ইষ্টের ৫:১-১৪

 তৃতীয় দিন ইষ্টের তার রানির পোশাক পরলেন এবং ভিতরের প্রাঙ্গণে গিয়ে রাজপ্রাসাদের ঠিক সামনে দাঁড়ালেন। সেইসময় রাজা নিজের রাজপ্রাসাদে সিংহাসনে বসে ছিলেন, যেখান থেকে তিনি রাজপ্রাসাদের দরজা স্পষ্টভাবে দেখতে পাচ্ছিলেন। ২  রাজা রানি ইষ্টেরকে দেখতে পেলেন, যিনি বাইরে প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে দেখামাত্র তিনি খুবই আনন্দিত হলেন আর তার হাতে থাকা সোনার রাজদণ্ড ইষ্টেরের দিকে বাড়িয়ে দিলেন। তখন ইষ্টের রাজার কাছে এসে সেই রাজদণ্ডের মাথা স্পর্শ করলেন। ৩  রাজা তাকে বললেন: “কী হয়েছে রানি ইষ্টের? তুমি কী চাও? তুমি যদি অর্ধেক রাজ্যও চাও, সেটাও তোমাকে দেওয়া হবে!” ৪  ইষ্টের বললেন: “রাজার যদি ভালো বলে মনে হয়, তা হলে আজ আমি বিশেষ করে রাজার জন্য যে-ভোজের আয়োজন করেছি, সেই ভোজে তিনি যেন আসেন আর তিনি যেন সঙ্গে করে হামনকেও নিয়ে আসেন।” ৫  রাজা তার লোকদের বললেন: “রানি ইষ্টের যেমনটা চান, তেমনটাই হোক। যাও, তোমরা এক্ষুনি হামনকে ডেকে আনো।” পরে রাজা আর হামন ইষ্টেরের ভোজে গেলেন। ৬  কিছুসময় পর তারা যখন দ্রাক্ষারস* পান করছিলেন, তখন রাজা ইষ্টেরকে বললেন: “তোমার অনুরোধ কী? তুমি কী চাও? তুমি যদি অর্ধেক রাজ্যও চাও, সেটাও তোমাকে দেওয়া হবে!” ৭  ইষ্টের বললেন: “রাজার কাছে আমার আন্তরিক অনুরোধ এই যে, ৮  তিনি যদি আমার উপর খুশি হয়ে থাকেন এবং সত্যিই আমার অনুরোধ রাখতে চান, তা হলে কাল তিনি যেন হামনকে সঙ্গে নিয়ে আরেকটা ভোজে আসেন, যেটার আয়োজন আমি তাদের জন্য করেছি। কাল আমি রাজাকে বলব, আমি কী চাই।” ৯  সেই দিন ভোজ থেকে ফিরে আসার সময়, হামন খুব খুশি ছিল। তার মন আনন্দে ভরে গিয়েছিল। কিন্তু, মর্দখয়কে রাজপ্রাসাদের দরজার কাছে দেখামাত্রই সে খুব রেগে গেল কারণ মর্দখয় তাকে দেখে উঠেও দাঁড়ালেন না কিংবা ভয়ও পেলেন না। ১০  হামন নিজের রাগ চেপে রেখে বাড়ি ফিরে গেল। সে তার স্ত্রী সেরশ এবং নিজের বন্ধুদের ডেকে পাঠাল। ১১  তার যে প্রচুর ধনসম্পদ রয়েছে এবং অনেক ছেলে রয়েছে, সেটা নিয়ে সে বড়াই করল। আর রাজা তাকে কীভাবে উচ্চপদ দেওয়ার মাধ্যমে অন্য অধ্যক্ষ ও দাসদের চেয়ে আরও বেশি সম্মান দিয়েছেন, সেটাও সে গর্ব করে বলতে লাগল। ১২  হামন এও বলল: “জান, রানি ইষ্টের তার ভোজে রাজার সঙ্গে আর কাকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন? আমাকে! আর কাল রানি আমাকে রাজার সঙ্গে আরেকটা ভোজে নিমন্ত্রণ করেছেন। ১৩  কিন্তু, যতদিন ওই যিহুদি মর্দখয় রাজপ্রাসাদের দরজার কাছে বসে থাকবে, ততদিন আমার শান্তি হবে না।” ১৪  তখন তার স্ত্রী সেরশ এবং তার বন্ধুরা তাকে বলল: “তুমি এক কাজ করো। ৫০ হাত* লম্বা একটা দণ্ড দাঁড় করাও আর সকাল বেলায় রাজার কাছে গিয়ে তাকে বলো, মর্দখয়কে যেন সেই দণ্ডে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তারপর খুশিমনে রাজার সঙ্গে ভোজে চলে যাও।” এই পরামর্শ হামনের পছন্দ হল আর সে একটা দণ্ড দাঁড় করাল।

পাদটীকাগুলো

বা “ওয়াইন।”
প্রায় ২২.৩ মিটার (৭৩ ফুট)। পরিশিষ্টের খ১৪ দেখুন।