ইব্রীয়দের প্রতি চিঠি ৬:১-২০
৬ অতএব এসো, খ্রিস্ট সম্বন্ধে প্রথমে আমরা যে-বিষয়গুলো শিখেছি, সেগুলো ছাড়িয়ে পরিপক্বতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা করি। আবারও আমরা সেই মৌলিক শিক্ষাগুলোর দিকে ফিরে না যাই* যেমন, নিষ্ফল* কাজকর্ম থেকে অনুতাপ এবং ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস,
২ বিভিন্ন বাপ্তিস্মের বিষয়ে শিক্ষা এবং হাত রাখা, মৃতদের পুনরুত্থান* এবং অনন্তবিচার।
৩ আর ঈশ্বর যদি চান, তা হলে আমরা পরিপক্বতার দিকে এগিয়েও যাব।
৪ যারা একবার ঈশ্বরের দ্বারা আলোকিত হয়েছে, স্বর্গীয় দানের স্বাদ গ্রহণ করেছে, পবিত্র শক্তি লাভ করেছে,
৫ ঈশ্বরের উত্তম বাক্য গ্রহণ করেছে এবং আসন্ন বিধিব্যবস্থায়* যে-আশীর্বাদগুলো* আসতে যাচ্ছে, সেগুলো দেখেছে,
৬ অথচ বিশ্বাস থেকে সরে পড়েছে, তাদের আবার অনুতপ্ত হওয়ার জন্য পরিচালিত করা অসম্ভব, কারণ তারা নিজেরাই ঈশ্বরের পুত্রকে পুনরায় বিদ্ধ করেছে এবং সকলের সামনে তাঁকে লজ্জায় ফেলেছে।
৭ কারণ যে-ভূমি বার বার পতিত বৃষ্টির জল শুষে নেয় আর এরপর কৃষকদের জন্য উপযোগী ফসল উৎপন্ন করে, সেটা ঈশ্বরের কাছ থেকে আশীর্বাদ লাভ করে।
৮ কিন্তু, যদি সেই ভূমি কাঁটাগাছ ও শিয়ালকাঁটা উৎপন্ন করে, তা হলে সেটা পরিত্যক্ত। শীঘ্রই ঈশ্বর সেই ভূমিকে অভিশাপ দেবেন এবং পরিশেষে সেটাকে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
৯ কিন্তু, হে প্রিয় ভাই ও বোনেরা, যদিও আমরা এই ধরনের কথা বলছি, তবে আমরা নিশ্চিত যে, তোমাদের প্রতি আরও উত্তম উত্তম বিষয় ঘটবে, যেগুলো পরিত্রাণের দিকে নিয়ে যায়।
১০ কারণ ঈশ্বর অন্যায়কারী নন; তোমরা পবিত্র ব্যক্তিদের যে-সেবা করেছ এবং এখনও করে চলছ আর এভাবে তোমরা যে-কাজ করেছ এবং তাঁর নামের প্রতি যে-প্রেম দেখিয়েছ, তা তিনি ভুলে যাবেন না।
১১ কিন্তু, আমরা চাই, যেন তোমরা প্রত্যেকে সেই একইরকম পরিশ্রমী মনোভাব দেখিয়ে চল। এতে তোমাদের প্রত্যাশা শেষ পর্যন্ত নিশ্চিত থাকবে।
১২ আর আমরা চাই, যেন তোমরা অলস না হও, বরং সেই ব্যক্তিদের অনুকরণ কর, যারা বিশ্বাস ও ধৈর্যের মাধ্যমে প্রতিজ্ঞাত বিষয়গুলো লাভ করে।
১৩ ঈশ্বর যখন অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, তখন তিনি নিজের নামেই দিব্য করলেন, কারণ তাঁর চেয়ে মহান এমন কেউ নেই, যাঁর নামে তিনি দিব্য করতে পারেন।
১৪ তিনি বলেছিলেন: “আমি অবশ্যই তোমাকে আশীর্বাদ করব এবং অবশ্যই তোমার বংশ বৃদ্ধি করব।”
১৫ আর অব্রাহাম ধৈর্য দেখিয়েছিলেন বলে তার কাছে এই প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল।
১৬ মানুষ তো নিজের চেয়ে মহান কারো নামে দিব্য করে আর তাদের শপথ যেকোনো বিতর্কের অবসান ঘটায়, কারণ এই শপথ তাদের এক বৈধ নিশ্চয়তা প্রদান করে।
১৭ একইভাবে, ঈশ্বর যখন প্রতিজ্ঞার উত্তরাধিকারীদের আরও স্পষ্টভাবে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, তাঁর উদ্দেশ্য* কখনো পরিবর্তিত হয় না, তখন তিনি একটা শপথ করার মাধ্যমে এই বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন,*
১৮ যাতে তাঁর প্রতিজ্ঞা এবং তাঁর শপথের মাধ্যমে, আমরা যারা ঈশ্বরের কাছে আশ্রয় নিয়েছি, আমরা আমাদের প্রত্যাশা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে পারি, যেহেতু আমরা অনেক উৎসাহ লাভ করেছি। তাঁর শপথ ও প্রতিজ্ঞা কখনো পরিবর্তিত হয় না, কারণ তিনি মিথ্যা বলতে পারেন না।
১৯ এই প্রত্যাশা আমাদের জীবনের জন্য এক নোঙরের মতো, যা কোনোরকম সন্দেহ না করে আমাদের দৃঢ় থাকতে সাহায্য করে। আর এই প্রত্যাশা আমাদের পর্দার ভিতরে নিয়ে যায়,
২০ যেখানে আমাদের অগ্রদূত অর্থাৎ সেই যিশু আমাদের জন্য প্রবেশ করেছেন, যিনি চিরকালের জন্য মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী একজন মহাযাজক হয়েছেন।
পাদটীকাগুলো
^ আক্ষ., “সেই বিষয়ে ভিত্তি স্থাপন না করি।”
^ আক্ষ., “মৃত।”
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ বা “যুগে।” শব্দকোষ দেখুন।
^ আক্ষ., “যে-শক্তিগুলো।”
^ বা “পরামর্শ।”
^ বা “বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন।” আক্ষ., “বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছেন।”