দ্বিতীয় বিবরণ ২৫:১-১৯

২৫  “দু-জন ব্যক্তির মধ্যে যদি ঝগড়া হয়, তা হলে তারা তাদের মামলা বিচারকদের সামনে পেশ করতে পারে। বিচারকেরা তাদের বিচার করবে এবং নির্ধারণ করে দেবে, কে নির্দোষ এবং কে দোষী। ২  সেই দোষী ব্যক্তি যদি মার খাওয়ার মতো কোনো অপরাধ করে থাকে, তা হলে বিচারক তার সামনে তাকে উবুড় করে শুইয়ে মার খাওয়াবে। তার অপরাধের উপর ভিত্তি করে এটা নির্ধারণ করা হবে যে, তাকে কত বার মারা হবে। ৩  তাকে ৪০ বার পর্যন্ত মারা যেতে পারে, তার বেশি নয়। এর চেয়ে বেশি মারা হলে সবার সামনে তোমার ভাই অপমানিত হবে। ৪  “কোনো ষাঁড় যখন শস্য মাড়াই করে, তখন তুমি সেই ষাঁড়ের মুখে জালতি বাঁধবে না। ৫  “কয়েক জন ভাই যদি পাশাপাশি বাস করে এবং তাদের মধ্যে কোনো একজন মারা যায় এবং তার কোনো ছেলে না থাকে, তা হলে তার বিধবা স্ত্রী পরিবারের বাইরে কোনো পুরুষকে বিয়ে করতে পারবে না। তার স্বামীর ভাই তার কাছে যাবে আর সেই ভাই নিজের কর্তব্য পালন করে তাকে বিয়ে করবে। ৬  সেই স্ত্রীর যে-প্রথম সন্তান হবে, সে মৃত ব্যক্তির বংশ রক্ষা করবে, যাতে তার নাম ইজরায়েল থেকে মুছে না যায়। ৭  “যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে, তা হলে সেই বিধবা স্ত্রী যেন নগরের দরজার কাছে প্রাচীনদের সামনে যায় এবং তাদের বলে, ‘আমার স্বামীর ভাই ইজরায়েলের মধ্যে আমার স্বামীর নাম টিকিয়ে রাখতে অস্বীকার করেছে। সে তার কর্তব্য পালন করতে এবং আমাকে বিয়ে করতে চায় না।’ ৮  তখন নগরের প্রাচীনেরা সেই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠাবে এবং তাকে বোঝাবে। এরপরও, সে যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে এবং বলে, ‘আমি ওকে বিয়ে করব না,’ ৯  তা হলে সেই বিধবা স্ত্রী যেন প্রাচীনদের সামনে সেই ব্যক্তির কাছে যায় এবং তার পা থেকে জুতো খুলে নেয় এবং তার মুখের উপর থুতু ফেলে আর বলে, ‘যে-কেউ তার ভাইয়ের বংশ রক্ষা করতে অস্বীকার করে, তার প্রতি এমনটাই করা হবে।’ ১০  এরপর থেকে ইজরায়েলে সেই ব্যক্তির পরিবারের নাম* হবে, ‘যে-ব্যক্তির জুতো খুলে নেওয়া হয়েছে, তার পরিবার।’ ১১  “যদি দু-জন পুরুষের মধ্যে মারামারি হয় আর তাদের মধ্যে একজনের স্ত্রী তার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য যে তার স্বামীকে মারছে, হাত বাড়িয়ে তার পুরুষাঙ্গ ধরে, ১২  তা হলে তুমি সেই মহিলার হাত কেটে ফেলবে। তুমি তার প্রতি একটুও দয়া দেখাবে না।* ১৩  “তোমার থলিতে যেন একই ওজনের জন্য দুটো আলাদা আলাদা বাটখারা অর্থাৎ একটা ছোটো এবং একটা বড়ো বাটখারা না থাকে। ১৪  তুমি যেন তোমার বাড়িতে একই পরিমাপের জন্য দুটো আলাদা আলাদা পাত্র* অর্থাৎ একটা ছোটো এবং একটা বড়ো পাত্র না রাখ। ১৫  তুমি তোমার কাছে কেবল এমন বাটখারা এবং পরিমাপের পাত্র রাখবে, যেগুলো একেবারে সঠিক ও ন্যায্য, যাতে তোমার ঈশ্বর যিহোবা তোমাকে যে-দেশ দিতে চলেছেন, তুমি সেখানে দীর্ঘসময় ধরে বেঁচে থাক। ১৬  যে-কেউ অন্যকে ঠকায়, সে তোমার ঈশ্বর যিহোবার দৃষ্টিতে জঘন্য। ১৭  “মনে রেখো, তোমরা যখন মিশর থেকে বের হয়ে যাত্রা করছিলে, তখন অমালেকীয়েরা তোমার প্রতি কী করেছিল। ১৮  যখন তুমি যাত্রার কারণে একেবারে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলে, তখন অমালেকীয়েরা এসে তোমাদের সেই সমস্ত লোককে আক্রমণ করেছিল, যারা দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং পিছিয়ে পড়েছিল। অমালেকীয়েরা ঈশ্বরকে একটুও ভয় করেনি। ১৯  এইজন্য তোমার ঈশ্বর যিহোবা যখন তোমাকে সেই দেশ উত্তরাধিকার হিসেবে দেবেন এবং যিহোবা আশেপাশের সমস্ত শত্রুর হাত থেকে তোমাকে রেহাই দেবেন, তখন তুমি পৃথিবী* থেকে অমালেকীয়দের নাম মুছে দেবে। তুমি কোনোভাবেই এটা করতে ভুলবে না।

পাদটীকাগুলো

বা “সেই পরিবারের নাম।” আক্ষ., “তার নাম।”
আক্ষ., “তোমার চোখ যেন তার প্রতি একটুও দয়া না করে।”
আক্ষ., “তোমার বাড়িতে এক ঐফা এবং এক ঐফা।” পরিশিষ্টের খ১৪ দেখুন।
আক্ষ., “আকাশের নীচ।”