যোহনের প্রথম চিঠি ৩:১-২৪

  • আমরা ঈশ্বরের সন্তান (১-৩)

  • ঈশ্বরের সন্তান বনাম দিয়াবলের সন্তান (৪-১২)

    • যিশু দিয়াবলের কাজগুলো বিনষ্ট করবেন ()

  • একে অন্যকে প্রেম করো (১৩-১৮)

  • ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ের চেয়ে মহান (১৯-২৪)

 দেখো, আমাদের প্রতি পিতার প্রেম এত মহৎ যে, আমাদের ঈশ্বরের সন্তান বলে ডাকা হয়! আর আমরা সত্যিই তাঁর সন্তান। কিন্তু, জগৎ আমাদের জানে না, কারণ জগৎ ঈশ্বরকে জানে না। ২  প্রিয় ভাই ও বোনেরা, এখন আমরা ঈশ্বরের সন্তান, কিন্তু ভবিষ্যতে আমরা কেমন হব, তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তবে, আমরা এটা জানি, যখন ঈশ্বর প্রকাশিত হবেন, তখন আমরা তাঁর মতো হব কারণ তিনি যেমন, আমরা তাঁকে ঠিক সেভাবেই দেখতে পাব। ৩  আর যে-কেউ তাঁর উপর এই প্রত্যাশা রাখে, সে নিজেকে শুচি করে, ঠিক যেমন তিনি শুচি। ৪  যে-কেউ পাপ করে চলে, সে আইন লঙ্ঘন করে আর পাপ করার অর্থই হল আইন লঙ্ঘন করা। ৫  আর তোমরা জান, তিনি আমাদের পাপ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলেন* এবং তাঁর মধ্যে কোনো পাপ নেই। ৬  যে-কেউ তাঁর সঙ্গে একতাবদ্ধ থাকে, সে পাপ করে চলে না; যে-কেউ পাপ করে চলে, সে তাঁকে দেখেওনি কিংবা তাঁকে জানেওনি। ৭  প্রিয় সন্তানেরা, কেউ যেন তোমাদের ভ্রান্ত না করে; যে সঠিক কাজ করে চলে, সে ধার্মিক, ঠিক যেমন তিনি ধার্মিক। ৮  যে পাপ করে চলে, সে দিয়াবলের সন্তান কারণ দিয়াবল অনেক আগে থেকেই* পাপ করে আসছে। ঈশ্বরের পুত্র এই উদ্দেশ্যেই এসেছিলেন,* যেন তিনি দিয়াবলের কাজগুলো বিনষ্ট করেন। ৯  যে-কেউ ঈশ্বরের সন্তান, সে পাপ করে চলে না, কারণ ঈশ্বরের পবিত্র শক্তি* তার মধ্যে রয়েছে। সে পাপ করে চলতে পারে না, কারণ সে ঈশ্বরের সন্তান। ১০  কারা ঈশ্বরের সন্তান এবং কারা দিয়াবলের সন্তান, তা আমরা এভাবে জানতে পারি: যে-কেউ সঠিক কাজ করে চলে না, সে ঈশ্বরের সন্তান নয় কিংবা সে-ও ঈশ্বরের সন্তান নয়, যে নিজের ভাইকে ভালোবাসে না। ১১  কারণ তোমরা শুরু থেকে এই আজ্ঞা শুনে এসেছ, আমাদের পরস্পর প্রেম করতে হবে। ১২  আমরা যেন কয়িনের মতো না হই; সে শয়তানের* সন্তান এবং সে নিজের ভাইকে নির্দয়ভাবে হত্যা করেছিল। কেন সে তার ভাইকে নির্দয়­ভাবে হত্যা করেছিল? কারণ তার নিজের কাজ ছিল মন্দ আর তার ভাইয়ের কাজ ছিল সঠিক। ১৩  ভাইয়েরা, তোমরা এতে আশ্চর্য হোয়ো না যে, জগৎ তোমাদের ঘৃণা করে। ১৪  আমরা জানি যে, আমরা বলতে গেলে মৃত ছিলাম, কিন্তু এখন আমরা জীবিত, কারণ আমরা ভাইদের ভালোবাসি। যে ভালোবাসে না, সে বলতে গেলে এখনও মৃত। ১৫  যে-কেউ নিজের ভাইকে ঘৃণা করে, সে একজন খুনি আর তোমরা জান, কোনো খুনিই অনন্তজীবন লাভ করবে না। ১৬  যিশু খ্রিস্ট আমাদের জন্য নিজের জীবন দান করেছেন বলেই আমরা জানতে পেরেছি, প্রেম কী। আর তাই আমরাও আমাদের ভাইদের জন্য নিজেদের জীবন দিতে বাধ্য। ১৭  কিন্তু, যার কাছে বস্তুগত বিষয়সম্পত্তি রয়েছে, সে যদি তার ভাইকে অভাবের মধ্যে থাকতে দেখেও তার প্রতি সমবেদনা না দেখায়, তা হলে কীভাবে সে বলতে পারে যে, সে ঈশ্বরকে প্রেম করে? ১৮  প্রিয় সন্তানেরা, আমরা যেন শুধু মুখে না বলে বরং আমাদের কাজের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে দেখাই যে, আমরা একে অন্যকে প্রেম করি। ১৯  এভাবেই আমরা জানতে পারব, আমরা সত্যের পক্ষে রয়েছি আর আমরা নিজেদের এই আশ্বাস দেব যে, ঈশ্বর আমাদের ভালোবাসেন। ২০  আর আমাদের হৃদয় যদি আমাদের দোষীও করে, তারপরও ঈশ্বর আমাদের হৃদয়ের চেয়ে মহান এবং তিনি সমস্ত কিছু জানেন। ২১  প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আমাদের হৃদয় যদি আমাদের দোষী না করে, তা হলে ঈশ্বরের সঙ্গে আমরা নির্দ্বিধায় কথা বলতে পারব; ২২  আর আমরা যা চাইব, তিনি আমাদের তা দেবেন, কারণ আমরা তাঁর আজ্ঞা পালন করি এবং তাঁর দৃষ্টিতে যা প্রীতিজনক, তা করি। ২৩  আর তাঁর আজ্ঞা এই: আমরা যেন তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের নামের উপর বিশ্বাস করি এবং পরস্পর প্রেম করি, ঠিক যেমনটা তিনি আমাদের আজ্ঞা দিয়েছিলেন। ২৪  এ ছাড়া, যে ঈশ্বরের আজ্ঞাগুলো পালন করে, সে ঈশ্বরের সঙ্গে একতাবদ্ধ থাকে এবং ঈশ্বর তার সঙ্গে একতাবদ্ধ থাকেন। আর তিনি আমাদের যে-পবিত্র শক্তি দিয়েছেন, সেটার মাধ্যমে আমরা জানি, তিনি আমাদের সঙ্গে একতাবদ্ধ থাকেন।

পাদটীকাগুলো

আক্ষ., “প্রকাশিত হয়েছিলেন।”
আক্ষ., “দিয়াবল শুরু থেকেই” অর্থাৎ যখন সে প্রথম ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
আক্ষ., “প্রকাশিত হয়েছিলেন।”
আক্ষ., “ঈশ্বরের বীজ।”
আক্ষ., “সেই দুষ্ট ব্যক্তির।”