খণ্ড ৪
যেভাবে টাকাপয়সা ব্যবহার করা যায়
“পরামর্শ দ্বারা সকল সঙ্কল্প স্থির হয়।”—হিতোপদেশ ২০:১৮
আমাদের পরিবারের প্রয়োজনীয় ভরণ-পোষণ জোগানোর জন্য আমাদের সকলেরই টাকাপয়সার প্রয়োজন। (হিতোপদেশ ৩০:৮) বস্তুতপক্ষে, “ধনও আশ্রয় বটে।” (উপদেশক ৭:১২) দম্পতি হিসেবে টাকাপয়সা নিয়ে কথা বলা হয়তো কঠিন হতে পারে কিন্তু টাকাপয়সা যেন আপনাদের বিয়েতে সমস্যার সৃষ্টি না করে। (ইফিষীয় ৪:৩২) দম্পতি হিসেবে একে অপরকে বিশ্বাস করা উচিত এবং কীভাবে টাকাপয়সা খরচ করা হবে, সেই ব্যাপারে একত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
১ ভেবে-চিন্তে পরিকল্পনা করুন
বাইবেল যা বলে: “দুর্গ নির্ম্মাণ করিতে ইচ্ছা হইলে তোমাদের মধ্যে কে অগ্রে বসিয়া ব্যয় হিসাব করিয়া না দেখিবে, সমাপ্ত করিবার সঙ্গতি তাহার আছে কি না?” (লূক ১৪:২৮) আপনারা কীভাবে আপনাদের টাকাপয়সা খরচ করবেন, সেই ব্যাপারে দু-জনে মিলে পরিকল্পনা করা জরুরি। (আমোষ ৩:৩) আপনাদের কী কী কেনা প্রয়োজন এবং আপনাদের কত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য রয়েছে, তা নির্ধারণ করুন। (হিতোপদেশ ৩১:১৬) কোনো কিছু কেনার মতো টাকা আছে বলেই যে আপনাকে তা কিনতে হবে এমন নয়। ঋণের দায়ে জড়িয়ে পড়া এড়িয়ে চলুন। আপনার যতটুকু সামর্থ্য রয়েছে, কেবল ততটুকুই খরচ করুন।—হিতোপদেশ ২১:৫; ২২:৭.
আপনি যা করতে পারেন:
-
মাসের শেষে আপনার টাকাপয়সা যদি বেঁচে যায়, তাহলে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিন যে, সেই টাকা দিয়ে কী করবেন
-
টাকাপয়সার ঘাটতি দেখা দিলে আপনার খরচ কমানোর জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন। উদাহরণ স্বরূপ, বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার পরিবর্তে বাড়িতেই নিজের খাবার তৈরি করুন
২ সৎ হোন এবং টাকাপয়সার প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখুন
বাইবেল যা বলে: ‘তোমরা প্রত্যেকে আপন আপন প্রতিবাসীর সহিত সত্য আলাপ করিও।’ (ইফিষীয় ৪:২৫) আপনি কত টাকা আয় করেন এবং কত টাকা ব্যয় করেন, সেই সম্বন্ধে আপনার সাথিকে সঠিক তথ্য দিন।
টাকাপয়সার বিষয়ে বড়ো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সবসময় আপনার সাথির সঙ্গে আলোচনা করে নিন। (হিতোপদেশ ১৩:১০) টাকাপয়সার ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বললে, তা আপনার বিয়েতে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। আপনার আয়কে ব্যক্তিগত অর্থ হিসেবে নয় বরং পরিবারের অর্থ হিসেবে গণ্য করুন।—১ তীমথিয় ৫:৮.
আপনি যা করতে পারেন:
-
দু-জনে মিলে স্থির করুন যে, একে অপরকে জিজ্ঞেস না করেই আপনারা কত টাকা খরচ করতে পারবেন
-
টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই, তা নিয়ে কথা বলুন