথা বলতে শুরু করেন। “ওহে শাপগ্রস্ত সকল, আমার নিকট হইতে দূর হও, দিয়াবলের ও তাহার দূতগণের জন্য যে অনন্ত অগ্নি প্রস্তুত করা গিয়াছে, তাহার মধ্যে যাও। কেননা আমি ক্ষুধিত হইয়াছিলাম, আর তোমরা আমাকে আহার দাও নাই; পিপাসিত হইয়াছিলাম, আর আমাকে পান করাও নাই। অতিথি হইয়াছিলাম, আর আমাকে আশ্রয় দাও নাই; পীড়িত ও কারাগারস্থ হইয়াছিলাম, আর আমার তত্ত্বাবধান কর নাই।”

ছাগরা কিন্তু, অভিযোগ করে: “প্রভু, কবে আপনাকে ক্ষুধিত, কি পিপাসিত, কি অতিথি, কি বস্ত্রহীন, কি পীড়িত, কি কারাগারস্থ দেখিয়া আপনার পরিচর্য্যা করি নাই?” এই ছাগগণ একই ভিত্তিতে প্রতিকূল রূপে বিচারিত হয় যার উপর মেষদের অনুকূল ভাবে বিচার করা হয়। “তোমরা যখন এই ক্ষুদ্রতমদিগের [আমার ভাইদের] কোন একজনের প্রতি কর নাই,” যীশু উত্তর দেন, “তখন আমারই প্রতি কর নাই।”

সেইজন্য খ্রীষ্টের রাজ্যের ক্ষমতায় উপস্থিতি, মহাক্লেশে এই দুষ্ট বিধি-ব্যবস্থা শেষের ঠিক পূর্বে, হবে এক বিচারের সময়। ছাগেরা “অনন্ত দণ্ডে, কিন্তু ধার্মিকেরা [মেষেরা] অনন্ত জীবনে প্রবেশ করিবে।” মথি ২৪:২–২৫:৪৬; ১৩:৪০, ৪৯; মার্ক ১৩:৩-৩৭; লূক ২১:৭-৩৬; ১৯:৪৩, ৪৪; ১৭:২০-৩০; ২ তীমথিয় ৩:১-৫; যোহন ১০:১৬; প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-৩.

▪ কি প্রেরিতদের প্রশ্ন করতে পরিচালিত করে, কিন্তু আপাতরূপে আরও কি তাদের মনে ছিল?

▪ যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীর কোন অংশ ৭০ সা.শ. পূর্ণ হয়, কিন্তু কি তখন ঘটেনি?

▪ যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী প্রথম কখন পূর্ণ হয়, কিন্তু বৃহৎ আকারে কখন তা পূর্ণতা লাভ করেছে?

▪ সেই ঘৃণার্হ বস্তু কি তার প্রথম ও শেষ পরিপূর্ণতায়?

▪ কেন যিরূশালেমের ধ্বংসের সাথে মহাক্লেশের শেষ পূর্ণতা ঘটেনি?

▪ জগতের কোন পরিস্থিতি যীশুর উপস্থিতি চিহ্নিত করে?

▪ কখন ‘পৃথিবীর সমুদয় গোষ্ঠী বিলাপ করিবে,’ কিন্তু খ্রীষ্টের শিষ্যরা কি করবে?

▪ কি দৃষ্টান্ত যীশু দেন যা তাঁর ভবিষ্যৎ শিষ্যদের শেষ কখন তা জানতে সাহায্য করবে?

▪ যে শিষ্যরা শেষ দিনে বাস করবে, যীশু তাদের কি উপদেশ দেন?

▪ দশ কুমারীদের দ্বারা কাদের চিত্রিত করা হয়েছে?

▪ কখন খ্রীষ্টিয় মণ্ডলী বিবাহের জন্য বরের কাছে বাগদত্তা হয়, কিন্তু কখন বর উপস্থিত হয় যাতে তাঁর কনেকে বিবাহ ভোজে নিয়ে যেতে পারে?

▪ তৈল কি চিত্রিত করে, আর সুবুদ্ধিসম্পন্ন কুমারীদের তা থাকায় তাদের কি করতে সাহায্য করে?

▪ এই বিবাহভোজ কোথায় হয়?

▪ যারা নির্বুদ্ধি কুমারী তারা কোন মহা সুযোগ হারায়, আর তাদের ভবিষ্যৎ কি?

▪ তালন্তের দৃষ্টান্ত কি শিক্ষা দেয়?

▪ দাসেরা কারা, এবং কোন সম্পত্তি তাদের কাছে গচ্ছিত রাখা হয়েছে?

▪ কর্ত্তা কখন আসেন হিসাব নিতে, আর তিনি কি দেখতে পান?

▪ কোন আনন্দে বিশ্বস্ত দাসেরা প্রবেশ করে, আর দুষ্ট তৃতীয় দাসের কি হয়?

▪ কেন খ্রীষ্টের উপস্থিতি অদৃশ্য হবে, আর সেই সময় তিনি কি কাজ করেন?

▪ কি অর্থে মেষরা রাজ্যে প্রবেশ করে?

▪ “জগতের পত্তন” কখন থেকে শুরু হয়েছে?

▪ কিসের উপর ভিত্তি করে ব্যক্তিদের ছাগ অথবা মেষে বিচারিত করা হয়?