সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার জীবন কোন দিকে এগিয়ে চলেছে?

আপনার জীবন কোন দিকে এগিয়ে চলেছে?

আপনার জীবন কোন দিকে এগিয়ে চলেছে?

• অনেক লোক তাদের প্রাত্যহিক জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে এত বেশি মগ্ন যে, তারা কোন দিকে এগিয়ে চলেছে সেই সম্বন্ধে খুব কমই চিন্তা করে।

• আমাদের সামনে যে-চমৎকার ঘটনাগুলো ঘটতে চলেছে, বাইবেল সেই সম্বন্ধে জানায়। এ ছাড়া, সারা বিশ্বের মানব প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিরাট যে-পরিবর্তন আসতে চলেছে, সেই সম্বন্ধেও এটি সতর্ক করে। উপকৃত হওয়ার ও দুর্দশা এড়ানোর জন্য আমাদের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

• এমন কিছু লোক রয়েছে, যারা বাইবেল কী বলে তা জানে ও তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করে কিন্তু আবার তারা জীবনের উদ্বেগগুলোকে তাদের ভুল পথে নিয়ে যেতে দেয়।

• আপনার জীবন যেদিকে এগিয়ে চলেছে তাতে কি আপনি সুখী? আপনি যখন বিভিন্ন কাজ করার পরিকল্পনা করেন, তখন আপনি কি ভালভাবে ভেবে দেখেন যে, এগুলো আপনার জীবনের দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্যগুলোকে কীভাবে প্রভাবিত করবে?

[৯ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]

আপনার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনটা?

আপনি কীভাবে নিচের বিষয়গুলো মূল্যায়ন করবেন। গুরুত্ব অনুযায়ী এগুলোকে সাজান।

এর মধ্যে অনেকগুলোরই জীবনে এক উপযুক্ত স্থান রয়েছে কিন্তু আপনার বেছে নেওয়ার বিষয়টা যখন আসে, তখন কোনটা প্রথম? দ্বিতীয়? ইত্যাদি।

― চিত্তবিনোদন/আমোদপ্রমোদ

― আমার চাকরি অথবা আমার পেশা

― আমার স্বাস্থ্য

― ব্যক্তিগত সুখ

― আমার জীবনসাথি

― আমার বাবামা

― আমার সন্তানেরা

― একটা সুন্দর বাড়ি, ভাল কাপড়চোপড়

― যা কিছুই আমি করি তাতে শ্রেষ্ঠ হওয়া

― ঈশ্বরের উপাসনা

[১০, ১১ পৃষ্ঠার বাক্স]

আপনার বাছাইগুলো কি আপনাকে সেই দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে আপনি সত্যিই যেতে চান?

এই প্রশ্নগুলো বিবেচনা করুন

চিত্তবিনোদন/আমোদপ্রমোদ: আমি যে-আমোদপ্রমোদ বেছে নিই, তা কি আমাকে সতেজ করে? এর মধ্যে কি এমন কোনো দুঃসাহসিকতা রয়েছে, যা আমার স্বাস্থ্যকে বিপদের মধ্যে ফেলতে পারে বা আমাকে চিরজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে? এটা কি এমন কোনো ধরনের “বিনোদন,” যা হয়তো কয়েক ঘন্টার জন্য আনন্দ দেয় কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ নিয়ে আসতে পারে? এমনকি যে-চিত্তবিনোদন আমি বেছে নিয়েছি, সেটা গঠনমূলক হলেও আমি কি এর পিছনে এত বেশি সময় দিই যে, এটার ভিড়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হারিয়ে যায়?

আমার চাকরি অথবা আমার পেশা: এটা কি জীবনের প্রয়োজনগুলো মেটায় নাকি আসলে আমি এটার দাস? এটা কি এমন কিছু দাবি করে, যা আমার স্বাস্থ্য নষ্ট করে দিচ্ছে? আমি কি আমার চাকরিতে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে চাই নাকি আমার জীবনসাথি ও আমার বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই? আমার নিয়োগকর্তা যদি এমন কাজ দাবি করেন, যা আমার বিবেককে দংশন করে বা যেজন্য প্রায়ই আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো চাপা পড়ে যায়, তা হলে আমি কি আমার চাকরি বাঁচানোর জন্য সেই কাজ করব?

