সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

৪. পরিবারের মধ্যে প্রেম থাকবে না

৪. পরিবারের মধ্যে প্রেম থাকবে না

৪. পরিবারের মধ্যে প্রেম থাকবে না

‘লোকেরা . . . স্নেহ দেখাবে না।’—২ তীমথিয় ৩:১-৩.

● যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ক্রিস এমন একটা সংগঠনের সঙ্গে কাজ করেন, যারা পারিবারিক হিংসার শিকার হয়েছে এমন ব্যক্তিদের সাহায্য করে। তিনি বলেন, “একজন মহিলা একদিন আমার কাছে এসেছিলেন যার স্বামী তাকে অত্যন্ত খারাপভাবে মারধর করেছিল আর এর ফলে তাকে চেনা যাচ্ছিল না। আবার, কিছু মহিলার সঙ্গে এত খারাপ ব্যবহার করা হয় যে, তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং অন্যদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা পর্যন্ত বলতে পারে না।”

পরিসংখ্যান যা দেখায়: আফ্রিকার এক দেশে একটা সমীক্ষা করা হয়েছিল। এই সমীক্ষা থেকে জানা যায় যে, প্রায় তিন জনের মধ্যে এক জন মহিলা ছোটোবেলায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে। সেই দেশে আরও একটা সমীক্ষা করা হয়েছিল, যেখান থেকে জানা গিয়েছে যে, দেশের ৩৩ শতাংশ পুরুষ এটা মনে করে, তাদের স্ত্রীদের গায়ে হাত তোলা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু শুধুমাত্র মহিলাদের সঙ্গেই নয়, পুরুষদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন, কানাডায় প্রায় ১০ জনের মধ্যে ৩ জন স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রীরা খারাপ ব্যবহার করে থাকে।

লোকেরা সাধারণত যা বলে: ‘পারিবারিক হিংসা কোনো নতুন বিষয় নয়। এটা আগেও ছিল, এখনও রয়েছে কিন্তু পার্থক্যটা হল, লোকেরা আগে এই বিষয়ে কথা বলত না, কিন্তু এখন তারা তা নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলছে।’

এই কথাটা কি সত্য? এটা ঠিক যে, লোকেরা এখন পারিবারিক হিংসার বিষয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলে। কিন্তু এর ফলে কি পারিবারিক হিংসা কমে গিয়েছে? কখনোই না। আসলে সত্য বিষয়টা হল, পরিবারের মধ্যে একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা কমে গিয়েছে আর এই কারণে পারিবারিক হিংসা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

আপনার কী মনে হয়? বাইবেলে যেমন বলা হয়েছিল, পরিবারের মধ্যে কি ভালোবাসা কমে যাচ্ছে?

এখন আমরা বাইবেল থেকে পঞ্চম ভবিষ্যদ্‌বাণী সম্বন্ধে জানব, যা পৃথিবীর বিষয়ে বলা হয়েছে। আসুন দেখি সেটা কী।

[ব্লার্ব]

ওয়েলস্‌ ডোমেস্টিক অ্যাবিউস হেল্পলাইনের প্রবক্তা বলেন, “বেশিরভাগ লোক পারিবারিক হিংসার বিষয়ে পুলিশে রিপোর্ট লেখায় না। অনুমান করা হয়েছে যে, একজন স্বামী যখন তার স্ত্রীর উপর ৩৫ বারের বেশি অত্যাচার করেন, তখন সেই স্ত্রী পুলিশের কাছে রিপোর্ট লেখায়।”