৫. পৃথিবীর ধ্বংস
৫. পৃথিবীর ধ্বংস
‘যারা পৃথিবীকে ধ্বংস করছে [ঈশ্বর] তাদের ধ্বংস করবেন।’—প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮.
● নাইজেরিয়ার কপর গ্রামে পিরি নামে একজন ব্যক্তি থাকেন, যিনি গাছ থেকে তাড়ি সংগ্রহের কাজ করতেন। কিন্তু যখন নাইজেরিয়ায় তেল লিকের ঘটনা ঘটে, তখন তার পক্ষে তার পরিবারের জন্য খাবার জোগানো অনেক কঠিন হয়ে যায়। কারণ তিনি বলেন, ”জল দূষিত হয়ে পড়েছিল, মাছ মারা যাচ্ছিল আর আমাদের শরীরের চামড়া নষ্ট হতে শুরু করেছিল, আমি বুঝতে পারছিলাম না যে, কীভাবে আমি আমার পরিবারের জন্য খাবার জোগাড় করব।”
পরিসংখ্যান যা দেখায়: কিছু বিশেষজ্ঞ বলে থাকে যে, প্রত্যেক বছর প্রায় ৬৫ লক্ষ টন আবর্জনা সমুদ্রে ফেলা হয়, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক প্লাস্টিক থাকে, যা পচে নষ্ট হতে কয়েকশো বছর লেগে যায়। পৃথিবীকে দূষিত করার পাশাপাশি, মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার করছে আর এই কারণে প্রাকৃতিক যে-সম্পদ রয়েছে, তা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। একটা সমীক্ষা জানায়, মানুষ এক বছরে যে-পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে, তা পুনর্স্থাপন হতে এক বছর পাঁচ মাস সময় লেগে যায়। অস্ট্রেলিয়ার একটা বিখ্যাত পত্রিকা এভাবে বলে, ”যদি পৃথিবীর জনসংখ্যা এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ এভাবে অপব্যবহার করা হয়, তা হলে মানুষের পক্ষে জীবনযাপন করা অসম্ভব হয়ে পড়বে আর ২০৩৫ সালে আমাদের আরও একটা পৃথিবীর প্রয়োজন হবে।”
লোকেরা সাধারণত যা বলে: ‘বর্তমানে টেকনোলজি এত উন্নত হয়েছে যে, মানুষ তা ব্যবহার করে পৃথিবীর ক্ষতি পূরণ করে দিতে পারবে।’
এই কথাটা কি সত্য? অনেক লোকেরা প্রাকৃতিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, কিন্তু দিনের পর দিন এই দূষণ বেড়েই চলেছে।
আপনার কী মনে হয়? ঈশ্বর কি এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে পারবেন?
এই পাঁচটা ভবিষ্যদ্বাণী ছাড়াও বাইবেলে বলা হয়েছিল, শেষকালে কিছু ভালো বিষয়ও ঘটবে। আসুন আরও একটা ভবিষ্যদ্বাণী লক্ষ করি।
[ব্লার্ব]
ইরিন টেম্বার নামে একজন ব্যক্তি সমুদ্রের উপকূলে বসবাস করেন। ২০১০ সালে মেক্সিকো উপসাগরে তেল লিক হওয়ার পর তিনি বলেন, ”আমার ঘর একটা সুন্দর জায়গায় ছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছিল।”
[বাক্স]
এর জন্য কি ঈশ্বর দায়ী?
বাইবেলে লেখা ছিল যে, আমাদের দিনে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যাবে। এর অর্থ কি এই যে, আমাদের দুঃখকষ্টের জন্য ঈশ্বর দায়ী? এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য, যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়? বইয়ের ১১ অধ্যায় দেখুন।
[সৌজন্যে]
U.S. Coast Guard photo