আমার স্বাস্থ্য: আমি কি এটাকে অবহেলা করি নাকি আমি সবসময় সতর্ক থাকি যেন কোনো ক্ষতি না হয়? আমি কি সবসময় এই বিষয় নিয়েই কথা বলি? আমি যেভাবে এর যত্ন নিই, তা কি আমার পরিবারের প্রতি চিন্তাকে প্রকাশ করে?

ব্যক্তিগত সুখ: এটা কি আমার মূল ভাবনা? আমি কি আমার জীবনসাথি বা আমার পরিবারের সুখের আগে এটাকে স্থান দিই? আমি যেভাবে এটা পাওয়ার চেষ্টা করি, সেটা কি সত্য ঈশ্বরের একজন উপাসক হওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখে?

আমার জীবনসাথি: আমার জীবনসাথিকে কি আমি শুধু সেই সময় আমার সঙ্গী হিসেবে দেখি যখন তা আমাকে সুখী করে? আমি কি আমার জীবনসাথিকে এমন একজন হিসেবে সম্মান করি, যিনি ব্যক্তিগত মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য? ঈশ্বরে বিশ্বাস কি আমি যেভাবে আমার জীবনসাথিকে দেখি তাতে প্রভাব ফেলে?

আমার বাবামা: আমি যদি অল্পবয়স্ক হই, তা হলে আমি কি আমার বাবামার বাধ্য—সম্মানের সঙ্গে উত্তর দিই, ঘরের ছোটোখাটো যে-কাজগুলো আমাকে করতে বলা হয় সেগুলো করি, তাদের নির্ধারিত সময়মতো ঘরে আসি, তারা যেধরনের মেলামেশা ও কাজগুলোর বিরুদ্ধে সাবধান করেছে সেগুলো এড়িয়ে চলি? যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হই, তা হলে আমি কি সম্মানের সঙ্গে আমার বাবামার কথা শুনি, যখন প্রয়োজন দেখা দেয় তখন কি তাদের উপযুক্ত সাহায্য দিই? আমি তাদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করি, তা কি আমার সুবিধা অনুযায়ী নাকি ঈশ্বরের বাক্যের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হয়?

আমার সন্তানেরা: আমি কি আমার সন্তানদের উপযুক্ত নৈতিক মূল্যবোধগুলো শেখানোর দায়িত্ব অনুভব করি নাকি আশা করি যে স্কুল তা শেখাবে? আমি কি আমার সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাই নাকি আশা করি যে খেলনা, টিভি বা কম্পিউটার তাদেরকে ব্যস্ত রাখবে? আমি কি সবসময় আমার সন্তানদের তখনই শাসন করি, যখন তারা ঈশ্বরের অনুস্মারকগুলো উপেক্ষা করে নাকি মূলত আমি যখন বিরক্ত হই, তখন?

একটা সুন্দর বাড়ি, ভাল কাপড়চোপড়: আমার বাহ্যিক চেহারা ও আমার জিনিসপত্রের প্রতি আমি যে-মনোযোগ দিই, তা কী নির্ধারণ করে—এটা কি দেখায় যে আমি আমার প্রতিবেশীদের মুগ্ধ করতে চাই? আমার পরিবারের মঙ্গল চাই? অথবা আমি ঈশ্বরের একজন উপাসক?

যা কিছুই আমি করি তাতে শ্রেষ্ঠ হওয়া: আমি কি মনে করি যে, কোনো কাজ ভালভাবে করা গুরুত্বপূর্ণ? আমি কি শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করি? অন্য কেউ যদি আরও ভালভাবে করে, তা হলে আমি কি ক্ষুব্ধ হই?

