যাকোবের চিঠি ৫:১-২০
৫ হে ধনী লোকেরা, তোমরা শোনো, তোমাদের উপর যে-দুর্দশা আসতে চলেছে, সেটার জন্য তোমরা কাঁদো এবং বিলাপ করো।
২ তোমাদের ধনসম্পদ নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর তোমাদের পোশাক পোকায় খেয়ে ফেলেছে।
৩ তোমাদের সোনা ও রুপোতে মরচে ধরেছে আর সেই মরচে তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে এবং তোমাদের গ্রাস করবে। তোমরা আসলে শেষকালের জন্য আগুন সঞ্চয় করে রাখছ।
৪ দেখো! যে-মজুরেরা তোমাদের খেতে শস্য কেটেছে, তোমরা তাদের মজুরি দাওনি বলে তারা কাঁদছে আর সেই ছেদকদের আর্তনাদ স্বর্গীয় বাহিনীর শাসক যিহোবার* কানে পৌঁছেছে।
৫ তোমরা এই পৃথিবীতে বিলাসী জীবনযাপন করেছ এবং নিজেদের লালসা পূরণ করেছ। তোমরা খাওয়া-দাওয়া করে নিজেদের মোটাসোটা করেছ, ঠিক যেমন গবাদি পশু হত হওয়ার দিনের জন্য মোটাসোটা হয়।
৬ যে ঈশ্বরের বাধ্য, তাকে তোমরা দোষী সাব্যস্ত করেছ এবং খুন করেছ। এই কারণেই তিনি তোমাদের প্রতিরোধ করছেন।
৭ অতএব হে ভাইয়েরা, তোমরা প্রভুর উপস্থিতির সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধরো। দেখো! একজন কৃষক ভূমির মূল্যবান ফসলের জন্য অপেক্ষা করে আর শুরুর বৃষ্টি এবং শেষের বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে।
৮ তোমরাও তেমনই ধৈর্য ধরো; তোমাদের হৃদয় সুস্থির করো, কারণ প্রভুর উপস্থিতির সময় কাছে এসে গিয়েছে।
৯ ভাইয়েরা, তোমরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ কোরো না,* যাতে তোমরা বিচারিত না হও। দেখো! বিচারক দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।
১০ ভাইয়েরা, যে-ভাববাদীরা যিহোবার* নামে কথা বলেছিলেন, তারা যেভাবে কষ্ট ভোগ করেছিলেন এবং ধৈর্য ধরেছিলেন, সেটা অনুকরণ করো।
১১ দেখো! যারা পরীক্ষার মধ্যেও ধৈর্য ধরে, আমরা তাদের সুখী* বলে গণ্য করি। তোমরা ইয়োবের ধৈর্যের কথা শুনেছ এবং যিহোবা* তাকে যে-সমস্ত আশীর্বাদ করেছিলেন, সেগুলোও জেনেছ। আর তোমরা এভাবে বুঝতে পেরেছ যে, যিহোবা* অত্যন্ত স্নেহময়* ও করুণাময়।
১২ হে আমার ভাইয়েরা, বিশেষ করে মনে রেখো, তোমরা দিব্য কোরো না,* স্বর্গের কি পৃথিবীর কি অন্য কিছুরই দিব্য কোরো না। কিন্তু, তোমাদের “হ্যাঁ” যেন হ্যাঁ হয় এবং “না” যেন না হয়, যাতে তোমরা ঈশ্বরের দ্বারা বিচারিত না হও।
১৩ তোমাদের মধ্যে কেউ কি কষ্ট ভোগ করছে? তা হলে, সে প্রার্থনা করে চলুক। কেউ কি আনন্দে রয়েছে? তা হলে, সে প্রশংসাগান করুক।
১৪ তোমাদের মধ্যে কেউ কি অসুস্থ? তা হলে, সে মণ্ডলীর প্রাচীনদের ডাকুক আর তারা তার জন্য প্রার্থনা করুক এবং যিহোবার* নামে তার মাথায় তেল দিক।
১৫ এতে বিশ্বাস সহকারে করা প্রার্থনা সেই অসুস্থ* ব্যক্তিকে সুস্থ করবে এবং যিহোবা* তাকে সবল করবেন। আর সে যদি পাপ করে থাকে, তা হলে তাকে ক্ষমা করা হবে।
১৬ অতএব, তোমরা একে অন্যের কাছে খোলাখুলিভাবে তোমাদের পাপ স্বীকার করো এবং একে অন্যের জন্য প্রার্থনা করো, যাতে তোমরা সুস্থ হতে পার। একজন ধার্মিক ব্যক্তির বিনতির জোরালো প্রভাব রয়েছে।
১৭ এলিয় আমাদের মতোই সাধারণ মানুষ ছিলেন আর তিনি যখন আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করেছিলেন যেন বৃষ্টি না হয়, তখন সাড়ে তিন বছর ধরে বৃষ্টি হয়নি।
১৮ পরে তিনি আবারও প্রার্থনা করেছিলেন আর আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়েছিল এবং ভূমিতে ফসল উৎপন্ন হয়েছিল।
১৯ হে আমার ভাইয়েরা, কেউ যদি তোমাদের মধ্য থেকে কাউকে সত্য থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় আর কোনো ব্যক্তি যদি তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে,
২০ তা হলে জেনে রেখো, যে-ব্যক্তি সেই পাপীকে তার ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে, সে তাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে এবং তার অসংখ্য পাপ ঢেকে দেবে।
পাদটীকাগুলো
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ বা “বিরুদ্ধে আর্তস্বর কোরো না; বিরুদ্ধে বচসা কোরো না।” আক্ষ., “বিরুদ্ধে দীর্ঘশ্বাস ফেলো না।”
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ বা “ধন্য।”
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ বা “সমবেদনাময়।”
^ বা “দিব্য করা বন্ধ করো।”
^ শব্দকোষ দেখুন।
^ বা সম্ভবত, “ক্লান্ত।”
^ শব্দকোষ দেখুন।