ফিলিপীয়দের প্রতি চিঠি ৪:১-২৩
৪ অতএব, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা যারা আমার আনন্দ ও মুকুটস্বরূপ আর যাদের দেখার জন্য আমি আকুল আকাঙ্ক্ষী হয়ে আছি, প্রভুর অনুসারী হিসেবে তোমরা ঠিক এভাবেই দৃঢ় থেকো।
২ আমি ইবদিয়া ও সুন্তুখীকে অনুরোধ করছি, তোমরা প্রভুর সেবা করার সময় একই মনোভাব বজায় রাখো।
৩ হ্যাঁ, আমার প্রকৃত সহকর্মী, আমি তোমাকেও অনুরোধ করছি, তুমি আমাদের এই বোনদের সাহায্য করো। কারণ এই বোনেরা সুসমাচার ঘোষণা করার জন্য আমার সঙ্গে এবং ক্লীমেন্ত আর আমার অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। এদের সবার নাম জীবনপুস্তকে লেখা রয়েছে।
৪ তোমরা প্রভুর সেবায় সবসময় আনন্দ করো। আমি আবারও বলছি, আনন্দ করো!
৫ তোমাদের যুক্তিবাদিতা* যেন সবার কাছে প্রকাশ পায়। প্রভু কাছেই রয়েছেন।
৬ তোমরা কোনো বিষয়ে উদ্বিগ্ন হোয়ো না, বরং সমস্ত বিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা আর সেইসঙ্গে ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের অনুরোধ ঈশ্বরকে জানাও;
৭ এতে ঈশ্বরের সেই শান্তি খ্রিস্ট যিশুর মাধ্যমে তোমাদের হৃদয় ও মনকে* রক্ষা করবে, যে-শান্তির কথা মানুষ চিন্তাও করতে পারে না।
৮ অতএব ভাইয়েরা, যা-কিছু সত্য, যা-কিছু গুরুত্বপূর্ণ,* যা-কিছু ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সঠিক,* যা-কিছু শুদ্ধ,* যা-কিছু প্রীতিজনক, যা-কিছু সুখ্যাতিযুক্ত, যা-কিছু সদ্গুণসম্পন্ন এবং যা-কিছু প্রশংসনীয়, সেগুলো বিবেচনা* করো।
৯ তোমরা আমার কাছ থেকে যা-কিছু শিখেছ আর সেইসঙ্গে যে-বিষয়গুলো গ্রহণ করেছ এবং আমাকে যা-কিছু বলতে শুনেছ এবং করতে দেখেছ, সেগুলো করো। এতে শান্তির ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে থাকবেন।
১০ প্রভুর দাস হিসেবে আমি খুবই আনন্দিত, কারণ তোমরা আবারও দেখাচ্ছ যে, তোমরা আমার জন্য চিন্তা কর। অবশ্য, তোমরা সবসময়ই আমার জন্য চিন্তা করতে, কিন্তু কিছু সময়ের জন্য তা দেখানোর সুযোগ তোমরা পাওনি।
১১ আমি অভাবের মধ্যে রয়েছি বলে যে এই কথা বলছি, তা নয়। কারণ যেকোনো পরিস্থিতিতেই আমি সন্তুষ্ট থাকতে* শিখেছি।
১২ আমি জানি, কীভাবে অভাবের মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়, আবার কীভাবে প্রাচুর্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়। সমস্ত বিষয়ে এবং সমস্ত পরিস্থিতিতে, ভরা পেটে হোক কিংবা ক্ষুধার্ত অবস্থায় হোক, প্রাচুর্যের মধ্যে হোক কিংবা অনটনের মধ্যে হোক, আমি সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছি।
১৩ যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁর মাধ্যমে আমি সব কিছুই করতে পারি।
১৪ যাই হোক, তোমরা আমার ক্লেশের সময়ে আমাকে সাহায্য করে ভালোই করেছ।
১৫ হে ফিলিপীয়েরা, তোমরাও জান যে, তোমরা যখন প্রথম সুসমাচার সম্বন্ধে জেনেছিলে এবং আমি ম্যাসিডোনিয়া থেকে চলে গিয়েছিলাম, তখন তোমরা ছাড়া আর কোনো মণ্ডলীই আমাকে সাহায্য করেনি কিংবা আমার সাহায্য গ্রহণ করেনি;
১৬ কারণ আমি যখন থিষলনীকীতে ছিলাম, তখন তোমরা এক বার নয়, বরং দু-বার আমার প্রয়োজনীয় বিষয় পাঠিয়েছিলে।
১৭ আমি যে কোনো উপহার পেতে চাইছি, তা নয়, কিন্তু আমি চাই যেন ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তোমাদের ভালো কাজগুলো আরও বৃদ্ধি পায়।
১৮ আমার যা-কিছু প্রয়োজন, সেই সমস্ত কিছুই আমার রয়েছে, এমনকী বেশিই রয়েছে। আমার কোনো কিছুরই অভাব নেই, কারণ ইপাফ্রদীতের মাধ্যমে তোমরা যা যা পাঠিয়েছ, সেগুলো আমি পেয়েছি আর সেগুলো ঈশ্বরের কাছে এক সুগন্ধি, গ্রহণযোগ্য ও প্রীতিজনক বলির মতো।
১৯ আর এর প্রতিদানে অশেষ সম্পদের অধিকারী আমার ঈশ্বর, খ্রিস্ট যিশুর মাধ্যমে তোমাদের সমস্ত প্রয়োজন মেটাবেন।
২০ যুগে যুগে চিরকাল আমাদের ঈশ্বর ও পিতার গৌরব হোক। আমেন।
২১ খ্রিস্ট যিশুর শিষ্য এমন প্রত্যেক পবিত্র ব্যক্তিকে আমার শুভেচ্ছা জানিয়ো। আমার সঙ্গে থাকা ভাইয়েরা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
২২ সমস্ত পবিত্র ব্যক্তি, বিশেষ করে কৈসরের* রাজপ্রাসাদের লোকেরা তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
২৩ তোমরা যে-ভালো মনোভাব দেখিয়ে থাক, সেটার উপর প্রভু যিশু খ্রিস্টের মহাদয়া থাকুক।
পাদটীকাগুলো
^ আক্ষ., “মেনে নেওয়ার মনোভাব, নমনীয়তা।”
^ বা “চিন্তাভাবনাকে।”
^ বা “গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা করার বিষয়।”
^ বা “যা-কিছু ন্যায্য।”
^ বা “শুচি।”
^ বা “সেগুলো নিয়ে চিন্তা; সেগুলো নিয়ে ধ্যান।”
^ বা “আমি স্বনির্ভরশীল হতে।”
^ বা “রোমের সম্রাটের।”