ঈশ্বরের উপাসনা: আমার জীবনসাথি, আমার সন্তানেরা, আমার বাবামা বা আমার নিয়োগকর্তার অনুমোদনের চেয়ে ঈশ্বরের অনুমোদন পাওয়া কি আমার কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ? এক আরামদায়ক জীবনধারা বজায় রাখার জন্য, আমি কি ঈশ্বরের সেবাকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিতে চাই?

মনোযোগের সঙ্গে বাইবেলের পরামর্শ বিবেচনা করুন

আপনার জীবনে ঈশ্বরের স্থান কোথায়?

উপদেশক ১২:১৩: “ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য।”

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: আমার জীবন কি দেখায় যে আমি বিষয়গুলোকে সেভাবে দেখি? আমি ঘরে, কর্মক্ষেত্রে বা স্কুলে যেভাবে আমার দায়িত্বগুলো পালন করি, তা কি ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলোর প্রতি আমার বাধ্যতাকে নির্ধারণ করে? অথবা অন্যান্য বিষয় বা জীবনের চাপগুলো কি নির্ধারণ করে যে আমি ঈশ্বরের জন্য সময় আলাদা করে রাখি কি না?

ঈশ্বরের সঙ্গে আপনার কী ধরনের সম্পর্ক রয়েছে?

হিতোপদেশ ৩:৫, ৬: “তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস [“নির্ভর,” NW] কর; তোমার নিজ বিবেচনায় নির্ভর করিও না; তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে স্বীকার কর; তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।”

মথি ৪:১০, ১১: “তোমার ঈশ্বর প্রভুকেই [“যিহোবাকেই,” NW] প্রণাম করিবে, কেবল তাঁহারই আরাধনা করিবে।”

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: আমি কি ঈশ্বর সম্বন্ধে এইরকম অনুভব করি? আমার প্রতিদিনের কাজকর্মগুলো ও সেইসঙ্গে আমি যেভাবে কঠিন পরিস্থিতিগুলো মোকাবিলা করি, তা কি এইরকম নির্ভরতা ও ভক্তি প্রদর্শন করে?

বাইবেল পড়া ও অধ্যয়ন করা আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

যোহন ১৭:৩: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।”

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: ঈশ্বরের বাক্য পড়া ও তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করাকে আমি যেস্থানে রাখি, তা কি দেখায় যে আমি সত্যিই তা বিশ্বাস করি?

খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর সভাগুলোতে উপস্থিত থাকা আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫: “আইস, আমরা পরস্পর মনোযোগ করি, যেন প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে পরস্পরকে উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে পারি; এবং আপনারা সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ না করি . . . আর তোমরা সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছ, ততই যেন অধিক এ বিষয়ে তৎপর হই।”

গীতসংহিতা ১২২:১: “আমি আনন্দিত হইলাম, যখন লোকে আমাকে বলিল, চল, আমরা সদাপ্রভুর গৃহে যাই।”

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: আমার জীবনযাত্রা কি ঈশ্বরের বাক্যে পাওয়া এই নির্দেশনার জন্য উপলব্ধিবোধ দেখায়? গত মাসে অন্য কোনো কাজকে প্রাধান্য দেওয়ায় আমি কি কোনো খ্রিস্টীয় সভা বাদ দিয়েছি?

ঈশ্বর ও তাঁর উদ্দেশ্য সম্বন্ধে অন্যদের কাছে বলার ক্ষেত্রে আপনি কি উদ্যোগের সঙ্গে অংশ নেন?

মথি ২৪:১৪: “সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।”

থি ২৮:১৯, ২০: “অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; . . . আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।”

গীতসংহিতা ৯৬:২: “সদাপ্রভুর উদ্দেশে গীত গাও, তাঁহার নামের ধন্যবাদ কর, দিন দিন তাঁহার পরিত্রাণ ঘোষণা কর।”

নিজেকে জিজ্ঞেস করুন: আমার জীবনে এই কাজের কি সত্যিই যথাযোগ্য স্থান রয়েছে? এতে আমার অংশ নেওয়া কি আমরা যে-সময়ে বাস করছি, সেই সময়ের গুরুত্ব সম্বন্ধে আমার প্রত্যয়কে প্রকাশ করে?