পরমগীত ৩:১-১১
৩ “রাতের বেলায় বিছানায় শুয়ে শুয়েআমি আমার প্রিয়তমের কথা চিন্তা করলাম।
আমার ওকে দেখার খুব ইচ্ছা হল, কিন্তু আমি ওকে পেলাম না।
২ আমি উঠে নগরে ঘুরে বেড়াব,আমি রাস্তায় রাস্তায় এবং নগরের খোলা জায়গায়আমার প্রিয়তমকে খুঁজব।
আমি ওকে খুঁজলাম, কিন্তু পেলাম না।
৩ পাহারাদারেরা নগরে টহল দেওয়ার সময় আমাকে দেখতে পেল।
আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমরা কি আমার প্রিয়তমকে দেখেছ?’
৪ তাদের পার হয়ে যেতে না যেতেই,আমি আমার প্রিয়তমকে খুঁজে পেলাম।
আমি ওকে ধরলাম, ওকে যেতে দিলাম না,যতক্ষণ না আমি ওকে আমার মায়ের বাড়িতে,আমার জন্মদাত্রী মায়ের ভিতরের ঘরে নিয়ে এলাম।
৫ হে জেরুসালেমের মেয়েরা,আমি তোমাদের চিংকারা* এবং মাঠের হরিণীদের নামে শপথ করিয়ে বলছি:
যতক্ষণ না আমার ভিতর থেকে প্রেম জেগে উঠছে,ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমার মধ্যে তা জাগানোর চেষ্টা কোরো না।”
৬ “প্রান্তর থেকে ধোঁয়ার স্তম্ভের মতো ওটা কী আসছে?ওটা কী, যেটা থেকে গন্ধরসের,* লোবানের*এবং বণিকের সুগন্ধির সুন্দর গন্ধ আসছে?”
৭ “দেখো! এটা শলোমনের পালকি।
ইজরায়েলের বীরযোদ্ধাদের মধ্য থেকেষাট জন বীরযোদ্ধা সেটার চারপাশে রয়েছে।
৮ তাদের সবার কাছে তলোয়ার রয়েছে,তারা সবাই যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষিত,প্রত্যেকের কোমরে তলোয়ার রয়েছে,যাতে রাতের বেলায় বিপদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে।”
৯ “ওটা রাজা শলোমনের পালকি,যেটা তিনি লেবাননের গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি করিয়েছেন।
১০ ওটার স্তম্ভগুলো রুপোর তৈরি।
তিনি যেটার উপর হেলান দেন, সেটা সোনার তৈরি।
ওটার আসন বেগুনি রঙের উল দিয়ে তৈরি।
জেরুসালেমের মেয়েরা প্রেমের সঙ্গে ওটার ভিতরটা সাজিয়েছে।”
১১ “সিয়োনের মেয়েরা, তোমরা যাও,রাজা শলোমনকে দেখো।
তিনি সেই মুকুটটা* পরে রয়েছেন,যেটা তার মা তার বিয়ের জন্য তৈরি করেছিলেন,হ্যাঁ, সেই দিন তৈরি করেছিলেন, যে-দিন রাজার হৃদয় খুব আনন্দিত ছিল।”
পাদটীকাগুলো
^ এক প্রকারের হরিণ, যেটা দ্রুত দৌড়োতে পারে।
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ বা “ফুলের মুকুটটা।”