করিন্থীয়দের প্রতি দ্বিতীয় চিঠি ১০:১-১৮

  • পৌল তার প্রচার কাজের পক্ষ সমর্থন করেন (১-১৮)

    • আমাদের অস্ত্রশস্ত্র এই জগতের নয় (৪, ৫)

১০  আমি পৌল নিজে, খ্রিস্টের মৃদুতা ও দয়া সহকারে তোমাদের কাছে অনুরোধ করছি। তবে, তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে, আমি যখন তোমাদের সঙ্গে থাকি, তখন আমি দুর্বল কিন্তু যখন তোমাদের কাছে চিঠি লিখি, তখন সাহসী। ২  আমি আশা করি, যখন আমি তোমাদের কাছে আসব, তখন আমাকে সেই ব্যক্তিদের প্রতি কঠোর আচরণ করতে হবে না, যারা মনে করে, আমরা জগতের লোকদের মতো চলছি। ৩  যদিও আমরা অন্যান্য মানুষের মতো জীবনযাপন করি, কিন্তু আমরা জগতের চিন্তাধারা অনুসারে যুদ্ধ করি না। ৪  কারণ আমাদের যুদ্ধের অস্ত্রশস্ত্র এই জগতের নয়, বরং এগুলো এমন শক্তিশালী অস্ত্র, যেগুলো ঈশ্বর আমাদের দিয়েছেন, যাতে দূর্গের মতো দৃঢ় বিষয়গুলো ভেঙে ফেলা যায়। ৫  আমরা মিথ্যা ধারণা এবং এমন সমস্ত বাধা ভেঙে ফেলছি, যেগুলো মানুষকে ঈশ্বর সম্বন্ধে জানতে বাধা দেয়। আর আমরা সমস্ত চিন্তাভাবনাকে খ্রিস্টের বশীভূত করার জন্য সেগুলোকে বন্দি করছি; ৬  তোমরা যখন দেখাবে যে, তোমরা সম্পূর্ণরূপে বাধ্য, তখন আমরা এমন প্রত্যেকের উপর শাস্তি নিয়ে আসব, যারা অবাধ্যতা দেখিয়ে চলে। ৭  তোমরা বাইরের চেহারা দেখে বিচার করে থাক। কারো যদি এই আত্মবিশ্বাস থাকে যে, সে খ্রিস্টের অনুসারী, তা হলে সে আবারও এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করুক: সে যেমন খ্রিস্টের অনুসারী, তেমনই আমরাও খ্রিস্টের অনুসারী। ৮  তোমাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য নয়, বরং উৎসাহিত করার জন্য প্রভু আমাদের যে-কর্তৃত্ব দিয়েছেন, সেটার জন্য আমি যদি একটু বেশি গর্ব করেও থাকি, তবুও আমি লজ্জিত হব না। ৯  কিন্তু, এই কথা বলার মাধ্যমে আমি এমন ধারণা দিতে চাই না যে, আমি আমার চিঠি­গুলোর মাধ্যমে তোমাদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছি। ১০  কারণ কেউ কেউ বলে, “যদিও তার চিঠিগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ কথা রয়েছে এবং সেগুলো জোরালো, কিন্তু তিনি যখন আমাদের সঙ্গে থাকেন, তখন তিনি দুর্বল এবং তার কথাবার্তার মধ্যে শোনার মতো কিছু নেই।” ১১  যারা এ-রকম কথা বলে, তারা এটা জেনে রাখুক, অনুপস্থিত থেকে চিঠিগুলোর মাধ্যমে আমরা যা বলি, উপস্থিত থেকেও আমরা তা করব। ১২  কারণ আমরা নিজেদের এমন ব্যক্তিদের দলে ফেলতে চাই না, যারা গর্ব করে থাকে আর আমরা তাদের মতো হতেও চাই না। তারা নিজেরা যেটাকে ভালো বলে থাকে, সেই অনুযায়ী নিজেদের বিচার করে আর এভাবে তারা দেখায়, তারা নির্বোধ। ১৩  আমাদের যে-কাজ দেওয়া হয়েছে, সেটার বাইরে যে-বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা গর্ব করব না, বরং ঈশ্বর আমাদের কার্যভারের যে-দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই কার্যভারে আমরা যা সম্পাদন করতে পেরেছি, সেটা নিয়ে গর্ব করব। আর তোমরাও এই কার্যভারের একটা অংশ। ১৪  আমরা যখন তোমাদের কাছে এসেছিলাম, তখন আমরা এমন কিছু করিনি, যা করার জন্য ঈশ্বর আমাদের নিযুক্ত করেননি, বরং আমরাই প্রথমে তোমাদের কাছে খ্রিস্ট সম্বন্ধে সুসমাচার ঘোষণা করেছিলাম। ১৫  আমাদের যে-কাজ দেওয়া হয়েছে, সেটার বাইরে যে-বিষয়গুলো রয়েছে, সেগুলো নিয়ে অর্থাৎ অন্যের পরিশ্রম নিয়ে আমরা গর্ব করছি না। কিন্তু, আমরা আশা করি, তোমাদের বিশ্বাস যেমন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনই আমাদের প্রচারের এলাকায় আমরা যে-কাজ করেছি, সেটাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। এতে আমাদের প্রচার কাজ আরও বেড়ে যাবে। ১৬  এর ফলে আমরা তোমাদের এলাকা ছাড়িয়ে আরও দূরের এলাকাগুলোতে সুসমাচার ঘোষণা করতে পারব আর অন্যেরা তাদের এলাকায় ইতিমধ্যে যে-কাজ করেছে, সেটা নিয়ে আমরা গর্ব করব না। ১৭  “তবে, যে গর্ব করে, সে যিহোবার* বিষয়ে গর্ব করুক।” ১৮  কারণ যে-ব্যক্তি নিজের প্রশংসা করে, সে নয়, বরং যিহোবা* যার প্রশংসা করেন, সে-ই তাঁর অনুমোদন লাভ করে।

পাদটীকাগুলো

শব্দকোষ দেখুন।
শব্দকোষ দেখুন।