নহিমিয় ১০:১-৩৯

১০  যারা চুক্তিতে তাদের সিলমোহর দিয়ে সেটাকে নিশ্চিত করেছিল, তাদের নাম এই: হখলিয়ের ছেলে* রাজ্যপাল* নহিমিয়আর সেইসঙ্গে সিদিকিয়, ২  সরায়, অসরিয়, যিরমিয়, ৩  পশ্‌হূর, অমরিয়, মল্কিয়, ৪  হটূশ, শবনিয়, মল্লূক, ৫  হারীম, মরেমোৎ, ওবদিয়, ৬  দানিয়েল, গিন্নথোন, বারূক, ৭  মশুল্লম, অবিয়, মিয়ামীন, ৮  মাসিয়, বিল্‌গয় ও শময়িয়। এরা সবাই যাজক ছিল। ৯  যে-লেবীয়েরা চুক্তিতে তাদের সিলমোহর দিয়েছিল, তাদের নাম এই: অসনিয়ের ছেলে যেশূয়, হেনাদদের ছেলেদের মধ্যে বিন্নূয়ি, কদ্‌মীয়েল ১০  এবং তাদের ভাইয়েরা শবনিয়, হোদিয়, কলীট, পলায়, হানন, ১১  মীখা, রহোব, হশবিয়, ১২  সক্কূর, শেরেবিয়, শবনিয়, ১৩  হোদিয়, বানি ও বনীনু। ১৪  ইজরায়েলের যে-প্রধান ব্যক্তিরা চুক্তিতে তাদের সিলমোহর দিয়েছিল, তাদের নাম এই: পরোশ, পহৎমোয়াব, এলম, সত্তূ, বানি, ১৫  বুন্নি, অস্‌গদ, বেবয়, ১৬  আদোনিয়, বিগ্‌বয়, আদীন, ১৭  আটের, হিষ্কিয়, অসূর, ১৮  হোদিয়, হশুম, বেৎসয়, ১৯  হারীফ, অনাথোৎ, নবয়, ২০  মগ্‌পিয়শ, মশুল্লম, হেষীর, ২১  মশেষবেল, সাদোক, যদ্দুয়, ২২  পলটিয়, হানন, অনায়, ২৩  হোশেয়, হনানিয়, হশূব, ২৪  হলোহেশ, পিল্‌হ, শোবেক, ২৫  রহূম, হশব্‌না, মাসেয়, ২৬  অহিয়, হানন, অনান, ২৭  মল্লূক, হারীম ও বানা। ২৮  বাকি লোকেরা অর্থাৎ যাজকেরা, লেবীয়েরা, পাহারাদারেরা, গায়কেরা, মন্দিরের দাসেরা* এবং সেই লোকেরা, যারা সত্য ঈশ্বরের ব্যবস্থা পালন করার জন্য আশেপাশের জাতির লোকদের থেকে নিজেদের আলাদা করেছিল, তারা নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে নিল। হ্যাঁ, যাদের বোঝার ক্ষমতা ছিল,* তারা সবাই একত্রিত হল। আর তারা ২৯  তাদের ভাইদের সঙ্গে এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মিলে একটা শপথ করল এবং বলল, তারা যদি সেই শপথ পূরণ না করে, তা হলে তাদের উপর যেন অভিশাপ নেমে আসে। তারা এই শপথ করল যে, তারা সত্য ঈশ্বরের ব্যবস্থা অনুসারে চলবে, যেটা তিনি তাঁর দাস মোশিকে দিয়েছিলেন। আর তারা তাদের প্রভু যিহোবার প্রতিটা আজ্ঞা, বিচার সংক্রান্ত রায় এবং নিয়ম ভালোভাবে পালন করবে। ৩০  তারা শপথ করল: “আমরা আমাদের আশেপাশের দেশের লোকদের নিজেদের মেয়ে দেব না এবং আমাদের ছেলেদের জন্য তাদের মেয়ে নিয়ে আসব না। ৩১  “যদি বিশ্রামবারে কিংবা অন্য কোনো পবিত্র দিনে আশেপাশের জাতির লোকেরা তাদের জিনিসপত্র ও শস্য বিক্রি করতে আসে, তা হলে আমরা তাদের কাছ থেকে কিছুই কিনব না। আমরা সপ্তম বছরে ভূমিকে বিশ্রাম দেব এবং সমস্ত ঋণ মাফ করে দেব। ৩২  “আমরা এই প্রতিজ্ঞাও করছি, ঈশ্বরের গৃহে* হওয়া উপাসনার জন্য আমরা প্রত্যেকে প্রতি বছর এক-তৃতীয়াংশ শেকল* দেব। ৩৩  এর দ্বারা সেই বিষয়গুলোর খরচ মেটানো হবে, যেগুলো