আপনার এক সুখী ভবিষ্যৎ হতে পারে!
অধ্যায় ১
আপনার এক সুখী ভবিষ্যৎ হতে পারে!
১, ২. আপনার সৃষ্টিকর্তা কী চান যা আপনার থাকুক?
এমন কারও কাছ থেকে একটি উষ্ণ আলিঙ্গন যাকে আপনি ভালবাসেন। প্রিয় বন্ধুদের সাথে সুস্বাদু ভোজনের মাঝে প্রাণখোলা হাসি। আপনার শিশুরা খুশি মনে খেলছে তা দেখার আনন্দ। এইধরনের মুহূর্তগুলি জীবনের এক সুখের মুহূর্ত। কিন্তু, বহু লোকের কাছেই, জীবন একটার পর একটা গুরুতর সমস্যা উপস্থিত করে বলে মনে হয়। যদি আপনার সেরকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে, তাহলে সাহস সঞ্চয় করুন।
২ ঈশ্বরের ইচ্ছা এই যে আপনি অপূর্ব পরিবেশের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম পরিস্থিতির মাঝে চিরস্থায়ী সুখ উপভোগ করুন। এটি শুধু কোন স্বপ্ন নয়, কারণ ঈশ্বর প্রকৃতই এরূপ এক সুখী ভবিষ্যতের চাবি আপনাকে প্রদান করেছেন। সেই চাবিটি হল জ্ঞান।
৩. কোন্ জ্ঞান হল সুখের সেই চাবি এবং কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে ঈশ্বর সেই জ্ঞান প্রদান করতে পারেন?
৩ আমরা এক বিশেষ ধরনের জ্ঞান সম্বন্ধে বলছি যা মানব প্রজ্ঞার চেয়ে অনেক বেশি উৎকৃষ্ট। এটি সেই “ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান।” (হিতোপদেশ ২:৫) প্রায় ২০০০ বছর আগে, এক বাইবেল লেখক বলেছিলেন: “প্রত্যেক গৃহ কাহারও দ্বারা সংস্থাপিত হয়, কিন্তু যিনি সকলই সংস্থাপিত করিয়াছেন, তিনি ঈশ্বর।” (ইব্রীয় ৩:৪) চিন্তা করুন সেই জ্ঞান সম্পর্কে যা সকল বস্তুর যিনি সৃষ্টিকর্তা তাঁর অধিকারে অবশ্যই রয়েছে! বাইবেল বলে যে ঈশ্বর সমুদয় নক্ষদুত্রর গণনা ও নামকরণ করেন। কতই না বিস্ময়কর চিন্তাধারা, যেহেতু আমাদের নিজেদের ছায়াপথেই হাজার হাজার কোটি নক্ষত্র রয়েছে এবং জ্যোতির্বিদরা বলেন যে অন্যান্য ছায়াপথে প্রায় দশ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে! (গীতসংহিতা ১৪৭:৪) এছাড়া ঈশ্বর আমাদের সম্বন্ধেও সবকিছু জানেন, তাই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির আরও ভাল উত্তর আর কে প্রদান করতে পারে?—মথি ১০:৩০.
৪. আমাদের পরিচালনা করতে ঈশ্বর আমাদের নির্দেশ দেবেন আমরা তা আশা করব কেন এবং কোন্ বই এই প্রয়োজন পূর্ণ করে?
৪ কল্পনা করুন দুজন ব্যক্তি তাদের গাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করছে। নিরাশ হয়ে এক ব্যক্তি তার মেরামতের কাজ বন্ধ করে দেয়। অন্যজন শান্তভাবে সমস্যাটির সমাধান করে, গাড়ির চাবি ঘুরায় ও হাসে যখন ইঞ্জিন চালু হয় এবং সুন্দরভাবে চলতে থাকে। আপনার পক্ষে ভাবা শক্ত হবে না যে সেই দুই ব্যক্তির মধ্যে কার কাছে নির্মাতার দেওয়া নির্দেশ পুস্তিকাটি ছিল। এটি কি যুক্তিপূর্ণ বলে মনে হয় না যে আমাদের জীবনকে পরিচালনা করার জন্য ঈশ্বর নির্দেশাবলী প্রদান করবেন? হয়ত আপনি জানেন, বাইবেল ঠিক তাই দাবি করে—আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আসা নির্দেশ ও পরিচালনার একটি পুস্তক, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রদানের জন্য রচিত।—২ তীমথিয় ৩:১৬.
৫. বাইবেলে যে জ্ঞান রয়েছে তা কতটা মূল্যবান?
