ইয়োব ৪২:১-১৭
৪২ তখন ইয়োব যিহোবাকে বললেন:
২ “এখন আমি বুঝতে পেরেছি, তুমি সব কিছু করতে পার,এমন কোনো কাজ নেই, যেটা তোমার মনে রয়েছে অথচ তুমি করতে পারবে না।
৩ তুমি জিজ্ঞেস করেছিলে, ‘এ কে, যে কিছু না জেনেই আমার পরামর্শকে বিকৃত করছে?’
আমিই সেই ব্যক্তি। আমি চিন্তা না করে কথা বলেছি,সেই আশ্চর্যজনক বিষয়গুলো সম্বন্ধে কথা বলেছি, যেগুলোর বিষয়ে আমি ভালোভাবে জানি না।
৪ তুমি বলেছিলে, ‘আমার কথার প্রতি একটু মনোযোগ দাও,আমি তোমাকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করব আর তুমি আমাকে বলবে।’
৫ আজ পর্যন্ত আমি তোমার বিষয়ে নিজের কানে কেবল শুনেছিলাম,কিন্তু এখন আমি তোমাকে নিজের চোখে দেখতেও পেয়েছি।
৬ তাই, আমি আমার কথাগুলো ফিরিয়ে নিচ্ছিএবং ধুলো ও ছাইয়ের মধ্যে বসে অনুতাপ করছি।”
৭ যিহোবা ইয়োবের সঙ্গে তাঁর কথা শেষ করলেন। তারপর, যিহোবা তৈমনীয় ইলীফসকে বললেন:
“তোমার বিরুদ্ধে এবং তোমার দু-জন সঙ্গীর বিরুদ্ধে আমার ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠেছে কারণ আমার দাস ইয়োব যেভাবে আমার বিষয়ে সত্য কথা বলেছে, তোমরা সেভাবে আমার বিষয়ে সত্য কথা বলনি।
৮ এখন তোমরা সাতটা ষাঁড় এবং সাতটা পুংমেষ নিয়ে আমার দাস ইয়োবের কাছে যাও। সেখানে তোমরা নিজেদের জন্য হোমবলি উৎসর্গ করবে আর আমার দাস ইয়োব তোমাদের জন্য প্রার্থনা করবে। যদিও আমার দাস ইয়োব যেভাবে আমার বিষয়ে সত্য কথা বলেছে, তোমরা সেভাবে সত্য কথা বলনি, তারপরও তার প্রার্থনা শুনে আমি তোমাদের মূর্খতা অনুসারে তোমাদের শাস্তি দেব না।”
৯ তখন তৈমনীয় ইলীফস, শূহীয় বিল্দদ এবং নামাথীয় সোফর যিহোবার কথা অনুযায়ী কাজ করলেন আর যিহোবা ইয়োবের প্রার্থনা গ্রহণ করলেন।
১০ ইয়োব তার সঙ্গীদের জন্য প্রার্থনা করার পর, যিহোবা ইয়োবের সমস্ত কষ্ট দূর করে দিলেন আর তাকে তার সমৃদ্ধি ফিরিয়ে দিলেন। ইয়োবের কাছে আগে যা-কিছু ছিল, যিহোবা তাকে সেই সমস্ত কিছুর দ্বিগুণ দিলেন।
১১ তার সমস্ত ভাই-বোন এবং সমস্ত পুরোনো বন্ধু তার বাড়িতে তার সঙ্গে দেখা করতে এল এবং তার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করল। যিহোবা ইয়োবের উপর যে-সমস্ত বিপর্যয় আসার অনুমতি দিয়েছিলেন, সেগুলোর জন্য তারা ইয়োবের প্রতি সহমর্মিতা দেখাল এবং তাকে সান্ত্বনা দিল। তারা প্রত্যেকেই তাকে একটা করে রুপোর টুকরো এবং একটা করে সোনার দুল দিল।
১২ যিহোবা ইয়োবকে আগের চেয়ে অনেক বেশি আশীর্বাদ করলেন। তার ১৪,০০০টা মেষ, ৬,০০০টা উট, ২,০০০টা* গরু ও ষাঁড় এবং ১,০০০টা গাধী হল।
১৩ ইয়োবের আরও সাতটি ছেলে এবং তিনটি মেয়ে হল।
১৪ তিনি তার প্রথম মেয়ের নাম যিমীমা, দ্বিতীয় মেয়ের নাম কৎসীয়া এবং তৃতীয় মেয়ের নাম কেরণহপ্পূক রাখলেন।
১৫ পুরো দেশে তাদের মতো সুন্দরী মেয়ে ছিল না। ইয়োব তার ছেলেদের সঙ্গে সঙ্গে তার মেয়েদেরও সম্পত্তির ভাগ দিলেন।
১৬ ইয়োব আরও ১৪০ বছর বেঁচে থাকলেন, তিনি তার সন্তানদের এবং নাতিপুতিদের অর্থাৎ মোট চারটে প্রজন্ম দেখলেন।
১৭ শেষে, ইয়োব এক দীর্ঘ ও পরিতৃপ্তিদায়ক জীবন কাটানোর পর* মারা গেলেন।