তীমথিয়ের প্রতি প্রথম চিঠি ৪:১-১৬
৪ কিন্তু, ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় বলা বাক্য স্পষ্টভাবে জানায়, ভবিষ্যতে কেউ কেউ বিশ্বাস থেকে সরে পড়বে, কারণ তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছে বলে দাবি করা হয় এমন মিথ্যা বার্তার প্রতি এবং মন্দ স্বর্গদূতদের শিক্ষার প্রতি মনোযোগ দেবে।
২ সেই ব্যক্তিদের ভণ্ডামির কারণেই এইরকম হবে, যারা মিথ্যা কথা বলে এবং যাদের বিবেক উত্তপ্ত লোহা দিয়ে দাগযুক্ত করা হলে যেমন হয়, তেমনই অসাড় হয়ে পড়েছে।
৩ এই লোকেরা বিয়ে করতে নিষেধ করে এবং বিভিন্ন খাবার না খাওয়ার আদেশ দেয়। কিন্তু, ঈশ্বর সেই খাবার সৃষ্টি করেছেন, যেন বিশ্বাসী এবং সত্য সঠিকভাবে জানে এমন ব্যক্তিরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে সেই খাবার গ্রহণ করে।
৪ কারণ ঈশ্বরের প্রতিটা সৃষ্টি উত্তম এবং ধন্যবাদের প্রার্থনা সহকারে গ্রহণ করলে কোনো কিছুই অগ্রাহ্য নয়,
৫ যেহেতু ঈশ্বরের বাক্য এবং প্রার্থনার মাধ্যমে সেই খাবার পবিত্রীকৃত হয়।
৬ ভাইদের এই পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে তুমি প্রমাণ দেবে যে, তুমি খ্রিস্ট যিশুর একজন উত্তম সেবক; তুমি সত্যের এবং সেই উত্তম শিক্ষার বাক্য দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়েছ, যা তুমি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করে এসেছ।
৭ কিন্তু, তুমি মিথ্যা ও ঈশ্বরনিন্দাকারী গল্প প্রত্যাখ্যান করো। এগুলো তো বৃদ্ধ মহিলাদের বানানো গল্পের মতো। বরং তুমি নিজেকে প্রশিক্ষিত করো এবং ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি দেখানোর লক্ষ্য স্থির করো।
৮ শরীরচর্চা কিছুটা উপকারজনক ঠিকই, কিন্তু ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি সমস্ত দিক দিয়ে উপকারজনক, কারণ তা লোকদের সেই সমস্ত আশীর্বাদ লাভ করার সুযোগ করে দেয়, যেগুলো ঈশ্বর বর্তমান জীবনের জন্য এবং ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য প্রতিজ্ঞা করেছেন।
৯ এই কথা বিশ্বাসযোগ্য এবং পুরোপুরিভাবে গ্রহণ করার যোগ্য।
১০ আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি এবং প্রাণপণ প্রচেষ্টা করছি, কারণ আমরা জীবন্ত ঈশ্বরের উপর প্রত্যাশা রেখেছি, যিনি সমস্ত ধরনের লোকের, বিশেষভাবে বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের ত্রাণকর্তা।
১১ তুমি সবসময় এইসমস্ত আদেশ দাও এবং তাদের শিক্ষা দাও।
১২ তুমি যুবক বলে কেউ যেন তোমাকে তুচ্ছ না করে। কিন্তু, তুমি কথায়, আচরণে, প্রেমে, বিশ্বাসে ও শুদ্ধতায় বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের জন্য উদাহরণযোগ্য হও।
১৩ আমি না আসা পর্যন্ত তুমি অন্যদের সামনে পাঠ করার, উপদেশ* ও শিক্ষা দেওয়ার কাজে নিবিষ্ট থাকো।
১৪ প্রাচীনগোষ্ঠী যখন তোমার উপর হাত রেখেছিলেন, তখন ভবিষ্যদ্বাণীর মাধ্যমে তোমাকে যে-দান দেওয়া হয়েছিল, সেটাকে অবহেলা কোরো না।
১৫ এইসমস্ত বিষয় নিয়ে মনোযোগের সঙ্গে চিন্তা* করো; সেগুলোতে নিবিষ্ট থাকো, যাতে সকলে তোমার উন্নতি স্পষ্টভাবে দেখতে পায়।
১৬ তোমার নিজের বিষয়ে এবং তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান থাকো। এইসমস্ত বিষয় পালন করার জন্য প্রচেষ্টা করে চলো, কারণ তা করার মাধ্যমে তুমি নিজেকে এবং যারা তোমার শিক্ষার প্রতি মনোযোগ দেয়, তাদের রক্ষা করবে।