৫ যদি বাইবেলের এই দাবি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে ভেবে দেখুন ঐ বইয়ে কতই না জ্ঞানের ধনভাণ্ডার সঞ্চিত রয়েছে! হিতোপদেশ ২:১-৫ পদ, আমাদের উপদেশ দেয় যেমন গুপ্তধনের জন্য আমরা অনুসন্ধান করি, তেমনিভাবে প্রজ্ঞার অন্বেষণ করতে—মানুষের চিন্তাধারার ভিত্তিতে নয়, কিন্তু ঈশ্বরের নিজস্ব বাক্যের মধ্যে। যদি আমরা সেখানে অনুসন্ধান করি, আমরা সেই “ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রাপ্ত” হব। যেহেতু ঈশ্বর আমাদের সীমিত ক্ষমতা ও প্রয়োজনগুলি বোঝেন, তিনি আমাদের এমন নির্দেশ দেন যা শান্তিপূর্ণ, সুখী জীবনে পরিচালিত হতে আমাদের সাহায্য করবে। (গীতসংহিতা ১০৩:১৪; যিশাইয় ৪৮:১৭) এছাড়াও, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান আমাদের রোমাঞ্চকর সুসমাচার প্রদান করে।
অনন্ত জীবন!
৬. ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান সম্পর্কে যীশু খ্রীষ্ট কী আশ্বাস দিয়েছিলেন?
৬ সুপরিচিত ঐতিহাসিক চরিত্র যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানের এই বৈশিষ্ট্যটিকে স্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” (যোহন ১৭:৩) ভেবে দেখুন—জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে!
৭. কী প্রমাণ আছে যে আমাদের জন্য মৃত্যু ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল না?
৭ অনন্ত জীবনকে শুধুমাত্র একটি স্বপ্ন হিসাবে সত্বর বাতিল করে দেবেন না। পরিবর্তে, দেখুন কিভাবে মনুষ্য দেহ নির্মিত হয়েছে। এটি আস্বাদন, শ্রবণ, ঘ্রাণ, দর্শন এবং স্পর্শানুভূতির জন্য অপূর্বরূপে গঠিত হয়েছে। পৃথিবীতে এত কিছু রয়েছে যা আমাদের অনুভূতিগুলিকে আনন্দ দেয়—সুস্বাদু খাদ্য, পাখিদের সুমধুর গান, সুরভিত পুষ্পসকল, সুন্দর দৃশ্য, আনন্দদায়ক সাহচর্য! আর আমাদের বিস্ময়কর মস্তিষ্ক এক সুপার-কম্পিউটারের থেকেও অনেক বেশি উন্নত, কারণ এই সকল বস্তু উপলব্ধিবোধ এবং উপভোগ করতে সাহায্য করে। আপনি কি মনে করেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা চান যে আমরা মারা যাই এবং এ সমস্ত কিছুই হারাই? এই সিদ্ধান্তে আসা কি অধিক যুক্তিযুক্ত হবে না যে তিনি চান যেন আমরা সুখে বাস করি ও অনন্ত জীবন উপভোগ করি? হ্যাঁ, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানের অর্থ আপনার জন্য তাই হতে পারে।
পরমদেশে জীবন
৮. মানবজাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে?
৮ পৃথিবী এবং মানবজাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বাইবেল যা বলে তার সারাংশ একটি শব্দে করা যেতে পারে—পরমদেশ! যীশু খ্রীষ্ট এই সম্বন্ধে বলেছিলেন যখন তিনি এক মুমূর্ষু ব্যক্তিকে বলেন: “তুমি পরমদেশে আমার সঙ্গে উপস্থিত হইবে।” (লূক ২৩:৪৩) পরমদেশের উদুল্লখ নিঃসন্দেহে সেই ব্যক্তিকে আমাদের প্রথম পিতামাতা, আদম এবং হবার সুখী পরিস্থিতিকে মনে করিয়ে দিয়েছিল। যখন ঈশ্বর তাদের সৃষ্টি করেছিলেন, তারা সিদ্ধ ছিল ও উদ্যান-সদৃশ এক পার্কে বাস করত যা সৃষ্টিকর্তা পরিকল্পনা ও স্থাপন করেছিলেন। উপযুক্তরূপেই একে এদন উদ্যান বলা হয়েছিল, যে নামের অর্থ হল আনন্দ।
৯. আদি পরমদেশে বসবাস কিরূপ ছিল?
