ইব্রীয়দের প্রতি চিঠি ৪:১-১৬

  • ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ না করার বিপদ (১-১০)

  • ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করার বিষয়ে উপদেশ (১১-১৩)

    • ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত (১২)

  • যিশু মহান মহাযাজক (১৪-১৬)

 অতএব, তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করার প্রতিজ্ঞা যেহেতু এখনও রয়েছে, তাই এসো আমরা সতর্ক* থাকি, যেন আমাদের মধ্যে কেউই সেই প্রতিজ্ঞা থেকে বঞ্চিত না হই। ২  কারণ আমাদের কাছেও সুসমাচার ঘোষণা করা হয়েছে, যেমনটা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে করা হয়েছিল; কিন্তু তারা যে-বাক্য শুনেছিল, সেটা থেকে কোনো উপকার লাভ করেনি, কারণ যারা সেই বাক্যে মনোযোগ দিয়েছিল, সেই ব্যক্তিদের মতো তাদের একই বিশ্বাস ছিল না। ৩  কারণ আমরা যারা বিশ্বাস দেখিয়ে চলি, আমরা অবশ্যই তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করব, যেমনটা তিনি বলেছেন: “তাই, আমি ক্রুদ্ধ হয়ে এই দিব্য করলাম: ‘তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না,’” যদিও মানবজাতির শুরুর* আগেই তাঁর কাজ সমাপ্ত হয়েছিল। ৪  কারণ শাস্ত্রের এক জায়গায় তিনি সপ্তম দিন সম্বন্ধে এইরকম বলেছিলেন: “আর ঈশ্বর সপ্তম দিনে নিজের সমস্ত কাজ থেকে বিশ্রাম নিলেন” ৫  এবং আবার তিনি আরেক জায়গায় বলেন: “তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না।” ৬  যাদের কাছে প্রথম সুসমাচার ঘোষণা করা হয়েছিল, তারা অবা­ধ্যতার কারণে এই বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারেনি। কিন্তু, কারো কারো জন্য এই বিশ্রামে প্রবেশ করা এখনও সম্ভব। ৭  এই কারণে বহু দিন পর দায়ূদের একটা গীতে তিনি এই কথা বলে নির্দিষ্ট একটা দিনকে আবার চিহ্নিত করেছিলেন, “আজ”; যেমনটা এই চিঠিতে ইতিমধ্যেই উল্লেখ করা হয়েছে, “আজ তোমরা যদি আমার রবে মনোযোগ দাও, তা হলে তোমাদের হৃদয় কঠিন কোরো না।” ৮  কারণ যিহোশূয় যদি তাদের সেই বিশ্রামের স্থানে নিয়ে যেতেন, তা হলে পরবর্তী সময়ে ঈশ্বর অন্য একটা দিন সম্বন্ধে বলতেন না। ৯  অতএব, ঈশ্বরের লোকদের জন্য বিশ্রামবারের* মতো এক বিশ্রামের সুযোগ রয়েছে। ১০  কারণ যে-ব্যক্তি ঈশ্বরের বিশ্রামে প্রবেশ করেছে, সে নিজের কাজ থেকেও বিশ্রাম নিয়েছে, যেমনটা ঈশ্বর তাঁর নিজের কাজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন। ১১  তাই এসো, আমরা সেই বিশ্রামে প্রবেশ করার জন্য আমাদের যথাসাধ্য করি, যাতে কেউই সেই একই অবাধ্যতার উদাহরণ অনুসরণ না করি। ১২  কারণ ঈশ্বরের বাক্য জীবন্ত এবং অত্যন্ত ক্ষমতাশালী এবং দু-দিকেই ধার রয়েছে এমন খড়্গের চেয়েও অত্যন্ত ধারালো; এটি একজন ব্যক্তির একেবারে ভিতরে প্রবেশ করে সেই ব্যক্তির ভিতরের ও বাইরের অবস্থা প্রকাশ করে; এটি একজন ব্যক্তির গ্রন্থি ও মজ্জা ভেদ করেও একেবারে ভিতরে প্রবেশ করে; আর সেইসঙ্গে এটি হৃদয়ের চিন্তা ও প্রবণতা বুঝতে সমর্থ। ১৩  আর তাঁর দৃষ্টি থেকে কোনো সৃষ্টিই লুকোনো নয়, বরং সমস্ত কিছুই খোলা রয়েছে এবং তিনি সমস্ত কিছুই দেখতে পান, যাঁর কাছে আমাদের নিকাশ দিতে হবে। ১৪  অতএব, আমরা যেহেতু এমন এক মহান মহাযাজককে অর্থাৎ ঈশ্বরের পুত্র যিশুকে পেয়েছি, যিনি স্বর্গে প্রবেশ করেছেন, তাই এসো, আমরা তাঁর সম্বন্ধে জনসমক্ষে ঘোষণা করে চলি। ১৫  কারণ আমরা এমন মহাযাজককে পাইনি, যিনি আমাদের দুর্বলতা বুঝতে* পারেন না, বরং আমরা এমন মহাযাজককে পেয়েছি, যিনি সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের মতো পরীক্ষিত হয়েছেন, কিন্তু কোনো পাপ করেননি। ১৬  তাই এসো, আমরা নির্ভয়ে মহাদয়ার সিংহাসনের কাছে এগিয়ে যাই, যাতে আমাদের যখন সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তখন আমরা করুণা ও মহাদয়া লাভ করতে পারি।

পাদটীকাগুলো

আক্ষ., “ভয়ে।”
এটা আদম ও হবার সন্তানদের নির্দেশ করে।
শব্দকোষ দেখুন।
বা “আমাদের দুর্বলতার প্রতি সমবেদনা দেখাতে।”