সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সাহায্য চান

সাহায্য চান

সাহায্য চান

“মানুষ একা হলে সহজে হেরে যেতে পারে, কিন্তু দু’জন হলে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।”—উপদেশক ৪:১২, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন।

আমরা যখন অন্যদের সাহায্য পাই, তখন যেকোনো শত্রুর বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। তাই, আপনি যদি ধূমপান করা বন্ধ করতে চান, তা হলে আপনার পরিবার আর বন্ধুবান্ধবের সাহায্য নিন অথবা এমন কারো সাহায্য নিন, যিনি সত্যিই আপনাকে ধৈর্য ধরে সাহায্য করতে পারেন।

আপনি এমন ব্যক্তির সাহায্য নিতে পারেন, যিনি আগেই ধূমপান করা বন্ধ করে দিয়েছেন। এর কারণ হল, তিনি আপনাকে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। ডেনমার্কের একজন খ্রিস্টান টরবান বলেন, “অন্যদের সাহায্য আমার কাছে সবচেয়ে মূল্যবান ছিল।” ভারতে বসবাসকারী এব্রাহাম লিখেছিলেন, “আমার পরিবার এবং সহখ্রিস্টানদের আন্তরিক ভালোবাসাই আমাকে ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করেছে।” কিন্তু, কখনো কখনো এমনকি পরিবার আর বন্ধুবান্ধবের সাহায্য যথেষ্ট নয়।

ভগবানদাস নামে একজন ব্যক্তি বলেন, “আমি ২৭ বছর ধরে ধূমপান করেছি, কিন্তু যখন জানতে পারি এই অশুচি অভ্যাসের বিষয়ে বাইবেল কী বলে, তখন আমি ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। আমি সিগারেট কম খাওয়ার চেষ্টা করি। একসময় আমি যাদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করতাম, তা বন্ধ করে দিই আর আমি পরামর্শদাতাদের কাছ থেকে সাহায্য নেই। কিন্তু, তাতে কিছুই কাজ হয়নি। শেষে, এক দিন রাতে আমি যিহোবা ঈশ্বরের কাছে মন খুলে প্রার্থনা করি আর তাঁকে বলি, তিনি যেন আমাকে ধূমপান ছেড়ে দিতে সাহায্য করেন। অবশেষে, আমি সফল হই!”

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আপনি যে-সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে পারেন, তার জন্য প্রস্তুতি নিন। সেগুলো কী? পরবর্তী প্রবন্ধ তা জানায়।

[বাক্স]

আপনার কি ওষুধ ব্যবহার করা উচিত?

ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করার জন্য ওষুধ রয়েছে, যেমন নিকোটিন প্যাচ। এই ধরনের ওষুধ অনেক লোক ব্যবহার করে থাকে আর এটা একটা বড়ো ব্যাবসা হয়ে উঠেছে। আপনি কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আসুন আমরা নীচের প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করি:

এতে কোন কোন উপকার রয়েছে? অনেক থেরাপি সম্বন্ধে বলা হয় যে, ধূমপান ছাড়ার সময় যে-সমস্যাগুলো দেখা যায়, ওষুধ তা কমিয়ে দিতে পারে এবং ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করতে পারে। তবে, এর কার্যকারিতা নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে।

এতে কোন কোন ঝুঁকি রয়েছে? কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। যেমন, বমি বমি ভাব, হতাশা এবং আত্মহত্যার চেষ্টা। মনে রাখবেন যে, ধূমপান ছাড়ানোর থেরাপিগুলোতে অন্য উপায়ে নিকোটিন দেওয়া হয় আর এতে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে। তাই যে-ব্যক্তি এগুলো ব্যবহার করে, সে নিকোটিনে আসক্ত থেকে যায়।

এর কী বিকল্প রয়েছে? একটা সমীক্ষা জানায়, ৮৮ শতাংশ ব্যক্তি যারা ধূমপান ছাড়তে সফল হয়েছে তারা বলে, হঠাৎ করেই সিগারেট খাওয়া বন্ধ করে, ওষুধ না খেয়েও তারা ধূমপান ছাড়তে পেরেছে।