৯ সেই উদ্যান কতই না আনন্দদায়ক ছিল! এটি এক প্রকৃত পরমদেশ ছিল। এর সুদৃশ্য বৃক্ষগুলির মধ্যে সুস্বাদু ফলদায়ক বৃক্ষগুলিও ছিল। যখন আদম ও হবা তাদের এলাকাসকল আবিষ্কার করে বেড়াত, এর সুমিষ্ট জলধারা থেকে জল পান করত এবং এর বৃক্ষগুলি থেকে ফল সংগ্রহ করত, তাদের চিন্তার বা ভয়ের কোন কারণ ছিল না। এমনকি জীবজন্তুরাও ভীতির কারণ ছিল না, কারণ ঈশ্বর পুরুষ ও তার স্ত্রীকে তাদের সকলের উপরেই প্রেমময় কর্তৃত্ব দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে, প্রথম মানব দম্পতির ছিল অপূর্ব স্বাস্থ্য। যতদিন পর্যন্ত তারা ঈশ্বরের বাধ্য থাকবে, তাদের সামনে ছিল এক অনন্ত, সুখী ভবিষ্যৎ। তাদের সুন্দর পরমদেশ গৃহের যত্ন নেওয়ার তৃপ্তিদায়ক কাজ দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, ঈশ্বর আদম ও হবাকে “পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত” করার আদেশ দিয়েছিলেন। তারা ও তাদের সন্তানসন্ততিদের পরমদেশের সীমানাকে বিস্তৃত করবার ছিল যতদিন না আমাদের সমস্ত গ্রহ সৌন্দর্য ও আনন্দের এক স্থান হয়ে ওদুঠ।—আদিপুস্তক ১:২৮.
১০. যখন যীশু পরমদেশ সম্বন্ধে বলেছিলেন, তাঁর মনে কী ছিল?
১০ যখন যীশু পরমদেশের উদুল্লখ করেছিলেন, তিনি কিন্তু, এক মুমূর্ষু ব্যক্তিকে সুদূর অতীত সম্পর্কে ভাবতে বলেননি। না, যীশু ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বলছিলেন! তিনি জানতেন যে আমাদের সমগ্র এই পার্থিব গৃহ এক পরমদেশ হয়ে উঠবে। ঈশ্বর এইভাবে মানবজাতি ও আমাদের পৃথিবী সম্পর্কে তাঁর আদি উদ্দেশ্যকে পরিপূর্ণ করবেন। (যিশাইয় ৫৫:১০, ১১) হ্যাঁ, পরমদেশ পুনঃস্থাপিত হবে! আর এটি কিরূপ হবে? ঈশ্বরের বাক্য, পবিত্র বাইবেল, এর উত্তর দিক।
পুনঃস্থাপিত পরমদেশে জীবন
১১. পুনঃস্থাপিত পরমদেশে ব্যাধি, বার্ধক্য এবং মৃত্যুর কী হবে?
১১ ব্যাধি, বার্ধক্য এবং মৃত্যু আর থাকবে না। “তৎকালে অন্ধদের চক্ষু খোলা যাইবে, আর বধিরদের কর্ণ মুক্ত হইবে। তৎকালে খঞ্জ হরিণের ন্যায় লম্ফ দিবে, ও গোঙ্গাদের জিহ্বা আনন্দগান করিবে।” (যিশাইয় ৩৫:৫, ৬) “ঈশ্বর আপনি তাহাদের [মানবজাতির] সঙ্গে থাকিবেন। . . . আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.
১২. কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে ভবিষ্যৎ পরমদেশে কোন অপরাধ, দৌরাত্ম্য এবং দুষ্টতা থাকবে না?
১২ অপরাধ, দৌরাত্ম্য এবং দুষ্টতা চিরকালের জন্য দূরীভূত হবে। “দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে . . . ক্ষণকাল, পরে দুষ্টলোক আর নাই . . . সে আর নাই। কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে।” (গীতসংহিতা ) “কিন্তু দুষ্টগণ দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইবে, বিশ্বাসঘাতকেরা তথা হইতে উন্মূলিত হইবে।”— ৩৭:৯-১১হিতোপদেশ ২:২২.
১৩. ঈশ্বর কিরূপে শান্তি নিয়ে আসবেন?
১৩ পৃথিবীব্যাপী শান্তি স্থাপিত হবে। “তিনি [ঈশ্বর] পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুদ্ধ নিবৃত্ত করেন; তিনি ধনু ভগ্ন করেন, বড়শা খণ্ড খণ্ড করেন।” (গীতসংহিতা ৪৬:৯) “ধার্ম্মিক লোক প্রফুল্ল হইবে, চন্দ্রের স্থিতিকাল পর্য্যন্ত প্রচুর শান্তি হইবে।”—গীতসংহিতা ৭২:৭.
১৪, ১৫. পুনঃস্থাপিত পরমদেশে বাসস্থান, কর্ম ও খাদ্য সম্পর্কে বাইবেল কী বলে?
১৪ বাসস্থান নিরাপদ ও কাজ তৃপ্তিদায়ক হবে। “আর লোকেরা গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া তাহার মধ্যে বসতি করিবে . . . তাহারা গৃহ নির্ম্মাণ করিলে অন্যে বাস করিবে না, তাহারা রোপণ করিলে অন্যে ভোগ করিবে না; বস্তুতঃ আমার প্রজাদের আয়ু বৃক্ষের আয়ুর তুল্য হইবে, এবং আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘকাল আপন আপন হস্তের শ্রমফল ভোগ করিবে। তাহারা বৃথা পরিশ্রম করিবে না, বিহ্বলতার নিমিত্ত সন্তানের জন্ম দিবে না।”—যিশাইয় ৬৫:২১-২৩.