বিশ্রামবার এবং নতুন চাঁদের দিন উৎসর্গ করা হয় অর্থাৎ দুই সারি রুটি,* নিয়মিতভাবে উৎসর্গীকৃত শস্য নৈবেদ্য* এবং হোমবলি। এ ছাড়া, এর মাধ্যমে বছরের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত উৎসবগুলোর জন্য, পবিত্র বিষয়গুলোর জন্য, ইজরায়েলের প্রায়শ্চিত্তের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত পাপবলির জন্য এবং ঈশ্বরের গৃহের অন্যান্য কাজের জন্য খরচ মেটানো হবে। ৩৪  “আমরা এটাও ঠিক করলাম যে, যাজকেরা, লেবীয়েরা এবং অন্য লোকেরা আমাদের ঈশ্বরের গৃহের জন্য কাঠ নিয়ে আসবে, যাতে আমাদের ঈশ্বর যিহোবার বেদির উপর আগুন জ্বলতে থাকে, যেমনটা মোশির ব্যবস্থায় লেখা রয়েছে। তাই, আমরা ঘুঁটি* চেলে এটা নির্ধারণ করব যে, তাদের বাবার বংশ অনুসারে তাদের বছরের কোন কোন সময় কাঠ নিয়ে আসতে হবে। আর তারা প্রতি বছর ঠিক সেই সময়ে কাঠ নিয়ে আসবে। ৩৫  আমরা প্রতিজ্ঞা করছি যে, আমরা প্রতি বছর আমাদের খেতে উৎপাদিত প্রথম ফসল এবং বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছের প্রথম ফল যিহোবার গৃহে নিয়ে আসব। ৩৬  আমরা আমাদের প্রথমজাত ছেলেদের ও সেইসঙ্গে গরু ও মেষ ও ছাগলের প্রথম বাচ্চাকে নিয়ে আসব, যেমনটা ব্যবস্থায় লেখা রয়েছে। আমরা তাদের ঈশ্বরের গৃহে সেবারত যাজকদের কাছে নিয়ে আসব। ৩৭  আমরা আমাদের ঈশ্বরের গৃহের ভাণ্ডারের জন্য যাজকদের কাছে এইসমস্ত জিনিস নিয়ে আসব: আমাদের প্রথম ফসলের প্রথম আটা,* সমস্ত ধরনের গাছের ফল, নতুন দ্রাক্ষারস,* তেল এবং দান। সেইসঙ্গে আমরা আমাদের খেতে উৎপন্ন ফসলের দশমাংশ লেবীয়দের দেব, যারা আমাদের সেইসমস্ত নগর থেকে দশমাংশ সংগ্রহ করে, যেখানে চাষবাস করা হয়। ৩৮  “লেবীয়েরা যখন দশমাংশ সংগ্রহ করবে, তখন যাজক অর্থাৎ হারোণের ছেলেও তাদের সঙ্গে থাকবে। আর লেবীয়েরা তাদের অংশ থেকে দশমাংশ ঈশ্বরের গৃহের জন্য দান করবে, যেগুলো ভাণ্ডারের কক্ষগুলোতে রাখা হবে। ৩৯  এই কক্ষগুলোতে ইজরায়েলীয় ও লেবীয়দের দান হিসেবে দেওয়া শস্য, নতুন দ্রাক্ষারস* ও তেল এনে রাখা হবে। এগুলো হল সেই কক্ষ, যেগুলোতে মন্দিরের পবিত্র স্থানের বাসন-পত্র রাখা হত এবং যেখানে সেবারত যাজকেরা, পাহারাদারেরা ও গায়কেরা আসা-যাওয়া করত। আমরা সংকল্প নিলাম যে, আমরা আমাদের ঈশ্বরের গৃহের দেখাশোনা করার ব্যাপারে অবহেলা করব না।”

পাদটীকাগুলো

এই অধ্যায়ে “ছেলে” শব্দের অর্থ “বংশধর”-ও হতে পারে।
বা “তির্শাথা।” এটা কোনো প্রদেশের রাজ্যপালকে দেওয়া এক পারসিক উপাধি।
বা “নথীনীয়েরা।” আক্ষ., “অর্পিত ব্যক্তিরা।”
বা সম্ভবত, “বোঝার মতো বয়স হয়েছিল।”
বা “মন্দিরে।”
এক শেকল সমান ১১.৪ গ্রাম। পরিশিষ্টের খ১৪ দেখুন।
অর্থাৎ দর্শন-রুটি।
বা “ভক্ষ্য নৈবদ্য।”
শব্দকোষ দেখুন।
আক্ষ., “মিহি নয় এমন আটা।”
বা “ওয়াইন।”
বা “ওয়াইন।”