১৫ স্বাস্থ্যকর খাদ্যের প্রাচুর্য থাকবে। “দেশমধ্যে পর্ব্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে।” (গীতসংহিতা ৭২:১৬) “পৃথিবী নিজ ফল দিয়াছে; ঈশ্বর, আমাদের ঈশ্বর, আমাদিগকে আশীর্ব্বাদ করিবেন।”—গীতসংহিতা ৬৭:৬.
১৬. পরমদেশে জীবন কেন আনন্দময় হবে?
১৬ এক পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্ত জীবন আনন্দদায়ক হবে। “ধার্ম্মিকেরা দেশের [“পৃথিবীর,” NW] অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:২৯) “প্রান্তর ও জলশূন্য স্থান আমোদ করিবে, মরুভূমি উল্লাসিত হইবে, গোলাপের ন্যায় উৎফুল্ল হইবে।”—যিশাইয় ৩৫:১.
জ্ঞান ও আপনার ভবিষ্যৎ
১৭. (ক) পরমদেশে জীবনের প্রতি আগ্রহ থাকলে আপনার কী করা উচিত? (খ) আমরা কিরূপে জানি যে ঈশ্বর পৃথিবীতে বিরাট পরিবর্তনসমূহ আনবেন?
১৭ যদি পরমদেশে জীবন আপনার কাছে আকর্ষণীয় বলে মনে হয়, তাহলে ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান অর্জন করতে যেন কোন কিছুই আপনাকে বাধা দিতে না পারে। তিনি মানবজাতিকে ভালবাসেন ও পৃথিবীকে এক পরমদেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি আনবেন। ধরুন, পৃথিবীতে এত ব্যাপকরূপে বিদ্যমান দুঃখকষ্ট ও অবিচার দূর করার শক্তি যদি আপনার থাকত, আপনি কি তা করতেন না? ঈশ্বর কি তার চেয়ে কম করবেন বলে আমরা আশা করব? প্রকৃতপক্ষে, বাইবেল স্পষ্টরূপে একটি সময় সম্বন্ধে বলে যখন ঈশ্বর এই রেষারেষিপূর্ণ প্রশাসনবিধিকে সরিয়ে দেবেন ও এর পরিবর্তে এক সম্পূর্ণ সিদ্ধ, ধার্মিক শাসন আনবেন। (দানিয়েল ২:৪৪) কিন্তু এ সমস্ত আমাদের বলা ছাড়াও বাইবেল আরও অনেক বেশি কিছু করে। আমরা কিভাবে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত নতুন পৃথিবীতে সংরক্ষিত হতে পারি তা আমাদের দেখায়।—২ পিতর ৩:১৩; ১ যোহন ২:১৭.
১৮. ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান এখনই আপনার জন্য কী করতে পারে?
১৮ ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান এখনই আপনার বহু উপকার করতে পারে। জীবনের গভীরতম ও সবচেয়ে উদ্বেগপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর বাইবেলে দেওয়া হয়েছে। এর পরিচালনা গ্রহণ আপনাকে সাহায্য করবে ঈশ্বরের সাথে এক বন্ধুত্বের সম্পর্ককে গড়ে তুলতে। কী মহান এক সুযোগ! আর এটি আপনাকে সেই শান্তি উপভোগ করতে সক্ষম করবে যা একমাত্র ঈশ্বরই দিতে পারেন। (রোমীয় ১৫:১৩, ৩৩) যখন আপনি এই গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান নেওয়া আরম্ভ করেন, আপনার জীবনের সবচেয়ে জরুরি এবং পুরস্কারদায়ক প্রচেষ্টায় আপনি প্রবৃত্ত হচ্ছেন। ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে তা অর্জন করে আপনি কখনও দুঃখবোধ করবেন না।
১৯. পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা কোন্ প্রশ্নটি বিবেচনা করব?
১৯ আমরা বাইবেলকে সেই বই হিসাবে উদুল্লখ করেছি যার মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান। তবুও, কিভাবে আমরা জানি যে, এটি কোন মানব প্রজ্ঞার বই নয়, কিন্তু এমন কিছু যা বহুগুণ বেশি উন্নত? পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা এই প্রশ্নটি বিবেচনা করব।
আপনার জ্ঞান পরীক্ষা করুন
ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান কেন আপনাকে চিরস্থায়ী সুখের দিকে পরিচালিত করতে পারে?
আগত পার্থিব পরমদেশে জীবন কিরূপ হবে?
ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান অর্জন করে আপনি এখনই কেন উপকৃত হবেন?
[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]